নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মিলে মরিতে হইবে

জ্যাকেল

ব্যাথার প্রকাশ শুধু কান্নাতেই যে হয় তা নহে। হাসিতেও ব্যাথা লুকিয়ে থাকিতে পারে। - ! ২০০৮

জ্যাকেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রচলিত ইসলামে কিছু আচার যা কোরআন এর বাইরে থেকে যোগ করা

০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৫১

কোরআন ইসলামের অনুসরণকারীদের জন্য সুপ্রিম কোর্ট। ইহার উপরে কোন কথা হইতে পারে না। কোরআন পাঠ না করে আপনি যদি ইসলাম সম্পর্কে ধারণা পোষণ করেন তাহাতে কু-ধারণা আসিবার সম্ভাবনা আছে।

১। বোরকা, আল্লাহ পোশাকের ব্যাপারে শালিন/যে দেশে যদাচার/কৃষ্টি অনুযায়ী পড়তে বলেছেন অথচ ইহাকে এরা আপাদমস্তক ঢাকা বোরকা বানিয়ে ফেলেছে।

২। নামাজ বেহেস্তের চাবি।
কোরআনে বেহেস্তের চাবি/সমার্থক বলা হইয়াছে যারা ঈমান আনে এবং সৎ পথে থাকে। এখানে বোঝানো হয়েছে কঠিনতম বিপদেও আল্লাহর বিশ্বাস থেকে নিজেকে সরিয়ে না ফেলা এবং নিজের লাভের আশায় অন্যের ক্ষতি হোক এমন কাজ থেকে বিরত থাকা।

৩। একমাত্র মুসলমান/উম্মতে মুহাম্মাদী জান্নাতী হইবে।
আল্লাহ কোরআনে কারা জান্নাতে যাবে সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট ধারণা দিয়েছেন। এর মধ্যে ইহুদি, খ্রিস্টিয়ান এমনকি অন্য ধর্মের লোকদেরও যাবার সম্ভাবনা আছে যদি তারা সৎ হয়।

৪। দাজ্জাল এবং ইমাম মাহদী।

৫। হাওয়া আঃকে আদম আঃ এর পাজর থেকে জন্ম দেওয়া।

৬। একাধিক বিবাহের সুযোগ।

৭। ৭০/৭২ হুরের কথা।

৮। বিদায় হজ্বে কুরআন ও সুন্নাহ দুটি জিনিস আঁকড়ে থাকার হাদিস।

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: হুজুর আসসালামু আলাইকুম।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৪

জ্যাকেল বলেছেন: ওয়ালাইকুম আস সালাম।

(হুজুর বলতে যদি মাদ্রাসার হুজুর বুঝে থাকেন তাহা হইলে ইহা ভুল। হুজুর বলিতে শিক্ষক বলিলে কিছু ক্ষেত্রে সত্য।)

প্রতিটি মুসলমান অন্য মানুষের জন্য দোয়া করে থাকেন। আপনার মনে শান্তি আসুক, এই দোয়া করি।

২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এই সব বললে তো অনেকেই বলবেন কোরানে তো অনেক কিছুই বলা নাই, তাহলে সেগুলো কিভাবে পালন করা হচ্ছে?
হাদিসের রেফারেন্স দিয়ে এই সকল বিষয় পালন করা হয়। দাজ্জালকে যেভাবে গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়, সেই হিসাবে কোরানে দজ্জাল সম্পর্কে কিছু না থাকাই খুবই আশ্চর্যজনক।



০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৪

জ্যাকেল বলেছেন: কোরআনে অনেক কিছুই বলা হয়নাই বিধায় ওইসকল ব্যাপার মানা না মানা ইন্ডিভিজ্যুয়াল ওপিনিয়ন হিসাবেই কাউন্ট হইবে। সেইগুলো জোর করে মানুষকে গেলানো নিতান্তই খারাপ কাজ।

প্রকৃত ইসলাম যে কত মহান ও আধুনিক জীবন ব্যবস্থার সাথে সম্পুর্ণ উপযোগী ইহা আমাদের মোল্লারা কখনই পাবলিককে বুঝতে দিতে চাহে না। তারা ধর্মের প্রতি আবেগ/আকর্ষন কাজে লাগিয়ে নিজেরা পেট পালতেই বরং অধিক মনযোগী। এই দেশে প্রচলিত ইসলামী রেওয়াজ(এক্সট্রা) দেখে অনেক মানুষই ইসলাম বিমুখ হইতে বাধ্য।
যেভাবে হাদীসের গুরুত্ব দেখানো হইতেছে ইহা নিশ্চিতভাবেই বাড়াবাড়ি। যেমন কাফের ফতোয়া এবং কল্লা কাটা কিংবা নবী সাঃ এর অপমান হইলে ফাঁসি ইত্যাদি ইত্যাদি।

৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন, "... প্রকৃত ইসলাম যে কত মহান ও আধুনিক জীবন ব্যবস্থার সাথে সম্পুর্ণ উপযোগী ইহা আমাদের মোল্লারা কখনই পাবলিককে বুঝতে দিতে চাহে না। তারা ধর্মের প্রতি আবেগ/আকর্ষন কাজে লাগিয়ে নিজেরা পেট পালতেই বরং অধিক মনযোগী। এই দেশে প্রচলিত ইসলামী রেওয়াজ(এক্সট্রা) দেখে অনেক মানুষই ইসলাম বিমুখ হইতে বাধ্য। "

-আমাদের মোল্লরা ব্যতিত আপনার মতো জ্ঞানীরা ও অনেক তথাকথিত পিএইচডি'রা ইসলাম নিয়ে লিখে লিখে বিশ্ব ভরে ফেলছে, তালিবান, হেজবুল্লা, শিয়া মিলিশয়ার জন্ম দিচ্ছে; কাজের কাজ হলো, মুসলিম দেশগুলোকে তলিয়ে দিচ্ছে।

৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৩

জ্যাকেল বলেছেন: -আমাদের মোল্লরা ব্যতিত আপনার মতো জ্ঞানীরা ও অনেক তথাকথিত পিএইচডি'রা ইসলাম নিয়ে লিখে লিখে বিশ্ব ভরে ফেলছে, তালিবান, হেজবুল্লা, শিয়া মিলিশয়ার জন্ম দিচ্ছে; কাজের কাজ হলো, মুসলিম দেশগুলোকে তলিয়ে দিচ্ছে।


পড়াশুনা করা, জ্ঞানচর্চা করা ভাল কাজ। ইহাই মানুষের রেস'কে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। নিজের বুদ্ধি বিবেক'কে অসাড় রেখে অন্য মানুষের মতামতকে গ্রহণ করতে থাকলে আইএস/আল্কায়েদা সহ নানান কু-পরিকল্পনা মাথায় গ্রহণযোগ্য মনে হইবে। আর মহা পিএইচডি করা লোকও এসে যদি বলে সুপ্রিম কোর্টের ওপরে তার মত তা হইলে উহারে কি বলা যায়?

