নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের স্বপ্নগুলো স্বপ্নেই ভেসে বেড়ায়...বাস্তবে ধরা দেয় না!, তবুও স্বপ্ন দেখি...ঘুম থেকে জেগে উঠি, আশায় বুক বাঁধি ...ভুল-ত্রুটি শুধরে নতুনে পথ চলার।

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত)

আমি ভালবাসি কবিতা, গান, আবৃত্তি------- আর ঘুরে বেড়ানো।জীবনের স্বপ্নগুলো স্বপ্নেই ভেসে বেড়ায়...বাস্তবে ধরা দেয় না!, তবুও স্বপ্ন দেখি...ঘুম থেকে জেগে উঠি আশায় বুক বাঁধি ...ভুল-ত্রুটি শুধরে নতুনে পথ চলার।

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) › বিস্তারিত পোস্টঃ

দৃষ্টি আকর্ষণ করছি: সম্মানিত ব্লগারদের এবং বিভিন্ন পেশাজীবি শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিবর্গের সদয় পরামর্শ চাইছি।

৩১ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৫৮

এ বিষয়ে গতকাল খোলা চিঠির পোস্টের লিংক


এখানে পোস্টটি পুনরায় শেয়ার করলাম, ব্লগের সকল সম্মানিত এবং বিভিন্ন পেশাজীবি শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিবর্গের উদ্দেশ্যে।


প্রসঙ্গ: আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, (মতিঝিল শাখা) ক্লাস শেষে ছুটির সময় ছাত্রদের স্কুল ভবনের সিঁড়ি ব্যবহারের সময় অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা প্রসঙ্গে।


আমি একজন অভিভাবক, আমার সন্তান আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল শাখায় (৪র্থ শ্রেণি, দিবা শাখা) বর্তমানে অধ্যয়নরত। ৩০-০৮-২০২২ তারিখ, আনুমানিক বেলা ৪:০৮ ঘটিকায় ক্লাস ছুটির পরে ক্লাস থেকে পশ্চিম দিকের সিঁড়িটি (সিঁড়িটি স্বাভাবিক উচ্চতার চেয়েও বেশি উঁচু এবং অপ্রশস্ত) ব্যবহার করে ছাত্ররা নিচে নামার সময় আমার সন্তানসহ অনেকেই সিঁড়িটির নিচে পড়ে যায় । আমার সন্তানের পেট, বুক ও পিঠে এলোপাথারীভাবে অন্য ছাত্ররা পা দিয়ে মাড়িয়ে নিচে নামতে থাকে ফলে আমার সন্তানের প্রায় শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হতে হতে সে কোনমতে উপুর হয়ে বেঁচে যায় এবং সে চিৎকার করতে থাকে কেউ আমাকে বাঁচাও; আমাকে টেনে ওঠাও; - ইতোমধ্যে স্কুলের সিকিউরিটি গার্ড দৌড়ে এসে আমার সন্তানকে টেনে তুলে।

আমি ঐদিন (৩০-০৮-২০২২) বেলা ৪:১২ ঘটিকায় স্কুল প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখি আমার সন্তান স্কুলে পতাকা স্ট্যান্ড বেদিতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদছে এবং আমাকে দেখার সাথে সাথেই হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে বলে বাবা আমি আজকে অল্পের জন্য বেঁচে গেছি; ওরা সবাই আমাকে পা দিয়ে মাড়িয়ে মাড়িয়ে নিচে নামছিল আমি ওঠতেই পারছিলাম না (তার শার্ট ও প্যান্ট এ ময়লা লেগেছিল যার ছবি আমি মোবাইলে তুলে রাখি)।

আমি আমার সন্তানের কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত শুনে আমার সন্তানকে নিয়ে টিচারস্ রুমে ক্লাস টিচার তৌহিদা মিস-কে ঘটনার বিস্তারিত বলার পরও উনি নিশ্চুপ! পরে আমি উনার কাছে জানতে চাইলাম আমি কার কাছে অভিযোগ দিব? উনি কোনরকম আমাকে বললেন আপনি হেড টিচারের নিকট যান; পরে আমি সহকারী হেড টিচারের নিকট গিয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞেস করি এমন সময় একজন সিকিউরিটি গার্ড এসে বলে আমি আপনার ছেলেকে টেনে তুলেছি। এর মধ্যেই পাশ থেকে একজন টিচার (যার নাম শাহাদাত স্যার নামে লম্বামত) আমার সাথে চরম উত্তেজিত হয়ে ও ধমকের সূরে কথা বলে। আমাকে বলে আমরা বিষয়টা দেখবো আপনি বাড়ী যান।

এরপরও যখন আমি এই উঁচু সিড়ির বিষয়ে অভিযোগ করি যে, আপনাদেরকে আগেও জানিয়েছিলাম যে সিড়িটি বাচ্চাদের নামার জন্য অনুপযোগী; আপনারা এটি সংস্কার করুন (সিঁড়ির ধাপগুলো প্রায় খাড়াখাড়ি হওয়ায় বাচ্ছারা নামতে গেলে পড়ে যায়) শাহাদাত স্যারকের বলেছিলাম আপনারা এটা সংস্কার করেন নয়তো যেকোন সময় একটা দূর্ঘটনা ঘটে যাবে। উনি আমাকে বেয়াদব বলে ধমকাতে থাকে এবং স্কুল থেকে বের হয়ে যেতে বলে।

এই সিঁড়িটায় পূর্বে একটি দূর্ঘটনার কথাও ক্লাস টিচার তৌহিদা মিস্ এর ক্লাস ৪ এর whatsapp গ্রুপ-এ একজন অভিভাবক অভিযোগ করেছেন যে, তার ছেলেকে সমাজবিজ্ঞানের মহিলা শিক্ষক এই একই সিঁড়িতে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন (ছেলেটি চোখে কম দেখতে পায় তাই আস্তে নামছিল বলে) যার whatsapp এর screen shot আমার কাছে সংরক্ষিত আছে। স্ক্রীন শর্টের লেখাটা হলো:

আমার ছেলে তালহা রহমান জন্মগতভাবে চোখে কম দেখে বিধায় ছুটি শেষ বাইরে গিয়ে অন্যদের আগে যেতে দেয়। অন্য ছাত্ররা নামার সময় পেছনে থাকা বাচ্চারা ওকে ধাক্কা দিলেও চোখে কম দেখায় সে আগাতে পারে না। এটা দেখে সমাজের টিচার আমার ছেলেকে কলারে ধরে থাপ্পড় মারে, ব্যাগ থেকে ডায়েরি নিয়ে নেয়। অন্য কারো অভিযোগ ছাড়াই চোখে কম দেখা একটি ছাত্রকে বিনা কারণে এভাবে মারার জন্য আমি ক্লাস টিচারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমি বিষয়টি অভিভাবক ফোরামে জানাবো।- এ বিষয়ে ক্লাস টিচার কোন পদক্ষেপ নেন নি।


সে বিষয়েও ক্লাস টিচার বা প্রশাসন কোন ভূমিকা পালন করেননি যার ফলে আজকে এরকম একটা দূর্ঘটনা ঘটেছে (হয়তো আজকে পদদলিত হয়ে মৃত্যর হাত থেকে অনেক ছাত্রকে আল্লাহপাক রক্ষা করেছেন।)রবর্তীতে আর একজন শিক্ষক আমার দিকে তেড়ে আসে এবং বলে ভর্তির আগে স্কুলের সিঁড়ি দেখে ভর্তি করালাম না কেন? এরকম আচরণে আমি নির্বাক (স্কুলের ভর্তির সার্কুলারে তো এ বিষয়ে কোন নির্দেশনা নেই)। আমি যখন কয়েকজন অভিভাবক (বেশিরভাগ মহিলা) এর সাথে বললাম এরা কি স্কুলের শিক্ষক না অন্যকিছু এমন সময় জনাব শাহাদাত স্যার আমার দিকে ছুটে আসলে সহকারী প্রধান শিক্ষক তাকে কোমড়ে ধরে আটকায় জনাব শাহাদাত অনেক অকথ্য ভাষা আমার সাথে দূর্ব্যবহার করতে থাকে এবং আমাকে পানিশমেন্ট দিবে বলে হুমকি দেন। এমন সময় আশেপাশের কয়েকজন শিক্ষক আমাকে গেট দিয়ে বের হয়ে যেতে বলে। (তাদের আচরণ অত্যন্ত ভয়ংকর)। ক্লাসে টিচারদের ব্যবহার কেমন তা ক্লাস টিচারের whatsapp Group class-4 এর স্ক্রিন শট আপনাদের জন্য শেয়ার করলাম। স্ক্রীন শর্টের লেখাটা হলো:

আরেকজন অভিভাবক লিখেছেন-:
“সমাজ মেডামের আচরণ শিক্ষক সুলভ নয়। ওনার মারের ভয়ে আমার ছেলে স্কুলে যেতে চায় না। ওনার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। এই মেডামের আচরণ পরিবর্তনে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি”




”স্কুল কর্তৃপক্ষ কি ক্লাস শেষে ছুটির সময় অব্যবস্থাপনায় জন্য দূর্ঘটনার দায়-ভার আমাদের দিবেন?? না-কি আমরা আমাদের সন্তানদেরকে এরকম ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় স্কুলে পাঠাবো।”

পরবর্তীতে নিরুপায় হয়ে আমি গেটের বাহিরে কয়েকজন অভিভাবকদের সাথে কথা বললে তারা আমাকে বলে এখানকার টিচারদের ব্যবহার এমনি হয় আপনি এখানে ন্যায় বিচার পাবেন না বরং আপনার সন্তানের ক্ষতি করবে। আপনি প্রিন্সিপাল বরাবর চিঠি দেন। আমি একজন অভিভাবক (সন্তানের বাবা) হিসেবে আপনার/আপনাদের নিকট এ বিষয়ে সুগঠিত পরামর্শ ও সদয় মতামত কামনা করছি।

---যারা এতক্ষন সময় নিয়ে লেখাটা পড়লেন তাঁদেরকে অগ্রীম ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।








মন্তব্য ৯৯ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৯৯) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৪

ইমরোজ৭৫ বলেছেন: আমি ক্লাশ ওয়ান থেকে ক্লাস ফোর পযর্ন্ত মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ি। আমি যখন পড়ি তখন মতিঝিল সরকারি বালক প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি লিংক ছিলো।

আমি আগে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ছিলাম। হয়তো বা এখনো। এসব বড় বড় স্কুল আমাদের মত শারীরিক ত্রুটি সম্পন্ন ছাত্র ছাত্রীদের জন্য না। আমি যদি ঐ স্কুল থেকে চলে না আসতাম তাহলে এসএসসি পাশ করতাম কিনা সন্দেহ। আজ আমি স্নাতক পাশ। এবার মাষ্টার্স পরীক্ষা দিয়েছি। রেজাল্ট এর জন্য অপেক্ষা।

৩১ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৫

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার নিজের বিষয়ে বিস্তারিত বক্তব্যের জন্য। আপনি ছাত্র হিসেবে অসহায়ত্বের কথা বলেছেন; আর আমি আমার সন্তানের বাবা হয়ে বলছি।

২| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৩

আরইউ বলেছেন:




দুঃখজনক ঘটনা। আপনার বাচ্চার দিকে একটু নজর রাখবেন কারণ এটা ওর জন্য সম্ভবত একটা ভয়ঙকর ট্রমাটিক এক্সপেরিয়েন্স। আশাকরি ও সামলে নেবে।

এবার আসি পোস্ট বিষয়েঃ আপনি ব্লগারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আসলে কী চাচ্ছেন? ব্লগাররা আপনাকে ঠিক কীভাবে সাহায্য করবে? আপনি বলেছেন মতামত ও পরামর্শ চান। ঠিক কী বিষয়ে মতামত বা পরামর্শ চাচ্ছেন?

যাহোক, আমার জেনেরিক পরামর্শ হচ্ছে স্কুলের অন্যান্য বাচ্চাদের অভিভাবকদের সাথে বসে স্কুল কতৃপক্ষকে বিষয়টা জানান; এটা যে একটা মারত্মক স্বাস্থ্য ঝুকি তা অভিভাবক ও শিক্ষকরা বুঝতে পারলে আশাকরি ঝুকি নির্মূলের ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

বাচ্চার যত্ন নিন। ভালো থাকুন, কাজী!

