![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বন্ধুত্বে বিশ্বাসী , বুঝি বন্ধু জীবনের একনাম...
ছোট বেলায় বাব-মার সঙ্গে লঞ্চে চড়ে বুড়িগঙ্গা হয়ে কাঠপট্টি নানীবাড়ি চলে গেছি। আবার কখনও একা চলে গেছি বহুবার। সেই সময়কার বুড়িগঙ্গা হয়ে ধলেশ্বরী শীতল্যায় স্বপ্নতুল্য ভ্রমন আমার মনে এমন ভাবে গেঁথে গেছে যে নদী দেখলেই মনে হয় ভেসে চলি। আর নদীও আমায় নিরাস না করে ভাসিয়ে নিয়ে চলে!
বর্ষাকাল শুরু হয়েছে। আকাশে মেঘেদের ঘনঘটা। মেঘ-বৃষ্টির সঙ্গে পেঁজা তুলোর মেঘ ভাসা নীলাকাশ। বর্ষার সঙ্গে আমাদের নাড়ির টান। আরেক টান আমাদের নদীর সঙ্গে। বর্ষায় নদী পূর্ন যৌবনবতী। এই সময় নৌকায় চড়ে নদীতে ঘুরে বেড়ানোর মজাই আলাদা। এমন এক বৃষ্টিভেজা দিনে বের হলাম নদী ভ্রমনের জন্য।
মটরবাইক শহাবাগ আর গাবতলির কাছে দুইবার দাঁড় করিয়ে একঘন্টায় সাভার চলে আসি। আসলে বাসা থেকে বের হয়েই মাঝি নূরুলইসলামের কথা মনে পড়ে যায়। বংশিনদীতে তার বাসায় গুড়-মুড়ি আর বড়ই খাওয়ার মধুর স্মৃতি ভুলি কী করে! আমরা আজ সাভারের কাছে বংশি বা বংশাই নদীতে ঘুরে বেড়াবো!
বংশাই ইতিবৃত্ত
সাভার একটি প্রসিদ্দ এলাকা। এখানকার মিষ্টির সুনাম সারা দেশে। সাভারের সাপের গ্রামের মত এমন আরেকটি গ্রাম নেই দেশে। সাভার বংশী নদের তীরে অবস্থিত। সাভার মডেল থানার সামনের বংশী নদীর তীরে বিকালে বেশ লোক সমাগম ঘটে। বর্ষা আর শরতে আরও বেশী। এখানে নৌকা ভ্রমনের মজাই অন্য রকম। বেদের বহর আর চমৎকার চমৎকার নৌকা অহরহ আপনার চোখে পড়বে। সুতরাং পানি থাকতে থাকতে আপনারাও একবার নৌকায় করে বংশী নদীতে বেড়িয়ে আসতে পারেন।
বংশীনদীতে
পোড়াবাড়ি থেকে সাভার মডেল থানা যাবার পথটি মেঠোপথ। প্রাকৃতিক শোভা সে অর্থে এখানে মনকাড়া না। তবে পাশের বংশী নদীর শোভা ভারি সুন্দর। আমরা দশ মিনিটে মডেল থানার কাছে চলে আসি। এখানে নদীতে বেড়াতে আসা মানুষের ভীড় চোখে পড়ার মত। নূরুলইসলাম মাঝিকে খঁজে পাওয়া গেলনা, অন্য একজন মাঝির সঙ্গে নৌকা ভাড়া দরদাম করে সে নৌকায় চড়ে বসি। নৌকা গতি পেতেই সামনে চেয়ে দেখি একটি বাঁশের ভেলা এগিয়ে আসছে। মুখ থেকে অস্ফুট সুর-বাহ! এভাবেই আমাদের নৌকা তরতর করে এগিয়ে চলে। উচ্ছাসে ভরা বংশাইর সৌন্দর্য অবর্ণনীয়। এপথে আামি শীতের প্রচন্ড রূপ দেখেছিলেম। এবার এসেছি বর্ষায়। নদীর একপাশে অনেক গাছের খড়ি, এসব দিয়ে কাঠ করা হবে। পানকৌড়ির দল আর ছুটে চলা মাছরাঙা অতিমনোহর। চলতি পথে অনেক ভেসাল দৃশ্যত; হল। আর জাল নিয়ে ছুটে চলা একদল শিশু-কিশোর। বালুর নৌকা, জেলে নৌকা, মাছের ডিঙ্গি নাও, সাম্পান, কোসা নৌকা। আসলে কি রেখে কি বলি, সঙ্গে পিকনিকের নাও তো ছিল অনেক। তবে স্পিকারে সেই নৌকা থেকে হিন্দি গান আর উদ্ভট নাচ ভাল লাগলোনা, মনে হল পরিবেশটাই শেষ হয়ে গেল, আর এভাবেই আমাদের নৌকা এগিয়ে চলে। এরমধ্যে হঠাৎ আকাশ কালো হয়ে এল। তারপর ঝিরিঝিরি বৃষ্টির সৃষ্টি বাতাসের তীব্রতা। একটু পরই আকাশ থেকে মেঘ সরতে শুরু করলে আমরাও ফেরার পথ ধরলাম। ফিরতি পথে চোখে পড়ল একঝাঁক বেদে নৌকা। বংশীপাড়ের বেদে পল্লি কিন্তু সারাদেশ খ্যাত!
বংশীনদীতে বেড়াতে চাইলে
গুলিস্তান বা গাবতলি থেকে সাভারগামী বাসে চড়ে বসুন। সাভার বাসষ্ট্যান্ড নেমে রিকসায় সাভার মডেল থানার কাছে চলে এলেই হবে। এখান থেকে আপনার পছন্দের নৌকাটি বেছে নেন। বিপদে পড়বেন না। তবু নৌকায় চড়ার আগে ঘন্টা চুক্তি করে ফেলুন। মনে রাখবেন বংশীনদীতে বেড়ানোর মজাই আলাদা।
২| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬
তোমোদাচি বলেছেন: উহ! দেশে তো এখন বর্ষা কাল!!! বৃষ্টিতে ভিজে ফুটবল খেলা টা খুব মিস করি!
৩| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪
আহলান বলেছেন: হুমম
৪| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: বাহ !!
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: