নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মিলে মরিতে হইবে

জ্যাকেল

ব্যাথার প্রকাশ শুধু কান্নাতেই যে হয় তা নহে। হাসিতেও ব্যাথা লুকিয়ে থাকিতে পারে। - ! ২০০৮

জ্যাকেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষের ইতিহাস নিয়ে ভুল শিক্ষাঃ ইসলামে আদম/হাওয়া সত্য নাকি ব্লগার কালবৈশাখী\'র জানা বিবর্তন?

২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:০৭

আমার গত পোস্টে কালবৈশাখী' মন্তব্য করেছেন যেইটা আবার গেছো দাদা অন্তর থেকে গ্রহণ করে রিপোস্ট করেছেন। এইদিকে আমার সময় দিতে না পারায় বড্ড দেরি হইয়া যাইতেছে। তাই আজকে ভাবলাম পুরোটা সময় ইহাকেই দিয়ে দেই।
উনার মন্তব্য-
হোমোসেপিয়েন্সের আবির্ভাব ২-৩ লাখ বছর শেষদিকে মাত্র ১০ হাজার বছর আগে মানুষ অনেকটা সভ্য হতে সুরু করে,
ছোট ছোট সমাজ গঠন করে, টেক্সটাইল, মাদুর বোনা কাপড় বোনা পাথরাস্ত্র, আগুন জালাতে শিখে। নিমনাঙ্গে মাদুর বা কাপড় দিয়ে ঢাকে। তখনো ঈশ্বর ভাবনা আসে নি।
অনেক পর আদিম মানুষ কিছুটা সভ্য হয়ে ছোট ছোট সমাজ গঠন করে। কিন্তু একসময় গোত্রপ্রধান বা বিদ্রহী কোন নেতা প্রধান মুলত নেতৃত ও শৃক্ষলা বজায় রাখতেই ঈশ্বর বা অশরিরির কিছু ভয় দেখায়। এভাবেই মুলত ঈশ্বর ভাবনা।

এরপর ছোট ছোট উপাসনা পর্বত উপাসনা সুর্য উপাসনা ইত্যাদি ধর্মের মত আবির্ভাব মানে হাজার ছোট ধর্মের ভেতরে যেগুলো টিকে গেল , সেগুলোই বড় ধর্ম হয়ে গেল।
৬ হাজার বছর আগে ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে ভারতে হিন্দুইজম, ইব্রাহিম-মুছার ইহুদিজম, ইষ্ট এশিয়াতে কনফুসিয়াসসিজম, চালু হয়। এরপর পুর্ব ভারতে বৌধ্যিজম। মধ্যপ্রাচ্যে দুহাজার বছর আগে জিসাস খ্রাইস্টের খ্রীষ্টান।
একপর আরবে ইসলাম আসে এই সেদিন। মাত্র দেড় হাজার বছর আগে।

কিছু চালাক বুদ্ধিমান নেতা ডাকাত দল গঠন করে, মরুভুমির ছোট ছোট ডাকাত দলকে ঐক্যবদ্ধ করে। ডাকাতি বা যুদ্ধের জন্য সৈন্য/সেচ্ছাসেবক সংগ্রহ করে, এসব কে যুদ্ধ বলা যায়? মরুভুমির গ্রাম থেকে বিতারিত আরেক গ্রামে আশ্রয়, চাচা মামা আত্নীয়স্বজনদের বিরুদ্ধে মারামারিকেই বিশাল ধর্মযুদ্ধ বলা হচ্ছে। তাহলে তো চরমানাই চর দখল লাঠিয়াল, আটরশীতে গদি দখলও যুদ্ধ।
এভাবেই স্বর্গ-নরকের স্বপ্ন দেখিয়ে কিছু দুর্বল মানুষকে মানুষকে দাস বানায়, ডাকাত দল তৈরি করে। স্বর্গ-নরকের স্বপ্ন দেখিয়ে ডাকাত দলের সৈনিক বানায়। ক্ষমতা কুক্ষিগত করে ।
এর আগে মিশরে তো একজন পর্বতে সরাসরি ঈশ্বররের সাথে দেখা করে। আর একজন তো ঈশ্বরকে অদৃশ্ব নিরাকার বলে পরে নিজেকে
দৃশ্বমান ঈশ্বরপুত্র দাবি করে বসে!
বিভিন্ন মহাদেশে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে তৈরি হয় ৮-১০ টি বড় ধর্ম সহ হাজার হাজার ধর্ম।
এভাবেই মুলত বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে মানব মননে ঈশ্বরের, গড, গডেসের আবির্ভাব। স্বর্গ-নরকের লোভনীয় স্বপ্ন দেখিয়ে। বা তলোয়ারের ভয় দেখিয়ে।
বর্তমানে কিছু বান্দা আধুনিক বিজ্ঞান বর্ননা করে ব্লাক হোলের ভয় দেখিয়েও .. ধর্ম টিকিয়ে রাখছে।
অতচ মানবকুল আবির্ভাব পরবর্তি কালের ৯৯.৯% সময় ঈশ্বর বিহীন ধর্ম বিহীন জঙ্গলে গুহায় কাটিয়ে গেছে।



আমি উনার প্রশ্নের খন্ড খন্ড করে বিশ্লেষণ করে উত্তর দিতে পারি। কিন্তু ব্লগে এইসকল জিনিস এত বেশিবার আলোচনা হইয়াছে যে আমি যদি উত্তর দেই তাহা হইলে বিশেষ লাভ হইবে না। বরং আমি অন্য কাজ করি- যে জিনিস জানি (ও জানার প্রচেষ্টায় আছি) সেইটা উনাকে সহ যারা বিবর্তনে মানব জাতির জন্ম হইয়াছে বলিয়া বিশ্বাস করেন তাহাদের নিমিত্তে পেশ করি।

আল্লাহ মহাবিশ্ব/মহাশুন্য, পৃথিবী, চাঁদ, তারকা/সুর্য তৈরি করেছেন। কেন করেছেন তার সঠিক উত্তর উনি'ই জানেন। তবে এটা জানা আছে আল্লাহ পৃথিবীতে তার খলিফা/প্রতিনিধি নিযুক্ত করতে চান। কেন?

