নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মিলে মরিতে হইবে

জ্যাকেল

ব্যাথার প্রকাশ শুধু কান্নাতেই যে হয় তা নহে। হাসিতেও ব্যাথা লুকিয়ে থাকিতে পারে। - ! ২০০৮

জ্যাকেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

শ্রীলংকার অবস্থা খুব খারাপঃ বাংলাদেশের অবস্থা খুব ভালো

০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৫৩



বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা কোভিড পরবর্তী সময়ে অন্য অনেক দেশের চেয়ে ভালো। ৭,৯% জিডিপি গ্রোথ রেট বিশ্বের খুব কম দেশের মধ্যেই আছে। মাথাপিছু জিডিপি'তে বাংলাদেশ ভারতের চেয়ে এগিয়ে আছে(যদিও ইহা অবাস্তব জিনিস, শুধু সংখ্যা) নারীর ক্ষমতায়ন, নারী শিক্ষার হার, নবজাতক ও ৫ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুর হার কমিয়ে আনায় বাংলাদেশের সূচক ভারতের চেয়ে বেশ খানিকটা উপরে। বিভিন্ন সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ-পরবর্তী সময়ে দুরবস্থা কাটিয়ে ওঠা এবং করোনাকালে উন্নয়ন ধারাকে অব্যাহত রাখার পারদ ভারতের চেয়ে বাংলাদেশ উপরে। পাকিস্তান একসময় বাংলাদেশের চেয়ে ৭০ শতাংশ ধনী ছিল অথচ বাংলাদেশ এখন পাকিস্তানের চেয়ে ৪৫ শতাংশ বেশি ধনী বলে বেশ শোনা যায়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারত সরকারের সাবেক প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রামানিয়ান ‘দ্য প্যারাডক্স অব বাংলাদেশ মিরাকল’ নামে একটি নিবন্ধে বাংলাদেশকে উন্নয়নের উজ্জ্বল মডেল হিসেবে তুলে ধরে তা থেকে ভারত ও পাকিস্তানের শেখার আছে মনে করেন।

বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি হইতেছে বৈদেশিক রেমিট্যান্স। করোনা শুরুর সময়ে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ অনেক অর্থনীতিবিদ ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন যে বিদেশে বসবাসরত অভিবাসীদের কর্মসংস্থান হারানোর কারণে বাংলাদেশে রেমিট্যান্সের প্রবাহ কমে যাবে। অথচ বাস্তব চিত্রটি ছিল ঠিক বিপরীত। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বৃদ্ধি ছিল ১১ শতাংশ এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে আরো বেড়ে দাঁড়ায় ৩৫ শতাংশ। অভ্যন্তরীণ ভোগ বাংলাদেশের অর্থনীতির বড় চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়। এই যে বৈদেশিক রেমিট্যান্স এর ফল- অভ্যন্তরীণ ভোগের চাহিদা অব্যাহত বেড়েছে, অন্যদিকে তা বিনিয়োগেও গিয়েছে।

সব মিলিয়ে বাংলাদেশ ভালো করতেছে এ কথা হলফ করে বলা যায়। (তবে আমি মনে করি বাংলাদেশ আরো অনেক দুর এগোতে পারত যদি মেগা প্রকল্পের নামে অর্থ লোপাট না হইত।) কিন্তু শ্রীলংকার অবস্থা খুব খারাপ। অতিমূল্যস্ফীতির দিকে এগোচ্ছে শ্রীলঙ্কা। বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না পণ্য। বিদ্যুৎ-গ্যাসের সরবরাহ বিঘ্নিত। আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত। স্থানীয় মুদ্রার মূল্যমানে ধস নেমেছে। শেয়ারবাজারে ঘটেছে ব্যাপক পতন।
অথচ দক্ষিণ এশিয়ায় পোশাক খাতের রপ্তানি প্রথম শুরু হয়েছিল এই শ্রীলঙ্কা থেকেই যা এখন বাংলাদেশে। অনেক পর্যটকেরও পছন্দের জায়গা ছিল শ্রীলঙ্কা। একসময় সামাজিক সূচকে শ্রীলঙ্কা ছিল দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের সেরা। শিক্ষায় ছিল সবচেয়ে এগিয়ে তাহারাই। কিন্তু ভুল পরিচালনা তাদেরকে খুব খারাপ অবস্থায় নিয়ে এসেছে।

আজকাল লংকার খারাপ অবস্থার পেছনে বিশ্লেষকগণ যা যা দায়ী করতেছেন তার মধ্যে প্রধান কারণ সমুহ হইলো-

১। রাজাপাকসে পরিবারের গোষ্ঠীতন্ত্র (মনে পড়ে যায় না বাংলাদেশী পরিবারতন্ত্র?)
২। খামখেয়ালিপূর্ণ সরকারি সিদ্ধান্ত (বিরোধী মত অবজ্ঞা করতে খুব মজা লাগে)
৩। ভুল নীতি (যাতে নিজ রাজনৈতিক দলের চেলা চামুন্ডা উপকৃত হয়)
৪| ভুল ভুল প্রকল্প বাছাই যাতে সম্পদ মেরে দেওয়া যায়।
৫| আমলাতান্ত্রিক দুর্নীতি


প্রকৃতপক্ষে রাজাপাকসে সাহেব নিজ হাতেই অর্থনীতির বারোটা বাজায় দেন। তিনি হুট করেই ভ্যাট কমিয়ে দেন ফলে সরকারী ভান্ডারে টান পড়ে যায়। ডলারের রিজার্ভের সাথে অনুপাত না রেখে টাকা প্রিন্ট করতে থাকেন ঐদিকে মুল্যস্ফিতির হার বাড়তে থাকে। এই ভারসাম্যহীনতার কারণে দেশের বাজারে নেগেটিভ প্রভাব পড়তে থাকে। শুরু হয় টানাপোড়ন।
এর মধ্যে দেশের কৃষিখাতকে অবহেলা করেন মিঃ রাজাপাকসে। ডলার কিপটেমি করতে গিয়ে তিনি করেন কি; রাসায়নিক সার আমদানি নিষিদ্ধ করেন ফল? দেশের খাদ্য খাতে এবং বহু বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনকারী খাতে ধ্বস নামে।
কোভিড তো আছেই কিন্তু প্রধান এই সকল ভুলই আজ লংকাকে এই খারাপ অবস্থায় নিয়ে এসেছে। ২০১৯ সালেও লংকার উন্নতির হার ছিল উপরের দিকে কিন্তু এখন এত খারাপ অবস্থা যে ইউক্রেন এর থেকেও মানবেতর অবস্থায় তাদের পড়তে হইতেছে।
সমস্যাটা কম হইত যদি জনগণের পেছনে ব্যয় করা যাইতো। কিন্তু লংকার অবস্থা অনেকটা বাংলাদেশের মতো কি-না। বছরে বছরে হাতি পুষার মত সরকার পুষতে হইতেছে জনগণের শ্রমের টাকায়। অধিকাংশ ব্যয় চলে যাইতেছে সরকার পরিচালনা খাতে, টেন্ডারে, দুর্নিতিতে। ফলে দেশের মোট উৎপাদনে বিশাল পরিমাণ খারাপ প্রভাব পড়তে হইতেছে।

এখন সতর্কতা স্বরুপ বাংলাদেশের ভবিষ্যত কল্পনা করুন-

১। গোস্ঠীতন্ত্র কি আছে?
২। যা ইচ্ছা তাই বলা, করা (আছে?)
৩। অদভুত সব ব্যয় (পুকুর বানানো দেখা, ক্যামেরা দেখতে বিদেশ সফর)
৪| অনিয়ন্ত্রিত মেগা প্রজেক্ট (প্রজেক্ট আর শেষ হয় না, ব্যয় বাড়তে থাকে)
৫| রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নিতি(আছে?)