৩১ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৮

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সু-পরামর্শের জন্য।

--এখানে যদি সাংবাদিক /আইনশৃঙ্খলা বাহিনী/ শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সাথে সর্ম্পকিত কোন ব্যক্তি/অথবা যিনি স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত, কেউ থাকেন তাহলে তাঁদের মাধ্যমে এই স্কুলের সিড়িটা সংস্কার করলে ও প্রয়োজনে আরো সিড়ি বাড়ানো যায় কি না এ বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ সময়োপযোগি পদক্ষেপ গ্রহন করলে আশু সমাধান পাওয়া সম্ভব।

আমি তো তাৎক্ষনিকভাবে ক্লাস টিচার ও সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য উপস্থিত শিক্ষকদের সাথে কথা বলেছি তার বর্ণনাও দিয়েছি- তাঁরা আমাকে স্কুল থেকে চলে যেতে বলেছেন।

--আমি পড়ে বিকেলে প্রাথমিক শাখা অভিভাবক প্রতিনিধি জনাব ঢালী সাহেবের সাথে বিস্তারিত ফোনে জানালে তিনি বলেন যে, তিনি আগামীকাল অর্থাৎ (৩১-০৮-২০২২) তাারিখে বিদ্যালয়ে স্যারদের সাথে আলাপ করে আমাকে জানাবেন। অথচ এখনো পর্য়ন্ত তিনি কোন ফোন করেননি। এই প্রতিনিধিরা শুধু নির্বাচনেই সরব থাকে। এরপর আর কোন সহযোগিতা কেউ পায় কি না আামি জানি না।

৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:০৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: ্লিডিং পত্রিকাগুলোর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। শিক্ষকদের এ ধরনের আচরন কোন অবস্থাতেই গ্রহনযোগ্য নয়। পত্রিকায় খবরটা এলে একটা বিহিত হতে পারে।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৩৮

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সু-পরামর্শের জন্য। আমি ব্যক্তিগত ভাবে চেষ্টা করছি। আপনাদের মধ্যে কেউ পত্রিকা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ থাকলে একটু সহায়তা করুন। কারণ; অনেক অভিভাবক বলেছে যে এগুলো নিয়ে কথা বললে আপনার সন্তানকে ক্লাসে হেনস্থাসহ মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হবে ; টিচারদের খারাপ নজরে থাকতে হবে । তাই অনেকেই এ বিষয়ে টিচারদের সাথে কথা বলতে চায় না, আর স্কুল থেকে বের করে দেয়ার হুমকি তো আছেই।

৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:০২

অপ্‌সরা বলেছেন: ১ম পদক্ষেপ সকল অভিভাবকের সাক্ষর নিয়ে প্রিন্সিপ্যাল বরাবর চিঠি দেওয়া
২য় পদক্ষেপ পুলিশকে জানানো বা আইনের সাহায্য নেওয়া।
টিচার এবং প্যারেন্টস এর কো অপারেশন ছাড়া একটা বাচ্চার তথা স্কুলের উন্নতি হতে পারে না।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৫৭

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ধন্যবাদ আপু , আপনার সু-পরামর্শের জন্য। আমি ব্যক্তিগত ভাবে চেষ্টা করছি।

আমি গতকাল জিপিও মাধ্যমে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল ও গভর্ণিং বডির সভাপতি বরাবর চিঠি দিয়েছি:

প্রাথমিক শাখার একজন অভিভাবক প্রতিনিধি জনাব ঢালী সাহেবের সাথে ঘটনার দিন ফোন করে বিস্তারিত জানাই ; তিনি পরের দিন স্যারদের সাথে কথা বলে আমাকে ফোন করবে বলেও অদ্যবদি কোন যোগযোগ করেন নি: ইনারা শুধু নির্বাচনের সময়ই সরব থাকেন।

বাচ্চাকে আপাতত স্কুলে দিচ্ছি না; “ ও শুধু বলে আমি এত জোরে চিৎকার করে বাঁচাও বাঁচাও বলেছি কেউ আসেনি” পরে একজন গার্ড গেট থেকে এসে টেনে তুলে।

এ বিষয়ে অনেক অভিভাবক বলেছে যে এগুলো নিয়ে কথা বললে আপনার সন্তানকে ক্লাসে হেনস্থাসহ মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হবে ; টিচারদের খারাপ নজরে থাকতে হবে । তাই অনেকেই এ বিষয়ে টিচারদের সাথে কথা বলতে চায় না, আর স্কুল থেকে বের করে দেয়ার হুমকি তো আছেই।

৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:২৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনি যাদের বিরুদ্ধে লড়ছেন তারা কিন্তু সহজে পরাজয় মেনে নেবেনা।
তাই সাবধানে এগুবেন, বাচ্চাকে সাবধানে রাখবেন। আল্লাহ আপনার বাচ্চা ও
আপনাকে হেফাজত করুন। আমিন

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৪১

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সু-পরামর্শের জন্য। আমি ব্যক্তিগত ভাবে চেষ্টা করছি। আপনাদের মধ্যে কেউ পত্রিকা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ থাকলে একটু সহায়তা করুন।

বাচ্চাকে আপাতত স্কুলে দিচ্ছি না; “ ও শুধু বলে আমি এত জোরে চিৎকার করে বাঁচাও বাঁচাও বলেছি কেউ আসেনি” পরে একজন গার্ড গেট থেকে এসে টেনে তুলে।

এ বিষয়ে অনেক অভিভাবক বলেছে যে এগুলো নিয়ে কথা বললে আপনার সন্তানকে ক্লাসে হেনস্থাসহ মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হবে ; টিচারদের খারাপ নজরে থাকতে হবে । তাই অনেকেই এ বিষয়ে টিচারদের সাথে কথা বলতে চায় না, আর স্কুল থেকে বের করে দেয়ার হুমকি তো আছেই।

৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৩৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমরা প্রত্যেকেই ছাত্রছাত্রীদের বাবা-মা (কেউ-বা নিজেরাও শিক্ষক)। অভিভাবকদের সাথে এমন আচরণ কখনো শিক্ষকসুলভ আচরণ হতে পারে না। অবশ্য, আমরা শুধু আপনার কথা পড়েই লিখছি, শিক্ষকদের সাথে আপনার ব্যবহার কেমন ছিল তা কিন্তু জানি না, প্লিজ এ কথায় কিছু মনে করবেন না। আপনার পদক্ষেপে কোনো ভুল ছিল না, এটা ধরে নিয়েই আমার মতামত দিই :

১। আপনি প্রিন্সিপাল সাহেবকে দরখাস্তের মাধ্যমে বিষয়টি জানান। বক্তব্যে সুস্পষ্ট সুপারিশ থাকতে হবে, যেমন, আপনি চাইছেন সিঁড়ির সংস্কার, সেই সাথে যেসব শিক্ষক দুর্ব্যবহার করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে দোষী সাব্যস্ত হলে শাস্তির আবেদন করুন, এবং অতি অবশ্যই আপনার ছেলে কীভাবে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পড়েছিল, সিকিউরিটি গার্ডের সাক্ষ্য (নাম উল্লেখ করুন) সহ বর্ণনা দিন। দরখাস্তে শুধু আপনার নাম ও স্বাক্ষর দিন, গণ দরখাস্ত হবে না এটা।

২। কোনো অ্যাকশন না নিলে একই দরখাস্ত ম্যানেজিং কমিটি বরাবর লিখুন। ম্যানেজিং কমিটির চেয়ারম্যান কে, জানেন তো?

৩। এর মধ্যেই কোনো অভিভাবক দিবস এসে গেলে সেখানে জোরালোভাবে এ ইস্যুটি তুলে ধরুন।

আপনার ছেলের ঘটনাটা মনে খুব কষ্ট দিল। তবে আলহামদুলিল্লাহ বলছি, আরো ভয়ানক কিছু ঘটে নি।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৪৫

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সু-পরামর্শের জন্য। আমি ব্যক্তিগত ভাবে চেষ্টা করছি।

আমি গতকাল জিপিও মাধ্যমে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল ও গভর্ণিং বডির সভাপতি বরাবর চিঠি দিয়েছি:

প্রাথমিক শাখার একজন অভিভাবক প্রতিনিধি জনাব ঢালী সাহেবের সাথে ঘটনার দিন ফোন করে বিস্তারিত জানাই ; তিনি পরের দিন স্যারদের সাথে কথা বলে আমাকে ফোন করবে বলেও অদ্যবদি কোন যোগযোগ করেন নি: ইনারা শুধু নির্বাচনের সময়ই সরব থাকেন।

বাচ্চাকে আপাতত স্কুলে দিচ্ছি না; “ ও শুধু বলে আমি এত জোরে চিৎকার করে বাঁচাও বাঁচাও বলেছি কেউ আসেনি” পরে একজন গার্ড গেট থেকে এসে টেনে তুলে।

এ বিষয়ে অনেক অভিভাবক বলেছে যে এগুলো নিয়ে কথা বললে আপনার সন্তানকে ক্লাসে হেনস্থাসহ মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হবে ; টিচারদের খারাপ নজরে থাকতে হবে । তাই অনেকেই এ বিষয়ে টিচারদের সাথে কথা বলতে চায় না, আর স্কুল থেকে বের করে দেয়ার হুমকি তো আছেই।

৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৪৪

জ্যাকেল বলেছেন: সোনাবীজ সুন্দর করে বলে দিয়েছেন আমি যা পরামর্শ দিতে চাহিয়াছিলাম। ধন্যবাদ।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৪৬

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: আপনাকেও এ বিষয়ে ভাববার জন্য হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই।

৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:০০

রানার ব্লগ বলেছেন: শিক্ষক, আমরা ভয় ও পেতাম শ্রদ্ধা ও করতাম ভালো ও বাসতাম কিন্তু এখন না পায় ভয় না করে শ্রধ্যা আর ভালবাসা তো দূর অস্ত।

হ্যা আপনি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করুন প্রিন্সিপাল বড়াবড় এবিং সেই শিক্ষকের দোষ তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের আওতায় আনার জন্য প্রিন্সিপাল কে অনুরোধ করুন।

বিদ্যালয়ের সিড়ির পুনঃসংস্কারের জন্য আবেদন করুন এবং স্কুলের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সাথে আলোচনা করুন আপনার যুক্তি পক্ষে।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৪৯

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সু-পরামর্শের জন্য। আমি ব্যক্তিগত ভাবে চেষ্টা করছি।

আমি গতকাল জিপিও মাধ্যমে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল ও গভর্ণিং বডির সভাপতি বরাবর চিঠি দিয়েছি:

প্রাথমিক শাখার একজন অভিভাবক প্রতিনিধি জনাব ঢালী সাহেবের সাথে ঘটনার দিন ফোন করে বিস্তারিত জানাই ; তিনি পরের দিন স্যারদের সাথে কথা বলে আমাকে ফোন করবে বলেও অদ্যবদি কোন যোগযোগ করেন নি: ইনারা শুধু নির্বাচনের সময়ই সরব থাকেন।

বাচ্চাকে আপাতত স্কুলে দিচ্ছি না; “ ও শুধু বলে আমি এত জোরে চিৎকার করে বাঁচাও বাঁচাও বলেছি কেউ আসেনি” পরে একজন গার্ড গেট থেকে এসে টেনে তুলে।

গত মে মাসের একটি ছাত্রের সাথে স্বযং শিক্ষক ই এধরণের আচরণ করেছেন যা স্ক্রীন শর্ট এ দেয়া আছে। আর আমার দাবি ছিল সেদিন টিচারদের কাছে আপনাদের এত বলা স্বত্ত্বেও কেন সিড়িটা সংস্কার করেন না??

একথা শুনে “একজন টিচার বলে তুই স্কুলে ভর্তির আগে সিড়ি দেখে গেলি না কেন? “

৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:২১

কামাল৮০ বলেছেন: পরবর্তীতে আল্লাহ রক্ষা করবেন।আর মানুষের সুরক্ষা চাইলে অন্য ব্যবস্থা ।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৫০

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

১০| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৩২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ব্লগটা এখন বুড়ো হয়ে গেছে, খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলতে থাকা এই ব্লগের এখন আর আগের মত সে ক্ষমতা নেই যে বাইরের কোন সমস্যার সমাধান করতে পারবে। তাই আমি বলবো আপনার লেখাগুলোা কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশ করা যায় কি না এবং সেই সাথে ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট, শেয়ার করলে হয়তো কর্তৃপক্ষের টনক নড়তে পারে।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৫১

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সু-পরামর্শের জন্য। আমি ব্যক্তিগত ভাবে চেষ্টা করছি।

আমি গতকাল জিপিও মাধ্যমে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল ও গভর্ণিং বডির সভাপতি বরাবর চিঠি দিয়েছি:

প্রাথমিক শাখার একজন অভিভাবক প্রতিনিধি জনাব ঢালী সাহেবের সাথে ঘটনার দিন ফোন করে বিস্তারিত জানাই ; তিনি পরের দিন স্যারদের সাথে কথা বলে আমাকে ফোন করবে বলেও অদ্যবদি কোন যোগযোগ করেন নি: ইনারা শুধু নির্বাচনের সময়ই সরব থাকেন।

--- আসলে অনেক অভিভাবক কে দেখলাম অসহায়ের মতো বলতে চলে যান এখানে এদের সাথে কথা বললে কোন লাভ হবে না।

১১| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৫১

জিকোব্লগ বলেছেন:



১) পুলিশকে দিয়ে শাহাদত জানোয়ার স্যারকে পিটিয়ে নিতে পারেন কি না দেখেন।
উহা ডান্ডার বাড়ি খেলে, অন্য জানোয়াররা ইহা দেখেই ভালো হয়ে যাবে।

২) উকিল দিয়ে জানোয়ারদের বিরুদ্ধে মামলা ও উকিল নোটিশ দেন। এইজন্য
সামুর ব্লগার আইনজীবী মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ (এম টি উল্যাহ) ০১৭৩৩৫৯৪২৭০,
পরামর্শ নিয়েও দেখতে পারেন।

৩) এছাড়াও প্রথম আলোকেও স্কুলের অনিয়ম নিয়ে রিপোর্ট করার অনুরোধ করে
দেখতে পারেন।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৫৩

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সু-পরামর্শের জন্য। আমি ব্যক্তিগত ভাবে চেষ্টা করছি।

আমি গতকাল জিপিও মাধ্যমে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল ও গভর্ণিং বডির সভাপতি বরাবর চিঠি দিয়েছি:

---আমার কোন স্যার কে পিটানোর কোন ইচ্ছা নাই; তবে উনারা যেন স্কুলের সিড়িটা সংস্কার করে ভবিষ্যতে অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনার হাত থেকে নিরীহ শিশুরা রেহাই পায় = এটাই চেয়েছিলাম।

১২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:০৭

আখেনাটেন বলেছেন: খেলোয়াড় শাহাদাতেরা কাজের মেয়ে পিটাই....শিক্ষক শাহাদাতেরা অসভ্য আচরণ করতে পারে....এগুলোই এখন সমাজে ছেয়ে গেছে......জবাবদিহিতার অভাব ও রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বেচ্ছাচারীতার বীজ এখন সব জায়গায় প্রোথিত হচ্ছে.....।

যাহোক ভালো হয়েছে পোস্টটি স্টিকি করায়.......এখন এটি দেখে কোনো রাঘব বোয়ালের বিবেক জাগ্রত হয়ে স্ব-প্রণোদিত হয়ে যদি এর একটা বিহিত করে। তবেই এই প্রতিবাদের সফলতা....যদিও আশা না রাখায় ভালো.....

