নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মিলে মরিতে হইবে

জ্যাকেল

ব্যাথার প্রকাশ শুধু কান্নাতেই যে হয় তা নহে। হাসিতেও ব্যাথা লুকিয়ে থাকিতে পারে। - ! ২০০৮

জ্যাকেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল কোরআন কি স্পষ্ট কিতাব? নাকি ইহা সহজবোধ্য করে নাযিল করা হয়নি?

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৩৩

সুদীর্ঘকাল থেকে ইসলামের ইজারাদার দাবী করা মানুষদের থেকে নিন্মলিখিত সাবধান বাণী পাওয়া যাইতেছে-

১। হাদীস হইতেছে ইসলামের স্তম্ভ, কোরআন সরাসরি আল্লাহ প্রেরিত হইলেও হাদীস অবিচ্ছেদ্য অংশ।
২। বুখারী শরিফ দ্বিতীয় কোরআন, ইহা নিয়ে প্রশ্ন চলে না।
৩। সহীহ হাদীস নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা মুনাফিকি/ফাসেকীর লক্ষণ।
৪ এবং আরো

অথচ বাস্তবতা হইতেছে এইরকম-

* প্রতিটি মানুষকে নিজ নিজ কর্মের জন্য জবাবদিহী করতে হইবে। অন্য কোন মানুষ (পিতা/মাতা/ভাই/বোন আত্মীয় স্বজন/পীর/ফকির/ওলী/আউলিয়া/শয়তান) কেহই ঐ মানুষের কর্মের জন্য রেস্পন্সিবিলিটি নিবে না।
* ইসলাম অর্থ শান্তি। ইহা জানার পরেও কেহ যদি কোরআন থেকে শান্তির পথ/সিরাতুল মুস্তাকিম না খোঁজার চেস্টা করে তবে ঐ লোক বিচারের দিনে আল্লাহকে বলতে পারবে না যে আমি ইহা অবগত ছিলাম না।

এখন ঐশ্বরিক ব্যাপারে সাধারণ মানুষদের বিভ্রান্ত করলে কি কি ফায়দা দেখা যাক-

১। মানুষকে আল্লাহর স্পিরিট থেকে দুরে রাখা যাবে, ফলে বেশিরভাগ মানুষই ভিরু হয়ে যাবে। সমাজের নানা রকমের প্রভাবশালী মানুষদের বিরাট উপকার হবে।
২। মোল্লাদের (কৃত্রিম+অপ্র‍য়োজনীয়) পেশা বন্ধ হয়ে যাবে, এই ভয়ে অনেকে নিজেদের জারিজুরি ফাঁস করতে চায় না।
৩। সমাজে আদর্শিক অবস্থা বিরাজ করলে তাতে চাইলেই ক্ষমতা খাটানো যাবে না ফলে অনেক ক্ষমতাশীল মানুষ ইসলামের দলাদলি দেখতে চায়।
৪। মানুষকে বিভ্রান্ত রাখলে তারা নানা রকমের মতে জড়িয়ে থাকবে তাই কেয়ামত পর্যন্ত তারা বিতর্ক করতে থাকবে কখনোই এক হইতে পারবে না। ফলে ডিভাইড এন্ড রোল সিস্টেম দিয়ে সারাটা জীবন এদের থেকে লাভবান হওয়া যাবে।

যাহারা কোরআনের অপব্যখা করে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতেছে, জংগীপনার দিকে সাধারণ মানুষকে জড়িত করতেছে তা অনুধাবন করার পরেও যেইসকল আলেম(জ্ঞানী/জানা মানুষ) উহা নিয়ে বিরত থাকতেছে তাদের চরম জবাবদিহী করতে হইবে।