একটা ভুল চালই বাংলাদেশের বাইরে ফিটফাট ভিতরে ফাঁক এর খবর বিশ্ববাজারে তুলে ধরবে। অনেকটা শাক দিয়ে মাছ ঢাকা'র ঘটনা জানার মতই।

আমি মনে করি (সতর্ক হইলে) বাংলাদেশ সরকার এখন যা করতে পারে-

১। এক নম্বরে চুরি'র সংস্কৃতি বন্ধ করতে সচেষ্ট হইতে পারে। পুকুর চুরি নহে, এ তো সমুদ্র চুরি! বছরে বছরে কোটি কোটি ডলার বৈদেশিক মুদ্রা খসানোর নামে তো চুরি করাই হইতেছে। তার ওপরে সরাসরি অনেক চুরি আছে যেটা ইমপোর্ট/এক্সপোর্টের নামে করা হই।
২। সমস্ত বিরোধী মত সহ্য করার চেস্টা।
৩। রাশা'র সাথে সখ্যতা কমানো, আমেরিকার সাথে বাড়ানো।
৪। দুর্নিতির বিরুদ্ধে দুদক'কে শক্তিশালী করা।

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৫৫

প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা হলো:-
রিজার্ভ ভালো ও বেশি
আয় বেড়েছে
ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে ,
অনিয়ম অনুযায়ী
দ্রব্যমূল্যও বেড়েছে ও বাড়বেই।
যদিও টাকার ম্যান কমেছে।
মিষ্টিকুমড়া দিয়ে বেগুনি বানানো সহজ কথা নয়.

০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:০০

জ্যাকেল বলেছেন: রিজার্ভ ওঠানামা করে, কারণ মেগা প্রজেক্ট, ইমপোর্ট/এক্সপোর্ট এর চুরি প্রায়ই আমাদের হিসাব ঊল্টাইয়া দেয়।

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:১৩

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: মেগা প্রজেক্টের কারণে অনেকেই কোটিপতি এমনকি শতকোটিপতি বনে যাচ্ছে; বাংলাদেশ জন্মে পর থেকে এই সরকারের আমলেই সবচেয়ে বেশি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। এই সরকারের দলীয় লোকজন সবচেয়ে বেশি কোটিপতি হয়েছে যার উদাহরণ আমরা পেপারে দেখেছি বাসায় টাকা রাখার জায়গা না পেয়ে স্বর্ণ কিনে সিন্দুকে রেখেছে কত কাহিনী।

সবচেয়ে বড়কথা হলো দূর্নীতি রোধ করা সম্ভব হলে এবং মেগা প্রজেক্টগুলো সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে পারলে বাংলাদেশ এগুতেই থাকবে নচেৎ নহে।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:০৩

জ্যাকেল বলেছেন: সমুদ্র লোপাট নিয়ে চিন্তিত নই তবে নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য খারাপ লাগে।
ইনফ্লেশন সীমার বাইরে চলে গিয়েছিল এক মাস আগে। তেল, পেঁয়াজ এইগুলার মুল্য এত বেশি পরমাণ বেড়ে গিয়েছিল পরে সরকার হুঁশ ফিরে পায়। এখন জনগণের ক্র‍য়ক্ষমতার সর্বোচ্চ সীমায় অবস্থান করতেছে। তবে ফি বছর আমাদের গরিবদের জন্য দুঃসংবাদ নিয়ে আসবে যদি তাদের কর্মের ব্যবস্থা না করা যায়।

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৫৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: জ্যাকেল,




সন্দেহ নেই বাংলাদেশ ভালো করছে। কিন্তু ভয় হয় ... বড় ভয় হয় শ্রীলংকার খারাপ অবস্থার পেছনে বিশ্লেষকগণ এই যে সব কারণগুলোকে-
(((((১। রাজাপাকসে পরিবারের গোষ্ঠীতন্ত্র (মনে পড়ে যায় না বাংলাদেশী পরিবারতন্ত্র?)
২। খামখেয়ালিপূর্ণ সরকারি সিদ্ধান্ত (বিরোধী মত অবজ্ঞা করতে খুব মজা লাগে)
৩। ভুল নীতি (যাতে নিজ রাজনৈতিক দলের চেলা চামুন্ডা উপকৃত হয়)
৪| ভুল ভুল প্রকল্প বাছাই যাতে সম্পদ মেরে দেওয়া যায়।
৫| আমলাতান্ত্রিক দুর্নীতি
))))))
দায়ী করছেন তার সব কারণগুলোই দেশে বিদ্যমান।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:২৬

জ্যাকেল বলেছেন: "তার সব কারণগুলোই দেশে বিদ্যমান।"
এখানেই তো ভয়- কি হবে সবই আল্লাহ মালুম।