১। তারা যেকোন অবস্থায় আল্লাহর গোলামী করবে। সিচুয়েশন অনুযায়ী আল্লাহ যেভাবে আচরণ করতে বলবেন সেইভাবে আচরণ করবে।

২। যেন তারা শান্তি স্থাপন করে।

৩। যেন তারা জ্ঞানের চর্চা করে নিজেদের আরো উন্নত করতে পারে।

৪। পৃথিবীকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে।

আরো কারণ থাকার কথা তবে পোস্ট লিখনের সময় যা মনে করতে পেরেছি তাহাই উল্লেখ করিলাম। উপরের কারনসমুহের ফলাফল হইল আল্লাহ মানব তথা বনী আদম সৃষ্টি করিলেন।

উল্লেখ্য উপরের ২ নং পয়েন্ট (এই কারণেই ইসলাম, ইসলাম শব্দের অর্থই হইতেছে শান্তি। ইহা ইসলাম ধর্মের লেবাস লাগানো লোকেরা ভুলে যায়।)

আমাদের মষ্তিষ্ক এবং বিবেক দেওয়া হইয়াছে যাহাতে আসলে মহান স্রস্টারই একটা মাইক্রো ভার্সনই লুক্কায়িত আছে।(এই কারণে মানুষ ক্রিয়েটিভিট এক্টিভিটি করতে পারে)
এখন, কেন দেওয়া হইয়াছে? আমার মনে হচ্ছে উনি(গড) চান মানুষ যেন পৃথিবীকে সুন্দর করে তুলে। (পারলে স্বর্গের মত করে সুন্দর করুক।)

আমি আমার আকল তথা কমন সেন্স এর জ্ঞানকে অবজ্ঞা করি না। আমার কেন পৃথিবীর যেকোন মানুষেরই উচিত আকল'কে মানা যতক্ষণ না কনফ্লিক্ট হয়, ফাসাদ শুরু হয়।

এই কমন সেন্স হইতে বলি- মানুষের শুরুর বিষয়ে বিবর্তনের ব্যাপারটা সত্য হইলে অন্তত মানুষ প্রজাতির কাছাকাছি আরো প্রজাতি থাকার কথা। যেমন- পাখির হাজারো প্রজাতি আছে।যেমন কাক, শকুন, কোকিল, চড়ুই, টুনটুনি, হাড়গিলা, বক, বালিহাস, রাজ হাস, পাতিহাস, মুরগী, মোরগ এমনকি বাজপাখি এবং ঈগল। মানুষ বিবর্তনের ফসল হইলে, এই মানুষের মধ্যে বিস্তর তফাৎ থাকার কথা। কোন কোন মানুষের প্রজাতের মইধ্যে লেজ থাকার কথা, শিং থাকার কথা কিংবা হাতির মত শূড় থাকার কথা।
এদিকে বানর, হনুমান, শিম্পাঞ্জি, গরিলা ইহারা সকলেই প্রাকৃতিক নির্বাচনের ভিন্ন ভিন্ন সংস্করণ। কিন্তু মানব/প্রাইমেটস এর অন্তর্গত আর কোন প্রাণি পাওয়া যাচ্ছে না যাহারা -

* ক্রিয়েটিভ কাজ করতে পারে
* কথা বলিতে পারে
* হাতের তালু ও বৃদ্ধাংগুলি ব্যবহার করিতে পারে
* দয়া, মায়া, নিষ্টুরতা, যৌনতা, আকাংখা, লোভ, আক্রোশ, হিংসা, ঘৃণা, পরোপকার, রাগ, ধৈর্য, সাহস, ধৃষ্টতা, ভিরুত্ব, কাপূরুষতা সহ অগনিত গুণাবলী পাওয়া যাইতেছে।
* শিল্প/আর্ট তৈরি করতে পারে

অতএব, কমন সেন্স হইতে প্রশ্ন জাগে-
উপরোক্ত কাজ/বৈশিষ্ট মানুষ ব্যতীত আর কোথাও পাওয়া যায় না। অথচ দেখেন-
পাখি জাতের মইধ্যে সহস্র জাত হইতে পারে, এবং সবার মধ্যে আকার/উপস্থিতির মধ্যে বিস্তর তফাৎ হইলেও আচরণ সকলের সমান।
কুকুরের কাছাকাছি শেয়াল, হায়েনা সকলেই টিকিয়া আছে, আচরণেও তেমন দুরত্ব নাই। বাঘের মইধ্যে চিতা বাঘ, বেংগল, সুমাত্রা, বালি, মেছো বাঘ প্রথ্যেকেই টিকিয়া আছে যারা অতিশয় নৃশংস। অপেক্ষাকৃত কম/অ নৃশংস জন্তুর গরিলা, শিম্পাঞ্জি, বানর, হনুমানও টিকে আছে যাহাদের মইধ্যে বিবর্তন টুকটাক আচরণ আনতে পেরেছে। যেমন কাপড় কাচার ঘটনা, সুন্দরী মহিলার প্রতি আকৃষ্ট হওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি।
কিন্তু মানুষ জাত এমনই এক জাত যে অন্য কোন প্রজাতির সাথে মেলে না। বরং মানুষের কাছাকাছি কোন জাতও নাই।
পৃথিবীর বয়স তো কম হইল না, তাহা হইলে এই অবস্থা কেন?
বিবর্তন সত্য ইহা অস্বীকার করা অসম্ভব। প্রতি দিনে যদি একটা করোনাভাইরাস তার মিউটেশন প্রক্রিয়ায় নিজেকে টিকিয়া রাখতে পারে তাহইলে দেখেন অন্য কোন প্রাইমেটস যেমন গরিলা বা শিম্পাঞ্জির কাছাকাছি কেন কোন প্রাণি নাই যারা মানুষের মত গুণ ধারণ করতে পারে?
আস্ক ইউর কমন সেন্স/(আকল), ওয়াঈ?
পৃথিবীর বুকে যত প্রাণি আছে সকলের মধ্যে তিনটা জিনিসই মুখ্য (ক্ষেত্রবিশেষে দুই)।
১। খাবার
২। যৌনতা
৩। বাসা/গর্ত/থাকার জায়গা

একমাত্র মানুষই এই তিনটা জিনিস থেকে অনেক বেশি জিনিস নিয়ে দিন যাপন করেন। কেন??

