![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি পথভোলা এক পথিক এসেছি ... ফাগুন প্রাতের উতলা গো চৈত্র রাতের উদাসী
আজকের "আমাদের সময়" পত্রিকায় হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ একটি লেখা দিয়েছেন গ্রামীন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে।
Click This Link
অনেকের মত আমারও এতদিন ধারণা ছিল মুহাম্মদ ইউনুসই এরশাদকে পটিয়ে বিশেষ আইনের বদৌলতে গ্রামীন ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন এবং ব্যাংকিং আইনের বাইরে অনেক সুযোগ সুবিধা অর্জন করেন।
এরশাদের জবানবন্দীতে দেখা যাচ্ছে যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য প্রয়াত অবসরপ্রাপ্ত পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক ডঃ আয়েষা আখতার ও তাঁর স্বামী মেজর জেনারেল মুনিম (এরশাদের মন্ত্রী) হঠাৎ একদিন এরশাদের বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে গ্রামীন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন এবং দীর্ঘ আলোচনার পরে এরশাদ তাতে রাজি হন।
এটা হতে পারে যে ইউনুসই তাঁদেরকে পাঠিয়েছিলেন, কারণ ইউনুসের ভাই মুহাম্মদ ইব্রাহীম পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক (কিন্তু বেশি সময় কাটান তাঁর নিজের এন, জি, ও গণবিজ্ঞান শিক্ষাতে এবং এন,জি,ও, ফোরামের প্রেসিডেন্ট হিসাবে)। আশ্চর্যের বিষয় এই যে অকৃতজ্ঞ ইউনুস কখনোই এই দম্পতির অবদানের স্বীকৃতি দেন নি।
ব্যাংকিং আইন অনুসারে ৬০ বছর বয়স পার হলে কেউ কোন ব্যাংকের এম,ডি থাকতে পারে না, কিন্তু ইউনুস ৭০ পেরিয়েও, এবং অধুনা বছরে ন'মাস বাইরে কাটালেও এম,ডি পদ অবৈধভাবে ধরে রেখেছেন। একদা রাখাল বাংলাদেশ ব্যাংকের বহুপ্রচারিত নিষ্ঠ গভর্নর আতিউর রহমানও এ ব্যাপারে নির্বিকার। ইউনুস বার বার ডেপুটি এম,ডি দের জোর করে অবসর দিয়ে নিজেকে শংকামুক্ত রাখেন। সমগ্র পাকিস্তানের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় প্রথম হওয়া খালেদ শামসকে আগে ২০০১ সালে এভাবে বিতাড়ন করেছেন। এমন কি নোবেল পুরস্কারের সময় তাঁর সুবিশাল সঙ্গী বাহিনীতেও তাঁর জায়গা হয় নি, পাছে লোকে বুঝে ফেলে কে বেশি বুদ্ধিমান। সম্প্রতি নতুন ডেপুটি এম,ডি, মিঃ বড়ুয়াকেও অবসরে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
ভ্যালারে ইউনুস, এম, ডি থাক চিরকাল! (নন্দলালের কথা মনে হলো)
২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:২৯
ভাবসাধক বলেছেন: +++++++++++
৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:৫১
মু. নূরনবী বলেছেন: ভাইডি...এসব কথা বলতে নাই...
তিনি নুভেল লরিয়েট...জাতির গর্ব্ব।
শান্তিতে নুবেল পাইসে....হেসে মরি।
অনেকে যদিও বগল বাজায়....
পিলাস।
৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:০৬
সামিউর বলেছেন:
হা হা প গে।
ভালো বলসেন।
৫| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:৩৫
পথে-প্রান্তরে বলেছেন: গরীবের সুদ খাইয়াও মাইনষে নোবেল পায়..... তাও শান্তিতে.... এত শান্তি আমি কুতায় রাখি... হেসে মরি....
৬| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৩২
জীবন-মৃত্যু বলেছেন: ভাই একটা কথা বলি, কিছু মনে করবেন না, এই পোস্টে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের আগে "একদা রাখাল" বিশেষণ লাগানোর প্রয়োজন আছে কি? তার সমালোচনা করতে হলেই যে "একদা তিনি রাখাল ছিলেন" - এটা বলাটা জরুরী নয়। বিষয়টা অপ্রাসঙ্গিক । এখানে তার সমালোচনা করুন "বা. ব্যা. গভর্নর" হিসেবে।
যাই হোক, পোস্টে + । ইউনূস মেয়ার ব্যাপারে কিচ্ছু কওয়ার নাই ... ... ওনারে মাইনাচ ....