কোরআন অনুসারে ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা জরুরী নহে বরং ভাল মানুষ হওয়া জরুরী বলা হইয়াছে। এখন ইসলামী রাজনীতির নামে যেইভাবে জিহাদের ডাক দেওয়া হইতেছে উহা বেশিরভাগই হইতেছে দুনিয়াবী স্বার্থ কায়েমের জন্য ইসলামকে ব্যবহার। এই পথে সাপোর্ট যারা যারা দিতেছেন তারা মুলত খোদার দেওয়া সীরাতুল মুসতাকিম/সরল পথকে অপ্র‍য়োজনীয় আবরণ দিয়ে আচ্ছাদিত করে ফেলতেছেন।

আসল কথা হইতেছে পৃথিবীতে শান্তি স্থাপনে আপনার অবদান কতটুকু ইহাই পুণ্য বলিয়া বিবেচিত হইবে, আল্লাহর গোলামী মাথায় রেখে আপনে কতটা ভাল কাজ করলেন, কতটা ধৈর্য ধারণ করতে পারলেন, লোভ/রিপু থেকে নিজেকে কতটা বিরত রাখতে সক্ষম হইলেন উহাই আপনার বেহেশতে যাবার নির্ণায়ক হইবে।
অপরদিকে, সমাজের মানুষকে অশান্তির রাস্তায় যদি নেবার পথে আপনি অবদান রাখেন কিংবা না জেনে, কেবল ঝোঁকের বশবর্তী থাকিয়া যদি মানুষের ক্ষতি করেন, ভুল পথে পরিচালিত করেন, জেনে শুনে পৃথিবীর সম্পদ নষ্ট করেন, রিপু নিয়ন্ত্রণের চেস্টা না করেন এবং আল্লাহর কথা মনে হইবার পরেও আপনি খারাপ কাজ থেকে পিছবা হন নাই এইরকম খারাপ কাজের কারণে আপনি দোজখে যাইবার জন্য উপযুক্ত হইবেন।

আল্লাহ তো কোরআনে স্পষ্ট অক্ষরে বলে দিয়েছেন- চয়েস আপনার। কোন পথে আপনি থাকতে চান? যদি আল্লাহর পথে থাকতে চান তবে নিজেকে শান্ত করে কোরআন পড়া শুরু করে দেন। প্রেক্ষাপট অনুসারে কোরআন পড়লে আর কোন মৌলভী লাগবে না, আল্লাহ আপনাকে যে জ্ঞান বুদ্ধি দিয়েছেন উহাই যথেষ্ট।


মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:১১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এই প্রথমবারের মত আপনারা সাথে একমত হলাম।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৪৬

জ্যাকেল বলেছেন: চিন্তায় ফেলে দিলেন।

২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:১৩

কুশন বলেছেন:



আপনার পোষ্টগুলো কি কোরান-হাদিসের তফসীর, নাকি কোরান হাদিসের সম্পুরক?

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:০০

জ্যাকেল বলেছেন: আপনি কি পে^চা হইতে ভালবাসেন?

৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৪৫

সোবুজ বলেছেন: কোরান বুঝতে হলে সবার আগে বুঝতে হবে।নাসিক মানসুখ।কোরানের অনেক আয়াত পরবর্তি আয়াত দ্বারা বাতিল হয়ে গেছে।নাজিলের ক্রম মেনে কোরান পড়তে হবে তবেই ভাল বুঝা যাবে।বাতিল আয়াত কোরানে লেখা আছে তাই কোরানের সব আয়াত মানতে হবে এমন কথা নাই।যেমন মধ প্রথমে হালাল করা হয় সর্বশেষ আয়াতে হারাম করা হয়।মক্কার আয়াতের অনেক কিছু পরবর্তি আয়াত দ্বারা বাতিল হয়ে যায়।
আপনার ইসলাম অনেক সুন্দর,কিন্তু বাস্তবের ইসলাম এমন না।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:০০

জ্যাকেল বলেছেন: আমি কোরআন থেকে সরল মনে যা পাইতেছি তাহাই বলতেছি।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৫

জ্যাকেল বলেছেন:

৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:২২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: 'তিনিই সেই মহান সত্তা যিনি আপনার কাছে কিতাব নাজিল করেছেন। যার কোনো কোনো আয়াত প্রকাশ্য ও সুস্পষ্ট অর্থ প্রকাশ করে, এ আয়াতসমূহ হলো এ কিতাবের মূল (আলোচ্য বিষয়)। আর কিছু আয়াত আছে যার অর্থ অজানা বা অস্পষ্ট, অতঃপর যাদের অন্তরে বক্রতা আছে তারা অশান্তি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে অস্পষ্ট আয়াতের ব্যাখ্যার পেছনে ছুটতে থাকে। অথচ আল্লাহ ব্যতিত এর মর্ম আর কেউ জানে না এবং (এ আয়াতের ব্যাপারে) যারা জ্ঞানবান তারা বলে আমরা এতে বিশ্বাস স্থাপন করেছি, সব কিছুই আমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ এবং বুদ্ধমানগণ ব্যতিত অন্য কেউ নসিহত কবুল করতে পারে না।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ৭)

- মোহকাম আয়াত
যে সব আয়াতের অর্থ স্পষ্ট কিংবা আয়াতের মর্মার্থ বুঝতে কোনো জটিলতা নেই এবং এতে একাধিক অর্থের সম্ভাবনাও থাকে না। আবার অর্থের জটিলতা থাকলেও প্রিয়নবির বর্ণনায় তা সুস্পষ্ট এবং সুনির্দিষ্ট হয়ে যায়।

- মুতাশাবিহ আয়াত
পক্ষান্তরে যেসব আয়াতের অর্থ অস্পষ্ট, কোনো ভাষাবিদ শুধু ভাষা জ্ঞান দ্বারা এর অর্থ নির্ধারণ করতে পারে না তাহলো মুতাশাবিহ। তবে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুতাশাবিহ আয়াতের যদি কোনো ব্যাখ্যা করেন তবে তা মানুষের বোধগম্য হয় এবং সেক্ষেত্রে এ মুতাশাবিহ আয়াতকে ‘মুজমাল’ বলা হয়।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:০৭

জ্যাকেল বলেছেন: কোরআন স্বয়ংসম্পুর্ণ একটি গ্রন্থ। ইহা আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত নসিহত। জটিল ভাষাজ্ঞান নিয়ে সন্দেহ ঢুকিয়ে যারা মানুষকে আল্লাহর বাণী থেকে দূরে সরিয়ে নিতে চায় তারা এইরকম জটিলতা সবার আগেই পেয়ে বসে। অথচ দেখেন সূরা বাকারায় আল্লাহ বলে দিয়েছেন -

"This is the Book about which there is no doubt, a guidance for those conscious of Allah" (বাকারাহ:২)

সো বুঝতেই পারতেছেন আল্লাহ কি বলছেন। এই বইয়ে কোন সন্দেহ নেই , আল্লাহর পক্ষ থেকে ইহাই মানুষের জন্য গাইডলাইন।

৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ২:১৩

কুশন বলেছেন:


নিউইয়র্কের আফ্রিকান আমেরিকান মুসলমানেরা টিকা নিচ্ছে না; তারা নাকি কোরানে এমন আয়াত পেয়েছে, যা প্রতি শুক্রবারে পড়লে জীবনে করো না হবে না।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:০৯

জ্যাকেল বলেছেন: হা:হা:হা:

আর কত জুতা খাইলে আপনার আকল হইবে?

৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ২:৫৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুন্দর একটি লেখা। মানুষ ভালো হলে রাষ্ট্রও ভালো হবেই। কিন্তু আজকাল শাসকমণ্ডলী লোভী

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:১০

জ্যাকেল বলেছেন: একমত। আগে মানুষকে আল্লাহর আদেশ নিষেধ চলতে ঐক্যমত করে নিতে হবে তবে এমনিতেই আল্লাহর রাষ্ট্র হইয়া যাইবে।

৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:০১

হাইজেনবার্গ ০৬ বলেছেন:
সিরাতুল মুস্তাকীম বা সহজ সরল পথ, এ পথ কোনটা , এটা কিভাবে অর্জন সম্ভব? আপনার পোস্টে উল্লেখিত ইসলামের ইজারা দাবীদারদের সাথে আপনার উল্লেখিত বাস্তবতার কোরলেশন জিরো মনে হলো আমার কাছে।

আবার আপনি লিখছেন 'কোরান অনুসারে ইসলামী ব্যবস্থা জরুরী নহে বাট ভালো মানুষ হওয়া জরুরী বলা হইয়াছে' । এটা কোন সুরায় পাইছেন ভাই?
চিহ্নিত উলংগ,কানা দালাল যখন আপনার পোস্টের সাথে একমত হবে তখন বুজতে হবে মোল্লারা না বরং আপনিই সহজ সরল পথে নাই।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:২৪

জ্যাকেল বলেছেন: সিরাতুল মুস্তাকীম বা সহজ সরল পথ, এ পথ কোনটা , এটা কিভাবে অর্জন সম্ভব?

শরীফ ভাই মনে হইতেছে। যাক আপনার করা প্রশ্ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিধায় এই বিষয়ে আলাদা পোস্ট লেখার দরকার বলে ভাবতেছি।

আবার আপনি লিখছেন 'কোরান অনুসারে ইসলামী ব্যবস্থা জরুরী নহে বাট ভালো মানুষ হওয়া জরুরী বলা হইয়াছে' । এটা কোন সুরায় পাইছেন ভাই?

ভাইসাহেব আমি ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থার কথা বলতেছি। কমন সেন্স থেকেই দেখেন আল্লাহর নবী কিন্তু সারাটা জীবন মানুষকে আল্লাহর পথে ডেকেছেন। যখন দেখা গেল তৎকালীন সময়ের বৃহৎ জনগোষ্ঠী আল্লাহর পথে তখনই কিন্তু তিনি ইসলামী শাসনের দিকে গেছেন। নবীর জীবনী পড়া এ কারণে প্রতিটি মুসলমানের জন্য আবশ্যক।

যাইহোক, বাংলাদেশে ইসলামী শাসনের কথা বেশি বলে জামাতে ইসলামী এবং বাস্তবে এদের সাপোর্টার অনেক আছে। বাংলাদেশের আনাচে কানাচে এরা পৌঁছে গেছে। এদের কর্মপন্থার সহিত আইএস টাইপ গোষ্ঠীর তেমন তফাৎ নাই। এরা চায় জোর করে ইসলামী শাসন প্রতিষ্টা করে ফেলতে। দেখেন এরা প্রশাসনে লোক বসিয়ে কিংবা ভোটের সাহায্যে ক্ষমতায় আসতে এজেন্ডা দেয় যা মোটেও ইসলামী পথ না, রাসূলের অনুসৃত পন্থা নহে। তারা যদি ভাল মানুষ হওয়া এক নাম্বার এজেন্ডা নিতে পারত তাহা হইলে ৭১ এর আল বদরে যোগ দিত না। বিতর্কিত হইতো না।
যাক, বাকিদের কথা আর কি বলব এরা বেছে নিয়েছে লিল্লাহ তথা ভিক্ষবৃত্তি এবং হাদিয়া আদায়ের পথ যা ঘুর্ণাক্ষরেও ইসলামের মানে সিরাতুল মুস্তাকিমের পথ না।

আর চিহ্নিত দালালের সহমত কেন আসিয়াছে সেইটা ভালোই বুঝতে পারতেছেন।



৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:২৭

সাসুম বলেছেন: যখন সহমত ব্রো আপনার পোস্টের সাথে কোন যুক্তি ব্যাতিরেকে সহমত দিবে তখন মনে করবেন আপনার কোথাও ভুল আছে। কুচ তো গরবর হ্যায়, সিম্পল। হোক পলিটিক্স বা ধর্ম।

