![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি পথভোলা এক পথিক এসেছি ... ফাগুন প্রাতের উতলা গো চৈত্র রাতের উদাসী
হাজার বছরের সেরা বাঙালীর দিন ভালো যাচ্ছে না। কয়েক দিন আগে তাজুদ্দিনের এক কন্যা জানালেন তাঁর পিতা ২৫শে মার্চ বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তাঁর গুরু যুদ্ধে বাঙালীদের অন্তত নৈতিক নেতৃত্ব দেবার জন্য পালিয়ে যেতে রাজি হন নি, বা তাদের উজ্জীবিত করতে স্বাধীনতার একটা ফর্মাল ঘোষণা রেকর্ড করার অনুরোধও একথা বলে এড়িয়ে গেছেন যে সেটা রাষ্ট্রদ্রোহ বিবেচিত হবে এবং তাহলে তিনি বিপদে পড়ে যাবেন।
বহুদিন আগে একবার রব উঠল কবি শামসুর রাহমানও নাকি দাবি করেছিলেন যে তিনি সেই বিখ্যাত বক্তৃতার একেবারে শেষে "জয় বাংলা" বলার পরে পাকিস্তানকেও একই সম্মান দেখিয়েছিলেন, নিজ কানে শুনেছেন। সেবারও চারদিক থেকে ভীমরুলের কামড় খেয়ে দুর্বল অসুস্থ শামসুর রাহমান "বলি নি, বলি নি" বলে পালিয়ে বেঁচেছেন।
বিমান বাহিনী প্রধান এ, কে, খন্দকারই ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর ভারতীয় বাহিনীর কাছে পাকিস্তানী বাহিনীর আত্মসমর্পন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, বিজয়ীর সমমর্যাদায় নয়, একজন সাক্ষী হিসেবে। মুক্তি বাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল উসমানীকে ডাকাই হয় নি।
দু বছর আগে এক অনুষ্ঠানে খন্দকার সাহেবের সাথে অল্প কিছুক্ষণের আলাপ হয়। বলা বাহুল্য সেই যুদ্ধ সম্পর্কে নয়। খুবই ভদ্র অমায়িক লোক মনে হয়েছে। শেষ বয়সে এসে কিসের লোভে মিথ্যা বলবেন?
ইউটিউব থেকে ৭ই মার্চের ভাষণের সরকারী ভার্সনের ফাইল ডাউনলোড করে তা থেকে অডিও অংশ আলাদা করে অডাসিটি সফটওয়্যার দিয়ে ওয়েভফর্ম বিশ্লেষণ করলাম কিছুক্ষণ। 'জয় বাংলার' পরে হঠাৎ একটা অস্বাভাবিক কাটা দিয়ে শেষ।
২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৬
গ্রাম্যবালক বলেছেন: আওয়ামিলিগ পাকিস্থান পিরিয়ডের রাজনইতিক দল। হাসিনা এত কিছুর নাম পরিবর্তন করল কিন্তু এই দুর্গন্দ যুক্ত উর্দদু [আওয়ামিলিগ] নাম টা পরিবর্তন করল না কেন?
৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২৭
এস্কান্দার তারেক বলেছেন: ৭ মার্চের ভাষণ পুরাটা রেকর্ড করা হলো, অথচ কেন যে লাস্টে জিয়ে পাকিস্তান বলেছিলেন এই কথাটা রেকর্ড করা হলো না, ৭১ সালে ইত্তেফাকসহ এতগুলো পত্রিকা যার বেশিরভাগই পাকিস্তানপন্থি, একটা পত্রিকাও কেন যে জিয়ে পাকিস্তান কথাটা ছাপলো না! নিশ্চয়ই ভারতীয় দালালদের ষড়যন্ত্র।
২৬ মার্চ ১৯৭১ ৫:৩৪ মিনিটে আমেরিকার CBS টিভিতে কেন যে বলা হলো শেখ মুজিব কারাবন্দী, তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন, পাকিস্তানে যুদ্ধ শুরু। নিশ্চয়ই ভারতীয় দালালদের ষড়যন্ত্র!
৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:০০
রফিক মাহমুদ বলেছেন: ইস্কান্দর তারেক
১। আমার জানামতে ইত্তেফাক অফিস পাক বাহিনী পুড়িয়ে দেয়, ইত্তেফাকের প্রকৃত সম্পাদক সিরাজুদ্দিন হোসেনকে আল বদর হত্যা করে। কি করে এটি পাকি পত্রিকা হলো ?
২। ৭ই মার্চের আগে থেকেই ২৫শে মার্চ পর্যন্ত দেশ সম্পূর্ণ আওয়ামী নিয়ন্ত্রনে ছিল। সে সময়ই সম্ভবত বক্তৃতার এই পরিমার্জন হয়।
সি বি এস কে বক্তৃতার যে কপি সরবরাহ করা হয় তাতে এই সম্পাদনা থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
৩। আমেরিকানরা ব্যক্তি বিশেষ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঙালীদের সমর্থন দেয় নি। তাদের কোন দিকের সাক্ষ্যের কোন মূল্য নেই। পৃথিবীর অধিকাংশ গণমাধ্যমে ২৫শে মার্চের ভয়াবহ গণহত্যার বিবরণ বেরিয়েছিল, মুজিবের শান্তিপূর্ণ আত্মসমর্পনের কথাও; কিন্তু সেটাকে তখনো কেউ মুক্তিযুদ্ধ বলতে প্রস্তুত ছিল না।
৪। রাজাকার বাদ দিলে বাংলাদেশের খুব অল্প পরিবারই মুক্তিযুদ্ধে এই পরিবারের চাইতে কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২৭
এস্কান্দার তারেক বলেছেন: রফিক মাহমুদ@ দুঃখিত এতদিন পরে জবাব দিচ্ছি। আপনার কমেন্টটা দেখতে পাই নি এতদিন।
আমি ইত্তেফাককে পাকি পত্রিকা বলি নাই, স্বাধীনতা সংগ্রামে ইত্তেফাকের অবদানের কথা কেউই অস্বীকার করতে পারবে না।
আপনি তো জানেন ইত্তেফাক ছাড়াও সংগ্রাম থেকে শুরু করে বেশিরভাগ পত্রিকাই ছিলো পাকিস্তানপন্থী।
এছাড়াও আমাদের মুক্তির সংগ্রামে যে সমস্ত বিদেশি সাংবাদিক মার্চ মাসের অনেক আগে থেকেই নিজের জীবন বাজি রেখে বাংলাদেশে অবস্থান করছিলো তাদের নিউজ নিয়ে প্রশ্ন রাখতে হলে যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত নিয়ে তারপর মন্তব্য করা সমীচীন বলে মনে করি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৬
মোহাম্মদ মজিবর রহমান বলেছেন: সত্য সত্যই,তা একদিন অবশ্যই বেরিয়ে আসবে।