আপনি ইসলাম সম্পর্কে খুবই ভুল ধারণা নিয়ে বসে আছেন। আপনার জন্য করুণা।

৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি আমার মন্তব্যের উত্তরে লিখেছেন, "আপনি ইসলাম সম্পর্কে খুবই ভুল ধারণা নিয়ে বসে আছেন। আপনার জন্য করুণা। "

-ইসলাম ও অন্য অনেক ধর্ম নিয়ে আমার মোটামুটি ভালো ধারণা আছে; আপনার যতটুকু ধারণা আছে, উহা সঠিক বলে মনে হচ্ছেনা।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৯

জ্যাকেল বলেছেন: আপনার কাছে বকধার্মিক/অন্ধ-ধার্মিক মানুষ দেখে দেখে ভুল ধারণা হইয়াছে য আপনি ভাবেন সঠিক। ইহা মোটেও সঠিক নয়।

আপনার অজানা/মুর্খতাকে ভালো ধারণা বলিয়া প্রচার করবেন না।

৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:



ব্লগে এসেছেন ২ মাস হয়েছে, লাফান; ২ বছর পর বুঝা যাবে, কতটুকু লাফাতে পারেন! আমি ৭ বছর লাফাচ্ছি।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:০১

জ্যাকেল বলেছেন: আপনার কাজ লাফানো হইতে পারে বলিয়া অন্য সকলের কাজ ইহাই তা ভাবা অবান্তর। লাফাতে থাকেন। আর এই খোদার বান্দা একদা প্রচলিত মুসলিম আচরণ হইতে এতই নিরাশ হইয়াছিল যে সেও খোদা/অবিশ্বাস করিত। কিন্তু পড়াশোনা/গবেষণা করতে করতে একসময় আবার ইসলামের দিকেই ফেরত আসিতে বাধ্য হইয়াছি।

আরেক কথা, আমার আগের নিক ২০০৯ এর ব্যবহার না করাতে ইহা আর চালু করতে চাহি না। যদি মনে করেন আমি দুই মাসের শিশু তাহাতে আপনার অর্বাচীন/ইম্যাচিউর মানসিক অবস্থাই নির্দেশ করতেছে।

৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কোরান পড়ে কি ভাবে ইসলাম পালন করবেন।কোরানে কোথাও লেখা আছে নামাজ কিভাবে পড়বেন কয় রাকাত পড়বেন।শুধু কোরান পড়ে ইসলাম হয় না।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:১৭

জ্যাকেল বলেছেন: শুধু কোরআন পড়ে ইসলাম হয় না এই কথা বলে/ফিতনা ছড়ায় এই দুই দল

- যারা ইসলামকে বিতর্কিত করতে চায় তারা
- যারা মুসলমান দাবি করে অথচ কোরআন পড়েনি

৮| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি বলেছেন, "আরেক কথা, আমার আগের নিক ২০০৯ এর ব্যবহার না করাতে ইহা আর চালু করতে চাহি না। যদি মনে করেন আমি দুই মাসের শিশু তাহাতে আপনার অর্বাচীন/ইম্যাচিউর মানসিক অবস্থাই নির্দেশ করতেছে। "

-আপনি ২০ বছর ব্লগিং করলেও, দরকারী কোন বিষয়ে আপনি লিখতে সমর্থ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:১৮

জ্যাকেল বলেছেন: আপনি নেগেটিভ মাইন্ডেড মানুষ, আপনার থেকে নেবার কিছু পাচ্ছি না।

৯| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: আমার সালামের উত্তর সুন্দর ভাবে দিয়েছে। এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:১৯

জ্যাকেল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

১০| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২১ ভোর ৪:১৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
রসুল বলেগেছিলেন কোরানই একমাত্র গ্রন্থ।
সব হাদিস পুড়িয়ে ফেলতে বলেছিলেন।
কিন্তু যুদ্ধবাজ নগর দখলবাজ, লুটতোরাজকারি, গনিমতের মাল লোভি লুটকারি ডাকাতরা রসুলের মৃত্যুর ৩০০ বছর পর হাদিস লেখা শুরু করে।
কারন হাদিস না থাকলে ইসলাম থাকে। কিন্তু ইসলাম নিয়ে রাজনীতি করা যায় না, দখল করা যায় না, ডাকাতি করা যায় না।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:২২

জ্যাকেল বলেছেন: মোটামুটি একমত। ডাকাত শব্দ ব্যবহার করা অতিশয় বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে। আর আপনি তো ঈমানদারও না। এগনোস্টিক হিসাবে শুধু কোরআন শুরু করতে পারেন আল-আলাক সুরা থেকে। পড়া বলতে আয়াত এর মিনিং কি সেইটা বুঝাই হইল আসল।

১১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪৯

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: দুই নং পয়েন্ট অর্থাৎ সৎপথে থাকা ও ঈমান আনাটাই সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ এবং চ্যালেঞ্জিং কাজ। এই একটি পয়েন্ট অনুসরণ করলেই মুসলমানদের মধ্যে অনেক অনৈতিক কর্মকান্ড ও অসাধুতা সম্পূর্ণ দূরীভূত হয়ে যেত। বর্তমানে অধিকাংশ মুসলমানরাই এটি মানতে চরমভাবে ব্যর্থ হচ্ছে। সৃষ্টিকর্তার উপর আস্থার অভাব আছে বলেই কঠিনতম বলেন আর সুসময়েই বলেন যতরকম অনৈতিকতা, দুর্নীতি, ও পাপাচারে লিপ্ত হয়ে পড়ে সহজেই। আর মনে করে এসব পাপাচারের পাশাপাশি মসজিদে ছুটলে এবং হজ করে ফেললেই সব জায়েজ হয়ে যাবে এবং পূর্ণ উদ্যোমে আবার এসব শুরু করা যাবে।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:২৭

জ্যাকেল বলেছেন: অধিকাংশ মুসলিম গোমরাহীতে লিপ্ত সেটা দেখাই যাচ্ছে। ইহাদের মধ্যে ঈমানের পুর্বশর্ত, মুসলমান'র পুর্বশর্ত এইগুলা জানা নেই। এহারা মনে করে কালেমা, নামাজ, রোজা এই তিন জিনিসই আসল। অথচ আসল হইল, ঈমান, সততা।
যেমন মনে করেন একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ঘুষ/দুর্নিতি করে কয়েক কোটি টাকা দিয়ে মসজিদ করে দিল, ৫ ওক্ত নামাজ পড়ল, রোজা/উপবাস করল আর কিছু দরিদ্র মানুষকে নামমাত্র সহায়তা দিয়ে সে নিজেকে সমাজের উপরের স্তরে ত নিয়ে গেলই পাশাপাশি মনে করতে থাকে সে জান্নাতি।
কিন্তু সে জান্নাতে যাবে কিভাবে? কোরআনে তো এইগুলো বলা হয় নাই। একবার চিন্তাও করে দেখে না।

১২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:০৭

জুল ভার্ন বলেছেন: এই পোস্ট আমার ভালো লেগেছে। +

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:২৫

জ্যাকেল বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৪২

তানভির জুমার বলেছেন: আপনার এই কথাগুলোর সাথে সম্পূর্ণ দ্বিমত পোষন করছি। আমি জানিনা আপনি কোন মতবাদের অনুসারী । আপনার প্রতি সম্মান রেখেই বলছি আপনার আরো অনেক বেশী গবেষণা করা উচিত এইসব বিষয়ে। হাদিস কি? হাদিসের প্রকারবেদ, ইসলামের বিধি বিধান কিভাবে আরোপ হয়,

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:২৮

জ্যাকেল বলেছেন: ধন্যবাদ!