আপনার সন্তানের জন্য সমবেদনা রইল...

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৫৬

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সু-পরামর্শ ও সমবেদনার জন্য।

আমি ব্যক্তিগত ভাবে চেষ্টা করছি।

আমি গতকাল জিপিও মাধ্যমে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল ও গভর্ণিং বডির সভাপতি বরাবর চিঠি দিয়েছি:

প্রাথমিক শাখার একজন অভিভাবক প্রতিনিধি জনাব ঢালী সাহেবের সাথে ঘটনার দিন ফোন করে বিস্তারিত জানাই ; তিনি পরের দিন স্যারদের সাথে কথা বলে আমাকে ফোন করবে বলেও অদ্যবদি কোন যোগযোগ করেন নি: ইনারা শুধু নির্বাচনের সময়ই সরব থাকেন।

উনি যেভাবে আমার দিকে তেড়ে আসছেন - আমি যদি উনাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালি গালাজ করতাম তাহলে কি শোভনীয় হতো??

উনার আমার ছেলেকে এরকম ট্রমাটিক ঘটনার পরও কোন সান্তনা দেয় নি; ছেলেটি একা একা দাড়িয়ে কাঁদছিল।

১৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৪৮

পোড়া বেগুন বলেছেন:
সকল সমস্যার সুষ্ঠ সমাধান হোক।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৫৮

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে , তাই যেন দ্রুত হয়, এটাই একমাত্র চাওয়া।

১৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৫৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এখনকার বেশিরভাগ শিক্ষক/শিক্ষিকা মানসিক সমস্যায় ভুগে। এদের ট্রেনিং গ্রহনেও ত্রুটি আছে। নির্বাচন ছাড়া স্কুল ম্যানেজিং কমিটির দেখা পাওয়া যায়না। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত এরা ভাগ বাটোয়ারায় ব্যস্ত থাকে। আপনার সন্তানের প্রতি নজর রাখুন। কোনো শিক্ষক কটু কথা বা মারধর করলে আপনাকে সাথেসাথে বলতে বলবেন।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:০০

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সু-পরামর্শের জন্য। আমি ব্যক্তিগত ভাবে চেষ্টা করছি।

আমি গতকাল জিপিও মাধ্যমে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল ও গভর্ণিং বডির সভাপতি বরাবর চিঠি দিয়েছি:

প্রাথমিক শাখার একজন অভিভাবক প্রতিনিধি জনাব ঢালী সাহেবের সাথে ঘটনার দিন ফোন করে বিস্তারিত জানাই ; তিনি পরের দিন স্যারদের সাথে কথা বলে আমাকে ফোন করবে বলেও অদ্যবদি কোন যোগযোগ করেন নি: ইনারা শুধু নির্বাচনের সময়ই সরব থাকেন।

আমি পোস্টের ২য় স্ক্রীন শর্ট-এ একজন শিক্ষিকাকে নিয়ে অভিভাবকের মন্তব্য দিয়েছি। যেখানে টিচাররাই বাচ্চাদের সিড়ি দিয়ে নামতে ধ্বাকা দেয় সেখানে কি অমানবিক আচরণ হয় তা বলার ভাষা আমার নাই।

১৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৩:৫২

ককচক বলেছেন: খুব দুঃখজনক!

৬ নং কমেন্টের (সোনাবীজ; ধুলোবালির) সাথে সহমত।

আপনি অভিভাবকদের সাথে এ ব্যাপারে আলাপ আলোচনা করে অর্থাৎ যা করার অভিভাবকদের নিয়ে করার চেষ্টা করুন। একা-একা কিছু করলে সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম; উল্টো সমস্যায় পড়তে পারেন।
সমস্যা সমাধানের জন্য ধাপেধাপে প্রিন্সিপাল, স্কুল কমিটি.... শিক্ষা অফিসার ইত্যাদির নিকট আবেদন করুন। আশাকরি সমস্যার সমাধান হবে। সমাধান না হলে, আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন।

শুভকামনা

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:০১

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সু-পরামর্শের জন্য। আমি ব্যক্তিগত ভাবে চেষ্টা করছি।

আমি গতকাল জিপিও মাধ্যমে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল ও গভর্ণিং বডির সভাপতি বরাবর চিঠি দিয়েছি:

প্রাথমিক শাখার একজন অভিভাবক প্রতিনিধি জনাব ঢালী সাহেবের সাথে ঘটনার দিন ফোন করে বিস্তারিত জানাই ; তিনি পরের দিন স্যারদের সাথে কথা বলে আমাকে ফোন করবে বলেও অদ্যবদি কোন যোগযোগ করেন নি: ইনারা শুধু নির্বাচনের সময়ই সরব থাকেন।

বাচ্চাকে আপাতত স্কুলে দিচ্ছি না; “ ও শুধু বলে আমি এত জোরে চিৎকার করে বাঁচাও বাঁচাও বলেছি কেউ আসেনি” পরে একজন গার্ড গেট থেকে এসে টেনে তুলে।

এ বিষয়ে অনেক অভিভাবক বলেছে যে এগুলো নিয়ে কথা বললে আপনার সন্তানকে ক্লাসে হেনস্থাসহ মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হবে ; টিচারদের খারাপ নজরে থাকতে হবে । তাই অনেকেই এ বিষয়ে টিচারদের সাথে কথা বলতে চায় না, আর স্কুল থেকে বের করে দেয়ার হুমকি তো আছেই।

১৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:৪০

জিকোব্লগ বলেছেন:



আপনি বলেছেন , (হয়তো আজকে পদদলিত হয়ে মৃত্যর হাত থেকে অনেক ছাত্রকে আল্লাহপাক রক্ষা করেছেন)

ঘটনাটির জন্য যদি ছাত্রদের মৃত্যু হওয়ার সম্ভবনা থাকে আপনাকে অবিলম্বে ব্যবস্থার ( যেমনঃ পুলিশ, মামলা,
পত্রিকায় রিপোর্ট ) দিকেই যেতে হবে। সেই ক্ষেত্রে যেইসব ব্লগার সমস্যা সমাধানের জন্য ধাপেধাপে প্রিন্সিপাল,
স্কুল কমিটি.... শিক্ষা অফিসার ইত্যাদির নিকট আবেদন করার কথা বলছেন, উনাদের সঙ্গে দ্বিমত পেষণ করছি।
কারণ এই গুলো ধাপে ধাপে কোন প্রসেসের সাথে শাহাদত জানোয়ার স্যারের লবিং আছে , আপনি হয়তো তা
নিজেও জানেন না। হয়তো উহা কোনো একটি প্রসেস থামিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। আর তখন সমস্যা
সমাধানের জন্য ধাপে ধাপে প্রসেসের কাজ হওয়ার সম্ভবনা নাই বললেই চলে।

কিন্তু এটি যদি খুব গুরুতর সমস্যা না হয়, ধাপেধাপে প্রিন্সিপাল, স্কুল কমিটি.... শিক্ষা অফিসার ইত্যাদির
নিকট আবেদন করে সমস্যার সমাধান করা অবশ্যই ভালো একটি উপায়।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:০৩

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সু-পরামর্শের জন্য। আমি ব্যক্তিগত ভাবে চেষ্টা করছি।

আমি গতকাল জিপিও মাধ্যমে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল ও গভর্ণিং বডির সভাপতি বরাবর চিঠি দিয়েছি:

প্রাথমিক শাখার একজন অভিভাবক প্রতিনিধি জনাব ঢালী সাহেবের সাথে ঘটনার দিন ফোন করে বিস্তারিত জানাই ; তিনি পরের দিন স্যারদের সাথে কথা বলে আমাকে ফোন করবে বলেও অদ্যবদি কোন যোগযোগ করেন নি: ইনারা শুধু নির্বাচনের সময়ই সরব থাকেন।
==আপনার সাথে একমত কারণ আমি সহকারী প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলছিলাম ; জনাব শাহাদাত স্যার কথা টেনে নিয়ে আমার সাথে খারাপ আচরণ করেছে = এতে বুঝা যায় ্উনার স্কুলে অনেক প্রভাব খাটান।

১৭| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:০৫

ককচক বলেছেন: জিকোব্লগ@ আমার ধারণা আমাদের দেশের মেক্সিমাম স্কুলের ছোটছোট বাচ্চারা সিড়িতে উঠানামা সংক্রান্ত সমস্যায় ভোগে। মতিঝিলের এই স্কুলে সিড়িটা হয়তো একটু বেশিই উঁচু।
সমস্যা সমাধানের জন্য ধাপেধাপে এগুলে এবং শেষে কেস মামলা হলে, নিউজ হলে তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ আমাদের দেশের মানুষের আবার আজাইরা ইগু বেশি। শুরুতে কেস টেস করে বসলে থানা থেকে থেকে বা আদালত ইত্যাদি ঘুরে ঘুরেফিরে আবার শিক্ষা শিক্ষাকর্মকর্তাদের কাছেই আসবে।
যাইহোক,

আশাকরি অভিভাবকগণ ভালো, কার্যকরী পদক্ষেপ নেবেন।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:০৫

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: যথার্থই বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সু-পরামর্শের জন্য। আমি ব্যক্তিগত ভাবে চেষ্টা করছি।

আমি গতকাল জিপিও মাধ্যমে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল ও গভর্ণিং বডির সভাপতি বরাবর চিঠি দিয়েছি:

প্রাথমিক শাখার একজন অভিভাবক প্রতিনিধি জনাব ঢালী সাহেবের সাথে ঘটনার দিন ফোন করে বিস্তারিত জানাই ; তিনি পরের দিন স্যারদের সাথে কথা বলে আমাকে ফোন করবে বলেও অদ্যবদি কোন যোগযোগ করেন নি: ইনারা শুধু নির্বাচনের সময়ই সরব থাকেন।

আমিও সিড়িটি দ্রুত সংস্কার চাই ।

১৮| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৩৫

মোগল সম্রাট বলেছেন:

এজন্যই এখন মাষ্টারেরা ছাত্রদের হাতে মার খাওয়ার ঘটনা দেখতেছি ।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৪৮

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: সেটা হয়তো বড়দের ক্ষেত্রে (কলেজ লেভেলের ঘটনা) বলছেন। প্রাইমারি শাখার ছাত্রদের কেন সন্তানতুল্য মন মানসিকতায় দেখবে না?