উত্তর একটাই আসিবে আর সেইটা হইতেছে খোদার প্রতিনিধি। আল্লাহ আমাদেরকে সিলেক্ট করেছেন অন্য সব পশু বাদ দিয়ে, তাই অন্য পশুর মইধ্যে বিশেষ কিছু করিবার উপায় দেন নি।
পৃথিবীর অন্য সব প্রাণির নিরাপত্তা দান করিবার দায় তাই মানুষের ওপর বর্তায়, এমনকি একটা পিঁপড়াও যেন মানুষ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেইটা খেয়াল রাখা মানুষের কাজ। (বরং পারলে তাদের উপকার করা উচিত।)
অভুক্ত প্রাণি/কুকুর ইত্যাদি যদি মানুষের আশেপাশে থাকে তাহা হইলে মানুষের কর্তব্য হইয়া পড়ে উহাকে আহার দেওয়ার। কারন ওই একটাই- খোদা আমাদের বিবেক, মগজ দিয়েছেন এর সাথে এইসকল দ্বায়িত্ব দিয়েছেন।

কুরআনের কোথাও বিবর্তনের বিপক্ষে বলা হয়নি, বরং ক্রমাগত পরিবর্তন, উন্নতিসাধন এইগুলো কোরআনেই আছে। এমনকি প্রাণ উৎপত্তির ব্যাপারটি কোরআন প্রচলিত বিজ্ঞানের আগেই বলে ফেলেছে।
মহাবিশ্বের সকল গ্রহ উপগ্রহ, নক্ষত্র/ইত্যাদি যে গতিশীল সেইটা কোরআনে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে। এমন নয় যে বিজ্ঞান উদ্ভাবন করেছে আর কোরআন কপি করে ফেলেছে। বরং হাজার বছর আগেই সেইটা কোরআনে মেনশন করা হইয়াছিল।
এমন সব ফ্যাক্ট কোরআনে আছে যা সায়েন্স দ্বারা স্বীকৃত হোক না হোক তাতে কুরআন'এর কিছু আসে যায় না। তাতে বিজ্ঞান মনস্ক ব্যক্তিগণ কেয়ার না করতে পারেন কিন্তু সত্য জানতে আগ্রহী যেকোন আত্মার জন্য কোরআন কাজের জিনিস।

যাইহউক- আমি উপরের ভুল ইতিহাসের বিপক্ষে সত্য ইতিহাস তুলে ধরছি।

পুরো পৃথিবী ছিল মরুভুমি আর জংগল। মোটামুটি ছয় হাজার বছর আগে আদম ও হাওয়া আলাইহিওয়াসালাম'কে পৃথিবিতে পুনঃ প্রেরণ করা হয়েছিল যাতে তারা মানুষ জাতের সূচনা করতে পারেন।উল্লেখ্য যে, সাথে ইবলিশ নামক শয়তানকেও পাঠানো হয় (প্যাক্ট)। যার কাজ মানুষের অন্তরে নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি দৃষ্টি পাইয়ে দেওয়া।
শুরুতে, জোড়ায় জোড়ায় আল্লাহ আদম ও হাওয়া (আঃ) কে সন্তান দান করেন যারা এক জোড়া ভাই অন্য জোড়ার বোনকে বিবাহ করতেন। ইসলামের প্রথম নবী হিসেবে আদম আঃকে সম্মান দেওয়া হয়েছে। এইভাবে প্রথম প্রজন্ম শেষ হইলে আল্লাহ কাজিন বিবাহ করতে নির্দেশনা দিলেন, তারপর পরিবার ভিত্তিক আলাদা হইয়া এক পরিবার থেকে আরেক পরিবারের পুরুষ ও মহিলার মইধ্যে বিবাহ করার নির্দেশ দিলেন। পরিবারের/গোত্রের যুবকেরা দল বেঁধে বনে গিয়ে হরিণ ইত্যাদি শিকার করে প্রোটিনের চাহিদা মিটাতে লাগল। সমতলের সুবিধাজনক জায়গায়, গাছের মইধ্যে ঘর বানানো শুরু করল, কিছু মানুষ গুহায় বসবাস করতে থাকল। যার যেইটা সুবিধা। আবার জংগল কেটে কেটে আবাদ শুরু করল, একে অন্যের সাথে কৃষি পণ্য বিনিময় শুরু করল, পুরোদমে সূচনা হয়ে গেল মানব জাতির।
এদিকে প্রতিটি মানুষকেই শয়তান টার্গেট করে মানুষকে উল্টা পথে নিতে। তাই তাকে সে প্ররোচিত করে ক্ষিপ্ত হতে, বেয়াদবি, অহংকার করতে, একে অন্যের তুলনায় উচ্চতর ভাবতে, সত্য ও সুন্দরকে স্বার্থের বিনিময়ে পরিহার করতে।
আপাত দৃষ্টিতে দেখলে শয়তানকে সফল বলেই দেখা যাবে। কিন্তু মানুষকে আল্লাহ ক্ষমা করেন, যারা শয়তানের পথ থেকে ফিরে আসে। এই সহজ সমীকরণই শয়তানকে পরাজিত করে।
মানুষ আল্লাহর দান করা মগজ ব্যবহার করে যন্ত্র ব্যবহার করা শুরু করে, নানান পদ্ধতি বের করে খাদ্য বস্ত্র ও ঘর উন্নত করে। কবিতা ও সাহিত্য রচনা, ছবি আঁকা, ভাস্কর্য নির্মাণ সবই উন্নত মষ্তিষ্কের ফসল। শিল্প ও প্রযুক্তি এসে যায় এই মস্তিষ্কের কারণেই। মানুষ মহা উন্নত বিল্ডিং নির্মাণ করে ভাবতে শুরু করে আমার উপরে কেউ নেই। শয়তানই মানুষের এইসকল ভাবনা এনে দেওয়ার চেস্টা করে। মস্তিষ্কের মধ্যে সে ভাইরাস ঢুকিয়ে দেয়, এমনকি কোন কোন মানুষের মস্তিষ্ক বিকৃত হয়ে যায়। আর এই সকল কারণেই আল্লাহ যুগে যুগে নবী পাঠাতে শুরু করেন। মানুষ গাফেল হয়ে যায় বারবার তাই নবীও পাঠাতে হয় বারংবার।
যেমন লুত আঃ কে পাঠানো হয়েছিল এমন এক জাতির জন্য যারা পুরুষে পুরুষে সেক্স করত। এটা মানুষের অন্যতম একটি দিক যে সে পর নারীর প্রতি আকৃষ্ট হবে। কিন্তু আল্লাহর বিধান যাতে মানুষ অমান্য করে সেই জন্য শয়তান কিছু লোক নিয়োগ দেয় যারা গে-সেক্স ধারণার সূচনা করে। সে এ কাজে ব্যবহার করে মানুষের মস্তকের একটি অংশ। গে-সেক্স হইল বিকৃত মস্তকের এক ফসল। চুরি করা যেমন খারাপ, লোভ করা যেমন খারাপ এই জিনিসটাও খারাপ। এই সহজ ব্যাপারে মানুষকে বিভ্রান্ত করে শয়তান।
আল্লাহ নুহ আঃকে পাঠালেন; দাউদ, মুসা, ঈসা নবী আঃকে পাঠালেন কিন্তু তাদের অনুসারীগণ শয়তান কর্তৃক বিভ্রান্ত হইয়া খোদার পাঠানো বাণী বিকৃত করে ফেলল। তাদেরকে শেষ নবীর কথা আল্লাহ বলেছিলেন, তাদের কিতাবে এখনো উল্লেখ আছে শেষ নবীর কথা। কিন্তু ঈসা আঃ এর বাণী বিকৃত করে রোমানরা খ্রিস্ট ধর্ম বলে নতুন এক ধর্ম শুরু করল।
আর বনী ইসরাঈলের জন্য আল্লাহ যে সকল সুবিধা দিয়েছিলেন তারা নিজেদের অহং থেকে ইসলাম ধর্মের পথ থেকে সরে গিয়ে ইহুদি ধর্ম শুরু করে দিল। তাদেরকে তাওরাত দেওয়া হয়েছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে, তারা ইহা বিকৃত করে নিজেদের মত করে এটা সেটা যোগ বিয়োগ করেছে।
যাইহোক, ঈসা আঃকে আল্লাহ শেষ নবীর ব্যাপারে বলতে বলেছিলেন, তিনি বলেছিলেনও। এখনো ঈভেঞ্জেলিক্যাল বাইবেল/সোসাইটি আছে যাদের মধ্যে নুন্যতম ঈঞ্জিল কিতাবের ছোঁয়া আছে। আপনারা খোঁজ নিতে পারেন।
এইভাবেই মানব সভ্যতা বিকশিত হইয়াছে। পুরো সময়টা জুরেই ইসলাম ও অন্যান্য ধর্ম সভ্যতা বিকাশের অন্যতম প্রধান ভিত্তি ছিল। ইসলামের সূচনা মূলত মানব সভ্যতার সূচনা। এই সহজ বিষয়টা বুঝতে পারলেই মানব মনের অজানা প্রশ্নের উত্তরগুলো পাবার রাস্তা খুলে যাবে।