৭| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:২৫
পি মুন্সী বলেছেন: এরকম ক্রেডিটের ভাগীদারি এখনকার অর্থমন্ত্রী আব্দুল মাল মুহিতও দাবি করতে পারেন। তিনি সেসময় ছিলেন অর্থ সচিব। আর অর্থ উপদেষ্টা বা মন্ত্রী ছিলেন এখন ব্যাঙ্ক এশিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট ও বিশ্বব্যাঙ্কের প্রাক্তন কর্মচারি সাইদুজ্জামান।
গ্রামীণ ব্যাঙ্ককে সরকারি অনুমোদন দিতে প্রচলিত বাংলাদেশের ব্যাঙ্ক আইনের মধ্যে ফিট করতে প্রচুর সমস্যায় পড়তে হয়। বিশেষ করে মালিকানা প্রসঙ্গে শুরুতে ইউনুস চেয়েছিলেন সবটা না হলেও লায়ন শেয়ার নিজেদের হাতে রাখতে। কিন্তু আইনী সমস্যা ও আমলাদের রিস্কি হয়ে যাবার ভয়জনিত রক্ষণশীলতায় একসময় পুরা উদ্যোগ ভেঙ্গে পড়তে লেগেছিল।
প্রথম আলোর মতিউর রহমান নিজে ইউনুসের নোবেল পাবার ঘোষণার পর ইউনুসের এক একান্ত সাক্ষাতকার নিয়েছিলেন, যেটা দুবার প্রথম আলোতে ছাপা হয়েছিল। গ্রামীণ ব্যাঙ্কের শুরুর দিকের অনেক কথা সেখানে আছে। ফলে মুহিতের সহযোগিতার স্বীকৃতির কথা সেখানে ভালভাবেই আছে।
এছাড়া যতদূর মনে পরে, ১৯৮৩-৮৪ এর উত্তাল ছাত্র আন্দোলনের এক পর্যায়ে এরশাদ যখন হার্ড হ্যান্ডের বদলে সফ্ট এপ্রোচে স্বরাষ্ট মন্ত্রনালয় চালাতে মনস্ত করেছিলেন তখন নরম সেনসিবল মানুষ হিসাবে জেনারেল মুনিমকে স্বরাষ্ট মন্ত্রী বা উপদেষ্টা করা হয়েছিল। এরশাদ সম্ভবত এটা উল্লেখ করতে ভুলে গিয়েছেন।
সেনা প্রতিষ্ঠানের সাথে সবচেয়ে বিপদজনকভাবে আইএমএফ-বিশ্বব্যাঙ্কের সরাসরি সম্পর্ক স্হাপন, ক্যু করানো - বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর আমরা প্রথম হতে দেখেছিলাম ১৯৮২ সালে; এর এক নম্বর ঘটক-নায়ক ছিলেন এরশাদ। সেই ঘটনার হাত এমনকি জিয়ার মৃত্যু পর্যন্ত প্রত্যক্ষ পরোক্ষে বিস্তৃত ছিল। এসব বিবেচনায় এর স্বৈরতান্ত্রিক রাজনৈতিক দায়দায়িত্ত্ব ও নিকৃষ্ট উদাহরণ এরশাদ বাংলাদেশের ইতিহাসের পাতা থেকে মুছতে পারবেন না।
কিন্তু তাঁর অবৈধ ক্ষমতা দখলসহ এসব বিবেচনাকে বাইরে রেখে ভাবতে বসলে, রাষ্ট্রের সিম্বল প্রেসিডেন্ট বা রাষ্ট্রের মুখ্য প্রতিনিধি তিনি; এর ষ্ট্রেটম্যানশীপ বলতে যা বুঝায় সে হিসাবে অনেক গুণ আমরা দেখতে পাই। আন্তর্জাতিক স্বার্থ ও এর চাপের মুখে রাষ্ট্র থাকা পরেও নিজের জন্য কাজের জায়গা বের করে নেয়া ও কোন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলার ক্ষেত্রে তাঁর ডিটারমিনেশন বা gut এর প্রশংসার দাবিদার তিনি। আবার তাঁর ব্যক্তিগত খারাপ গুণের সংখ্যাও কম নয়।
যাই হোক, গ্রামীণ ব্যাঙ্ক প্রসঙ্গে তাঁর অংশের ক্রেডিট দাবি তিনি করতেই পারেন। বিশেষত গ্রামীণ ব্যাঙ্কের শুরুর সময়ের সুদের হারের সাথে তুলনা করে এখনকার ৩৫% এর সুদখোরি কারবারের কথা যখন তিনি আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:২৩
আশফাকুর র বলেছেন: সোজা প্রিয়তে