আমি একদা এগনোস্টিক ছিলাম, মানে দ্বিধা দ্বন্দে ভুগছিলাম আল্লাহ, ইসলাম এই সকল বিষয়াদি নিয়ে। আমি খুবই হীনমন্যতায় ভুগিতাম কারণ-

- ইসলাম অদ্ভুত আলখেল্লার ধর্ম। (বোরকার কারণে)
- পুরুষকে অত্যাদিক ক্ষমতা/মর্যাদা দেওয়া হইয়াছে(৭০ হুর, মহিলা নেতৃত্ব, চার বিবি ইত্যাদি)
- একজন যতই পাপ কামাক না কেন (অসৎ হোক) সে যদি প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে তবে সে পাপ করলেও জান্নাতে যাওয়ার গ্যারান্টি পাবে।
- নবীজীর (সাঃ) অপমান কারীকে হত্যা করা সওয়াবের কাজ(শার্লি আবদু)
- কাফেরদের হত্যা করা জায়েজ।
- অমুসলিম কখনো একজন মুসলমানের বন্ধু হতে পারে না।
- একজন বিধর্মী যতই ভাল মানুষ হোক না কেন, সে যদি আল্লাহ ও তার রাসুলের প্রতি ঈমান না আনে তবে সে জাহান্নামী।

উপরে যা যা লিখলাম এইসকল ছাড়াও মনে না পড়া অনেক অমানবিক নিয়ম/রীতি আমাদের জানা ইসলামে আছে যা বিবেক বিরুদ্ধ।
আমার মনে প্রথম প্রথম খুব ক্ষ্ট লাগলেও পরে হাল ছেড়ে দিয়ে আস্তিকতার দিক থেকে সরে যাই। কিন্তু আত্মার তাগিদে আবারো জানার চেষ্টা শুরু। আর আবিস্কার করলাম, কোরআন হল আল্লাহ ও তার রাসুলের একমাত্র অনুমোদিত গ্রন্থ। কোরআন থেকে কন্ট্রাডিক্ট হয় এমন যে কোন কিছুই একজন ঈমানদারের উচিত বর্জন করা। আর প্রচলিত ইসলামের বহু বহু আচরণ আছে যা কোরআনের মূলনীতির সাথে যায় না। তেমনই একটা নামাজ বেহেস্তের চাবি।

আর মনে রাখবেন, আল্লাহ কোরআনে কোন মাজহাব এর প্রবর্তন/অনুমোদন দেন নি। এইগুলো ইসলামে যোগ করা হয়েছে এবং প্রকৃত ইসলামকে এইসব অস্পষ্ট করে ফেলেছে।

১৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:১০

ঈশ্বরকণা বলেছেন: আপনার এই লেখা নিয়ে বেশি বলতে ইচ্ছে করছে না (এইগুলো নিয়ে ব্লগে অনেক কথাই হয়েছে) । কিন্তু তবুও দুটো কথা বলতে হচ্ছেই ।

প্রথমটা হলো, আপনার সেকেন্ড পয়েন্টটা নিয়ে । নামাজ বেহেস্তের চাবিকাঠি । এই কথাটা সাধারণ অর্থে কুরআনের বক্তব্য অনুযায়ীতো ঠিকই আছে । চাবিকাঠি বলতে আমরা কি বুঝি বা বুঝাই সাধারণতো ? খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু তাই না ?যেমন বাংলায় একটা প্রায় প্রবাদ বাক্যের মতো কথা আমরা প্রায়শই বলি -পরিশ্রম হলো সাফল্যের চাবিকাঠি। সাফল্যের জন্য অনেক কিছুরই প্রয়োজন কিন্তু সাফল্যের ক্ষেত্রে পরিশ্রমের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সেটা বুঝতেই এই কথাটা বলা হয় । সেই অর্থেই নামাজকে বেহেস্তের চাবিকাঠি বলা হয় ।খুব ভুলতো কিছু নেই ।এটাকে আপনার ভুল মনে হলো কেন ? আপনি নিশ্চই বলবেন না যে বেহেস্তের দরজায় বিশাল RR Brink -ব্রানডের লক থাকবে আর সেটা খোলার জন্য কোনো চাবি লাগবে ? সেটা খুলতে ঈমানের চাবি লাগবে ? সে রকম কিছু আসলে হবে না। বিষয়টা হলো আল্লাহ বেহেস্ত লাভের ব্যাপারটাকেই ব্যক্তির জন্য সেরা সাফল্য বলেছেন । আর সেই সাফল্য অর্জন করতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টাই হলো নামাজ (সহিভাবে তাকওয়ার সাথে আদায় করা নামাজ)।সেই অর্থেই নামাজকে বেহেস্তের চাবিকাঠি বলা হয় । কুরআন শরীফের একেবারে প্রথম কথাগুলোর একটিই হলো এই নামাজের বিষয়ে ।সূরা বাকারার প্রথম আয়াত হলো আলিফ লাম্ মিম । তার পরের দুটো আয়াত খেয়াল করুন “This is the Book in which there is no doubt, a guidance for those for those who are mindful of God. Who believe in the unseen, and who establish Salah, and spend out of what we have provided for them.” (2:2-3) (Abdul Haleem-এর অনুবাদ) । কুরআন গাইডেন্স বা হেদায়াত কাদের জন্য যারা আল্লাতে বিশ্বাসী (mindful)। আল্লাহ্তে বিশ্বাসী এই লোকগুলো কি করে -তারা অদৃশ্যে বিশ্বাসী, নামাজ আদায় করে ---। তার মানে কুরআনের প্রায় শুরুতেই আল্লাহ নামাজে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সেটা বলেছেন (আমি নামাজের গুরুত্ব নিয়ে হাদিসের কথাগুলো ইচ্ছে করেই বললাম না) নামাজ যারা পড়বে না তাদের জন্য কুরআন গাইডেন্স না। কুরআন মানুষকে দেয়া আল্লাহের সেরা উপহার ।আর সেটার গাইডেন্স (যা আল্লাহ নিজেই বলেছেন))ছাড়া নিশ্চই কেউ বেহেস্তে যাবে না ? তাহলে নামাজের বিষয়টা আপনি যেমন করে বললেন তেমন করে বলে বিতর্কিত করার কোনো কারণ নেই ।নামাজ বেহেস্তের চাবিকাঠি কথাটা সাধারণ অর্থে ঠিকই আছে ।

আর সেকেন্ড পয়েন্টটাহলো -বিখ্যাত ব্লগার কালবৈশাখীর মন্তব্য নিয়ে । তার মন্তব্য পরে ভাবছি কি পরিমান অন্ধ বিদ্বেষ আর অজ্ঞ হলে হাদিস নিয়ে এ রকম মন্তব্য করতে পারে কোনো লোক । সে বলছে রাসূল (সাঃ) "...বলে গেছিলেন কোরানই একমাত্র গ্রন্থ। সব হাদিস পুড়িয়ে ফেলতে বলেছিলেন।" এই লোক তাহলে হাদিসে বিশ্বাস করে বলেই এই কথাটা বলেছে । তাহলে আর যে হাদিসগুলো নামাজের গুরুত্ব সম্পর্কে বলেছে বা এই লেখার অন্য বিষয়গুলোর গুরুত্ব সম্পর্কে (যেগুলো সহীহ হিসেবে ইসলামিক স্কলাররা চিহ্নিত করেছেন)বলেছে সেগুলো অবিশ্বাস করার কারণ কি ? নিজে কি বলছে সেটাই যদি না বুঝে ব্লগে কেউ আবোলতাবোল মন্তব্য করে তাকে কি বলা যাবে ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ ? নাকি আরো নিকৃষ্ট কিছু বলা উচিত এই অল্প বিদ্যা জাহির করা লোকগুলোকে ? ইসলাম সম্পর্কে চূড়ান্ত অজ্ঞ এই লোকের ইসলাম সম্পর্কে মন্তব্য করার সুযোগটা সীমিত করা যায় না কা _ভা?