ধন্যবাদ ভাইসাহেব।

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:১৩

জুন বলেছেন: ফিজিবিলিটি স্টাডি না করেই একদিনের জন্য ঢাকা টরেন্টোর ডায়রেক্ট ফ্লাইট । আল্লাহ জানে কত স্যুটকেস গেল । নানাবিধ উন্নয়নের সাথে সাথে এমনতর কাজ-কারবার আমাদের শ্রীলংকা হতে বেশিদিন নাই।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:২৮

জ্যাকেল বলেছেন: হ্যা আপা, এইসকল খেয়ালি সিদ্ধান্তের বলি হইয়াছে শ্রী লংকার জনগণ। আমাদের দেশে ও রকম খেয়ালি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঘটনা খুব কম নহে। তবে বড় পরিসরে খুব বেশি নেওয়ার ও সুযোগ হয়নি বলেই আমরা বেঁচে গেছি হয়তো।

৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৫২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সঠিক নেতৃত্বে না থাকলে বাংলাদেশের অবস্থাও শ্রীলংকার চেয়েও খারাপ হত।
খালেদা তো কিছু বুঝতো না, যা বুঝতো ফালু গোলাম আজম আর সাইফুর রহমান। সাইফুররের নীতি খুবই খারাপ। সে বলতো সবার জন্য বিদ্যুৎ দরকার নেই, সবার জন্য ফোন বিলাসিতার সামিল। এত দরকার নেই। শুধু যাদের দরকার তাদের জন্য। মানে শুধু বিত্যবানরাই ফোন ও বিদ্যুৎ ব্যাবহার করবে

হাসিনার নীতি ছিল। নিজের । কোন রহমান বা চৌধুরী নির্ভর না। বংগবন্ধুর মত বলতেন, "জনগনই দেশের মুল শক্তি"। প্র্যত্যেক বাড়ীতে বিদ্যুৎ থাকবে, দিতে হবে। সবার জন্য ফোনও লাগবে। বদ্ধপরিকর। তখন অনেক রথি মহারথি অর্থনীতিবিদ হেসেছিল। কিন্তু কিছুদিন পরেই সব হাসি চুপসে গেছে।

বিএনপি আমলে রফতানি ভাল ছিল, রেমিটেন্সও বেশ ভালই ছিল।
কিন্তু ৫ বছরে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ এ ১ পয়শাও বাড়েনি, রিজার্ভে ৩ বিলিয়ন ছিল, ২০০৬ এ ক্ষমতা ছাড়ার সময়ও একই ৩ বিলিয়ন। যেখানে বাংলাদেশে বর্তমানে ৩ বিলিয়ন থেকে বেড়ে ৪৮ বিলিয়ন।
বিএনপি আমলে একটিও বিদ্যুৎকেন্ত্র হয়নি। বিদ্যুৎ এক মেগাওয়াট না কিলোয়াটও বাড়েনি। কোন বড় সেতু হয় নি, মেগা প্রকল্প দুরের কথা, মেগা প্রকল্প কাহাকে বলে সেটাও যানতো কি না সন্দেহ। কিন্তু সেই আমলে বিদেশে বেশি লোক যেত। রেমিটেন্স পাঠাতো ভাল। এক্সপোর্টও ভাল ছিল। তাদের আমলে কোন অর্থ পাচার হয় নি, রিজার্ভ হ্যাকিংও হয় নি।
কিন্তু রিজার্ভে অর্থগুলো জমা হয় নি। কেন?
কারন দুর্নিতিতে ১ নম্বর। একটানা ৫ বছর চ্যাম্পিয়ন। আর পাকিদের পরিকল্পনায় ও পরামর্শে মুল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে উলফাকে অস্ত্রসস্ত্র কিনে দিত।
কিন্তু বর্তমান আমলে কারো পরামর্শে কান না দিয়ে ৩ বিলিয়নকে ৪৬ বিলিয়নে পরিনত করেছে আওয়ামীলীগ। পেরেছে। কারন দুর্নিতি কিছুটা কমেছে। চ্যাম্পিয়ন থেকে ১৪ তে এনেছে। আর পাকিস্তান আর উলফা থেকে সরে এসেছে।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:২৯

