নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফারুখ আহমেদ

এখন সবাই ঘুরে বেড়ায় , এটা ভালো...

শান্তনু অাহেমদ

আমি বন্ধুত্বে বিশ্বাসী , বুঝি বন্ধু জীবনের একনাম...

শান্তনু অাহেমদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শহরে ধান কাটা ধান মারাই

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৬

‘এবার ধান কাটিব ঘচাঘচ

ঔ ধানের ছড়া মাথায় লইয়া

নাচি নাচিগো

ঔ ধানের ছড়া মাথায় লইয়া

নাচিনাচি

ফিরবো বাড়ি ঘচাঘচ।’

অগ্রহায়ন মাস। ধান কাটার মৌসুম। কৃষক েেতর ধান কেটে হাসি মুখে বাড়ি ফিরছে। ধান মারাই করছে, ধানের চিটা সরানোর জন্য ধান উড়াচ্ছে। কৃষকদের বাড়িতে বাড়িতে এখন আনন্দের বন্যা। নতুন ধানে ভরে উঠেছে কৃষকের গোলা। মুসলিমা জাহান সেতু একজন সৌখিন আলোকচিত্রী। ধানের মৌসুম শুরু হতেই সে পরিকল্পনা করলো এবার ধান কাটার ছবি তুলতে সে সুনামগঞ্জের হাওর অঞ্চলে যাবে। কিন্তু নানা সমস্যার জন্য শেষ পযর্ন্ত তার সুনামগঞ্জ আর যাওয়া হলনা। এজন্য মন খুব খারাপ। এমন মন খারপের দিনে সবুজের এক বন্ধু এসে খবর দিল তুমি চাইলে মিরপুরের শহর রা বাঁধের আশেপাশে গিয়ে ধানের তে,ধান কাটা, সে ধান নিয়ে কৃষকের ঘরে ফেরা আর ধান মারাইয়ের অসংখ্য ছবি তুলে আনতে পারো। খবরটা শুনে মুসলিমার চোখমুখ আনন্দে ভরে ওঠে। তারপর একদিন সে চলে আসে মিরপুর, সেখান থেকে সাদুল্লাহপুর, বিরুলিয়া তারপর আশুলিয়া। চারিদিকে সবুজ আর সবুজ। শুধুই ধানের ছড়ার সবুজ আভা। মুসলিমা অন্তরের সুখ চোখ দিয়ে ধরে রাখলো তার ক্যামেরায় কিকের পর কিকে!

আপনিও চাইলে এখন সবুজ ধানের সুখ এই শহরে বসেই নিতে পারেন। সে জন্য আপনাকে বেশী দুর নয় কাছেই মিরপুর চলে যেতে হবে। তারপর বিরুলিয়া বা আসুলিয়ার পথে পথে ধান তে আর ধান কাটার ধুম চোখে পড়বে। এখন পুরো এলাকা জুড়ে সুগন্ধি বোরোধান কাটা চলছে। মিরপুর চটবাড়ির বটতলা ধরে সামনে এগিয়ে গেলে ধান কাটার এমন সুখকর দৃশ্য আপনার চোখ এড়াবেনা। আরও কাছে থেকে সে দৃশ্য উপভোগের জন্য আপনি নৌকাভাড়া করে ধান েেতর একেবারে কাছে চলে যেতে পারেন। চলে যেতে পারেন বিরুলিয়া বা সাদুল্লাহপুর। সাদুল্লাপুর গেলে একবারে সনাতন পদ্ধতির ধান কাটা, ধান মারাই, আর চিটা ওড়ানোর দৃশ্য চোখে পড়বে। এখানে এখন প্রতিদিন বিকেলে এমন দৃশ্য মন কেড়ে নেবেই। তুরাগ পার থেকে মহিষের গাড়ি বোঝাই ধান নিয়ে গন্ত্যব্যে ফেরার এমন দৃশ্য এখন বিরলই বটে। এখানে মন কেড়ে নেয়া তেমন দৃশ্যের দেখা পাবেন। তবে শহর রা বাঁধ এলাকায় এখন ধান চাষ থেকে মারাই সবই হয় প্রযুক্তির মাধ্যমে। করিম নামের এক কৃষকের মুখ থেকে জানা যায়, আগে ধান কেটে বাইরাইতাম, পরে গরু দিয়ে মলম দিতাম, ধান পারানো এরা বলে মলম দেয়া। এখন ম্যাশিনই সব করে। আমরা ২৮ ধান, ২৯ ধান আর লাল ধানের চাষ করি। লাল ধানের চাষ করি মুড়ির জন্য। লাল ধানের তাই খুব চাহিদা। যতই চাহিদা থাক েেতর ধান কাটা শেষ হল বলে সুতরাং মন চাইলে আজই বেড়িয়ে পড়–ন চলে জান মিরপুর শহর রা বাঁধ ধরে বিরুলিয়া আসুলিয়া এবং সাদুল্লাহপুর। অথবা মাওয়া হয়ে চলে জান সিরাজদিখান, শ্রীনগর বা সোনারঙের দিকে। দেখে আসুন ধান কাটা আর ধান মারাইয়ের সুখচ্ছবি ।



পরিবেশ ও প্রকৃতি বিষয়ক লেখক

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৩

বেকার সব ০০৭ বলেছেন: সময় করে ধান কাটা দেখে আসবো,পোস্টে++++++++
ভাই আপনার গ্রামের বাড়ি কোথায়

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.