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৪১

জ্যাকেল বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ সুচিন্তিত মতামতের জন্য।

আপনি ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে নামাজকে বেহেস্তের চাবি বানাচ্ছেন। অথচ কোরআনে সরাসরি বেহেস্তে যাবার তরিকা পরিস্কার করে বলা হয়েছে। দেখেন-

সুরাহ আল বাকারাঃ ২৫
Give good news ˹O Prophet˺ to those who believe and do good that they will have Gardens under which rivers flow. Whenever provided with fruit, they will say, “This is what we were given before,” for they will be served fruit that looks similar ˹but tastes different˺. They will have pure spouses,1 and they will be there forever.

সুরাহ আল বাকারাঃ ৮২
And those who believe and do good will be the residents of Paradise. They will be there forever.


আন নিসাঃ ১২২
And those who believe and do good, We will soon admit them into Gardens under which rivers flow, to stay there for ever and ever. Allah’s promise is ˹always˺ true. And whose word is more truthful than Allah’s?

কোথাও সরাসরি সালাত কিংবা নামাজ এর কথা বলা হয়নি। আল্লাহ কি ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে জান্নাত দেবার কথা বলছেন নাকি সরল ভাষায় কেবল দুইটি শর্ত আরোপ করছেন?

১। যারা বিশ্বাস করে।
২। যারা ভাল কাজ করে।

এখন কোরআনের আয়াহ চ্যালেঞ্জ করতে আপনি হাদিথ নিয়ে আসেন তবে সেইটা মোটেও সঠিক কাজ হইবে না।

১৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১১

বিটপি বলেছেন: আমি চাই হাসান কালবৈশাখী নামের অজ্ঞ গন্ড মূর্খ গাধাটাকে সব ধরণের ইসলাম রিলেটেড ব্লগ থেকে দূরে রাখা হোক। ছাগলকে যেমন মসজিদে ঢুকতে দেওয়া হয়না ল্যাদানোর আশঙ্কায় - এই গাধাটাও ইসলামী ব্লগে ঢুকলে লেদিয়ে সব নষ্ট করে। এটাকে বেঁধে রাখা হোক, অথবা মুখে ঠুই পরিয়ে দেয়া হোক।

বোরখা যদিও ইসলামী পোষাক নয়, তবু মুসলিম নারীরা এটা পরিধান করে স্বস্তি পায়, তৃপ্ত অনুভব করে - তাই বোরখায় আমি কোন সমস্যা দেখিনা।

কোরআনে কারা জান্নাতে যাবে - এ সম্পর্কে অনেক জায়গায় বলা আছে, কিন্তু এমন কোন ইহুদী বা খ্রিস্টান কি আছে যারা তাওহীদের একনিষ্ঠ অনুসারী, মুহাম্মদী রিসালাতকে স্বীকার করে? এরকম কেউ যদি থাকে, তাহলে তারা আর খ্রিস্টান বা ইহুদী থাকেনা, মুসলিমই হয়ে যায়। বাই দ্যা ওয়ে, খ্রিস্টান বা ইহুদী জান্নাতে যাবে - এরকম কথা কোরআনের কোথায় বলা আছে?

একাধিক বিবাহের সুযোগ সূরা নিসার ৩ নং আয়াতে দেয়া আছে, কেবলমাত্র ইয়াতীম মেয়েদেরকে।

৭০/৭২ হূরের কথা বলা নেই, কিন্তু হূরের কথা সূরা আররাহমানে আছে।

বিদায় হজ্জের ভাষণে পরিস্কার আঁকড়ে থাকার হাদীস আছে। আপনি কোন উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ করছেন?

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:০৪

জ্যাকেল বলেছেন: বোরখা যদিও ইসলামী পোষাক নয়, তবু মুসলিম নারীরা এটা পরিধান করে স্বস্তি পায়, তৃপ্ত অনুভব করে - তাই বোরখায় আমি কোন সমস্যা দেখিনা।


একমত, আমিও সমস্যা দেখছি না। কিন্তু আপনি যদি কাউকে ধর্মীয় পোশাক হিসাবে কিংবা ইসলামী লেবাস হিসাবে চাপিয়ে দিতে চান তখনই সমস্যা। অপরদিকে, কেউ যদি চোখ বেঁধে ব্যস্ত রাস্তায় চলতে চায় তবে সে সহসাই এক্সিডেন্ট এর কারণ হইবে।
আমি দেখতে পারছি, কোরআন থেকে সরে গিয়ে হাদিস(!) এর উপর ভিত্তি করে ইসলামকে খুবই কঠিন করে ফেলেছে মোল্লাদের দল।

আল বাকারাহঃ ৬২

Indeed, the believers, Jews, Christians, and Sabians—whoever ˹truly˺ believes in Allah and the Last Day and does good will have their reward with their Lord. And there will be no fear for them, nor will they grieve.2

ইহুদী, খ্রিস্টিয়ান, পুজারী এদের মধ্যে যারা
আল্লাহ(সৃষ্টিকর্তায়) বিশ্বাস করে + কিয়ামতের দিন আছে বিশ্বাস করে
এবং ভাল কাজ করে
তাদের কোন ভয় নাই, কষ্ট/দুঃখ করতে হবে না, তাদের জন্য থাকবে পুরস্কার।


একাধিক বিবাহের সুযোগ সূরা নিসার ৩ নং আয়াতে দেয়া আছে, কেবলমাত্র ইয়াতীম মেয়েদেরকে।



হ্যাঁ, চার বিবাহ করা জায়েজ যদি আপনি উত্তম চরিত্রের অধিকারী হোন এবং বিপদাপন্ন কেবলমাত্র ইয়াতীম মেয়েদের জীবনকে সাহায্য করার জন্যই আল্লাহ এই নির্দেশ দিয়েছেন। এবং সরাসরি এক স্ত্রী নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে বলেছেন। এটা স্বয়ং আপনার মালিক'এর হুকুম। তাহলে যদি ঘুরিয়ে পেচিয়ে চার বিবাহ আরোপিত/যোগকৃত হলে তা কোরআনের বাইরে থেকেই তো, তাই না।

৭০/৭২ হূরের কথা বলা নেই, কিন্তু হূরের কথা সূরা আররাহমানে আছে।

আমি ৭০/৭২ হুরের কথা কোরআনে নেই বলেছি। তাই আপনার কথার অন্য মিনিং পাচ্ছি না।


বিদায় হজ্জের ভাষণে পরিস্কার আঁকড়ে থাকার হাদীস আছে। আপনি কোন উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ করছেন?