জ্যাকেল বলেছেন: আপনি আওয়ামীলীগ কেন্দ্রিক মানুষ আপনার কাছ থেকে সঠিক কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় শুন্য। যদি এখন বিএনপি ক্ষমতায় থাকতো তবে হয়তো পাওয়া যাইতো।

৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: উন্নয়টা যে কোথায় হচ্ছে সেটাই খুঁজে পাই না। আমি তো রাস্তায় বের হলেই দেখি ভিক্ষুক। আর চারিদিকে দরিদ্র মানুষ গিজগিজ করছে।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৩০

জ্যাকেল বলেছেন: আপনি নেগেটিভ সাইডেড বলেই হয়তো কিংবা আপনার বাসা খুব গরিব গলিতে পড়েছে। আমি এত বেশি গরিব দেখি না।

৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:২৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উন্নতি করতে হলে শ্রীলঙ্কা, ভারত, পাকিস্তানের সাথে নিজেদের তুলনা না ক'রে সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে তুলনা করতে হবে এবং যেভাবে ঐ দেশগুলি এগিয়েছে সেভাবে এগোতে হবে।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৩১

জ্যাকেল বলেছেন: আপনি সঠিক বলেছেন। অন্তত মালেশিয়ার সাথে কিংবা সিংগাপুর, জাপানের সাথে আমরা পর্যালোচনা করতে পারি। আমাদের গ্রোথ খুব ভাল আছে। (তবে দেশজ উৎপাদনে নহে, রেমিটেন্স এবং গার্মেন্টস-যাহা আমদানী নির্ভর)

৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৩৩

জুন বলেছেন: কালবৈশাখীরা বিদেশ থেকে খালি উন্নয়নই দেখে, আমরা যারা দেশে থাকি তারা বুঝি উন্নয়ন কত প্রকার সাথে কি কি না হয়ে হবে কার কার??

০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৩৭

জ্যাকেল বলেছেন: উনারা কেনেডি/হিত্রো এয়ারপোর্ট কিংবা কমসে কম ওসাকা এয়ারপোর্ট দেখে আসার পরে বাংলাদেশের এয়ারপোর্ট দেখেও একটু ধারণা নিতে পারেন না এই দেশ কি রকম দুর্নিতিতে নিমজ্জিত আছে! দলকানা অন্ধত্ব আসলে খুবই বিরক্তিকর রোগ(অন্যের জন্য)

৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:০১

সাজিদ! বলেছেন: আমার তো খুব খারাপ লাগছে শ্রীলংকার হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা ভেঙ্গে পড়ার কয়েকটা খবর পড়ে। জীবন রক্ষাকারী ওষুধ আর শিশু খাদ্যের দাম বেশী আর তা পাওয়াও যাচ্ছে না। শ্রীলংকার জন্য ভালোবাসা ও আশা করি তারা এই দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে পারবে। ছোটবেলায় অরভিন্দ ডি সিলভা আর জয়সুরিয়ার ক্রিকেটীয় শটের ভালো লাগা থেকে শ্রীলংকার সাথে পরিচয়।তখন সাধারন জ্ঞান পড়তাম সাউথ এশিয়ার দ্বীপ রাষ্ট্রটি অদ্ভুত সুন্দর। একটু বড় হওয়ার পর প্রভাকরনের তামিল টাইগার আর মাসুদ রানার বিস্মরণ বইটি ক্যান্ডি জাফনার প্রতি এক অদৃশ্য অদ্ভুত ভালো লাগা তৈরী করে দিয়েছিল। ভালো লাগাটাকে পরে ভালোবাসায় পরিণত করেছিল মাহেলা জয়বর্ধনে ও কুমার সাঙ্গাকারা। যা এখনও আছে। লংকানদের বিপদ কেটে যাক, মনে প্রানে এই কামনা করি। বাংলাদেশের এই থেকে শেখার আছে অনেক কিছু।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৩২

জ্যাকেল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আসলে আমি জয়াসুরিয়াদের খুব অপছন্দ করতাম কারণ বাংলাদেশের অবস্থা সাড়ে সর্বনাশ করে ছাড়ত। হাঃহাঃহাঃ পরে অবশ্য মানিয়েও নিতাম।
যাক, তাদের দেশের এই অবস্থার জন্য আমাদের দেশ থেকে কিছু একটা করা উচিত, অন্তত তারা আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র যাদের দ্বারা আমরা উপকৃত বৈ ক্ষতির শিকার হয় নি।

