নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমরাই গড়তে পারি একটি সুন্দর পৃথিবী যদি না আমরা ইচ্ছা করি।

নাজমুস সাকিব অর্ক

নাজমুস সাকিব অর্ক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতীয়দের হাতে পাকিস্থানী পতাকা।

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৩০

ঢাকার মোহাম্মদপুর। এখন বহু বিভক্ত হয়ে ধানমন্ডি, আদাবর ইত্যাদি থানারও জন্ম দিয়েছে। ভারতে, বিশেষত ভারত নিয়ন্ত্রিত বাংলায় যেসব মুসলিম নির্যাতিত-নিপীড়িত হয়ে পূর্ব পাকিস্তানে আসতেন তাদেরকে মুহাজির (হিজরতকারী) মর্যাদা দিয়ে পাকিস্তান সরকার বসবাস করার জন্য মোহাম্মদপুর এলাকাটি বরাদ্দ দেয়। এলাকার নামকরণ করা হয় ইসলামের সর্বশেষ প্রোফেট মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নামানুসারে। দেশ ছেড়ে আসা উদ্বাস্তুদের সাথে আমাদের বন্ধন ছিল ইসলামের, সঙ্গতভাবেই এলাকার নামকরনও হওয়া উচিত ইসলামেরই তাতপর্যবাহী কিছুর নামানুসারে। সামরিক জান্তা আইয়ুব খান মোহাম্মাদপুরে ঢোকার মূল প্রবেশদ্বারের নামকরণ করেন নিজের নামে, আইয়ুব গেট। পরবর্তীতে বাংলাদেশ কায়েম হলে আইয়ুব গেটের নাম পালটিয়ে '৬৯ গন আন্দোলনে আত্মোতসর্গকারী আসাদের নাম প্রতিস্থাপিত করে আসাদ গেট করা হয়।
পূর্ব পাকিস্তানের আশপাশজুড়ে যখনই মুসলিমরা নির্যাতিত হয়েছে, হিন্দুদের আগ্রাসনের মুখে পড়েছে, জমিজমা দখল করা হয়েছে, সামাজিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে কিংবা গোহত্যার দায়ে পরিবারশুদ্ধো লোপাট করে দেয়ার মত আশঙ্কা তৈরী হয়েছে তখন নির্যাতিত মানুষ মাশরেকী পাকিস্তানে এসে আশ্রয় নিত। মুহাজিরদের সাহায্য করার জন্য বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা-সংগঠন তৈরী হয়। ধর্মীয় সংস্থাগুলোও এগিয়ে আসে। পাকিস্তানের রাষ্ট্রযন্ত্রে সেক্যুলারি ভূত চেপে বসলেও পাবলিক সেন্টিমেটকে মারাত্মকভাবে আহত করবে বিবেচনায় তারাও মুহাজিরদের লোক দেখানো খিদমতে শামিল হত অন্তত।
১৯৭১ সালে, যে আমরা, আমাদের পূর্বপুরুষরা, বিজাতীয় ষড়যন্ত্রে ভুট্টো-ইয়াহিয়ার সাথে আঁতাত করে ইসলামের নামে কায়েম হওয়া পাকিস্তান ভেঙে দিলাম, অসহায়, নির্যাতিত-নিপিড়িত মুসলিমদের আশ্রয়ের দ্বার রুদ্ধ করে দিলাম, ভারতনিবাসী মুসলিমদের বলতে শিখলাম- 'আজ থেকে তোমরা আর আমাদের ভাই নও, আমরা মুসলিম নই, আমরা বাঙালি' আমরা কিভাবে আশা করতে পারি যে তাঁরা আমাদের সমর্থন করবে? এই অসহায় মানুষগুলোর আশ্রয়স্থল পাকিস্তানকে ভেঙে দিয়েছি আমরা, কি ঠেকে পড়েছে ওদের যে পাকিস্তানের মোকাবিলায় আমাদের সমর্থন করবে? হয়ক সেটা ক্রিকেট মাঠে কিংবা রাজনীতির ময়দানে? এখনও কোলকাতার মুসলিম মহল্লাগুলোতে ১৪ই আগস্টে চান-তারার পতাকা ঝোলে কিসের টানে সেটা উপলব্ধি করার হৃদয় আমরা বিসর্জন দিয়েছি। আমরা নিজের হাতে ঐশ্বরিক বন্ধন ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করেছি। ইডেন কোনোদিন মিরপুর হবে না। কোলকাতার মুসলিমরা আমাদের ক্ষমা করে নাই। আজও মুজাফফরবাদের শহীদের রক্ত আমাদের হাতে লেগে আছে। আমরা নিপিড়িত মুসলিমদের সহায় হওয়ার গৌরব থেকে নিজেদের বঞ্ছিত করেছি। হিন্দুরা কোনোদিন আমাদের বন্ধু ছিল না, যে মুসলিমরা আমাদের কৃতজ্ঞ নয়নে দেখত, তারাও আজ ঘৃণায় থুথু দেয়। এই ঘৃণা অর্জন করেছি আমরা নিজেরা।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:০৫

দায়ী বলেছেন: মুসলিমরা যে দেশেরই হোক না কেন তারা আমাদের ভাই

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৫৩

নাজমুস সাকিব অর্ক বলেছেন: তবে আমরা চেতনার দোহাই দিয়ে নিজেরাই ধ্বংস করেছি আমাদের এই ভ্রাতৃত্ব কে।

২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:২১

বিজন রয় বলেছেন: হিন্দুরা কোনোদিন আমাদের বন্ধু ছিল না.....