মন্তব্য ৩৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৩৫

অপু তানভীর বলেছেন: নামের বিকৃতি যে কোন সুস্থ আলোচনার পথ বন্ধ করে দেয় । আপনার কাছে অনুরোধ থাকবে যে ব্লগার হাসান কালবৈশাখী সাহেবের নাম সঠিক ভাবে লিখুন । এরপর আলোচনা হতে পারে !

২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:২৬

জ্যাকেল বলেছেন: ইসলামের সাথে কনফ্লিক্ট রেখে সুস্থ জীবন যাপন করা সম্ভব না। যেমন সম্ভব না ৭১ সালে পরাজিত হানাদার বাহিনীকে সম্মান দেওয়া একই সাথে মুক্তিযুদ্ধাদের সম্মান দেওয়া। এই জায়গায় একজন বাংলাদেশি স্বভাবতই মুক্তিযুদ্ধাদের পক্ষ অবলম্বন করবে।
সেইম একজন লোক বিবর্তন হইতে মানব জাতির উদ্ভব হয়েছে ভার্সাস আদম/হাওয়া কর্তৃক হয়েছে দুইটার মধ্যে কনফ্লিক্ট পাইলে কোনটার দিকে যাবে? সেই জিনিস নিয়া আমি কিছু আলোচনা করিতে চাই। এই পোস্টে শুধু ভাসা ভাসা ধারণা দেওয়া হইতেছে।

২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্মের কচকচামি ভালো লাগে না। বিরক্ত ধরে গেছে।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৩৮

জ্যাকেল বলেছেন: শুনেন, একজন মুসলমানের বৈশিষ্ট্য-
১। আল্লাহ এর গোলামী করা।
২। পিতামাতার সাথে সঠিক আচরণ।
৩। অসহায়/গরিব/এতিম মানুষের সাথে সঠিক আচরণ।
৪। মিসকিনদের সাথে সঠিক আচরণ।
৫। মানুষের সাথে ভাল আচরণ করবে। সে যেকোন ধর্ম বিশ্বাসী কিংবা অবিশ্বাসী হোক, তার সাথে ভাল আচরণ করতে হইবে।
৬। সালাত কায়েম।
৭। জাকাত প্রদান।

আর একজন ঈমানদারের বৈশিষ্ট হইতেছে সে মার্জিত ভাষায় কথা বলবে। গালিগালাজ করবে না। রাগ আসলে সে হুশিয়ার থাকবে যে এইটা শয়তানের পক্ষ হইতে তাই নিজেকে নিবৃত্ত করে নিবে।

৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৫৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আব্রাহামিক ধর্মে বিশ্বাসীরা আদম হাওয়ায় বিশ্বাস করে। আর বাকিরা আদম হাওয়ায় বিশ্বাস করে না।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৪৮