১৯| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৩৫

জুন বলেছেন: ভয়ংকর অভিজ্ঞতা আপনার ও আপনার ছেলের জন্য। ওই স্কুলে থাকলে আপনার ছেলের পদে পদে খারাপ অভিজ্ঞতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এই বিষয়ে আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি। মানুষের মুখে বিশাল প্রশংসা শুনে ( মানে ওই স্কুলে পড়লে নাকি বিশাল জ্ঞ্যানী আর বিশাল ভবিষ্যত !) ওই স্কুলে ক্লাস ওয়ানে ভর্তির একটা গাইড বই কিনে এনে ছেলের বাবার সামনে ধরলাম। সে এক নজর চোখ বুলিয়ে একটানে ছিড়ে ফেলে দলা করে ফেলে দিল। রাগান্বিত গলায় বল্লো "আমি কি ছেলেকে বিসিএস পরীক্ষা দেওয়াচ্ছি নাকি"! প্রশ্ন ছিল বাংলাদেশের রেলপথ এর দৈর্ঘ কত, সড়ক পথ নৌ পথের দৈর্ঘ্য কত ইত্যাদি। কাগজটা সোজা করে ছেলেকে ৪ বছরের ছেলেকে কিছু প্রশ্ন করলাম সে কিছুই পারে নাই, কারণ আমরা চেয়েছিলাম সে স্কুলেই সব শিখবে। পরীক্ষা দিলেও ফেল করবে বলে এক টিচার জানালো।
যাই হোক অন্য স্কুলে ভর্তি হয়ে আমার ছেলে বিদেশের নাম করা বিশ্ববিদ্যালয়েও আউটস্ট্যান্ডিং রেজাল্ট করেছে। টোকিও ইউনিভার্সিটির এলুমুনাই, দুইবার তাকে ১০ এর জন্য করে আমন্ত্রণ জানিয়ে নিয়ে গেছে ইউনিভার্সিটির সম্পুর্ন নিজ খরচে। সুতরাং ওই বিখ্যাত স্কুলে না পড়লেও আপনার ছেলে অনেক ভালো করবে মানসিক চাপমুক্ত হয়ে। ভয় পাবেন না।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৩৫

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ধন্যবাদ, জুন আপু, আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।

আমি বলে বোঝাতে পারবো না ওদের আচরণ; আমার ছেলেকে গার্ড ওঠিয়েছে , কোন টিচার ওকে সান্তনা দেয় নি; আমি স্কুলে গেলে ওকে পতাকা স্ট্যান্ডে দাড়িয়ে কাদতে দেখি েএবং আমাকে দেখে হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করে। আমি ধৈর্য্য ধরতে পারিনি বিধায় সরাসরি ক্লাস টিচারের কাছে গিয়েছিলাম ; পরে উনি সহকারী হেড টিচারের কাছে পাঠালেন ; ওখানে আমি বিস্তারিত বলার পর --টিচারদের দূর্ব্যবহার শুরু হয় িএবং আমাকে বেয়াদব বলে বের হয়ে যেতে বলে।

আমি অভিভাবক কমিটির সদস্য ঢালী সাহেবকে ফোন করে বিস্তারিত জানালে উনি পরে স্যার দের সাথে কথা বলে আমাকে গতকাল জানানোর কথা বললেও অদ্যাবদি কোন যোগাযোগ করেন নি।

২০| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:১০

শাহ আজিজ বলেছেন: আপনি শিক্ষা মন্ত্রী বরাবরে চিঠি দিন । অপেক্ষা করুন এবং তারপর হেড মাস্টার বরাবর উকিল নোটিশ পাঠান শাহাদাতকে বহিস্কার এবং সিঁড়ি সংস্কার বিষয়ে । এসব নোটিশ কপি মন্ত্রী বরাবর দেবেন অবগতির জন্য । দেখুন কি দাড়ায় ।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪১

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাার পরামর্শের জন্য্।
গতকাল আমি চিঠি ডাকযোগে দিয়েছি।

২১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:০২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: কাজী আবু ইউসুফ রিফাত ভাই, এ রকম অভিজ্ঞতা খুবই খারাপ আপনি এবং আপনার ছেলে উভয়ের জন্য।

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ( প্রধান শাখা/ এজিবি কলোনী) হয়ে থাকে তাহলে তা কি পুরাতন প্রধান ভবন নাকি নতুন ভবন? কারন , পুরাতন ভবন অনেক দিনের আর তাতে এ সিড়ি উচুর সমস্যা থাকার কথা নয়( নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে)। আর যদি নতুন ভবন হয় তাহলে দেশ সেরা একটি স্কুলের এ রকম উচু সিড়ি দিয়ে কিভাবে তৈরী হয়েছে ও প্রশাসন মেনে নিয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

এখন , আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি - আমার নিজের অ্যাপার্টমেন্ট ( যার বিশাল প্রশস্ত সমতল সিড়ি ) থেকেও আমার বড় ছেলে তাড়াহুড়া করে নামতে গিয়ে একদিন সিড়িতে পড়ে গিয়ে পরনের প্যান্ট ছিড়ার সাথে সাথে দু পায়ের হাটুর যে অবস্থা করেছিল তা এক কথায় অবর্ণনীয় । আর এদিকে স্কুল ছুটির পরে সব ছাত্র একসাথে যখন হুড়োহুড়ি করে নামতে তখন আসলে যে কেউই পড়ে ব্যাথা পেতে পারে। তবে যেভাবেই হোক - দূর্ঘটনা দূর্ঘটনাই এবং কর্তৃপক্ষের যেমন দরকার সমস্যা সামধানের সঠিক পদক্ষেপ নেয়া ঠিক সেভাবে ছাত্রদেরও উচিত তাড়াহুড়া না করে ধীর ভাবে ( যদিও স্কুল ছুটির পরে সব ছাত্রই তা মেনে চলেনা - কারন তারাই বাচচা) নেমে আসা।

এখন এ সমস্যা যদি বারংবার ঘটতে থাকে-

১। তাহলে কর্তৃপক্ষের এ সমস্যা না এড়িয়ে সমাধানের চেষ্টা করা উচিত। যার শুরুটা হয়ত আপনার হাত ধরেই হতে পারে।

২। কর্তৃপক্ষের যতই আন্তরিকতা থাকুক ভবনের এ সমস্যা সমাধানে কিছুটা সময় লাগবে -যদি তারা সমস্যার সমাধান করতে চায় , সেই মধ্যবর্তী সময়টা ধৈর্য্য ধরে থাকতে হবে।

৩। এই সমস্যা চাইলেই একদিনে বা কিছু সময়ের মাঝে সমাধান হবেনা, কাজেই সেই সময় ছেলেকে সবার সাথে হুড়োহুড়ি না করে এবং ধীর ভাবে সিড়ি দিয়ে উঠা নামা করতে বলবেন।

৪।বছরের শেষ দিক সময় এখন, চাইলেই স্কুল পরিবর্তন সম্ভব না। আবার যদিও করতে পারেন তাহলে তার পড়াশুনার ধারাবাহিকতা রক্ষা হবেনা। কাজেই ,যা কিছু করবেন ভেবে-চিন্তে করেন।

৫।সমস্যা থাকবেই , সমাধানও আসবে। তবে ধৈর্য্য ধারন করতে হবে সমস্যার শুরু এবং সমাধানের মধ্যবর্তী সময়টুকুতে।

৬। আপনি, এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক/ স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির সাথে আলোচনা করতে পারেন এবং তাদের সামনে ব্যাপারটা এমনভাবে তুলে ধরুন যেন তারা তা বুঝতে পারেন যে সেখানে আপনার ব্যক্তিগত রাগ-অনুরাগ-বিরাগ কিছু নেই । যা আছে তা শুধু বাচচাদের নিরাপত্তার বিষয় । তাহলে তারা অবশ্যই বুঝবেন।

৭। সবশেষে আপনি যা করবেন তার দায়ভার (ভাল কিংবা খারাপ) আপনাকেই বহন করতে হবে এবং পরোক্ষভাবে আপনার ছেলেকেও ( যদি এ স্কুলে রাখেন/থাকে) । কারন, শিক্ষকদের সাথে অস্বাভাবিক সম্পর্ক তৈরী হলে তার প্রভাব ছেলের ক্লাস কার্যক্রম ও মানষিকতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

এসবই আমার ধারনা , আপনি আপনার মত করে যা ভাল মনে করেন তাই করতে পারেন এবং আমার ধারনার সাথে আপনি একমত না হলেও দোষের কিছু হবেনা।

ভাল থাকবেন ভাইজান।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৩

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: বলেছেন: প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই আপনার পরামর্শের বিষয়ে:
১। পশ্চিম কোনায় সিড়িটির কথা বলছি ; সিড়ির নিচে একপাশে প্রিন্সিপাল রুম অপর পাশে ব্যাংক রুম:;
২। বাচ্চারা তাড়াহুড়া করে নামবে কেন যদি শেষ ক্লাস টিচার ওদেরকে নিচে নামার বিষয়ে নির্দেশনা ঠিকমতো দেয়;
৩। বিশেষকরে প্রাথমিক শাখার বাচ্চাদের এতোটা জ্ঞান নিয়ে সিড়ি দিয়ে নামে না; তাড়াতাড়ি নামার চেষ্ঠা করে এবং একজন ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেলে কারো ব্যালেন্স থাকার কথা নয়;
৪। আপনি পোস্টের ২য় ছবিতে একজন অভিভাবক তার সন্তানকে ক্লাস টিচার কর্তৃক সিড়িতে লাঞ্ছিত হতে হয়েছিল তার কোন প্রতিকার ক্লাস টিচারকে বলে পাওয়া যায়নি;
৫। স্কুল ক্লাসে প্রবেশ ও বের হওয়ার নিয়ম ঠিকভাবে মনিটর করবে যেকোন দূর্ঘটনা রোধের জন্য এটাই কাম্য নয় কি?
৬। আমি বর্ণনায় বলেছি প্রাথমিক শাখার অভিভাবক প্রতিনিধি জনাব ঢালী সাহেবের সাথে ঘটনার দিন কথা বলেছি ; উনি পরের দিন ঘটনার বিষয়ে শিক্ষকদের সাথে কথা বলে আমাকে জানাবেন বলে সান্তনা দিলেও অধ্যাবধি কোন ফোন দেন নি:
৭। প্রতিটি শাখায় ৭০-৮০ জন ছাত্র থাকে, সে হিসাবে সিড়িতে বাচ্চাদের নামার সময় কেমন চাপ/ধাক্কা সামলাতে হয় সেটা অনুমেয়; তদুপরি বাচ্চাদের যাদের বয়স ৬-১০ বছরের মধ্যে তাদের পক্ষে এ ধরণের চাপ ও ধাক্কা সামলানো কঠিন এটা কর্তৃপক্ষের বিবেচনায় নেয়া উচিত নয় কি?
৮। অভিভাবকদের ক্লাস রুম থেকে বাচ্চা নিয়ে নামতে দিলেও তো বাচ্চাদের হাত ধরে অভিভাবকরা নামতে পারে ফলে দূর্ঘটনা থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে- সে সুযোগও তো নেই।

*** প্রতিকার কর্তৃপক্ষের কাছে না পেয়েই এই ব্লগে পোস্ট করেছি -কারণ একটাই সবাই যখন বলে এদের সাথে পারবেন না ; তখন অন্তত এই প্রতিষ্ঠানের আভ্যন্তরীন চিত্রটা সবার জানা উচিত তাই পোস্ট করেছি।

*** আমি এরকম পরিবেশে আমার সন্তানকে দিয়ে কারো লালসার শিকার হতে চাই না;

আপনিও ভালো থাকুন।

২২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আগে অভিবাবকদে এক হতে হবে। তার পর সবাই মিলে প্রিন্সিপালকে লিখিত জানাবেন কাজ না হলে পুলিশ সহ এমপি মন্ত্রীদের জানাতে পারেন।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:১২

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ধন্যবাদ, সম্মানিত ব্লগার, আপনার পরামর্শের জন্য।

--ঘটনার দিন উপস্থিত অনেক অভিভাবকদের সাথে কথা বলেছি তারা আমাকে বলেছে টিচারদের সাথে পারবেন না; আপনাকেই ফাঁসাবে।

--এখানে আমি সবাইকে জানানোর জন্যই শেয়ার করেছি; কারণ আমি নিজেও ওদের দূর্ব্যবহারে এখনো সন্ত্রস্ত।

২৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৮

ইলুসন বলেছেন: কিছু কিছু শিক্ষকের আচরণ দেখলে তাদেরকে আর শিক্ষক বলে মনে হয় না। আমার মনে হয় আমাদের সবারই কম বেশি এমন অভিজ্ঞতা আছে, হয়ত সম্মানের ভয়ে অনেকে চুপ করে থাকে। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া দরকার। এছাড়া কোন শিক্ষক, নিজ প্রতিষ্ঠানের কাউকে প্রাইভেট পড়াতে পারবে না, এমন আইন জারী করা প্রয়োজন।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪১

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

শিক্ষকরা স্কুলের ছাত্রদের কেন সন্তানতুল্য হিসেবে্ দেখেন না? প্রত্যেকটা স্টুডেন্টকে টাকার মেশিন হিসেবে দেখেন?