বিঃদ্রঃ ইসলামের ৭৩ টা ধারা উপধারায় আলাদা হবে বলে একটা কথা প্রচলিত আছে। এই যে আপনি হাজার বছরের ইসলামের ইজারাদার ও মহা শক্তিশালী আহলে হাদিস এর সকল অর্জন ও প্রভাব কে এক নিমিশে বাদ করে দিলে আপনার কল্লা সবার আগে যাবে। যাই হোক- যখন বিধর্মী পাওয়া যায়না তখন আমাদের মুসলিম ভাই রা সেই ৭৩ ধারা উপধারার ভাই ব্রাদার দের উপর ঝাপিয়ে পড়বেন এটাই নরমাল। সো , আপনার এই পোস্টের এগেইন্সটে মুসলিম ভাইদের থেকে মাইর খাওয়ার পসিবিলিটি বেশি।

ইসলামের একটা নতুন ধারা বের হয়েছে, এর নাম দেয়া যায় এপোলজিস্ট ইস্লামিস্ট। এরা যখন কোন কিছু মিলাতে পারবেনা তাদের ন্যারেটিভ এর সাথে, তখন কোন ছুতা দিয়ে আরবী অর্থ চেঞ্জ করে দিবে, অনেক অর্থ বা মীনিং থেকে নিজের ন্যারেটিভ এর মীনিং খুজে নিবে, রুপক অর্থকে আক্ষরিক অর্থ বানাবে, আক্ষরিক অর্থ কে রুপক অর্থ বানাবে, এরপর শানে নুযুল নিয়ে টানাটানি শুরু করবে এবং শেষমেশ কোন কিছু না পেরে হাদীস কে সহীহ থেকে বাতিল ঘোষণা করবে বা দুর্বল বানানোর পায়তারা করবে। আপনি এই ধারা থেকে বেরিয়ে একদম হাদীস মুক্ত কোরানিক জীবন বিধানের ঘোষণা দিলেন। আপনার জন্য শুভকামনা।

যতক্ষন পর্যন্ত আপনি আপনার জীবন বিধান নিয়ে অন্যের জন্য থ্রেট হিসেবে আবির্ভাব হবেন না ততক্ষন পর্যন্ত আপনাকে সাধুবাদ।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪২

জ্যাকেল বলেছেন: যখন সহমত ব্রো আপনার পোস্টের সাথে কোন যুক্তি ব্যাতিরেকে সহমত দিবে তখন মনে করবেন আপনার কোথাও ভুল আছে। কুচ তো গরবর হ্যায়, সিম্পল। হোক পলিটিক্স বা ধর্ম।
এই কারণেই আরো পড়াশোনা করে ব্যাপারটা নিয়ে সন্দেহ মুক্ত থাকতে হইবে।

বিঃদ্রঃ ইসলামের ৭৩ টা ধারা উপধারায় আলাদা হবে বলে একটা কথা প্রচলিত আছে। এই যে আপনি হাজার বছরের ইসলামের ইজারাদার ও মহা শক্তিশালী আহলে হাদিস এর সকল অর্জন ও প্রভাব কে এক নিমিশে বাদ করে দিলে আপনার কল্লা সবার আগে যাবে। যাই হোক- যখন বিধর্মী পাওয়া যায়না তখন আমাদের মুসলিম ভাই রা সেই ৭৩ ধারা উপধারার ভাই ব্রাদার দের উপর ঝাপিয়ে পড়বেন এটাই নরমাল। সো , আপনার এই পোস্টের এগেইন্সটে মুসলিম ভাইদের থেকে মাইর খাওয়ার পসিবিলিটি বেশি।
আপনি ভুল বুঝেছেন। আমি কোনক্রমেও চাইব না নবিজী সাঃ এর কোন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হইতে। আমার সিস্টেম হইতেছে কোরআন অনুসারে একটি মুলনীতি থাকবে যা ক্লিয়ারলি শুধু আল্লাহর কালামকে ফলো করবে। এরপর হাদিস/নবিজীর শিক্ষাসমুহ যা আমাদের হাতে আসিয়াছে সেইগুলো ভেরিফাই করব। এই যাচাই বাছাইয়ে কনফ্লিক্ট করে এমন সব হাদিস/শিক্ষা বাস্তব জীবনে বর্জন করব। এখন কল্লাকাটার বাহিনী যদি জেনেশুনে একজন মুসলমানকে হত্যা করে তবে তারা নিজেদের জন্য জাহান্নাম ফিক্সড করে নিল এই আরকি।