জ্যাকেল বলেছেন: ইব্রাহিম আঃ মুসলিম জাতির পিতা উপাধি দেওয়া হইয়াছে। মুসলমান মানে অনুগত। মুসা আঃ কে বনী ইসরাঈল গোত্রের নিকট পাঠানো হইয়াছিল। উনিও মুসলিম ছিলেন, ঈসা আঃ কেও বনী ইসরাঈল গোত্রে ও আশেপাশে পাঠানো হইয়াছিল কিন্তু শয়তান মানুষকে বিভ্রান্ত করে যথাক্রমে ইয়াহুদী ও খ্রিস্ট ধর্ম তৈরি করেছে। যেহেতু ইব্রাহিম আঃ এর সাথে লিংক আছে তাই আব্রাহামিক ধর্ম বলা হইতেছে। আসলে একাডেমিক পড়াশোনার জন্য এইভাবে নামকরণ করা হইয়াছে।
আর আদম ও হাওয়া আঃ নিয়ে অন্যান্য কিছু ধর্মেও বিবরণ পাওয়া যায় যেমন মনু বলে প্রথম মানব পরিচয় দেওয়া হয় পুরানে(শোনা কথা)

এখন কে কি বিশ্বাস করল, মানল, এইটার ওপর ডিপেন্ড করে নিজের ভবিষ্যৎ এর বারোটা বাজানো ছাড়া আর কি হইবে? স্বয়ং আল্লাহ যদি অবিকৃত কোরআন আমাদের জন্য দেন এর চেয়ে বড় অপরচুনিটি কি হইতে পারে জানার জন্য?

৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৪৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: দুনিয়ায় প্রায় সকল প্রচলিত ধর্ম মতেই আদম-হাওয়া থেকে মানুষের সৃষ্টি হয়েছে তবে বর্তমান যামানার অতি আধুনিক কিছু মানুষ তা মানতে না চেয়ে বা সৃষ্টিকর্তাকে অস্বীকার করে বিবর্তনের মাধ্যমে (বানর বা প্রাইমেট জাতীয় প্রাণী থেকে ) তৈরী হয়েছে বলে দাবী করে।
এখন যেখানে স্রষ্টা মানুষকে সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ হিসাবে আখ্যায়িত করে তাকে সম্মানীত করেছেন সেখানে অতি ;) বুদ্ধিমানরা স্রষ্টাকে অস্বীকার করে বানরের বংশ হিসাবে ভেবে আনন্দিত হয়। খারাপ না ভাই, কি বলেন?

২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:০৬

জ্যাকেল বলেছেন:

হাঃহাঃহাঃ এই জিনিসটা উনাদের মাথায় ঢুকবে না, কারণ তারা নিজেদের অন্তরকে সীলগালা করে রেখেছে। উনারা কমন সেন্স এর চেয়ে অন্য সেন্স দ্বারা বেশি প্রভাবিত হয়ে গেছে। স্বয়ং নবীজী এই সীল করা অন্তরকে খুলতে ব্যর্থ হয়েছিলেন সেখানে আমরা তো কিছুই না।

৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:১৬

বিটপি বলেছেন: মাত্র ছয় হাজার বছরে মানবজাতির এত বিস্তৃতি কোনক্রমেই সম্ভব না। খ্রীস্টপূর্ব দুই হাজার সাল মানে এখন থেকে চার হাজার বছর আগে ছিল মুসা (আ) তথা ফেরাউনের সময়কাল। তারও দুই হাজার বছর পূর্বে ছিল ইবরাহীম (আ) এর সময়কাল। তারও অন্তত চার হাজার বছর পূর্বে ছিল নূহ (আ) এর সময় কাল। নূহ (আ) বেঁচেছিলেন নয়শত চল্লিশ বছর। তার মানে তার ২৪ তম উর্ধ পুরুষ আদম (আ) পর্যন্ত যেতে আরো কমপক্ষে দুই হাজার বছর প্রয়োজন। আদম (আ) কত বছর বেঁচেছিলেন আর কোন বয়েসে পৃথিবীতে এসেছিলেন, তার কোন হিসেব নেই। সব মিলিয়ে বলা চলে আদম (আ) থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ হাজার বছর কেটে গেছে।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:১৪

জ্যাকেল বলেছেন: সময় নিয়ে আমার ধারণা ভুল হইতে পারে, আপনার এইটাও অকাট্য সেইরকম মনে করা সম্ভব না। তবে আমার ধারণা এইরকম

ঈসা আঃ থেকে ২০০০ হইলে এর ২৫০০ বছর আগে নুহ আঃ এর সময়কাল। এর আগে মোটামুটি আরো দুই হাজার বছর গেলে দেখুন-

২০০০+২৫০০+২০০০ = ৬৫০০

এর উর্ধে গেলে ধরেন সর্বোচ্চ ৭০০০ বছর হইবে। আমি অনুমানে বলেছিলাম ছয় হাজার।

বিটপি বলেছেন: মাত্র ছয় হাজার বছরে মানবজাতির এত বিস্তৃতি কোনক্রমেই সম্ভব না।

আমি মনে করি সম্ভব। মানুষকে আল্লাহ যে পরিমাণ মগজ দান করেছেন ১০০০ বছরই যথেষ্ট পুরো পৃথিবীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে হলে।

৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:১৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কীসের সাথে কী মেলাচ্ছেন? দুইটা বিষয়কে দুই অবস্থানেই রাখুন।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৫৯

জ্যাকেল বলেছেন: আপনার মনে যদি সংশয় না থাকে তাহলে আপনি দুই অবস্থার যেকোন একটি হইবেন-

১। আপনি মুসলমান/ইমানদার মানুষ বিবর্তনের ফল নয়।

২। মানুষ বিবর্তনের ফল।

আমার এই পোস্ট মূলত সংশয়ে যারা আছেন তাদের উদ্দেশ্য করে। আর বাস্তবে প্রায় মুসলমানই এই প্রশ্ন নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় বাস করেন। তাই আলোচনা দরকার। আপনি মুক্ত ভাবে আলোচনা করতে পারেন। না করতে চাইলে পোস্ট ইগনোর করা উচিত।

ব্লগে আমি নিজেও সব ধরণের পোস্টে যাই না। যেমন গল্প/কবিতায় কদাচিৎ আমাকে পাওয়া যায়।

৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৩৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: যারা বিশ্বাস করবে না তাদের আপনি কোনোমতেই বিশ্বাস করাতে পারবেন না। আধুনিকতার নামে নাস্তিক্যবাদ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। যারা মুসলিম তারা যদি ঈমানের পরিপন্থী বিষয়গুলো বিশ্বাস করে তবে এই নামের মুসলমানিত্বের কি প্রয়োজন। আল্লাহ আমাদের হেদায়েত দান করুক।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১২

জ্যাকেল বলেছেন: আমি আপনার সাথে একমত। মুসলমান লেবেল লাগিয়ে কি লাভ যদি স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত কোরআন'র কথাই বিশ্বাস করার মত ঈমান না থাকে?