প্রত্যেক পেশাজীবিদের তার পেশা'র ধরণ বুঝে - নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবে কি না -সেই পেশায় আসার আগে অন্তত ১০বার ভাবা উচিৎ। এবং শিক্ষা পেশায় নিয়োগ পরীক্ষা ছাড়াও মানসিক ভারসাম্য ঠিক আছে কি না? তাও পরীক্ষা গ্রহণ করে নিয়োগ দেয়া উচিৎ।

২৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩৭

অপ্‌সরা বলেছেন: শুধু চিঠি দিয়ে কি হবে কি হবে না আমি আসলেও জানিনা। হয়ত ক্ষমা চাইবে, কিছুদিন খারাপ বিহেভ বন্ধ রাখবে কিন্তু সেটা পার্মানেন্ট সল্যুশন না।

স্কুলে পড়ালেখা শিক্ষাদানের পাশাপাশি শিক্ষকদের কিছু ডিউটি ভাগ করে দিতে হবে। যেমন-

১। টিফিনের সময় পালা করে কিছু টিচার ডিউটিতে থাকবেন যেন বাচ্চারা মানসিক ও শাররিক নিরাপত্তা পায়। বাচ্চারা বুলি না করে কোনো দূর্ঘটনা না ঘটে।

২। স্কুল ছুটির সময়ও ঠিক একই কারণে সিড়িতেও ডিউটিতে থাকতে হবে শিক্ষকদের মাঝ থেকেই কাউনা না কাউকে।

৩। গেইটেও ডিউটি থাকবে।

এছাড়াও শিক্ষার কারিকুলামে মোরালিটি নিয়ে শিক্ষার ব্যবস্থা থাকতে হবে। একে অন্যের প্রতি দায়িত্ব সভ্যতা, ভব্যতার জন্য নানা রকম ভিডিও , গল্পের বই, পাপেট শো এসবের মাধ্যমেও শিশুদের জন্য এই ধরনের আচরণ নিয়ন্ত্রনের শিক্ষা থাকতে হবে।

একটা বাচ্চা পড়ে থাকলো আর এসব কি রকম মানুষ হবার বিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে বাচ্চাদেরকে যেখানে এতটুকু নৈতিকতা বা বিবেক বুদ্ধি নেই যে তাকে মাড়িয়ে চলে যেতে হলো অন্যান্য সহপাঠিদেরকে?

যে স্কুলে চোখ থাকতেও এমন অন্ধত্বের শিক্ষা দেওয়া হয় সে স্কুলে পড়ে বড় হয়ে তারা কি হবে ভাবছি।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:০৭

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ধন্যবাদ আপু পুনরায় মন্তব্যে আসায় ও সুন্দর পরামর্শ দেয়ার জন্য।

আপনার সবগুলো কথার সাথে আমি সহমত পোষণ করছি; আসলে আপনার বর্ণনার কার্যক্রমগুলো তো স্কুল কর্তৃপক্ষ নিজেরাই পদক্ষেপ নেয়ার কথা; অথচ আমরা অভিভাবকরা এই পদক্ষেপগুলোর জন্য প্রতিনিয়ত হয়রান /পেরেশানিতে থাকি/ভোগী!

গত মে মাসেও একই ঘটনা একজন শিক্ষিকা কর্তৃক একজন ছাত্র ভোগ করেছে তার স্ক্রৃীণ শর্ট উপরে দেয়া আছে। উনাদের স্কুলের আপনার দেয়া পদক্ষেপগুলোর মধ্য থেকে শুধু মেইন গেটেই গার্ডরা থাকেন, যা আমি গত ৩ বছর যাবত দেখে আসছি”

জিকোব্লগ বলেছেন:

আপনার চিঠি দিয়ে কাজ হওয়ার সম্ভবনা নাই বললেই চলে। কারণ
জনাব শাহাদতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলায় আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড
কলেজ, সহকারী প্রধান শিক্ষকদের একজন মো: মোয়াজ্জেম হোসেন
( বনশ্রী দিবা ), প্যাচ মেরে নিচের কথা আমাকে মেইলে জানিয়েছেন।

উকিল নোটিশ না দিলে আপনিও হয়তো এই রকম-ই উত্তর পাবেন।

এছাড়া, শেষমেশ আখেনাটেনের কথা:
"যাহোক ভালো হয়েছে পোস্টটি স্টিকি করায়.......এখন এটি দেখে কোনো
রাঘব বোয়ালের বিবেক জাগ্রত হয়ে স্ব-প্রণোদিত হয়ে যদি এর একটা বিহিত
করে। তবেই এই প্রতিবাদের সফলতা....যদিও আশা না রাখায় ভালো....."

২৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪৫

জিকোব্লগ বলেছেন:



আপনার চিঠি দিয়ে কাজ হওয়ার সম্ভবনা নাই বললেই চলে। কারণ
জনাব শাহাদতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলায় আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড
কলেজ, সহকারী প্রধান শিক্ষকদের একজন মো: মোয়াজ্জেম হোসেন
( বনশ্রী দিবা ), প্যাচ মেরে নিচের কথা আমাকে মেইলে জানিয়েছেন।



উকিল নোটিশ না দিলে আপনিও হয়তো এই রকম-ই উত্তর পাবেন।

এছাড়া, শেষমেশ আখেনাটেনের কথা:
"যাহোক ভালো হয়েছে পোস্টটি স্টিকি করায়.......এখন এটি দেখে কোনো
রাঘব বোয়ালের বিবেক জাগ্রত হয়ে স্ব-প্রণোদিত হয়ে যদি এর একটা বিহিত
করে। তবেই এই প্রতিবাদের সফলতা....যদিও আশা না রাখায় ভালো....."

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:১৭

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: সম্মানিত ব্লগার, পুনরায় মন্তব্যে আসার জন্য আপনার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

জনাব মোয়াজ্জেম হোসেন : কি কারণে, কেন ব্যবস্থা নিবে, তা না বললে কিভাবে ব্যবস্থা নিবে।

আমি দূর্ঘটনার মুল কারণ হিসেবে মতিঝিল শাখার পশ্চিম কর্ণারে যে সিড়িটি ২য় তলা থেকে নিচে নামতে ব্যবহৃত হয় (যেটি খাড়া হওয়ায় নামতে গিয়ে বা্চ্চারা নামতে গিয়ে সামান্য ধাক্কা লাগলেও পড়ে যায় -------সেই সিড়িটির মাঝাখানে কয়েকটি ধাপ যদি সমান করে দেয় তাহলেও বাচ্চারা নামার সময় কিছুটা ব্যালেন্স রাখতে পারে - এই সিড়ির বিষয়ে আমি মৌখিকভাবেও হযরত শাহাদাত সাহেবে কে বলেছিলাম । -----এই ব্যবস্থা নেয়ার কথাটা যদি মোয়াজ্জেম সাহেবরা না বুঝেন তাহলে আর কি করার আছে??

শ্রদ্বেয় ব্লগার অঅপ্‌সরা আপুর ২৪ নং মন্তব্যের বিষয়গুলো অনুসরণ করলে অধিকাংশ সমস্যার-ই সমাধান হয়ে যায়।

২৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:২৮

সোহানী বলেছেন: লিখাটা পড়ে নিজের অজান্তেই কানাডার স্কুলের সাথে তুলনা চলে আসলো তাই মন খারাপ হলো।

এখানে কি যত্ন করা হয় প্রতিটা বাচ্চার। আর দেশে....................

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩১

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ধন্যবাদ, আপু, মন্তব্যের জন্য।

এখানে এরা প্রতিদিনই ভয়ংকর আচরণ করে বাচ্চাদের সাথে গতকালও অর্থাৎ ০১-০৯-২০২২ তারিখেও সমাজ টিচার ক্লাস -৪ এর একজন ছাত্র নাম ” জাওয়াদ হোসেন” তাকে স্কেল দিয়ে হাতে মারার ফলে ওর কনুই এর অংশে কেটে গেছে ।

ঐ গার্ডিয়ান আজকে আমাকে ফোন করে বিস্তারিত জানায়; কিন্তু সে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে অপারগ যদি তার সন্তানের কোন ক্ষতি হয়!

এই কোন হিরক রাজার দেশ আমাদের বসবাস !? কোথাও কি কোন নিস্তার নেই !

২৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪৯

জুন বলেছেন: প্রাসংগিক হবে কি না জানি না তারপরও স্কুলে বাচ্চাদের নির্যাতনের কাহিনী আমার ব্লগে লেখা রিফাত

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪২

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় জুন আপুু, পুনরায় কমেন্টে আসার জন্য !

==আমি আমার মেয়েকে অবশ্যই মার্শাল আর্ট শেখাবো ওর বয়স এখন ৫ বছর, কারণ এই দেশে মেয়েদের উপর অত্যাচারটা অনেক অনেক বেশি হয়।
অপ্সরা আপুর মতো করে কেউ চিন্তা ভাবনা করে না; করলে শিক্ষাঙ্গন কলংক মুক্তই থাকতো। যেমনটা দেখেছি ===বুয়েটের আবরার এর বেলায়।

২৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:০০

অপ্‌সরা বলেছেন: আপনার সবগুলো কথার সাথে আমি সহমত পোষণ করছি; আসলে আপনার বর্ণনার কার্যক্রমগুলো তো স্কুল কর্তৃপক্ষ নিজেরাই পদক্ষেপ নেয়ার কথা; অথচ আমরা অভিভাবকরা এই পদক্ষেপগুলোর জন্য প্রতিনিয়ত হয়রান /পেরেশানিতে থাকি/ভোগী!

হ্যাঁ স্কুল কতৃপক্ষকেই এই পদক্ষেপ নিতে হবে। দরকারে বাধ্য করতে হবে। কারণ একটা বাচ্চাকে অপমানিত করে, ভয় দেখিয়ে বা নিজের কাছে নিজেকেই ছোট না বানিয়ে সুস্থ্য মানসিকতার সাথে বড় করাই তাদের দায়িত্ব।
কারণ সে যখন পড়ে গিয়েছিলো সবাই তাকে মাড়িয়ে গেছে। সে তখন অসহায় ও অপমানিত বোধ করেছে। নিজেকে অনেক বেশি ছোট মনে করে তখন মানুষ। এই মনুষ্য জীবন বৃথা মনে হয়। এইটুকু বয়সেই তার যে নেতিবাচক অভিজ্ঞতা হয় তা তার সারাজীবনে নিজেকেও নেতিবাচক কাজ করতে বা নেতিবাচক কাজটাকেই সঠিক মনে করাতেও পারে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সে সারাজীবন ভীতু মানসিকতা নিয়ে বড় হবে।
যে স্কুল বাচ্চাদের সাইকোলজীই জানে না সেটা কেমনে ভালো স্কুল হয় জানা নেই আমার।
যে স্কুল প্যারেন্ট সাইকোলজীও জানেনা সেই স্কুলে প্যারেন্টের বাচ্চা দেবার আগে ভাবা উচিৎ।

আগের দিনে কি হয়েছে না হয়েছে ভেবে সময় এসেছে আধুনিক চিন্তা ভাবনা ও গবেষনার সাথে তাল মেলানোর। সেই আদ্দিকালের বেতের বাড়ি দিয়ে বাচ্চা শেখাতে গেলে নিজেদেরকেই নিজেরা বেত্রাঘাত করে সকালে একবার পড়াতে আশা উচিৎ।

শিক্ষকের কাজ শুধু পুঁথিগত শিক্ষায় না। একটা বাচ্চার সকল নিরাপত্তাও দেখভাল করা। এটা আমার দায়িত্ব না গার্ডের সেটা আমার দায়িত্ব না ঐ ক্লাসের টিচারের এই সব মনোবৃত্তি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। দরকারে সঠিক প্রশিক্ষন লাগবে। দরকারে কি এদের তো এমনিতেই জরুরী দরকার মনে হচ্ছে তোমার কথা শুনে ভাইয়া।



গত মে মাসেও একই ঘটনা একজন শিক্ষিকা কর্তৃক একজন ছাত্র ভোগ করেছে তার স্ক্রৃীণ শর্ট উপরে দেয়া আছে। উনাদের স্কুলের আপনার দেয়া পদক্ষেপগুলোর মধ্য থেকে শুধু মেইন গেটেই গার্ডরা থাকেন, যা আমি গত ৩ বছর যাবত দেখে আসছি”

সত্যিই কিছুক্ষন হাসলাম এই কথাটা শুনে। গেইটের গার্ডের দায়িত্ব গেইট পাহারা দেওয়া। বাচ্চাদেরকে পাহারা দেওয়া নহে। ঐ গেইটের ভেতরে বাচ্চারা নিরাপদ সেটার দেখলাম তার বটে তবে শুধু একাই কি গার্ড ছাড়া আর কোনো কেউ বাচ্চাদের দেখভাল করবে না? তারা ক খ পড়িয়েই খালাস!