ইসলামের একটা নতুন ধারা বের হয়েছে, এর নাম দেয়া যায় এপোলজিস্ট ইস্লামিস্ট। এরা যখন কোন কিছু মিলাতে পারবেনা তাদের ন্যারেটিভ এর সাথে, তখন কোন ছুতা দিয়ে আরবী অর্থ চেঞ্জ করে দিবে, অনেক অর্থ বা মীনিং থেকে নিজের ন্যারেটিভ এর মীনিং খুজে নিবে, রুপক অর্থকে আক্ষরিক অর্থ বানাবে, আক্ষরিক অর্থ কে রুপক অর্থ বানাবে, এরপর শানে নুযুল নিয়ে টানাটানি শুরু করবে এবং শেষমেশ কোন কিছু না পেরে হাদীস কে সহীহ থেকে বাতিল ঘোষণা করবে বা দুর্বল বানানোর পায়তারা করবে। আপনি এই ধারা থেকে বেরিয়ে একদম হাদীস মুক্ত কোরানিক জীবন বিধানের ঘোষণা দিলেন। আপনার জন্য শুভকামনা।
হ্যাঁ আমি এই শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত হইতে চাহি না। এই কারণেই আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে শয়তানের ওসওয়াসা থেকে আশ্র‍য় নিতে বলেছেন। প্রতিদিন একশো বার আমরা তাই বলি-
আউজুবিল্লাহিমিনাশ শাইতানির রাজীম।
এটা আসলে বিড়বিড় করে পড়ে যারা এর মিনিং নিজেদের জীবনে জাহির করতে পারে না তাদের জন্য দুর্গতি। কারন ইহারা শয়তান চিনে না, আশ্র‍য় নিবে কি? কোরআন কোন রিচুয়াল এর দিকে আমাদের পরিচালিত করে না বরং প্রাক্টিস করতে বলে এমন কিছু যা মুর্খরা/অজ্ঞাতরা ধারণাও করতে পারে না।

যতক্ষন পর্যন্ত আপনি আপনার জীবন বিধান নিয়ে অন্যের জন্য থ্রেট হিসেবে আবির্ভাব হবেন না ততক্ষন পর্যন্ত আপনাকে সাধুবাদ।

আমি এই কথাটাই মোল্লাদের বুঝাইতে চাইতেছি। ধর্ম-ব্যবসায়ী/জংগিরা তাদের ব্যবসার স্বার্থেই ইসলামকে ব্যবহার করতেছে এবং আল্লাহর বিধানকে বিতর্কিত করে সচেষ্ট হইতেছে। আর এদের ফাঁদে পইরা সাধারণ মানুষ যারা ইসলামের মূলে গিয়ে ইহাকে দেখবার মত দক্ষতা নেই সেইসকল আম-পাবলিককে ভুল পথে ঠেলতেছে। আমি এইগুলারি বিরুদ্ধে।
আল্লাহ আমাদের যে পথ দেখাইতে চান ইহা বারবার রিপিট করেছেন কোরআনে। তো এই সরল জিনিস থেকেই তো ইসলাম/কোরআন এর পথ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