তবে আল্লাহ জোর করতে নিষেধ করেছেন। যার যার পথ তার তার, এখানে আমরা কেবল তাদের কাছে ইসলামের সৌন্দর্য উপস্থাপন বৈ কি আর করতে পারি? তাই আমি এ কথা বলব না যে নামের মুসলমানিত্বের কি প্র‍য়োজন?

৮| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৪

জ্যাকেল বলেছেন: আপনি যদি হতাশা থেকে বেরিয়ে এসে নিঃসংশয় ও একজন পজিটিভ মানুষ হিসেবে নিজেকে পেতে চান তাহলে শুধু কোরআন এর উপদেশ মেনে চলা শুরু করুন। কোরআন নিজেই স্বয়ং সম্পুর্ণ এবং আপনার সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে ম্যানুয়াল।

৯| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৫:১০

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: বিবর্তন প্রমানিত সত্য,আদম হাওয়া ধর্ম ফর্ম এসব অন্ধ বিশ্বাস।এটা ধর্মেই বলা আছে ,তুমি বিশ্বাস কর আল্লাহ এক ইত্যাদি ইত্যাদি।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৩

জ্যাকেল বলেছেন: আপনাকে একটা সুযোগ দেওয়া উচিত বিধায় মন্তব্যের যৌক্তিক আলোচনার নিমিত্তে বলছি-

১। আপনি কিভাবে এইটাকে অন্ধ বিশ্বাস বললেন? কিসের ভিত্তিতে? আমি তো কোরআন থেকে রেফারেন্স পেয়েছি বিধায় আদম, হাওয়া আঃ কে জেনেছি এবং এই জানায় ভুল নাই। কারন কোরআন স্বয়ং খোদা তাআলার পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছি প্র‍ত্যেক আদম সন্তানের জন্য।
এখন যদি আপনি মনে করেন কোরআন মানুষের বানানো এবং আল্লাহ বলে কিছু নাই সব ফাও জিনিস। তাহলে দেখতে হইবে আল্লাহ বলে নাই কিভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়?
আল্লাহ আছেন এটা আমি বিশ্বাস করি মূলত কমন সেন্স এর ভিত্তিতে। এত বিজ্ঞানময় জগতে বাস করে যদি বিশ্বাস করতে হয় এইসকল সৃষ্টিকর্তা ব্যতীত হয়েছে তাহা হইলে এইটা হইবে অন্ধ বিশ্বাস।

২। বিবর্তন আল্লাহরই একটা প্রসেস, যেমন পানিচক্র একটা প্রসেস। পানিচক্রে আকাশ থেকে পানি মাটিতে আসে, সেই মাটি থেকে পানি খাল বিল পেরিয়ে সমুদ্রে পতিত হয়, সুর্যের তাপে বাষ্প হইয়া আবার আকাশে ওঠে, আবার বৃষ্টি হয়ে মাটিতে ফেরত আসে।

১০| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৫৬

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আদমকে যদি প্রথম মানব ধরি,তবে মানব প্রজাতিই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়।আদমের থেকে হাওয়ার জন্ম।হাওয়া আদমের মেয়ে।আবার আদম হাওয়ার ছেলে মেয়েদের অবৈধ মিলনের ফল সমগ্র মানব সমাজ।খৃষ্টানরা যেটাকে বলে আধি পাপ।আবার তারা মিলনের মাধ্যমে জন্মকেই পাপ বলে।তাদের পিতা মিলন ছাড়াই জন্ম গ্রহন করেছেন।অতয়েব সে নিস্পাপ।কোরান আবার এটা সমর্থন করে।
ইব্রাহিমেকে নবী বলা হয়।যে তার শিশু পুত্র ও তার মাকে ১২০০ কিমি দুরে এক মরু প্রান্তরে একা ফেলে আসে।তাকে মানুষ ভাবতেই কষ্ট হয়।ইসলাম ধর্ম প্রচার করে মোহাম্মদ,ইব্রাহিম মোসলমান হয় কিভাবে।কতো আর গোঁজামিল দিবেন।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৭

জ্যাকেল বলেছেন: অল্প বিদ্যা ভয়ংকর, এইটা মানুষকে সত্য থেকে দুরে রাখে। আপনি ভুল জেনেছেন, কোরআন পড়েন, নিজে পড়েন তাহইলে বুঝতে পারবেন আপনার প্রশ্নে কি কি ভুল আছে।

আদম ও হাওয়া আঃ উভয়ই আল্লাহর সৃষ্টি আর কোরআনে আল্লাহ বলেছেন তিনি জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেন। অতএব আদি পাপ এইসকল ফালতু জিনিস বাদ দেন।
শুধু তর্কে জেতার জন্য যদি তর্ক করেন তাহলে অহেতুক কথা বার্তা বলা লাগে। অহেতুক কথা বলে সময় নষ্ট করবেন না।

১১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১৪

অগ্নিবেশ বলেছেন: বিবর্তন বুঝতে মগজ প্রয়োজন, সবার থাকে না।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৯

জ্যাকেল বলেছেন: বিবর্তন/গ্রাভিটি এইসকল জিনিস না বুঝলেও তাদের কাজ বন্ধ হইবে না। অতএব চিন্তা কিসের?

১২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১৯

জুল ভার্ন বলেছেন: গুড পোস্ট!