যে মুসলিমরা আমাদের কৃতজ্ঞ নয়নে দেখত, তারাও আজ ঘৃণায় থুথু দেয়......

এই ঘৃণা অর্জন করেছি আমরা নিজেরা......

ধন্যবাদ, সুন্দর লেখা।
+++

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৫৫

নাজমুস সাকিব অর্ক বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৪৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ঠিক বুঝতে পারছি না আপনি ইতিহাসে একটি অংশ সচেতন ভাবেই বাদ দিলেন কিনা। ১৯৭১ সালে পাকিস্থানী বাহিনী ঢাকায় হত্যাযজ্ঞ চালানোর পর জামাতী ইসলামের নেতারা এসব মুজাহির যাদেরকে আমরা বিহারী বলে চিনি এরা ঢাকায় লুটতরাজ স হ নানা অপকর্মে জড়িতে হতে লাগলো। এমনকি বুদ্ধিজীবি হত্যাকান্ড থেকে শুরু করে যুদ্ধের পরও এরা মিরপুরে পাকিস্থানের পতাকা উড়িয়ে ই এলাকা অবরুদ্ধ করে রাখে।

ষড়যন্ত্র তত্বে বলে জ হির রায়াহানের মৃত্যু এবং লাশগুমের সাথে বিহারীদের হাত আছে।


তারপরও বাংলাদেশে বিহারীরা বেশ ভালোভাবেই টিকে আছে এবং ফখরু আমলে তাদেরকে ভোটে নিবন্ধিত হতে বললে তারা বুক ফুলিয়েই অস্বীকার করে। ভাবতে অবাক লাগে বাংলায় পড়ানো হয় বলে তারা স্কুলে যেতে চায় না এমনকি তারা উর্দুকে রাস্ট্রভাষার স্লোগান এখনও তোলে!

তারপরও তাদেরকে বাংলাদেশী নাগরিকসম অধিকার দেয়া হয়েছে তারপরও এসব কথা বলেন কিভাবে? তাদের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হত্যা লুট খুব ধর্ষন কিভাবে চেপে যান?

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০৯

নাজমুস সাকিব অর্ক বলেছেন: উদাসী স্বপ্ন@ আমি এগুলো একেবেয়ারেই চেপে যাই নি, ৭১ এবং এর পূর্বে আমাদের সাথে যত অন্যায় হয়েছে তাতে আমাদেরই আশে পাশের কোনো এক মহলের অনেক লাভ হয়েছে।
আমরা নির্যাতিত হয়ে আর পাকি রা নির্যাতন করে ট্র্যাপে পড়েছে, আল্টিমেটলি ২ দলই ট্রাপে পড়েছে। একটু গভীর ভাবে চিন্তা করলেই বুঝতে পারবেন,

আর জামাতের কথা বলছেন??? ব্যাক্তিগত ভাবে আমি তাদের কর্ম পদ্ধতিকে সাপোর্ট করি কিন্তুই তাদের কোনো নেতা যদি সত্যিই লুটতরাজ করে তবে সে অপরাধি।
সমস্যা হলো তারা স্বাধীনতার ৪০ বছরে কোনো অপরাধ করলো না, ওই ৭১ সালেই ইবলিশ হয়ে গেছিলো এই কথাটা মানতে ক্যামন জানি উদ্ভট লাগে।

৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ব্যাক্তিগত ভাবে আমি তাদের কর্ম পদ্ধতিকে সাপোর্ট করি কিন্তুই তাদের কোনো নেতা যদি সত্যিই লুটতরাজ করে তবে সে অপরাধি।
সমস্যা হলো তারা স্বাধীনতার ৪০ বছরে কোনো অপরাধ করলো না, ওই ৭১ সালেই ইবলিশ হয়ে গেছিলো এই কথাটা মানতে ক্যামন জানি উদ্ভট লাগে।


তাহলে আপনার সাথে তর্ক করাটাই ভুল হইছে আমার

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১৬

নাজমুস সাকিব অর্ক বলেছেন: তর্ক তো অপছন্দের জিনিস, আপনাকে অন্ধ ভাবি নি, অন্ধ ভাবে কোন কিছু বিশ্বাস করতেও রাজি নই আমি। ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.