![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি পথভোলা এক পথিক এসেছি ... ফাগুন প্রাতের উতলা গো চৈত্র রাতের উদাসী
স্কুলে যাওয়ার শখ না থাকলেও নিঃসন্দেহে দারুন বুদ্ধিমান ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। না হলে পারিবারিক জমিদারী দেখাশোনার ভার এত বছর তাঁর ওপরে ছিল কেন? জমিদারী কাব্য লিখে করা যায় না।
কিন্তু জায়গাজমি তো পড়েছিল পূর্ব বাংলায়। ঠাকুর পরিবারের মত এই অঞ্চলের প্রায় সব জমিদারই থাকতেন কলকাতায় আর টাকা আদায় করতেন পূর্বে। ১৯০৫ সালে লর্ড কার্জন সিরাজুদ্দৌলার বাংলা-বিহার উড়িষ্যাকে দুভাগ করে দিলেন। কলকাতা হলো ওদিকের রাজধানী, আর পূর্ব বাংলা ও আসামের রাজধানী হলো ঢাকা। অন্যান্য কলকাতাবাসী জমিদারের মত রবীন্দ্রনাথও ভীষণ ক্ষেপে গেলেন। তখনকার অনেক রচনায় এ নিয়ে কিছু কড়া বিরূপ মন্তব্য আছে, 'চোখের বালি' সিনেমাতেও যার ভগ্নাংশ রাখা হয়েছে। তুমুল আন্দোলন উঠল কলকাতার সমাজে, এবং রবীন্দ্রনাথ তাতে একজন নেতা ছিলেন। অবশ্য কার্জনকে ১৯০৫ সালেই ফিরে যেতে হয়, ফলে বিরোধী আন্দোলনকে ঠেকাবার মত কোন শক্তি ছিল না। ১৯১১ সালে বাংলা আবার এক হয়, যদিও উড়িষ্যা আর বিহার আলাদা হয়ে যায়। তাতে কার কি?
১৯১১ সালে রাজা পঞ্চম জর্জ ভারতে আসেন - এ দেশে আগত প্রথম ইংরেজ রাজা। রবীন্দ্রনাথকে বলা হলো তাঁর আগমনকে স্বাগত জানিয়ে এক কবিতা লিখতে। প্রথমে একটু দ্বিধা থাকলেও নোবেল প্রত্যাশায় ও জমিদারীর বিপদমুক্তির আনন্দে লিখে ফেললেন " জনগণ মন অধিনায়ক হে, ভারতভাগ্য বিধাতা।" ১৯১১ সালের ২৬শে ডিসেম্বর কলকাতায় রাজভক্ত ভারতীয় কংগ্রেসের সম্মেলনে প্রথম গাওয়া হলো। কলকাতার বিখ্যাত ইংরেজী দৈনিক স্টেটস্ম্যান ও অন্যান্য পত্রিকায় খবর এলঃ
"The Bengali poet Rabindranath Tagore sang a song composed by him specially to welcome the Emperor." (Statesman, Dec. 28, 1911)
"The proceedings began with the singing by Rabindranath Tagore of a song specially composed by him in honour of the Emperor." (Englishman, Dec. 28, 1911)
অবশ্য জাতীয়তাবাদী পত্রিকাগুলিতে অন্যভাবে উপস্থাপন করা হলো। দুটি গানের অন্যটিকে সম্রাট বন্দনা এবং এটিকে অন্য কিছু বলতে চাইল। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের কাব্যের সাথে যাদের কিছুটা পরিচিতি আছে তারাই বুঝবেন এটি তাঁর চিরাচরিত দেশ বা ঈশ্বর-বন্দনার নৈবেদ্য ঢঙে লেখা না, এতে একটা রাজকীয় গন্ধ আছে।
১৯১৩ সালে নোবেল পেয়ে সুপারম্যান হয়ে যাওয়ার পরে অবশ্য রবীন্দ্রনাথের ইংরেজ ভক্তি অনেক কমে যায়। জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের পরে স্যার উপাধি ফেরত দেন। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সৃষ্টিতে বাধা দিতে ভোলেন নি। শেষ বয়সে অনেকে তাঁকে জাতির জন্য জনিদারী দান করার পরামর্শ দিলে তিনি বলেছিলেন - বংশধরদের বঞ্চিত করার কোন অধিকার তাঁর নেই। হায় রে জমিদারী! দেশ বিভাগের কিছুদিনের মধ্যেই দুদেশ থেকেই লোপ পায়।