আপনার কাছে কি রেফারেন্স আছে? থাকলে দেন। ইহা বহুল প্রচলিত নিম্নের হাদিসের মত-

= কালিজিরা মৃত্যু ছাড়া সর্বরোগের মহৌষধ।

১৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আপনি যদি কোরান পড়ে থাকেন তবে আমার প্রশ্নের উত্তর কোরানের রেফারেন্স সহ দিন।আমি পাইনি সম্পূর্ণ কোরান কয়েকবার পড়েও।
কোরানের ৯ আয়াতে নামাজের কথা আছে।কয় রাকাত পড়তে হবে কি ভাবে পড়তে হবে সেসব কিছু লেখা নাই।
২:৪৫ ,২:২৩৮
৪:১০৩
৫:১৬২
১১:১১৪
১৭:৭৮
২২:৪১
২৯:৪৫
৬২:৯

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:০০

জ্যাকেল বলেছেন: আগেও বলেছি- বিতর্ক করে জেতাটা আপনার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ। নামাজ কয় রাকাত কিভাবে পড়তে হবে সেই বিবরণ আল্লাহ কোরআনে কেন দেবেন?
আল্লাহ নবীর কাছ থেকে আদর্শ গ্রহণ করতে বলেছেন। এর মানে এই না যে কুরআন এর পরিস্কার নির্দেশনার বাইরে গিয়ে হাদীস(!) কে ভিত্তি হিসাবে গ্রহণ করতে হইবে।
হাদীস অবশ্যই অনুসরণ করতে হইবে যতক্ষণ না তাহা কোরআন এর সাথে কন্ট্রাডিক্ট করে।

আল্লাহর নবী সাঃ এর দ্বারা ইহা আমাদের নামাজ পড়া শিখানো হয়েছে। এখন যারা রাকাত/হাত নামান/হাত তোলা এইসব নিয়ে ঝগড়া করে এরা মুলত আল্লাহর বাণী ঠিকমত বুঝতে পারে না বিধায় করছে।
আল্লাহর কাছে কোরবানীর রক্ত পৌছে না, পৌছে তাকওয়া। এখন কোরবানী-কারী যদি আল্লাহর নির্দেশনা অবজ্ঞা করে তাহলে সে কি কোরবানী করল?
সেইম নামাজের বেলাতেও।নামাজের কিভাবে হাত বাঁধতে হবে, কিভাবে সাজদা করতে হবে সবকিছুই নিয়াতের ওপর। এখন যদি কেউ অসৎ কাজ করতে থাকে আর নির্দিস্ট মাজহাবের নামাজ পড়তে থাকে তবেও সে কোরআনের গাইডলাইন অনুসারে জান্নাতে যাওয়ার হক রাখে না।

এছাড়াও, আল্লাহ যদি সরাসরি কোন নির্দিস্ট বিষয়ে না বলেন সেক্ষেত্রেও ব্যাপারটা নিয়ত'র উপরই বর্তায়। আপনার মনে কু-নিঅত থাকলে আপনি একটার পর একটা বিতর্ক জন্ম দিতে থাকবেন কারণ আপনার কাছে সত্যে পৌছান লক্ষ্য নহে।
আপনি গোমরাহিতে লিপ্ত আছেন।

১৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১৬

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: @ঈশ্বরকণা:

এই পোস্টটি পড়ে আমার কাছে এটা মনে হয় নি যে পোস্টদাতা নামাজকে খাটো করার কোনো প্রচেষ্টা করেছেন। তিনি বরং এটা বোঝাতে চেষ্টা করেছেন যে শুধু নামাজই এককভাবে নয় - এর সাথে ঈমান আনা এবং সৎপথে চলাও অপরিহার্য।

আপনার মন্তব্যে "আল্লাহ্তে বিশ্বাসী এই লোকগুলো কি করে" বলতে গিয়ে পরবর্তী বাক্যটি আপনি সম্পূর্ণ করেন নি
- তারা অদৃশ্যে বিশ্বাসী, নামাজ আদায় করে --- এর সাথে এও রয়েছে "আর আল্লাহতায়ালা তাদের যে রুজি দান করেছেন তা থেকে ব্যয় করে"।
এর শেষের অংশটি সম্পর্কে আপনার ধারণা কি ? বর্তমানে অনেকেই সৃষ্টিকর্তার উপর ঈমান বা আস্থা হারিয়ে তার প্রদত্ত রুটি-রুজিরও বাইরে সীমালঙ্ঘনকারী অবৈধ উপার্জনে লিপ্ত হচ্ছে। আল্লাহ যে জীবিকার ব্যবস্থা করেছেন তার বাইরে উপরি কামাইয়ের জন্য কেহ দুর্নীতি, চুরি, প্রতারণা করলে সে কি আল্লাহ্তে বিশ্বাসী থাকতে পারবে ?

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:০৫

জ্যাকেল বলেছেন: স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: @ঈশ্বরকণা:

এই পোস্টটি পড়ে আমার কাছে এটা মনে হয় নি যে পোস্টদাতা নামাজকে খাটো করার কোনো প্রচেষ্টা করেছেন। তিনি বরং এটা বোঝাতে চেষ্টা করেছেন যে শুধু নামাজই এককভাবে নয় - এর সাথে ঈমান আনা এবং সৎপথে চলাও অপরিহার্য।

সামান্য দ্বীমত। আমি আসলে বুঝাতে চেয়েছি বেহেশতে যাবার পথ ঈমান আনা + সৎ কাজ করা। নামাজ ইহার সাথে জড়িত হইবে পরোক্ষ ভাবে।
সৎ কাজ বলতে সততা মুখ্য হইলেও এর মধ্যে আল্লাহর গোলামীও জড়িত। মানে, জিকির, নামাজ, তাসবীহ।

১৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:২০

ঈশ্বরকণা বলেছেন: স্বামী বিশুদ্ধানন্দ, লেখাটার ব্যাপারে আপনার মন্তব্যের সাথে আমি কিন্তু দ্বিমত করছি ।

প্রথমেই লেখাটার শিরোনামটা খেয়াল করুন -প্রচলিত ইসলামে কিছু আচার যা কোরআন এর বাইরে থেকে যোগ করা। তার মানে লেখায় উনি যে শিরোনামগুলো দিয়েছেন সেগুলো বাইরে থেকে যোগ করা বিষয় দেখেই উনি আলোচনায় এনেছেন । প্রথমেই বোরখার ব্যাপারটা দেখুন । উনি পরিষ্কার করেই বলেছেন "বোরকা, আল্লাহ পোশাকের ব্যাপারে শালিন/যে দেশে যদাচার/কৃষ্টি অনুযায়ী পড়তে বলেছেন অথচ ইহাকে এরা আপাদমস্তক ঢাকা বোরকা বানিয়ে ফেলেছে।" তার মানে উনি বোরখার ব্যাপারটা হলো এমন আচরণ যা কোরানের বাইরে থেকে যোগ করা সেটাই বলেছেন বা বলতে চেয়েছেন তাই না ? সেভাবেইতো পড়তে হবে নাকি অন্য কিছু ভাবার সুযোগ আছে এই বাক্য থেকে ?