২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০০

জ্যাকেল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইসাহেব।

১৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কাছাকাছি আকৃতির অনেক প্রাণী আছে। আদমের (আ:) আগের যে মানুষের কথা বলা হয় সে গুলো মানুষের আকৃতির ভিন্ন প্রাণী। আদম (আ:) সন্তান মানুষের বিস্তার আদমের মাধ্যমে। আর হওয়া আদমের কন্যা নয়। কারণ তাঁর সৃষ্টি আদমের হাঁড় থেকে তাঁর বির্য থেকে নয়।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০২

জ্যাকেল বলেছেন: কারণ তাঁর সৃষ্টি আদমের হাঁড় থেকে তাঁর বির্য থেকে নয়।

এইটা ভুল তথ্য। হাড় থেকে কিভাবে সম্ভব? এই তথ্য বাইবেলের, ইসলামের না।

১৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যে ঈমানের যোগ্য নয় সে ঈমানদার হয় না। তার মাথায় ঈমানের কথা ঢোকে না।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০২

জ্যাকেল বলেছেন: সঠিক।

১৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:২৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: আমি তো নাস্তিক না। নাস্তিক হতেও চাই না।
এখনো সামাজিক ভাবে আংশিক নামাজ পরা মোসলমান। শুক্রবার মসজিদে যাই, ছেলে কেও নিয়ে যাই।

আমি মনে করি 'যদি থাকেন' শৃষ্টিকর্তা হবেন একজন অসীম শক্তিশালী, তিনি আমাদের জ্ঞ্যন দিবেন।
ওনার এককত্ব বা অস্তিত্ব নিয়ে কেউ সন্দেহ করলে অস্থির হয়ে কঠিন শাস্তি দেয়ার কিছু নেই। কেউ সন্দেহ করলে বরং তাকে বিদ্য বুদ্ধি দিয়ে সাহায্য করবেন একজন বান্দার সন্দেহজনক মন্তব্যে কোন রিএকশান করার কথা না, ওনার বিশাল অস্তিত্ব কারনে।
কিন্তু ধর্মমতে ওনার সবচেয়ে ভয় শিরিকি কে। শিরিকি, মানে গদি হারানোর ভয়ই সবচেয়ে বেশী। সব গোনাহের মাফ আছে শরিক করার মাফ নেই।

ধর্ম বলে মানুষ পৃথিবীর অন্যান্ন প্রানীদের মত না। স্পেশাল, স্বর্গে তৈরি। আপনিও সেটাই বলছেন।
ঈশ্বর নিজ হাতে স্বর্গের মাটি দিয়ে আদম তৈরি করেছেন। স্বর্গেই রাখার কথা ছিল, হঠাৎ একটা দুর্ঘটনায় রেগে গিয়ে পৃথিবীতে পাঠান।

আর বিজ্ঞান বলে মানুষ বিবর্তনের মাধ্যমে আসা পৃথিবীর অন্যান্ন প্রানীদের মত একটি প্রানী মাত্র।
মানব হার্ট লাং খাদ্য পরিপাক, প্রজনন প্রকৃয়া জীবন চক্র মানুষ ইদুর বিড়াল কুত্তা গরু প্রায় সেইম। মানব কোষের গঠন পৃথিবীর প্রানীদের কোষের মত। পৃথিবীর অন্যান্ন উদ্ভিদ বা জীবানুর কোষের সংগেও অনেক মিল। অন্য প্রানির অংগ বা সেরাম মানুষের দেহে দেয়া যায়, কদিন আগে শুকরের অংগ প্রতিস্থাপিত হয়েছিল মানব দেহে। মানব ইনসুলিন তৈরি হয় গরুর দেহে।
মানব টিকা বা নব আবিষ্কৃত ঔসধ কাজ করে কি না সেটা প্রথমে দেখা হয় ইদুরের দেহে।
সুতরাং মানুষ ও প্রানী মর্তেই উদ্ভব।
মানুষ পার্থিব। মানব মানবি মোটেই আলাদা স্পেশাল, স্বর্গের মাটি দিয়ে তৈরি নহে। নিশ্চিত থাকেন।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৭

জ্যাকেল বলেছেন: আমি তো নাস্তিক না। নাস্তিক হতেও চাই না।
এখনো সামাজিক ভাবে আংশিক নামাজ পরা মোসলমান। শুক্রবার মসজিদে যাই, ছেলে কেও নিয়ে যাই।


খুব খারাপ ব্যাপার, মোহাম্মদ সাঃ কে নবী মানেন বার তাকে ডাকাত বলেন, এদিকে আপনি মোসলমান।
মুসলমানের পরিচয় আপনি নামাজ জেনেছেন কিন্তু কোরআনে মুসলমান হইতে গেলে তার বৈশিষ্ট্য ধারণ করতে হয়।
শুনেন, একজন মুসলমানের বৈশিষ্ট্য-
১। আল্লাহ এর গোলামী করা।
২। পিতামাতার সাথে সঠিক আচরণ।
৩। অসহায়/গরিব/এতিম মানুষের সাথে সঠিক আচরণ।
৪। মিসকিনদের সাথে সঠিক আচরণ।
৫। মানুষের সাথে ভাল আচরণ করবে। সে যেকোন ধর্ম বিশ্বাসী কিংবা অবিশ্বাসী হোক, তার সাথে ভাল আচরণ করতে হইবে।
৬। সালাত কায়েম।
৭। জাকাত প্রদান।

সালাত/নামাজ আসে অনেক পরে। আর প্রচলিত যে নামা আর কোরানের যে সালাত তার মধ্যে কিছু ব্যবধান আছে। সেইটা কি জানে? আপনি বাপ/দাদা/হুজুর থেকে যা জেনেছেন তা যাচাই বাছাই না করে কেন গ্রহণ করবেন? আপনাকে তো আল্লাহ মস্তিষ্ক দিয়েছেন


আমি মনে করি 'যদি থাকেন' শৃষ্টিকর্তা হবেন একজন অসীম শক্তিশালী, তিনি আমাদের জ্ঞ্যন দিবেন।
ওনার এককত্ব বা অস্তিত্ব নিয়ে কেউ সন্দেহ করলে অস্থির হয়ে কঠিন শাস্তি দেয়ার কিছু নেই। কেউ সন্দেহ করলে বরং তাকে বিদ্য বুদ্ধি দিয়ে সাহায্য করবেন একজন বান্দার সন্দেহজনক মন্তব্যে কোন রিএকশান করার কথা না, ওনার বিশাল অস্তিত্ব কারনে।


