নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যভুবন

তবু সে তো স্বপ্ন নয়, সব-চেয়ে সত্য মোর, সেই মৃত্যুঞ্জয়

সাপিয়েন্স

আমি পথভোলা এক পথিক এসেছি ... ফাগুন প্রাতের উতলা গো চৈত্র রাতের উদাসী

সাপিয়েন্স › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওরিয়ানা ও মুজিব ঃ বুদ্ধি বনাম আবেগ

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৯



ওরিয়ানা ফাল্লাচি চার যুগ আগের বিখ্যাত ইতালীয় সাংবাদিক। বিচ্ছু ইন্টারভিউয়ার হিসেবে খ্যাত ছিলেন। তাঁর অন্যতম বি/কু-খ্যাত সাক্ষাৎকার শেখ মুজিবের সাথে হয়েছিল, যখন শেষোক্তজন পাকিস্তানী কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বাংলাদেশে এসে আনন্দের আতিশয্যে একটু বাড়াবাড়ি করে ফেলছিলেন অনেক ক্ষেত্রে।



ছাড়া পেয়ে উল্লসিত মুজিব প্রথমে পাকিস্তানেই ভুট্টোকে ওয়াদা করে আসেন পাকিস্তানকে অবশ্যই অটুট রাখবেন; একটা ফেডারেশনের ভেতরে অভ্যন্তরীন স্বাধিকার সম্বলিত বাংলাদেশে সে সময়ও তাঁর কোন আপত্তি ছিল না। কারণ তিনি বাইরের ঘটনাপ্রবাহ সামান্যই আঁচ করতে পেরেছিলেন। তিনি সমগ্র পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রী হবেন এই চিন্তা হয় তো তখনো তাঁকে উত্তেজিত করে তুলেছিল। কিন্তু এত কিছু অপরিবর্তনীয় ঘটনা ঘটে গেছে, এটা লন্ডন পৌঁছাবার পরে সবার কথায় একটু একটু করে তাঁর মাথায় ঢোকে। তখন বক্তৃতাঙ্গনের বাইরে ধীরে ধীরে স্বাধীন বাংলাদেশের ধারণার সাথে প্রথম আপসে আসার প্রস্তুতি নেন।



ভুট্টোকে অন্তত নিজের স্বাধীনতা দেখাতে তিনি ভারতীয় বাহিনী ও কর্মকর্তাদের দেশ ত্যাগের নির্দেশ দেন। আপাতত এটা বেশ সাহসী কাজ ছিল, কিন্তু আসলে ইন্দিরাই বাংলাদেশের সাথে বেশি জড়িত হতে চাইছিলেন না, সুবিশাল অনুপ্রবেশ থেকে তিনি প্রথমে নিষ্কৃতি চাইছিলেন। পাকিস্তান ভেঙে যাওয়ার পরে তাঁর আর কিছু অতিরিক্ত কিছু চাইবার ছিল না।



কিন্তু বাংলাদেশী রুশপন্থীরা মুজিবকে চারদিকে ঘিরে রাখে। এদের মধ্যে প্রধান ছিলেন ভাগ্নে শেখ মনি। বাংলাদেশের বৈদেশিক সম্পর্ক বলতে তখন বোঝাত বুল্গেরিয়া জাতীয় কয়েকটি ক্ষুদ্র সোভিয়েট ব্লকের দেশের সাথে সম্পর্ক। টিভি চ্যানেল থেকে সব মার্কিন ছবি বিদায় নেয়, তার বদলে সবাই দিনের পরে দিন আখ্যায়িত ভগ্নীদেশ বুল্গেরিয়ার নিরামিষ (উন্নত মানের এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালোই, কিন্তু আমাদের দর্শকদের মন ভরাবার মত নয়) ছবি দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে টিভি দেখাই বন্ধ করে দেয়।



মুজিব দেশে ফেরার অব্যবহিত পরে অনেক বিদেশী সাংবাদিক তাঁর সাক্ষাতকার নেন। অধিকাংশই গতানুগতিক। কিন্তু ওরিয়ানাকে দেখে মুজিব ভয় পেয়ে যান, কারণ অনেকেই তাঁকে সঠিকভাবেই সাবধান করে দিয়েছিল যে এ মহিলা মুখ থেকে পছন্দ অনুযায়ী কথা বার করে নেয়, অথবা বিরক্ত করে এমন সব কথা বলায়, যাতে সাক্ষাৎকারদাতার পাব্লিক ইমেজ নষ্ট হয়ে যায়।



ক্যাথলিক ওরিয়ানা মুসলিম বিরোধী ছিলেন, তাঁর অনেক লেখাতেই তার প্রমাণ আছে। শেখ মুজিব অসাম্প্রদায়িক হলেও ওরিয়ানা মনে মনে তাঁকে সে আসনে বসাতে পারেন নি।



যদিও নিচের সাক্ষাৎকারের গল্পটি সম্ভবত জামাতী কারো দ্বারা পুনর্গঠিত, এতে যেমন সত্য কিছু আছে ( মুজিবের উগ্রতা, ইংরেজী জ্ঞান ও সাধারণ শিক্ষার অভাব, আত্মম্ভরিতা ইত্যাদি), তেমনি এ সবের বেশ কিছু অতিরঞ্জনও আছে। এবং তাঁর মধ্যে যে মাঝে মাঝে একটা শিশুর মত মানুষ বেরিয়ে আসত, তার কোন উল্লেখ নেই।



মন্তব্য ১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আগে ভিডিওটা দেখে নিই....

পরে না হয় হবে বলাবলি

ডাউনলোডাচ্ছি!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.