তারপরেই সেকেন্ড পয়েন্টাতেও একই ভাবে উনি নামাজ বেহেস্তের চাবিকাঠি সেটা বাইরে থেকে আরোপ করা সেটাই বলেন চেয়েছেন । উনি খুব পরিস্কার করেই বলেছেন "কোরআনে বেহেস্তের চাবি/সমার্থক বলা হইয়াছে যারা ঈমান আনে এবং সৎ পথে থাকে। এখানে বোঝানো হয়েছে কঠিনতম বিপদেও আল্লাহর বিশ্বাস থেকে নিজেকে সরিয়ে না ফেলা এবং নিজের লাভের আশায় অন্যের ক্ষতি হোক এমন কাজ থেকে বিরত থাকা। " নামাজের ব্যাপারটাই এখানে উলেলখ করা হয়নি ! ঈমান আনার ব্যাপারটা কোনো পারফর্মিং এক্ট না । এটা আনসিন ।এটা বিশ্বাসের বিষয় । আল্লাহ্তে বিশ্বাসী একজন লোক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পরিপূর্ণভাবে নাও আদায় করতে পারে কিন্তু । সেজন্যই কুরআনে বলা হয়েছে মানুষ কি মনে করে যে, আমরা ঈমান এনেছি, একথা বললেই তাদের পরীক্ষা না করে অব্যাহতি দেওয়া হবে" (২৯:২)? নামাজ সেই পরীক্ষার একটা জরুরি বিষয় ।কুরআনের প্রায় শুরুতেই তাই সূরা বাকারায় আল্লাহ নিজেই ঈমানের পরে নামাজের কথা বলেছেন । আল্লাহ যা দেন তার থেকে ব্যয় করার কথা আসছে তার পরে। কুরআনের মোট ৬৭টি আয়াতে নামাজের কথা সম্ভবত 'সালাহ' উল্লেখ করেই বলা হয়েছে । ইবাদত হিসেবে নামাজকেও ধরতে হবে । সেভাবে প্রায় ৭০০ আয়াতে নামাজের কথা পরোক্ষভাবেও আছে । তাহলে নামাজ কিন্তু খুবই স্পেশাল একটা বিষয় ইসলামে । সৎ একজন মানুষ নামাজ নাও পড়তে পারে এমন কি মুসলিম নাও হতে পারে । একটা উদাহরণ দেই । ইসলাম গ্রহণের আগেও কিন্তু হাতেম তাঈ -যাকে আমরা দাতা হাতেম তাঈ বলে জানি উনি সৎ ছিলেন, দানবীর ছিলেন । কিন্তু উনি (ইসলামের) অদেখা বিষয়ে বিশ্বাসী ছিলেন না আর নামাজ আদায়কারীও ছিলেন না । তাহেল বলা যাবে উনি সেই সময়ে হিদায়াতপ্রাপ্ত ছিলেন ? বেহেস্তের চাবিকাঠি তার কাছে তখন ছিল ? নিশ্চই বলা যাবে না কুরআনের সূরা বাকারার ২-৩ নং আয়াতের ভাষ্য অনুযায়ী তাই না ? সেজন্যই আমি দ্বিমত করছি লেখার সাথে ।

আর আমি "আল্লাহ্তে বিশ্বাসী এই লোকগুলো কি করে" বলতে গিয়ে পরবর্তী বাক্যটি আপনি সম্পূর্ণ করেন নি ..." আপনার এই বক্তব্যের ব্যাপারে বলি আমি কিন্তু ডট দিয়ে বুঝিয়েছি বাক্যের পরেও আরো কথা আছে । আমি যেহেতু নামাজের গুরুত্ব প্রসঙ্গে মন্তব্যটা করেছি তাই অন্য বিষয় মন্তব্যে আনতে চাইনি । তাছাড়া আমিতো পরিস্কার করেই বলেছি " বিষয়টা হলো আল্লাহ বেহেস্ত লাভের ব্যাপারটাকেই ব্যক্তির জন্য সেরা সাফল্য বলেছেন । আর সেই সাফল্য অর্জন করতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টাই হলো নামাজ (সহিভাবে তাকওয়ার সাথে আদায় করা নামাজ)।সেই অর্থেই নামাজকে বেহেস্তের চাবিকাঠি বলা হয়", তাই শুধু নামাজ পড়লেই হবে সেটাতো বলিনি । পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ তাকওয়ার সাথে পড়লে অন্য অনেক বিষয়ই যেমন সততা সেটা অবশ্যই গড়ে উঠবে মানুষের ভেতর । নইলেতো তাকওয়ার সাথে নামাজই আদায়ই হবে না। অসৎ মানুষের নামাজতো কবুল হবে না আল্লাহর কাছে। কিন্তু সততার ব্যাপার কিন্তু একই রকম না হাতেম তাঈয়ের ঘটনায় বিষয়টা নিশ্চই পরিষ্কার। তাই আমার এখনও মনে হচ্ছে পোস্ট লেখক নামাজের ব্যাপারে যেভাবে বলেছেন সেটা সঠিক নয় । সততা নামাজের পরের ব্যাপার। নামাজ বাদ দিয়ে শুধু ঈমান আর সততা দিয়ে কুরআনিক গাইডেন্স পাবার সুযোগ নেই আর তাতে সৎপথে থাকার কারণে বেহেস্ত পাবার চাবিকাঠি পাবার সম্ভাবনাও নেই কুরআনের ভাষ্য অনুযায়ী (২:২-৩;২৯:২)।

যাহোক, থাঙ্কস আপনার মন্তব্যের জন্য । আপনার মন্তব্যের জন্যই আমার নিজের মন্তব্য আরেকটু ক্লারিফাই করার সুযোগ হলো ।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৩৬

জ্যাকেল বলেছেন: আল্লাহ আমাদের পরিক্ষা করার জন্যই দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। কি সেই পরিক্ষা?

* আল্লাহর গোলামী
* মা-বাবার প্রতি সদাচরণ
* অসহায়/এতিম এর সাথে সদাচার/সাহায্য
* মিসকিন
* মানুষের সাথে উত্তম ব্যবহার
* সালাত
* জাকাত

দেখেন, আল্লাহ তাআলা কিন্তু সালাত এর চেয়েও বেশি গুরুত্বপুর্ণ করেছেন মা-বাবার প্রতি দ্বায়িত্ব পালন থেকে শুরু করে চারিত্রিক পবিত্রতার দিকে। নামাজ আসে মোটামুটি শেষে। এখন ক্লাসের গণিত, ইংরেজি কঠিন, কিন্তু ইসলাম শিক্ষা সোজা বিধায় এক সাবজেক্ট পাস করলে কি পাশ করা যাইবে?
হ্যাঁ আপনি বলেছেন আপনি শুধু নামাজ এর কথা বলেন নি সততাও লাগবে। তবে ইহা নামাজের পরে আসবে। এখানেই আপনার সাথে আমার দ্বীমত।
আল্লাহ স্বয়ং আপনাকে সৎ কাজ করতে বলছেন জান্নাতে যাবার শর্ত হিসাবে সেখানে আপনি কিভাবে আল্লাহর দেওয়া বিধানকে প্রায়োরিটি কম বেশি করেন?

আপনি আমাকে আহলে কুরআন সাব্যস্ত করতে পারেন তবে আমি কোরআনে এমন কোন আয়াত পাইনি যেখানে

নবিজী সাঃ এর সব কথা, কাজ ও অনুমোদনকে আল্লাহ আমাদের জন্য পালনীয় বলেছেন।

বরংঃ
Say, "Have you seen what Allah has sent down to you of provision of which you have made [some] lawful and [some] unlawful?" Say, "Has Allah permitted you [to do so], or do you invent [something] about Allah?"

বলুন, আপনার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তাতে আপনি নিজে কি কোন কিছুকে হালাল এবং কোন কিছুকে হারাম করেছেন? বলুন, আল্লাহ আপনাকে অনুমোদন দেন, নাকি আপনি আল্লাহর নামে কোনকিছু বানান?