এই জায়গায় আপনার অল্পজ্ঞানের পরিচয় পাওয়া যায়। আল্লাহ যে মগজ এক একজন মানুষকে দিয়েছেন এরপর আর কোন দরকার পড়ে না তার অস্তিত্ব সরাসরি প্রকাশ করার। এই ধরণের প্রশ্ন করত বনী ইসরাঈলের লোকেরা, আপনি তা থেকে কি শিক্ষা নেন নি?
আমার বিবেক, বুদ্ধি যা আছে তা দিয়ে যদি আমি আল্লাহর অস্তিত্ব অনুভব করতে পারি তাহলে আপনি পারছেন না কেন?
প্রশ্ন করেন।
আমার মতে আপনি নিজের অন্তরে ব্লক করে রেখেছেন যে কারণে সত্যের পাহাড় যদি আপনার চোখের সামনে এনে দেওয়া হয় তবুও আপনি টলবেন না।

কিন্তু ধর্মমতে ওনার সবচেয়ে ভয় শিরিকি কে। শিরিকি, মানে গদি হারানোর ভয়ই সবচেয়ে বেশী। সব গোনাহের মাফ আছে শরিক করার মাফ নেই।

আল্লাহর ভয়? ছিঃ ছি ছিঃ
আল্লাহ আমাদের করুণা করেছেন, অস্তিত্ব দিয়ে। এরপরে সাহায্য করেছেন সৃষ্টিশীল মগজ দিয়ে, এখন শিরিক করলে আল্লাহর কোন লাভ/ক্ষতি কেন হবে? হবে তো যে ইচ্ছে করে নিজের প্রতিপালকের কাছ থেকে দুরে সরে।

ধর্ম বলে মানুষ পৃথিবীর অন্যান্ন প্রানীদের মত না। স্পেশাল, স্বর্গে তৈরি। আপনিও সেটাই বলছেন।

মোটেও না। আমি স্বর্গে তৈরি বলিনি। বলেছি স্বর্গ থেকে এখানে পাঠানোর কথা। নিচে "সাড়ে চুয়াত্তর" ইতিমধ্যে উত্তর দিয়েছেন।

ঈশ্বর নিজ হাতে স্বর্গের মাটি দিয়ে আদম তৈরি করেছেন। স্বর্গেই রাখার কথা ছিল, হঠাৎ একটা দুর্ঘটনায় রেগে গিয়ে পৃথিবীতে পাঠান।

এই কথা হইতেছে আপনার যন্ত্রণার প্রকাশ। আপনি সিম্পল বিষয়কে নিয়ে তালগোল পাকাচ্ছেন। স্বর্গে আল্লাহ আমাদের ফেরত নিবেন বলেই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। যদি শয়তানের ষড়যন্ত্রে আদম ও হাওয়া আঃ উভয়ই অইখানে থাকতেন তাহা হইলে অন্য মহাবিশ্ব আমাদের হয়ত আবিস্কার করতে হইত। যাক, যদি সৎ কর্ম করতে পারি শেষ পর্যন্ত তাহলে আশা করি আমিও স্বর্গ দেখতে পারব।

আর বিজ্ঞান বলে মানুষ বিবর্তনের মাধ্যমে আসা পৃথিবীর অন্যান্ন প্রানীদের মত একটি প্রানী মাত্র।
মানব হার্ট লাং খাদ্য পরিপাক, প্রজনন প্রকৃয়া জীবন চক্র মানুষ ইদুর বিড়াল কুত্তা গরু প্রায় সেইম। মানব কোষের গঠন পৃথিবীর প্রানীদের কোষের মত। পৃথিবীর অন্যান্ন উদ্ভিদ বা জীবানুর কোষের সংগেও অনেক মিল। অন্য প্রানির অংগ বা সেরাম মানুষের দেহে দেয়া যায়, কদিন আগে শুকরের অংগ প্রতিস্থাপিত হয়েছিল মানব দেহে। মানব ইনসুলিন তৈরি হয় গরুর দেহে।
মানব টিকা বা নব আবিষ্কৃত ঔসধ কাজ করে কি না সেটা প্রথমে দেখা হয় ইদুরের দেহে।
সুতরাং মানুষ ও প্রানী মর্তেই উদ্ভব।
মানুষ পার্থিব। মানব মানবি মোটেই আলাদা স্পেশাল, স্বর্গের মাটি দিয়ে তৈরি নহে। নিশ্চিত থাকেন।


"সাড়ে চুয়াত্তর" ইতিমধ্যে উত্তর দিয়েছেন। এরপরো প্রশ্ন থাকলে বলেন আমি চেষ্টা করব খোলাসা করতে।

১৬| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:০৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ হাসান কালবৈশাখী-
- যারা সৃষ্টিকর্তার ক্ষেত্রে 'যদি সৃষ্টিকর্তা থাকেন' ব্যবহার করেন তাদেরকে বলা হয় সংশয়বাদী (Agnostic). সংশয়বাদ

- ইসলাম বলে আদমকে পৃথিবীর মাটি থেকেই সৃষ্টি করা হয়েছে, স্বর্গের বা বেহেশতের মাটি থেকে নয়।
আমি মাটি হতে তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি; তাতেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে দিব এবং তা হতে পুনর্বার বের করব। ( সুরা তোয়া হা আয়াত ৫৫)

০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:২৮

জ্যাকেল বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ, ব্যাপারটি আমার চেয়েও সুন্দর করে বলার জন্য।

১৭| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৫০

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: @ সাড়ে চুয়াত্তুর,আল্লাহই প্রথম মাটির মুর্তি বানিয়েছে এবং ফেরেশতাদের বলেছে তাকে পুজা করতে।আল্লাহই প্রথম মুর্তি পুজারী।

১৮| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৫৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: হিজরা(তৃতীয় লিঙ্গ)দের জোড়া কোথায়?তার জোড়ায় জোড়ায় শৃষ্টির দাবি ভুল।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৩২

জ্যাকেল বলেছেন: হিজড়া মহিলা হিজড়া পুরুষ উভয়ই তো আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.