ইসলাম চায় একজন মানুষ নিন্মলিখিত উপায় অবলম্বন করুক-
১। আল্লাহর প্রতি নিজেকে নিবেদিত করা।
২। সততা ও সরলতা।
৩। জ্ঞানার্জন (বস্তুগত + অবস্তুগত উভয়ই)
৪। পৃথিবীতে শান্তি স্থাপনে অবদান রাখা।

৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: কোরআন হাদীস নিয়ে আমি চিন্তিত না।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৮

জ্যাকেল বলেছেন: আপনার চিন্তিত হওয়া উচিতও না।

রাজীব ভাই, টের পাবেন না, এই দুনিয়া চোখের সামনে আপনার জন্য শেষ হইয়া যাইবে। কয়বরে যাইতে হইবে ইহার থেকে বাঁচার কোন পথ নাই। ইহা চিন্তা করে লাভ নাই, বরং জানতে হইবে। কি করলে কবরের জীবন আপনার জন্য আর্শিবাদ হইবে উহা জানতে হইবে।
সহজ সরল পথ তথা ক্লিয়ার কাট চলাফেরা আরবীতে/কোরআনে সিরাতুল মুস্তাকিম যেকোন মানুষের জন্য বেস্ট। আমি আপনাকে এই পথ সম্পর্কে জানতে/জ্ঞানার্জন করতে আহ্বান করব।

তাই, কোরআন হাদীস নিয়ে চিন্তিত না হইয়া উহা থেকে জীবন দর্শন বের করেন।

১০| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:২৮

দংশন বলেছেন: এই বিশ্বাস পুজি করেই একদল মানুষ বাড়ী গাড়ী নারী সবই পাচ্ছে অনেকগুলা করে। আর কিছু মানুষ কিছুই পাচ্ছেনা। শুধু ধর্মের আফিম দ্বারা নেশাগ্রস্থ হচ্ছে মারা যাচ্ছে হাজার হাজার। যারা পাচ্ছে তাদেরকে দোষারোপ করেও লাভ নাই তারা তাদের লাভটা বুঝে পাচ্ছে। বিশ্বাসের জন্য মার্ক রাখা উচিৎ ১০ আর কর্মের জন্য রাখা উচিৎ ৯০। কিন্তু বাস্তবে ঠিক এর উল্টোটা। এই অতি বিশ্বাসীদেরকে নিয়ে সবাই ব্যাবসা করবে এমনকি নাস্তিকেরাও।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫১

জ্যাকেল বলেছেন: এই বিশ্বাস পুজি করেই একদল মানুষ বাড়ী গাড়ী নারী সবই পাচ্ছে অনেকগুলা করে। আর কিছু মানুষ কিছুই পাচ্ছেনা। শুধু ধর্মের আফিম দ্বারা নেশাগ্রস্থ হচ্ছে মারা যাচ্ছে হাজার হাজার। যারা পাচ্ছে তাদেরকে দোষারোপ করেও লাভ নাই তারা তাদের লাভটা বুঝে পাচ্ছে। বিশ্বাসের জন্য মার্ক রাখা উচিৎ ১০ আর কর্মের জন্য রাখা উচিৎ ৯০। কিন্তু বাস্তবে ঠিক এর উল্টোটা। এই অতি বিশ্বাসীদেরকে নিয়ে সবাই ব্যাবসা করবে এমনকি নাস্তিকেরাও।

আপনি দায়ী করতেছেন বিশ্বাসকে অথচ দায়ী করা উচিত ইনটেনশন, ম্যানিউপুলেশন। একটা দিয়াশলাইয়ের আগুন দিয়ে আপনি বনে বসে রান্না করে খেতে পারবেন আবার আগুন ধরিয়ে বনের বিশাল অংশ জ্বালিয়ে দিতে পারবেন। উভয় সুযোগই আছে। কিন্তু জাহেলিপনার কারনে সাধারণত কেতাব ব্যবসায়ীরা দ্বিতীয় পথই অবলম্বন করে।