এখানে পরিস্কার বোঝা যায়, হালাল, হারাম সব কিছুর সুপ্রিম কোর্ট হইতেছে কোরআন। স্বয়ং নবী সাঃ কে আল্লাহ হালাল/হারাম ঠিক করার অনুমতি দেন নি সেখানে আপনি কি করে বেহেশতে যাবার চাবিকাটি হিসাবে নামাজ পেলেন?
অথচ পরিস্কার করে আল্লাহ বলে দিয়েছেন বেহেশতে যাবার চাবিকাটি কি।

১৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:০২

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: হিজিবিজি।

২০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:১৩

নীল আকাশ বলেছেন: আাপনার পোস্ট পড়লাম। আমাকে একটা প্রশ্নের উত্তর দিন।
আপনি তো কুরআন শরীফ মানেন। সুতরাং কোন কিছু এখানে দেয়া থাকলে প্রশ্ন তুলবেন না।
১। “আর তিনি মনগড়া কথাও বলেন না, এতো ওহী যা তাঁর প্রতি প্রত্যাদেশ হয়” (সুত্রঃ সূরা আন-নজম, আয়াত ৩ ও ৪)
২। “তিনি যদি আমার নামে কিছু রচনা চালাতে চেষ্টা করতেন আমি অবশ্যই তাঁর ডানহাত ধরে ফেলতাম এবং কেটে নিতাম তাঁর জীবন ধমনী” (সূত্রঃ সূরা আল-হাক্কাহ, আয়াত ৪৪, ৪৫ এবং ৪৬)
৩। “রাসুল তোমাদের যা দেন তা তোমরা গ্রহণ কর এবং যা তোমাদের নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাক।” (সূরা আল-হাশর, আয়াত ৭)
এখন আপনি যদি সহী হাদিস না মানেন তাহলে তো আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করছে। এই তিনটা আয়াতের অর্থ ভালোভাবে বুঝুন।



০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৫৬

জ্যাকেল বলেছেন: ১। নবী সাঃ কেন মনগড়া কথা বলবেন? আমি তো এই কথা জান গেলেও বলতে পারব না। এই অবান্তর প্রশ্ন কেন করছেন?

২। নবী সাঃ নিজে কোন কিছু করার এখতিয়ার রাখেন না, এটাই তো বোঝানো হইতেছে। নাকি?

৩। আপনি আয়াতের অল্প অংশ যা আসল মিনিং থেকে মানুষকে বিভ্রান্ত করবে সেটাই মেনশন করেছেন। এইভাবে জালিয়াতি করে মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে দুরে নেওয়া যায় না।
দেখুন পুর্ণ অনুবাদঃ
আল্লাহ জনপদবাসীদের কাছ থেকে তাঁর রসূলকে যা দিয়েছেন, তা আল্লাহর, রসূলের, তাঁর আত্নীয়-স্বজনের, ইয়াতীমদের, অভাবগ্রস্তদের এবং মুসাফিরদের জন্যে, যাতে ধনৈশ্বর্য্য কেবল তোমাদের বিত্তশালীদের মধ্যেই পুঞ্জীভূত না হয়। রসূল তোমাদেরকে যা দেন, তা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেন, তা থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা।

এখানে আল্লাহ কি গ্রহণ করতে কাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন সেইটা পরিস্কার উল্লেখ আছে।

২১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:১৫

নীল আকাশ বলেছেন: @ ঈশ্বরকণাঃ ইসলাম নিয়ে উনি কন্ট্রাডিকটরি কথা লিখেছেন।
আল্লাহ বলছেন মহানবীর কথা মেনে চলতে আর উনি বলছেন শুধু কুরআনের কথা (২০ নাম্বার মন্তব্য পড়ুন)
এরা সম্ভবত আহলে কুরআন নামের কিছুর নব্য সংস্করন।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৫৮

জ্যাকেল বলেছেন: ২০ মন্তব্য তো আপনার

আর আহলে কুরআন নাম দেন আর যাই দেন, আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে দিনশেষে সকলকে। যারা আল্লাহর বাণিকে অস্পষ্ট বলে তারা স্পষ্টতই কুরআনকে সীমাবদ্ধ/অস্পষ্ট হিসাবে প্রচার করে।

২২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:২১

বিটপি বলেছেন: বিদায় হজ্জ্বের ভাষণের ব্যাপারে এর চেয়ে ভালো কোন প্রমাণ আমার হাতে নেই।

বিদায় হজ্জ্বের ব্যাপারে যতগূলো হাদীস আছে, কোন হাদীসই এই স্টেটমেন্টকে অস্বীকার করেনি। তাই কুরআনের পাশাপাশি রাসূলের (স) সুন্নাহকেও আঁকড়ে থাকতে হবে, যদি বিভ্রান্ত হতে না চান।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৬

জ্যাকেল বলেছেন: লিংক কাজ করে না।

বিদায় হজ্জ্বের ব্যাপারে যতগূলো হাদীস আছে, কোন হাদীসই এই স্টেটমেন্টকে অস্বীকার করেনি। তাই কুরআনের পাশাপাশি রাসূলের (স) সুন্নাহকেও আঁকড়ে থাকতে হবে, যদি বিভ্রান্ত হতে না চান।


আপনি সহী হাদীস এর রেফারেন্স দিতে পারেন। নাম্বার সহ।

২৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:১৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

বিটপি গালাগালি কেন?
যুক্তি খুজে না পেলে চুপ থাকাই ভাল।

আগেই বলেছি আমি নাস্তিক নই। নাস্তিক হতেও চাই না।
এখনো সামাজিক ভাবে নামাজ পরা মোসলমান। শুক্রবার মসজিদে যাই, ছেলে কেও নিয়ে যাই।
ইমান না থাকলেও আনার আপ্রান চেষ্টা করছি, কে বেহেস্ত মিস করতে চায়? আল্লাহ যদি আসলেই থেকে থাকলে সেটা দেখবে। না থাকলে নাই।
আল-কোরান সবটা পড়েছি। কোরান রাজনৈতিক গ্রন্থ নয়, ধর্মগ্রন্থ।
সুধু কোরান মানলে ইসলাম ধর্ম মুলত একটি ব্যক্তিগত ধর্ম।
কিন্তু ৩০০ বছর পর বিভিন্ন হাদিস বানিয়ে ইসলাম ধর্মকে রাজনৈতিক বানানো হয়েছে। যুদ্ধবাজ নগর দখলবাজ, লুটতোরাজকারি, গনিমতের মাল লোভি লুন্ঠনকারি গোষ্টিবর্গ নিজ নিজ গোষ্ঠির সার্থে রাজ ক্ষমতা কুক্ষিগত করতেই এটা করেছে। এখনো করে যাচ্ছে। কেউ হেলিকপ্টারে চলতে, কেউ রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করতে, কেউ ধর্মভিরু জনগোষ্টিকে বোকা বানিয়ে বিকাশে অর্থ হাতিয়ে নিতে।

মৌদুদি চরমনাই আহম্মদিয়া বা হেফাজতি হানাফি সালাফি রাজনীতি গষ্টিতে না যেয়েও ধর্ম ১০০% সুদ্ধ ভাবে করা যায়।
ইসলাম একটি ব্যক্তিগত ধর্ম।
নামাজ রোজা হজ্ব জাকাত সবই ব্যক্তিগত। নামাজ মসজিদে বা বাসায় একই ফরজ আদায়।
নামাজ কায়েমের কথা বলা আছে, মানে নামাজ চালু রাখতে হবে, সুন্নত নফল নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে বলে নি
কাধের উপর দুই ফেরেস্তা ব্যক্তিগত হিসেব নিবে। গোষ্টিগত নহে। হাসরের ময়দানে, পুলসেরাতে ও শেষ বিচারও ব্যাক্তিকেন্দ্রিক। একাই থাকবে, কথিত ইসলামী নেতারা থাকবে না কেউ ই থাকবে না দলও থাকবে না, ইভেন পরিবারের কেউ ই থাকবে না। বেহেস্তে গেলেও একক ভাবে যাবে। একা + অচেনা সেভেন্টিটু হোর।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০২

