![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি পথভোলা এক পথিক এসেছি ... ফাগুন প্রাতের উতলা গো চৈত্র রাতের উদাসী
আমার নয়, একজনের ফেসবুক লেখা। যেহেতু তিনি তাঁর একাউন্ট ডি-একটিভেট করেছেন, কিন্তু আমার কাছে এর কপি ছিল,এবং মনে হ্য় বর্তমান সময়ে গল্পটি খুব মানানসই, তাই বিনানুমতিতেই তুলে দিলামঃ
______________________________________________
বাদশাহ বলিলেন ঃ পরের মামলা কি?
উজির বলিলেন ঃ সেই পুরাতন ব্যাপার। এক ছেলেকে দুই মহিলা নিজের বলিয়া দাবি করিতেছেন।
বাদশাহের ঘুম পাইতেছিল, তাই ক্লাসিকাল সমাধান-পদ্ধতিটি স্মৃতিতে খুঁজিয়া পাইলেন না।
কিন্তু উহা মজার ছিল সেইটুকু ঠিকই মনে পড়িল। সবার অলক্ষ্যে এই জন্য নিজের কান টানিলেন। তবু স্মৃতি জাগ্রত হইল না। উজিরকে বলিলেনঃ
- হুম, তাহা হইলে প্রচলিত পদ্ধতিতেই সমাধান করা যাক।
উজির ঠিকই বাদশাহের অবস্থা বুঝিলেন; তিনি দুই মহিলাকে আবার ভালো মত জিজ্ঞাসা করিলেন।
- আরে, বাচ্চা তো দুই জনের হইতে পারে না। একজন মিথ্যা বলিতেছ। সত্য স্বীকার করিয়া চলিয়া গেলে কোন শাস্তি দিব না। আর পরীক্ষায় যে মিথ্যাবাদী প্রমাণিত হইবে তাহার জন্য অত্যন্ত কঠিন সাজা আছে।
কিন্তু তথাপি কেহই স্বীকার করিল না। দুজনেরই চক্ষু দিয়া অজস্র অশ্রুবিন্দু পতিত হইল। দুজনই শিশুটিকে টানাটানি করিতে লাগিল। অবশেষে উভয়ের পারস্পরিক গালাগালির ভিতর দিয়া বাহির হইয়া আসিল - এই ছেলের নামে এক লক্ষ কোটি টাকা ব্যংকে আছে।
এতক্ষণে হঠাৎ বাদশাহের প্রাচীন সমাধানটি মনে পড়িয়া গেল। তিনি খুব উৎফুল্ল বোধ করিলেন। প্রজাদের নিকট নিজের বুদ্ধি দেখাইবার সুযোগ পাওয়া গেল।
- কোতোয়াল, দুজনই যখন নিজেকে মা দাবী করিতেছেন, এবং আমাদের কাছে অন্য কোন প্রমাণ নাই, তখন একমাত্র করণীয় উহাকে দুজনের মধ্যেই বন্টন করিয়া দেওয়া। উহাকে মাটিতে শোয়াও।
যাঁহারা পুরাতন গল্পটি জানিতেন, তাঁহারা একটু মুচকি হাসিলেন। অন্যরা নার্ভাস হইয়া তাকাইয়া রহিলেন।
কোতোয়াল তাহার তরবারী বাহির করিয়া কয়েক সেকেন্ড ভয়াবহভাবে ডান-বাম ঘুরাইলেন। ইঊটিউইবে দেখা গলা কাটা সৌদি জল্লাদের মত চোখমুখ নিষ্ঠুর করিলেন।
তথাপি দুই মহিলা অবিচল রহিলেন।
এই বার কোতোয়াল তরবারী নিচে নামাইয়া আনিলেন, উহা ছেলেটির কোমরের জামা ছিন্ন করিল। যাঁহারা গল্পটি জানিতেন, তাঁহারা এইবার অধীর আগ্রহে দুই মহিলার দিকে তাকাইলেন, কে আগাইয়া আসিয়া ঝাঁপাইয়া পড়িয়া বলিবে -
- না, বাবা, আমার তোকে দরকার নাই। তুই বাঁচিয়া থাকিলেই আমি খুশী।
কিন্তু কোন মহিলার মধ্যে কোন ভাবান্তর দেখা গেল না। বাদশাহ হাঁ করিয়া ভাবিতে থাকিলেন, ইহার অর্থ কি? গল্পের সাথে মিলিতেছে না কেন।
উজির সাহেব কোতোয়ালকে হাতের ইশারায় থামাইলেন। তারপর বাদশাহকে বলিলেন-
- হুজুর, এই দুই জন কেহই ইহার মাতা নহে, তাহারা এক লক্ষ কোটী টাকা চায়। ভাবিয়াছিল লাশের সাথে আপনি টাকাও দুইভাগ করিয়া দিবেন। এখন ইহার প্রকৃত মাতাকে খুঁজিয়া বাহির করিতে হইবে। আর এই দুই মহিলাকে ছেঁড়া নেকড়া পরাইয়া মাথার চুল কাটিয়া ঘোল ঢালিয়া রাজ্য হইতে বিতাড়িত করিতে হইবে।
বাদশাহ মনে দুঃখ পাইলেন, প্রজারা দেখিল সকল বুদ্ধি উজিরের। তবু ছেলেটির জন্য তাঁহার সমবেদনা হইল। জিজ্ঞাসা করিলেন,
- বালক , তোমার নাম কি?
ছেলেটি উঠিয়া ভয়ে কাঁপিতে কাঁপিতে কহিল।
- বাংলাদেশ।
২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১৫
ঢাকাবাসী বলেছেন: দারুণ গল্প তো! ভাল লাগল।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:০২
সৌদি প্রবাসী আশরাফ বলেছেন: গল্পটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