---------------------------------------------
ভারতের ইতিহাসে মাত্র দু'জন সম্রাজ্ঞী ছিলেন। বাবা সুলতান ইলতুতমিশের আদরে দস্যি হয়ে ওঠা মেয়ে রাজিয়া ছেলেদের মত চলাফেরা করতেন, ঘোড়ায় চড়ে ঘুরে বেড়াতেন। কিন্তু লোকে এই বেশরম মেয়েকে শাসক হিসেবে গ্রহণ করল না, মেরেই ফেলল।
দ্বিতীয়জন রাণী ভিক্টোরিয়া সিপাহী বিদ্রোহের পরে ভারতের শাসনভার এক কোম্পানীর ( ছি কি লজ্জা!) হাত থেকে নিয়ে নিজের সাম্রাজ্যে যোগ করেন। তিনি ভীষণ কড়া শাসনে মানুষ হয়েছিলেন, তাঁর আমল সভ্যতার ইতিহাসে রক্ষণশীল ভিক্টোরিয়ান যুগ নামে পরিচিত।
আজ ২৪শে মে ভিক্টোরিয়ার জন্মদিন। আমার খুব প্রিয় গায়ক শাফিনেরর এক গানের লিঙ্ক দিলাম, সেই রাণীর জন্য নয়, পরিচিত আরেক জনেরও জন্মদিন আজকে। রবীন্দ্রনাথের মত একটু দুনম্বরী করলাম।
২| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ২:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: শাফিনের গানটা জাতীয় জন্মদিন সঙ্গীত হয়ে গেসে। কাউকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে এত অপ্রাসঙ্গিক কথার অবতারণা করে লাস্টে লিংকড আপ করতে এই প্রথম দেখলাম।
শুভেচ্ছা তার জন্যে।
৩| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ৩:১২
মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন:
হা হা! হামা ভাই ঠিক বলেছেন। রবীন্দ্রনাথ-জমিদারী-সুলতানা রাজিয়া থেকে ভিক্টোরিয়া ঘুইরা শ্যাষে শাফিন আহমেদের জন্মদিন গান
আপনার পরিচিত এবং অপরিচিত যাদের জন্মদিন আজকে সবারটা শুভ হোক।
৪| ২৪ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩১
সাপিয়েন্স বলেছেন: "No public business of any kind could possibly be done at any time without the acquiescence of the Circumlocution Office. Its finger was in the largest public pie, and in the smallest public tart. It was equally impossible to do the plainest right and to undo the plainest wrong without the express authority of the Circumlocution Office."
Little Dorrit (Bk. 1, Ch. 10). [Charles Dickens]
দীর্ঘ পদযাত্রার সঞ্চয়ও পথেদৈর্ঘ থেকে নয়, বিন্দু বিন্দু থেকে আসতে পারে। যাঁরা কোশির উপপাদ্য, স্টোক্সের উপপাদ্য বা গাউসের উপপাদ্য নাড়াচাড়া করেছেন, তাঁরা নিশ্চয়ই জানেন। সবই ডি রাম কোহোমলজীর বিভিন্ন রূপ।
বন্ধুর কাছ থেকে হাজার পাঁচেক টাকা ধার করতেও ইনিয়ে বিনিয়ে আগে অনেক খেজুড়ে আলাপ করতে হয়। কেউ বিরক্ত হয়ে থাকলে দুঃখিত।
৫| ২৪ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫
কালোপরী বলেছেন: জন্মদিনের শুভেচ্ছা
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ২:১৭
বাংলার হাসান বলেছেন: ভাল লিখছেন।