আমাকে নিয়ে যাও ভাইয়া। তাদের ট্রেইনিং আমিই দিয়ে দেবো না হয়।

যাইহোক যা বলতে চাচ্ছিলাম- অন্যের উপর কিন্তু তোমরা প্যারেন্টস ও ভরসা করে বসে আছো। নিজে যা পারো তা অন্য কেই করে দেবে ভাবছো। এতটুকু যখন এগিয়েছো শেষ না দেখে ছেড়ে দিলে এই সব সমস্যার সমাধান কখনও হবে না। প্যারেন্টসরা জরুরী মিটিং চাও টিচারদের তথা স্কুলের কর্মকর্তাদের।

আমাদের একটা স্বভাব আছে তেড়ে মেড়ে ডান্ডা করে দেবো ঠান্ডা। সেই সুযোগ পেয়ে প্যারেন্টস তাদের ক্ষোভ প্রকাশই একমাত্র মাধ্যম না করে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করো। তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম হইবোনা কেনো রীতি মাথায় রাখো। শাহাদাৎ স্যারের মত যারা আছেন তাদেরকেও বুঝতে হবে। অসীর চেয়েও মসী বড় তার চাইতেও বড় নিজের বুদ্ধি, বিবেক ও বিবেচনা।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৪

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: আপু আপনার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি! আপনি বিষয়টি নিয়ে খুব সুন্দরভাবে প্রাগৈতিহাসিক ধ্যান-ধারণার বিচ্যুতি ঘটিয়ে আধুনিক ও সময়োপযোগি ভাবনার কথা তুলে ধরেছেন। যা প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আপনার এই লেখাটা -শ্রদ্ধেয় ব্লগার জনাব জিকোব্লগ কে অনুরোধ করবো -উনার সাথে যেহেতু আইডিয়ালের টিচার মোয়াজ্জেম স্যার মেইল করেছেন সেহেতু আপনার এই গুরুত্বপূর্ণ মতামতটাও ওনাকে ই-মেইল করেন।

গতকাল অর্থাৎ ০১-০৯-২০২২ তারিখেও সমাজ টিচার ক্লাস -৪ এর একজন ছাত্র নাম ” জাওয়াদ হোসেন” তাকে স্কেল দিয়ে হাতে মারার ফলে ওর কনুই এর অংশে কেটে গেছে ।

ঐ গার্ডিয়ান আজকে আমাকে ফোন করে বিস্তারিত জানায়; কিন্তু সে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে অপারগ যদি তার সন্তানের কোন ক্ষতি হয়! এখানে বুঝা যায় যে এই সকল টিচার যারা হয়তো “ নিজেদেরকে বাদশাহ আলগীর এর সময়ের শিক্ষক ভাবেন নিজেদের” এখন ক্ষমতার অধিকারী ও আইনের উর্ধ্বে।

আপু আমি চেষ্ঠা করেছি অভিভাবক কমিটির একজনের সাথে কথা বলেছি- তবে তিনি তেমন সাড়া দেননি ; সেটাও হয়তো ম্যানেজড বাই কর্তৃপক্ষ।

২৯| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:০৫

অপ্‌সরা বলেছেন: আমি দূর্ঘটনার মুল কারণ হিসেবে মতিঝিল শাখার পশ্চিম কর্ণারে যে সিড়িটি ২য় তলা থেকে নিচে নামতে ব্যবহৃত হয় (যেটি খাড়া হওয়ায় নামতে গিয়ে বা্চ্চারা নামতে গিয়ে সামান্য ধাক্কা লাগলেও পড়ে যায় -------সেই সিড়িটির মাঝাখানে কয়েকটি ধাপ যদি সমান করে দেয় তাহলেও বাচ্চারা নামার সময় কিছুটা ব্যালেন্স রাখতে পারে - এই সিড়ির বিষয়ে আমি মৌখিকভাবেও হযরত শাহাদাত সাহেবে কে বলেছিলাম । -----এই ব্যবস্থা নেয়ার কথাটা যদি মোয়াজ্জেম সাহেবরা না বুঝেন তাহলে আর কি করার আছে??

তুমি দূর্ঘটনার মূল কারণ ভাবছো এই সিড়ি।

অবশ্যই সিড়ি সংস্করণ প্রয়োজন। তবে শিক্ষকেরা নিজেদের এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ নিজেদের নীতিমালাগুলির সংস্করণ না করলে অতি প্রশস্ত সিড়িতেও একই ঘটনা ঘটনার সম্ভাবনা আরও বেশি।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৬

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: জ্বি আপু, অবশ্যই একমত ।

৩০| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:০৮

অপ্‌সরা বলেছেন: এছাড়া, শেষমেশ আখেনাটেনের কথা:
"যাহোক ভালো হয়েছে পোস্টটি স্টিকি করায়.......এখন এটি দেখে কোনো
রাঘব বোয়ালের বিবেক জাগ্রত হয়ে স্ব-প্রণোদিত হয়ে যদি এর একটা বিহিত
করে। তবেই এই প্রতিবাদের সফলতা....যদিও আশা না রাখায় ভালো....."


আমার মতে কোনো রাঘব বোয়ালেরই দরকার নেই।

চুনোপুটিরাও এক জোট হলে রাঘব বোয়ালের দফারফা হতে সময় লাগবে না। প্রয়োজন শুধুই একতা।

আমাদের মাঝে একতা নেই আমি এই কথাটাও মানতে রাজী নই। নিজের মাঝে শক্তি জাগ্রত করো। একতার জন্য লড়াই করো। কোনো পরিবর্তন খুব সহজে আসে না তার জন্য দরকার এইম এবং সাথে পেশেন্স।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৯

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: আমি এখনো পরিচিত ভুক্তভোগী অভিভাবকদের সাথে কথা বলে যাচ্ছি ও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছি।

অনেক সুন্দর ও যত্নসহকারে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে প্রতিটি বিষয় নিয়ে পরামর্শের জন্য অন্তরের অন্তস্থল থেকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

৩১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৩

অপ্‌সরা বলেছেন: @জিকোব্লগভাইয়া

আমার মন্তব্যগুলোও জানাও ওদেরকে প্লিজ।

আসলেই তারা এখনও প্রাগৈতিহাসিক যুগেই কাজ করে মনে হয়।

@রিফাত ভাইয়া আমি বেশ কয়েক বছর যাবৎ স্কুলেই কাজ করছি। বাচ্চাদের সেফটি সবার আগে তারপর শিক্ষা। নতুবা জীবনই চলে গেলে কাকে শেখাবে বলো?


এই সেফটি শুধু ফিজিক্যাল সেফটিই নয়। মেন্টাল সেফটি আরও বড় জরুরী।

বললাম তো প্রয়োজন ট্রেইনিং ও এই সেফটির বিষয়টা গুরুত্ব সহকারে অনুধাবন করা। নয়তো নতুন কিছুকে সব সময় পরিপন্থি ভাবলে জীবনেও উন্নতি হবে না। তারা আদিম যুগেই থেকে যাবে।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩০

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: জিকোব্লগ--কে অনুরোধ করার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ আপু,

অপ্‌সরা বলেছেন:@রিফাত ভাইয়া আমি বেশ কয়েক বছর যাবৎ স্কুলেই কাজ করছি। বাচ্চাদের সেফটি সবার আগে তারপর শিক্ষা। নতুবা জীবনই চলে গেলে কাকে শেখাবে বলো?

এই সেফটি শুধু ফিজিক্যাল সেফটিই নয়। মেন্টাল সেফটি আরও বড় জরুরী।[/sb

--- এই বিষয়গুলো এই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারদেরও মনে আসে কি-না সন্দেহ! এবিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে বেশি ভূমিকা /নির্দেশনা / তদারকী প্রয়োজন।

---------নয়তো আমরাও একদিন রোহিঙ্গাদের মতো শিক্ষিত হবো। কারণ; তাদেরও বার্মায় একসময় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠি হতে শিক্ষামন্ত্রী ছিল; কিন্তু ছিল না সময়োপযোগি শিক্ষার মান ও জ্ঞানের বাস্তব প্রয়োগ।


৩২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৫২

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। হৃদয়বিদারক। ভুল এক জিনিস, আর অন্যায় ভিন্ন জিনিস। এখানে শিক্ষকগণের অনায় আচরণে সতিই আমি মর্মাহত। এরা শিক্ষক সমাজের মর্যাদা ও সম্মানকে ভূলুন্ঠিত করেছে। কঠিন ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।
পরামর্শ তো অনেকেই দিলেন, আপনার উদ্যোগও প্রশংসনীয়।
এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পোষ্টকে স্টিকি করায় সামুর প্রতি শ্রদ্ধা বেড়ে গেল।
দূর হোক অন্যায়। ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হোক। সমাজ হোক মানবিক।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২০

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

স্কুলের টিচারদের কাছে প্রায় সব অবিভাবকরা অসহায়, আজকে একজন ছাত্রের মা আমাকে ফোন করে বলেছে যে, গতকাল সমাজবিজ্ঞানের টিচার তার ছেলেকে স্কেল দিয়ে মেরেছে,হাতের কনুইয়ের অংশে কেটে গেছে, কিন্তু তিনি সরাসরি কোনো সাক্ষাৎকার দিতে নারাজ, কারণ তার সন্তানের ক্ষতি হবে। কি অবস্থা বিরাজ করছে এই স্কুলে, ভাবলেই গা শিউরে ওঠে।

----ছেলেটি ক্লাস্ ফোর এ পড়ে, নাম জাওয়াদ হোসেন।

৩৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক সমাজের ব্রেইন!
সব নষ্ট পচাঁগলা আজ। এই সমাজের ই পচন ধরছে। অপ্‌সরা মতের সাথে একমত।
১ম পদক্ষেপ সকল অভিভাবকের সাক্ষর নিয়ে প্রিন্সিপ্যাল বরাবর চিঠি দেওয়া
২য় পদক্ষেপ পুলিশকে জানানো বা আইনের সাহায্য নেওয়া।
টিচার এবং প্যারেন্টস এর কো অপারেশন ছাড়া একটি বাচ্চার বা স্কুলের উন্নতি হয় না।
সঠিক সমাধান আশা করছি এই ঘটনার।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩৯

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্য পরামর্শের জন্য। আমি পরিচিত কয়েকজন অভিভাবকের সাথে কথা বলেছি। কিন্তু তারা সামনাসামনি কোনো কথা বলতে রাজি না। গত কালকেও সমাজবিজ্ঞানের ম্যাডাম একটা ছেলেকে স্কেল দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে, সেই ছেলেটির মা আমাকে ফোন দিয়ে বলেছে।। তখন কিন্তু আমি যখন ওনার সরাসরি ইন্টারভিউ নিতে চাইলাম তখন তিনি সাক্ষাৎ দিতে রাজি হলেন না।

***সবাই যেন আজ এই শিক্ষক সমাজের কাছে বন্দী,

৩৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪৬

নতুন বলেছেন: বিষয়টা অতান্ত দুখজনক। আগে বাচ্চার জীবন তারপরে শিক্ষা।

মানুষের সঠিক জ্ঞান থাকলে কারুর সাথে খারাপ ব্যবহার করতে পারেনা। তাই উপরে যেই শিক্ষকের কথা বলেছেন তার জ্ঞানের অনেক ঘাড়তি আছে।

এই রকমের মানুষের সাথে বুঝতে হলে অনেক কস্ট করতে হবে। লেগে থাকতে হবে। আপনি শুরু করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আইনি পথে এগুতে হবে তখন তাদের শুর পাল্টাবে।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৩০

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যে আসার জন্য। এই সিড়িটিতে গত মে মাসেও একটি দুর্ঘটনা ঘটেছিল, এ বিষয়ে ক্লাস টিচারকে অবহিত করা হলেও গুরুত্ব দেন নি।পরে আমি মৌখিকভাবেও জনাব শাহাদাত কে বলেছি, কোন সুরাহা হয় নি, পরে আমার ছেলেই বাচ্চাদের ধাক্কায় পরে গিয়ে পদদলিত হলো! আমার আশংকা আমার সন্তানের প্রাণ কেড়ে নেয়ার মতো ঘটনকেও তারা গুরুত্ব দেয়নি অদ্যাবধি! আমি ভীষনভাবে মানসিক আহত। আমি কোনভাবেই আমার সন্তানকে এভাবে অনিরাপত্তার মাঝে দিতে চাই না।

৩৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২৫

নতুন বলেছেন: পরে আমি মৌখিকভাবেও জনাব শাহাদাত কে বলেছি, কোন সুরাহা হয় নি,

মৌখিক ভাবে না। কাগজ কলমে এবং লাইভ ভিডিওতে বলতে হবে। তখন তিনি খারাপ আচরন করতে পারবেন না।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৩

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: মৌখিক ভাবে বলেছিলাম গত মে -২০২২ মাসে, আর আমি মোবাইল ক্যামেরা অন করে রেকর্ড করতে চাইলে ক্লাস টিচার আমার সাথে এ বিষয়ে কোন কথা বলবে না বরং উল্টো খেপে গিয়ে অন্য টিচার দিয়ে দূ্ব্যবহার করে ও বেয়াদব বলতে থাকে, ও বের হয়ে যেতে বলে।

৩৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০৭

জিকোব্লগ বলেছেন:



আপনি বলেছেন , ০১-০৯-২০২২ তারিখেও সমাজ টিচার ক্লাস -৪ এর একজন ছাত্র নাম
” জাওয়াদ হোসেন” তাকে স্কেল দিয়ে হাতে মারার ফলে ওর কনুই এর অংশে কেটে গেছে