জ্যাকেল বলেছেন: আপনি কোরআন পড়েছেন বলে মনে হচ্ছে না। আপনি প্রায়ই ইসলাম বিদ্বেষাত্মক কথাবার্তা বলেন। আপনার মনে প্রচুর হিংস্বা-বিদ্বেষ ও প্রচন্ড একপাক্ষিক মনোভাব। নিজের দল/মতের সমালোচনা/খারাপ দিক এইসব দেখতে আপনার খুব খারাপ লাগে। এইসকল মনোভাব বাদ না দিতে পারলে মুক্ত ও উদার মানুষ হওয়া অসম্ভব।
নিজের আত্মার স্বাস্থ্যের জন্য সরলতা ও উদারতা অপরিহার্য। তাই এই দিক নিয়ে একটু ভাবেন।

ইসলাম মূলত মানুষের জন্য। মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক সব বিষয়ে কাজ/অংশগ্রহণ লাগে। তাই ইসলাম শুধু ব্যক্তিগত বিষয় বিবেচনাও ভুল।

সেভেন্টিটু এই জিনিস ইসলামের অন্তর্গত বলে ভাবা জ্ঞানী মানুষের জন্য শোভা পায় না। যারা জানে না তাদের জন্য শোভা পায়। আর কিছু শব্দের বানান খেয়াল রাখবেন।
হোর = মাগী/বৈশ্যা
হুর = বেহেশতের হুর

২৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:৪৯

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: @ঈশ্বরকণা:
আপনি ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে ঈমান ও সৎ কার্যের প্রায়রিটিকে একটু অন্যদিকে ডাইভার্ট করতে চাচ্ছেন বলেই মনে হচ্ছে।
আর কিছু যুক্তিতে ফ্যালাসি সৃষ্টিরও অপপ্রয়াস রয়েছে।
আপনার "মানুষ কি মনে করে যে, আমরা ঈমান এনেছি, একথা বললেই তাদের পরীক্ষা না করে অব্যাহতি দেওয়া হবে" (২৯:২) বক্তব্য আপনি নিজে অনুধাবন করতে পেরেছেন কি ? এই আয়াতটি কেহ ঈমান এনেছি মুখে বললেই হবে না এই অর্থে বলা হয়েছে, ঈমান নিয়ে হিপোক্রেসীর বিরুদ্ধে বলা হয়েছে - মনেপ্রাণে ঈমানের দৃঢ়তার আবশ্যকতার তাগিদ দেয়া হয়েছে। আর এই ঈমানের দৃঢ়তার এবং পরীক্ষা পাশের প্রমানই হচ্ছে কঠিনতম বলেন আর সুসময়েই বলেন সৃষ্টিকর্তার উপর আস্থা না হারিয়ে সকলপ্রকার অনৈতিকতা, দুর্নীতি, ও পাপাচারে হতে বিরত থাকার চেষ্টা করা।

বাংলাদেশে এখন প্রচুর ধর্মীয় নেতা ও তথাকথিত ধার্মিকরা দুর্নীতিকে প্রায়োরিটি লিস্টের নিচে রেখে ধর্মকে রিচুয়ালের পর্যায়ে সীমাবদ্ধ রাখার অপপ্রয়াসে লিপ্ত। এই কারণে এখানে মসজিদে ও জুম্মার নামাজে মুসুল্লীর সংখ্যা বাড়লেও সেই অনুপাতে অসৎ, দুর্নীতিবাজ, ও অমানুষের সংখ্যা কিন্তু কমছে না বরং দিন দিন বাড়ছে আশংকাজনকভাবেই।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:২১

জ্যাকেল বলেছেন: আপনার পরিস্কার কথাবার্তা আমার কাছে ভাল লেগেছে। প্রতিটি ব্লগারের এমনই হওয়া উচিত। কিন্তু দুঃখজনক হইলেও সত্য যে বেশি অংশে কথা/ব্লগিং হইতেছে জটিলতাকে অবলম্বন করে। যদিও ইহা খারাপ বলা যাচ্ছে না।

কেউ যদি ঈমানদার হয় তবে সে সতর্ক থাকবে তার রব'এর আদেশ নিষেধ এর দিকে। সে অন্যের ক্ষতি করার আগে দু-বার ভাববে। তার দ্বারা ঘুষ খাওয়া লেনদেন নিয়ে ঝামেলা করা, হারাম খাওয়া একপ্রকার অসম্ভব।
নিজের কওম এর ক্ষতি হইতে পারে জেনে কোরআন এর কমন সেন্স/টার্ম কে অবজ্ঞা করা হইতেছে অধিকাংশ আলেম নামধারী মুর্খদের দ্বারা। ইসলামকে ইহারা প্রতিনিয়ত অশান্তির ধর্ম হিসাবেই জাহির করে।

খুবই খারাপ।

২৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪০

বিটপি বলেছেন: আমি কোন গালাগালি করিনাই। আপনি অপ্রয়োজনীয় ছাগলামি বন্ধ করেন, কেউ আপনার জাত চেনাতে আসবেনা। আপনি ঈমান আনার আপ্রাণ চেষ্টা করে লাভ নেই, আপনার দিলে মোহর মেরে দেওয়া আছে, তাই বেহেশত মিস হবার চান্সই বেশি। তবে ঈমান যদি চেষ্টা না করে এমনিতেই এনে ফেলেন, তাহলে বেহেশতে গেলেও যেতে পারেন।

কোরআন অনুযায়ী ইসলাম কোন মতেই ব্যক্তিগত ধর্ম নয়। সূরা নিসা, তাওবাহ, নূর এরকম আরো অনেক সূরায় সামাজিক ন্যায় বিচার, ব্যবসা বাণিজ্য, অর্থনীতি, আইন - এসব বিষয়ের উপর আলোকপাত করা হয়েছে। এগুলো ব্যক্তিগত উদ্যোগে কখনোই প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না। কোরআন আপনি পড়েছেন - এই দাবী ১০০% মিথ্যা। কোরআন বুঝে পড়লে গাধার মত এরকম কথা বলতেন না।

মৌদুদি চরমনাই আহম্মদিয়া বা হেফাজতি হানাফি সালাফি রাজনীতি গষ্টিতে না যেয়েও ধর্ম ১০০% সুদ্ধ ভাবে করা যায়। যেমনভাবে আমি করছি।

নামাজ যদি একান্ত ব্যক্তিগতই হোত, আপনি ছেলেকে নিয়ে মসজিদে যান কেন? ঘরে বসে বাপ-বেটা মিলে জুমার নামাজ পড়লেই তো পারেন। ঘরের মধ্যে একটা কাবা ঘরের মূর্তি এনে ব্যক্তিগত উদ্যোগে হজ্জ্বটাও সেরে নিয়ে হাজী কালবৈশাখী নামে একটা ব্লগ খুলিয়েন। মনে রাখবেন, হজ্জ্বও কিন্তু ফরজ ইবাদত।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:০৫

জ্যাকেল বলেছেন: মৌদুদি চরমনাই আহম্মদিয়া বা হেফাজতি হানাফি সালাফি রাজনীতি গষ্টিতে না যেয়েও ধর্ম ১০০% সুদ্ধ ভাবে করা যায়। যেমনভাবে আমি করছি।


একমত।

বিশেষত মৌদুদীবাদ নিয়ে লেখার ইচ্ছা আছে।

২৬| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:২১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মসজিদে একা যাওয়া যায়, বাসায় একা নামাজ হয়। জজেও একা যাওয়া যায়, দল বেধে যাওয়া লাগে না।

হেলিকপ্টারে চলতে, রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করতে, ধর্মভিরু জনগোষ্টিকে বোকা বানিয়ে বিকাশে অর্থ হাতিয়ে নিতে দলবল নিয়ে করতে হয়।।

২৭| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:২২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: *
হজেও একা যাওয়া যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.