১১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:২৪

বিটপি বলেছেন: কোরআনের আয়াতের ব্যখ্যা যখন এরকম করা হয় - 'এখানে খেলতামাশা বলতে বাদ্যযন্ত্র সহকারে গান গাওয়াকে বুঝানো হয়েছে' - তখন বুঝতে হবে অনুবাদকারীর মাথায় গন্ডগোল আছে।

এইটা বলতে ঐটা বুঝাচ্ছে এমন একটা অর্থ হতে পারে এরকম। আরদ শব্দের অর্থ পৃথিবী (সূরা রূমঃ৪২)। কিন্তু কোথাও কোথাও আল্লাহ আরদ শব্দ দ্বারা মাটিও বুঝিয়েছেন (সূরা যারিয়াতঃ৪৮)

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৩

জ্যাকেল বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। হ্যাঁ নিয়তের ওপর নির্ভর করে আপনার প্রাপ্তি। কোরআন পাঠের সময় পবিত্র হইতে বলা হইয়াছে এ কারনেই। যে এখান থেকে নসিহত নেবার উদ্দেশ্য থাকতে হইবে যদি আপনি সু-পথ চান। আর আপনার উদ্দেশ্য যদি হয় বিতর্কে জিতিতে হইবে তবে আপনার দরকার অনুসারে অনুবাদ বেছে নিতে বাধ্য হইবেন।

১২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৩২

জাহিদ হাসান বলেছেন: বাংলায় নাকি ৮০ হাজার পীর খানকা দরগাহ আছে। এত এত পীরের আয় রোজগার কিভাবে হয়? মুসলমান নিজে কুরআন পড়ে নিজে নিজে আমল করলে তাহাদের আয় রোজগারের কি হবে?
তাহারা হেলিকপ্টার দিয়া চলবে কেমন করিয়া? কিভাবে ১৩-১৪ টা বাড়ি করবে? মাসে মাসে দুবাই, কাতার, সৌদি যাবে?

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৬

জ্যাকেল বলেছেন: ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করা সহজ কারন আল্লাহ ধৈর্য ধারণ করেন। আল্লাহর কিতাব নিয়ে কেহ যতই ছিনালিপনা করুক না কেন আল্লাহ মানুষকে সীমিত সময় দান করেন। এরপর আল্লাহ তাকে পাকড়াও করেন।
আর যারা বিপথ গামী হইতেছে তাদের উদ্দেশ্যেও মোটামুটি একই কথা। আল্লাহ মেয়াদ শেষ হইবার আগে ধরবেন না। আর কেউ যদি সত্যিই আল্লাহর পথ খুঁজে তবে সে কোরআন নিজে থেকে পড়লেই সিরাতুল মুস্তাকিম পেয়ে যাবে। এখন এত বিবেক বুদ্ধি দেবার পরেও যদি আল্লাহর নসিহত খুলে দেখবার মত সময় কেউ বের করে না তাকে কেয়ামতের দিন আল্লাহ কতটুকু রেহাই দিবেন তা আল্লাহর মর্জি।

১৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:১৭

জটিল ভাই বলেছেন:
সহজ সুন্দরভাবে নির্মম সত্য উপস্থাপন ভাল লাগলো।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৭

জ্যাকেল বলেছেন: জটিল ভাই ধন্যবাদ রইল।

১৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৫৭

এভো বলেছেন: হাদিস ছাড়া ইসলাম কি চলবে?

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৮

জ্যাকেল বলেছেন: হাদীস যদি হয় আল্লাহর রাসুল সাঃ এর শিক্ষা তবে চলবে না। আর যদি মিন করেন যে সিহাহ সিত্তাহ তবে ইহা ভিন্ন কথা। বুঝলে বুঝপাতা না বুঝলে তেজপাতা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.