- ১১ ধরনের শারীরিক ও দুই ধরনের মানসিক শাস্তি নিষিদ্ধ করে "শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের
শারীরিক ও মানসিক শাস্তি রহিত করা সংক্রান্ত নীতিমালা ২০১১ জারি করেছে সরকার"। নিষিদ্ধ
শারীরিক শাস্তিগুলো হলে- শিক্ষার্থীদের হাত-পা বা কোনো কিছু দিয়ে আঘাত বা বেত্রাঘাত, চক
বা ডাস্টার-জাতীয় বস্তু ছুড়ে মারা, আছাড় দেওয়া ও চিমটি কাটা, শরীরের কোনো স্থানে কামড়
দেওয়া, চুল টানা বা কেটে দেওয়া, হাতের আঙুলের ফাঁকে পেনসিল চাপা ও মোচড় দেওয়া, ঘাড়
ধাক্কা দেওয়া, কান টানা বা ওঠ-বস করানো, চেয়ার, টেবিল বা কোনো কিছুর নিচে মাথা দিয়ে দাঁড়
করানো বা হাটু গেড়ে দাঁড় করে রাখা, রোদে দাঁড় করে বা শুইয়ে রাখা কিংবা সূর্যের দিকে মুখ করে
দাঁড় করানো এবং শ্রম আইনে নিষিদ্ধ কোন কাজ শিক্ষার্থীদের দিয়ে করানো।

" শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের শারীরিক ও মানসিক শাস্তি রহিত করা সংক্রান্ত নীতিমালা ২০১১"
সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য হবে।


শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের শারীরিক ও মানসিক শাস্তি রহিত করা সংক্রান্ত নীতিমালা ২০১১ ডাউনলোড লিংক

নীতিমালা অনুযায়ী, কোন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ ধরণের শাস্তি দেওয়ার অভিযোগ উপস্থাপন এবং
ওই শিক্ষক অভিযুক্ত হলে সরকারি কর্মচারি (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ১৯৮৫ এর আওতায় ব্যবস্থা
নেওয়া যাবে। প্রয়োজনে ফৌজদারি আইনেও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে।
(নিচে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে
ছাত্রছাত্রীদের শারীরিক ও মানসিক শাস্তি রহিত করা সংক্রান্ত নীতিমালা ২০১১ থেকে স্ক্রিনশট )



কিছু ভালো শিক্ষকেরাও পাওয়ারলেস। উনারা অভিযোগ শুনতে পারেন, কিন্তু ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারেন না।
আমার মতে মতামত গুলো শিক্ষকদের জানানোর চেয়ে সবচেয়ে ভালো ফলপ্রসূ হবে এবং সব শিক্ষার্থীর জন্য
মঙ্গল হবে, যদি আপনি ও অন্যান্য অভিভাবকরা অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার দিকে যান।
আশা করি, আইনগত ব্যবস্থা নিতে ভয় না পেয়ে সাহসের সাথে পদক্ষেপ নিবেন।

আর তখনই, আইডিয়াল স্কুল ও কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি আবু হেনা মোরশেদ জামান ও গভর্নিং
বডির অন্যান্য সদস্যবৃন্দরা অভিযুক্ত শিক্ষকদের বহিঃস্কৃত করতে বাধ্য হবেন ।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৩৬

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ধনবাদ শ্রদ্ধাভাজন ব্লগার,

আপনার তথ্যবহুল মন্তব্যের জন্য। আমি নীতিমালাটি প্রিন্ট করে রাখলাম। একজন টিচার (সমাজ বিজ্ঞানের আপা-যিনি ক্লাস ৪ এর পড়ান) উনি কিভাবে (কোন অদৃশ্য শক্তিবলে) প্রতিনিয়ত উনার বিরুদ্ধে এতো অভিযোগ থাকা স্বত্ত্বেও এধরণের কার্যক্রম চালিয়ে যান !

আমি আমার পোস্টে এই সমাজ বিজ্ঞানের টিচারের বিষয়ে অভিযোগকারী ৩ জনের তথ্য দিয়েছি। দু:খজনক হলো গত ০১-০৯-২০২২ তারিখেও সমাজ টিচার ক্লাস -৪ কর্তৃক ছাত্র” জাওয়াদ হোসেন” তাকে স্কেল দিয়ে হাতে মারার বিষয়ে তার ”মা” আমাকে টেলিফোনে অভিযোগ জানালেও আমি যখন ওনার সাথে সরাসরি সাক্ষাত বক্তব্য নিতে চাই - বললে উনি বলেন ভাই আমি আপনাকে রেকর্ডেড সাক্ষাত দিলে আমার ছেলের ক্ষতি হবে!!??

যেখানে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচিত হয় ছাত্র/অভিভাবকদের সুরক্ষার বিষয়ে কথা বলার জন্য , সেখানে আমি প্রাথমিক অভিভাবক প্রতিনিধি জনাব ঢালী সাহেবকে ফোন করেও অদ্যাবদি কোন প্রতিউত্তর পাইনি।

-*** পরোক্ষভাবে জানতে পারলাম জনাব ঢালী একটি কোচিং সেন্টার পরিচালনা করেন।

৩৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৩১

আশীষ কুমার বলেছেন: আপনি তাৎক্ষণিকভাবে ৯৯৯-এ ফোন করে অভিযোগ করতে পারতেন। এখনও করতে পারেন। প্রতিকারের এটা একটা প্রাথমিক উপায়। আপনি আপনার (আসলে সবার) অভিযোগ লিখিত আকারে জানিয়েছেন। সেটা সত্যিই খুব ভালো কাজ করেছেন। আপনার সন্তানের সাথে এমনকি আপনার সাথেও যা হয়েছে তা অপরাধ। এর শাস্তি হওয়া জরুরি।

লিখিত বিষয় কেউ উপেক্ষা করতে পারে না। আমি দেখেছি, খুব সামান্য বিষয়, কিন্তু লিখিত হওয়ার কারণে তার কার্যকারিতা অনেক বেশি হয়। তাই আপনি যেহেতু প্রিন্সিপাল মহোদয়কে চিঠি দিয়েছেন সেক্ষেত্রে কয়েকদিন অপেক্ষা করাই পদ্ধতি। যৌক্তিক সময় অপেক্ষা করে আপনি আরও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করুন। সাথে আপনার সন্তানকে কাউন্সেলিং করিয়ে পুনরায় স্কুলে দিন। এটা তার জন্য বাজে অভিজ্ঞতা, কিন্তু লেখাপড়া চালিয়ে যেতে হবে।

আমার সন্তানও আইডিয়েল স্কুলে পড়ে। এ ঘটনা যে কারোর সাথেই হতে পারে। এটা কাম্য নয়। আপনার সন্তানের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। অনেক শুভকামনা তার জন্য।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫৮

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে পরামর্শমূলক মন্তব্যের জন্য।

--আসলে আমি আমার ছেলেকে কাছ থেকে বিস্তাারিত ঘটনা শুনার পর, প্রথমেই ক্লাস টিচারের কাছে নিয়ে যাই, উনি কোন সুরাহা না করায় সহকারী হেড টিচারের কাছে গেলে জনাব শাহাদাত সহ আরো কয়েকজন টিচারের সাথে এ বিষয়ে কথা বলি , উনারা বিষয়টি দেখবেন বলে আমাকে চলে যেতে বলেন; তারপরও বিষয়টি নিয়ে কথা বললে আমাকে বেয়াদব বলে জনাব শাহাদাত তেড়ে আসেন সহকারী হেড টিচার ওনার কোমড়ে ধরে না আটকালে উনি আমাকে আঘাত করতেন, তারপর আরেকজন টিচার ওনার নাম জানি না, দেখলে চিনতে পারবো ; উনি আমাকে বলেন তুই তোর ছেলেকে স্কুলে ভর্তির আগে স্কুলের সিড়ি দেখে ভর্তি করলি না কেন? আমি বললাম এরকম কোন নিয়ম তো নাই, যে স্কুলের ভিতরের পরিবেশ দেখে ভর্তি করতে হবে?

আমি উপস্থিত গুটিকয়েকজন (বেশিরভাগ-ই মহিলা) অভিভাবকদের বললাম আপনারা আমার কথা এখন চুপ হয়ে শুনছেন - কালকে যে আপনার সন্তানের সাথেও ঘটবে না তার নিশ্চয়তা কি? একজন অভিভাবক আমাকে নিরাপদে গেট থেকে বের হতে সহায়তা করে বলে আমি একা পারবেন না; আপনি চিঠি দেন।

--আসলে ঐ সময়ে ৯৯৯ এর কথা মাথায় আসে নি; আমি স্কুলে গেটের বাইরে এসেও উনাকে ফোন দিয়েছিলাম উনি ফোন রিসিভ করেন নি ; পরে বাসায় এসে আমি অভিভাবক প্রতিনিধি জনাব ঢালী-কে ফোন দিয়ে বিস্তারিত বললে উনি পরেরদিন বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে আমাকে জানাবেন বললেও অদ্যাবধি কোন যোগাযোগ করেন নি।

আর এরকম ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান ছাড়া আমি আমার সন্তানকে নিরাপত্তাহীনতায় ঐ স্কুল নামক প্রতিষ্ঠানে পাঠাতে ইচ্ছুক নই।

পুনরায় ধন্যবাদ জানাচ্ছি, ভালো থাকুন।

৩৮| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:২২

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: শিক্ষকদের এমন মানসিকতার জন্য তারা আর আগের মতে সম্মান পায়না।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩২

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: উনারা নিজেদেরকে বাদশাহ মনে করেন। ছাত্রদের টাকা কামানোর/বানানোর মেশিন মনে করেন! অথচ ছাত্রদেরকে সন্তানতুল্য মনে করেন না!

৩৯| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৩৮

জুল ভার্ন বলেছেন: "শর্ষের মধ্যে ভূত থাকলে- ভূত তাড়াবে কে?"
"কুইনাইন জ্বর সারায়, কুইনাইনের জ্বর সারাবে কে?"

যেখানে শর্ষের মধ্যেই ভূত, যেখানে কুইনাইনেরই জ্বর, যেখানে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাই সুপরিকল্পিত ভাবে ধ্বংশ করে দিয়েছে- সেখানে কার কাছে ন্যায় বিচার আশা করেন!

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২৮

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: জুল ভার্ন বলেছেন: "শর্ষের মধ্যে ভূত থাকলে- ভূত তাড়াবে কে?"
"কুইনাইন জ্বর সারায়, কুইনাইনের জ্বর সারাবে কে?"

যেখানে শর্ষের মধ্যেই ভূত, যেখানে কুইনাইনেরই জ্বর, যেখানে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাই সুপরিকল্পিত ভাবে ধ্বংশ করে দিয়েছে- সেখানে কার কাছে ন্যায় বিচার আশা করেন!


--কি করে আপনার সাথে দ্বিমত পোষণ করি! তবুও আমরা যারা নিম্নমধ্যবিত্ত/মধ্যবিত্ত তাদের তো দেশ ছেড়ে যাওয়ারও উপায় নাই- তাই আমরা/আমাদের সন্তানরা প্রতিনিয়ত মার খায়।

৪০| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৪৪

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: কি ভয়ানক অভিযোগ ! দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৩

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপনার সাথে সহমত পোষণ করছি।

৪১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:১৬

রিফাত হোসেন বলেছেন: মর্মান্তিক ব্যাপার। একজন আদর্শ শিক্ষক জাতিকে সুগঠিত করতে সহায়তা করে। কিন্তু যেভাবে বর্ণনা দিয়েছেন তা ব্যথিত করল। আরো ব্যথিত করল যে, অভিভাবকরা এখনো অধ্যক্ষা বরাবর অভিযোগ করতে পরামর্শ দিল ও এই বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের খারাপ আচরণে অভ্যস্ত!
অভিযোগ অবশ্যই করা উচিত তবে সেই সাথে TC নিয়ে ফেলাই সবার উত্তম। TC না নিয়ে বাচ্চাদের এই রকম বেয়াদব শিক্ষকদের শিক্ষা গ্রহণ করা একদম অনুচিত। বাকি অভিভাবকেরা যদি এই কাজ গণহারে করে থাকেন। এটাও এক ধরণের প্রতিবাদের মতই হবে। ভুক্তভোগীরা কেনো এখনো এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরে আছে বোধগম্য হল না।

জীবনে শিক্ষকের আঘাত সহ্য করেছি। ছাত্রদের প্রতি দুর্ব্যবহারও দেখেছি কিন্তু তা পড়াশুনা কেন্দ্রিক। সেগুলো অবশ্য ক্ষেত্রবিশেষে সঠিক ছিল না। তাই বলে অভিভাবকদের সাথে তারা যথেষ্টই ভদ্র ছিল।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৭

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। অনেক সুন্দর করে যুক্তিকে উপস্থাপনা করেছেন। আমি কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ নেয় সেটা দেখার অপেক্ষায় আছি।

সব বাচ্চাকে ঘরে পড়ানো সম্ভব। কিন্তু স্কুলে পাঠানো হয় একটা সিস্টেমের মধ্যে বড় হয়ে ওঠার জন্য, সবার সাথে মেশার মানসিক দক্ষতার সাথে জ্ঞান অর্জনের জন্য, উনারা নিজেদেরকে বাদশাহ আলমগীরের শিক্ষক মনে করে কিন্তু ছাত্রদেরকে সন্তানতুল্য হিসেবে ভাবতে পারে না। একেকটা ক্লাসের 70 থেকে 80 জন স্টুডেন্ট ; 45 মিনিটের ক্লাসে ওনারা কতটুকু শিক্ষা দিতে পারেন, প্রতিটা বাচ্চাকে অ্যাড্রেস করার সময়টাও পান না--- অভিবাবকরা তাই উনাদের পিছনে দৌড়াতে বাধ্য হয়; এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ওনারা নীতি-নৈতিকতা আদর্শকে বাদ দিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন।

৪২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১০

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আইডিয়াল স্কুল ও কলেজের শিক্ষকদের এমন আচরন ও মানসিকতার বহি:প্রকাশ দেখে
আমি মর্মাহত ।

.......................................................................................................................
দুর্ঘটনার বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা না করে , উল্টো দুর্ব্যবহার প্রমান করে যে, উনারা জ্ঞানপাপী ।
সাধারনত বাচ্চার শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ ভেবে কোন অভিভাবক এসব ঘটনার প্রতিকার না চেয়ে
অন্যায়কে মেনে নেয় । ব্যতিক্রম আপনি ।
ঘটনার বিচার ও সমাধান চাইতে হলে আপনাকেও এর মুল্য দিতে হবে যা আমরা আমাদের এই
সমাজে দিয়ে থাকি । ঘটনা অনেক দুর গড়িয়েছে তাও সমাধান হয়নি ।
অতএব ভেবে দেখুন , সমাজের এই অনাচার প্রতিরোধ করতে জেহাদ করবেন নাকি বাচ্চার লেখাপড়া চালায়ে
যাবার স্বার্থে মেনে নিবেন ।
যদি অন্যায় প্রতিকার চান , তাহলে এই দুর্ঘটনার জন্য প্রথমেই থানায় জি.ডি করা উচিৎ ছিলো,
অতপর সংশোধন না হলে উকিল নোটিশ দিয়ে সতর্ক করতে পারতেন, এরপরও শিক্ষা বা
সংশোধন না হলে মানবাধিকার আদালতে সাক্ষ্য প্রমানসহ "এই অধিকার " আদায়ের মামলা করতে পারেন ।
তবে এতসবের পর হয়তো তাদের টনক নড়বে, কিন্ত আপনার সন্তানের ঐ স্কুলে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাবে ।
........................................................................................................................................
আমার ব্যক্তিগত মতামত : যে স্কুলের শিক্ষকরা সন্তানের সার্বিক মঙ্গল চিন্তা করেনা
সে স্কুলের শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে দেশের জন্যও সুফল বয়ে আনবে না ।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৬

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার পরামর্শ ও বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য।

দেখুন আমরা একটা ক্ষয়ে যাওয়া সমাজে বসবাস করি ; ন্যায় কথা বলা, কিংবা অধিকার আদায় করার সাথে সুশাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়! আর নাগরিক হিসাবে প্রাথমিকভাবে আপনাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শরণাপন্ন হতে হয়, যদি ওই বাহিনীতে আপনার আত্মীয়-স্বজন থাকে তাহলে আপনি যে সুবিধা পাবেন, অন্যদের ক্ষেত্রে সেটা ব্যতিক্রম হবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

যে স্কুলের অভিভাবক প্রতিনিধি সাথে আলাপ করে কোন সুরাহা করতে পারেনি, অর্থাৎ তিনি বিষয়টি দেখবে বল অদ্যাবধি কোনো উত্তর দেননি, তারা আমাদের অভিভাবকের প্রতিনিধিত্ব করেন নাকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধিত্ব করেন সহজে অনুমেয়।

আমি অন্য অভিভাবকদের মত হার মেনে ওই স্কুলে বাচ্চা পড়াবো না,

শ্রদ্ধাভাজন ব্লগার জুন আপার মন্তব্য করেছেন এই স্কুলের না পড়েও ওনার সন্তান বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আউটস্ট্যান্ডিং রেজাল্ট করেছেন, এটা আমার জন্য এক ধরনের অনুপ্রেরণা

আমার সন্তানসহ চারটি ঘটনার রেফারেন্স এর বর্ণনায় দেয়া আছে! কর্তৃপক্ষের সৎ সাহস থাকলে--সংবাদ সম্মেলন করে ঐ চারজনকে মুখোমুখি করা হোক -কারণ অভিভাবকরা একা ওদের সাথে কথা বলতে ভয় পায়। তাই কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন থাকবে, মুক্ত মাঠে সবার সাথে আলোচনা করা হোক। সার্বিক বিষয়ে অবগত হয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুন্দর শিক্ষার পরিবেশ উপহার দিন।

৪৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৫০

জিকোব্লগ বলেছেন:



এখানে অনেকেই মনে করছেন , আপনার ছেলের ঐ স্কুলে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাবে।
এটা হতে পারে কেবল একটি কারণে 'যদি আপনি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন'।

আর আপনি যদি বিশ্বাস করেন, যার সমস্যা সেই স্কুল থেকে বের হবে, তাহলে
দেখবেন ঐ অভিযুক্ত অসৎ শিক্ষকদেরই বহিঃষ্কার হতে হচ্ছে, আপনার ছেলের না।

অসৎ এর কাছে হার সৎ কখনোই হার মানতে পারে না। আপনি সৎ সাহসী হয়ে
এগিয়ে গেলেই সৎ সাহসীদের সঙ্গী হিসেবেই পাবেন।

কিন্তু আপনার ছেলের যদি ঐ স্কুলে যেতে একেবারেই মন না চায় ,
তাহলে স্কুল বদলানো-ই ভালো। এটা ছেলের মানসিক বিকাশের
জন্য দরকার।

আপনার ও আপনার ছেলের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৫৬

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুন্দর পরামর্শের জন্য।

আপনি বলেছেনঃ আর আপনি যদি বিশ্বাস করেন, যার সমস্যা সেই স্কুল থেকে বের হবে, তাহলে
দেখবেন ঐ অভিযুক্ত অসৎ শিক্ষকদেরই বহিঃষ্কার হতে হচ্ছে, আপনার ছেলের না।


___এই শাহাদাত হোসেন অথবা সমাজ বিজ্ঞানের মহিলা টিচাররা অনেক অদৃশ্য ক্ষমতার অধিকারী, এজন্যই উনারা এরকম আচরণ করেও দাপটের সাথে টিকে আছেন। আমার ছেলের ঘটনার পরে ০১-০৯-২০২২ তারিখেও একজন ছাত্রকে ক্লাসে স্কেল দিয়ে মেরেছ, বাচ্চাদের যে পিটানো যায়না সেই বিষয়ে আপনি আমাকে একটা নীতিমালা দিয়েছেন, এটা আমি নতুন জানলেও উনারা কিন্তু এটা আগেই জানেন? তারপরও এরকম আচরণ করে যাচ্ছেন!

যে টিচার ক্লাসরুম মানেজমেন্ট জানেনা , শিক্ষা নীতিমালা অনুসরণ করে না, ছাত্রদের সাথে সন্তান সুলভ আচরণ করতে পারে না, ছোট বাচ্চাদের সাইকোলজি বোঝার চেষ্টাও করে না, তাদের কাছে আমি আর কি আশা করতে পারি

---আমার কানে একটা শব্দ এখনও বারবার ভেসে আসে --আমার সন্তানের সেই কথাটা "বাবা আমি বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করলেও কেউ এগিয়ে আসেনি!! অথচ আমি জানতে পেরেছি! এই শাহাদাত হোসেন- ই স্কুল ছুটির সময় সিঁড়ির সামনে অবস্থান করে বাচ্চাদের নামা পরিদর্শন করার দায়িত্বে থাকেন!?

আমাদের দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আইনের অনুশাসন এর বিষয়ে আপনার অবশ্যই ধারনা আছে, সাধারণ মানুষের নাগরিক অধিকার তথা আইনি সহায়তার পাওয়ার অধিকার খুবই দুর্বল। আর আইনগত মামলার বিষয়ে তো দীর্ঘসূত্রিতায় অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

আপনি একটু গুগল করলেই খুঁজে বের করতে পারবেন --এই স্কুলের সকল দুর্নীতির তথ্য।

আপনার প্রতি অনেক শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাই ---আমার এই বিষয়টাকে গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য ও সদয় সহানুভূতি ও সমবেদনা জন্য।

সকল জুলুম ও অন্যায় অসহায় মানুষ সহ্য করলেও একসময় স্রষ্টাও প্রতিশোধ নেয়া শুরু করেন -যেটা আমরা প্যানডেমিক সিচুয়েশনে দেখেছি -অনেক শক্তিশালী ক্ষমতাধর ব্যক্তিরাও এই ধুলোর ধরায় মিশে গেছেন! অর্থ, ক্ষমতা, যশ প্রতিপত্তি কোনটাই কাজে লাগাতে পারেননি।

আপনিও ভালো থাকুন । আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

৪৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৪

মরুভূমির বেদুইন বলেছেন: দুঃখজনক ঘটনা ! দ্রুত এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৪

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে সদয় পরামর্শের জন্য।

৪৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৯

শোভ বলেছেন: ঘটনাটা দুঃখজনক , এবার আমি আসল কথায় আসি , আইডিয়ালে কোন লেখা পড়া হ্য় না এখানে শুধু কচিং বানিজ্য ।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৬

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

৪৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৫২

জীবন চৌধুরী ২০১২ বলেছেন: https://www.prothomalo.com/

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৯

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: প্রিয় ব্লগার আপনার প্রথম আলোর লিংকে গিয়ে কী খুঁজবো-বুজতে পারছি না, কোন বিষয়টি দেখার জন্য লিংকটি দিয়েছেন, একটু খোলাসা করে বললে ভালো হতো⁉️

৪৭| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৫৫

অপ্‌সরা বলেছেন: আর কোনো আপডেট হয়েছে?

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪৯

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: দেশের সুনামধন্য স্কুলের সম্প্রতি আরেকটি ঘটনা, [|হলিক্রস এর শিক্ষার্থীর করুণ মৃত্যু কি মেনে নেয়া যায়⁉️ ]
view this link

আপু দেশের বাহিরে থাকেন বিধায় সকল আইন-কানুন মেনে চলেন ও আইনানুগ বিচার পাওয়ার অধিকার রাখেন; আর এ দেশে আমাদের কোনটাই নেই! সব যাতনার অবসান হয়তো উপর থেকেই বর্ষিত হবে, ভোগ করবো কাতরে-কাতারে ; পাপী-তাপী, সৎ কিংবা লোভী ; অনুশোচনাও দায়ভার তখন সকলেই

৪৮| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৫৪

অপ্‌সরা বলেছেন: ভাইয়া আমি দেশের ভেতরেই থাকি তবে আমাদের স্কুল বাচ্চাদের সেফটির ব্যপারে সর্বদা সাবধানী।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৫

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: আপু, আমি শুধু ব্লগার শায়মা আপুকে জানি, উনি বারিধারায় একটা নামকরা স্কুলে শিক্ষকতা করেন! আপনিও কি তাই⁉️

৪৯| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৯

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা হ্যাঁ আমি আর সে টুইন বইনভাইয়া। :P

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১০

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: মানে কি⁉️ আপনি এখন ঐ আইডিতে লিখেন না???!!!!!???

৫০| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:৫২

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া
বাবুটা কেমন আছে?
কোন স্কুলে পড়ছে এখন?

অপ্সরা আর শায়মা দুইটাই আমি ভাইয়া। কখনও কখনও আমি অপ্সরাতে লিখি।
বেশিভাগ সময় শায়মা দিয়ে লিখি।

১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৪

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পুনরায় খোঁজ নেয়ার জন্য! আমার ছেলে এখন গভমেন্টের ল্যাবরেটরি হাই স্কুল,
ঢাকা-তে পড়াশোনা করছে, ওই ঘটনার পরে ডাক্তার দেখিয়েছিলাম, এখনো মানুষের হুড়োহুড়ি বা জটলা/ভীড় আতঙ্কে ভুগে! দোয়া করবেন,

সম্প্রতি আইডিয়াল স্কুল নিয়ে একটা বড়ো কেলেঙ্কারি রিপোর্ট হয়েছে নিশ্চয়ই দেখেছেন, ওখানকার বর্তমান প্রিন্সিপাল মহিলা ইনিও এরকম অনৈতিক কাজে সহযোগিতা করেছেন, রাষ্ট্রযন্ত্র এগুলো দেখেও নিরব,,এত বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও যদি মেয়েরা নিরাপদ না থাকে ! তাহলে অভিবাবকরা কোথায় যাবে, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় এমনি ধ্বংসের পথে, তারপর এসব কর্মকাণ্ড প্রতিনিয়ত হতবাক হচ্ছি,

আপনাকে বিশেষ ধন্যবাদ, অনেক খোঁজখবর নিয়েছেন পরামর্শ দিয়েছেন, আপনিও ভালো থাকুন,

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.