১০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি নেগেটিভ সাইডেড বলেই হয়তো কিংবা আপনার বাসা খুব গরিব গলিতে পড়েছে। আমি এত বেশি গরিব দেখি না।

আপনি গরীব দেখবেন না। যেখানে দেশটাই গরীব। যেখানে দেশের বেশির ভাগ মানুষ'ই গরীব। আর আপনি গরীব দেখেন না। আজিব মাইরি!! পারেনও আপনারা!

১১ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৫৬

জ্যাকেল বলেছেন: গরিব নাই তো বলি নাই। কথা পেচান কা?

১১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:২৬

শাহিন-৯৯ বলেছেন:


হাসান কালবৈশাখী শুধু বিএনপি আমলের রিজার্ভ দেখিয়ে গেল, বৈদেশিক ঋনের কথা কেন উল্লেখ করলেন না? শ্রীলঙ্কার এই অবস্থার মূল দায়ী বৈদেশিক ঋনে অপ্র‌য়োজনীয় মেঘা প্রকল্প!! একটি বিমানবন্দরে নাকি দৈনিক একটি বিমান উঠানামা করে!! অথচ খরচ হয়েছে নাকি তিন বিলিয়ন ডলার!!

আমাদের মেঘা প্রোজেক্ট প্রয়োজনীয় তবে প্রকল্প ব্যায় অহেতুক বাড়িয়ে কয়েকবার যা দূর্নীতিগ্রস্থ। এই বাড়তি ব্যায় চাপ সৃ‌ষ্টি করবে।

১১ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৫৭

জ্যাকেল বলেছেন: আমাদের মেঘা প্রোজেক্ট প্রয়োজনীয় তবে প্রকল্প ব্যায় অহেতুক বাড়িয়ে কয়েকবার যা দূর্নীতিগ্রস্থ। এই বাড়তি ব্যায় চাপ সৃ‌ষ্টি করবে।

একমত।

১২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৩০

শাহিন-৯৯ বলেছেন:


তিন হাজার কোটি খরচে স্যাটেলাইট থেকে এক হাজার কোটিও ফেরত আসবে না, এই ধরনের বাড়তি ব্যায় এক সময় কঠিন চাপ সৃষ্টি করবে।

আমাদের দেশের অর্থনৈতিক সচল ছিল করনায় তার মূল কারণ সস্তা শ্রম, দেশে গার্মেন্টস আর বিদেশে কামলা!! আমাদের চাইতে সস্তায় শ্রম অন্য দেশে নেই তাই বৈদেশিক রেমিটেন্স সহসা হারাবে না।

১৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:১০

গরল বলেছেন: শ্রিলংকার এই দেউলিয়াত্বের সাথে তাদের নিজেদের ব্যার্থতা অবশ্যই আছে তবে তার চেয়ে বেশি কাজ করেছে আন্তর্জাতিক রাজনীতি, বিশেষ করে চীন এর কারসাজি। এর বিপরীতে ভারত ও আমেরিকার চক্রও কাজ করেছে চীনের দিকে ঝুঁকে পড়ার কারণে। এর ব্যাকগ্রাউন্ড অনেক ব্যাপক ও সুদুরপ্রসারি।



আপনি "ষ্ট্রিং অব পার্লস" নামে চীনের একটা সমুদ্র বন্দর নেটওয়ার্ক এর নাম অবশ্যই শুনেছেন। তার পরেও একটা লিংক দিলাম আবার একটু বিস্তারিত দেখে নেওয়ার জন্য।

Here Is All You Should Know About 'String Of Pearls', China's Policy To Encircle India

রোহিঙ্গা সমস্য ও আরাকানের জমি দখলও একই সুত্রে জড়িত যার সহযোগিতায় আছে পাকিস্তান ও। কারণ দেখবেন আরাকান লিবারেশন আর্মিকে (রোহিঙ্গা বিদ্রহী) অস্ত্র ও রসদ দিয়ে সহযোগিতা করে তাদের উস্কে দিয়ে মায়ানমারকে উদ্বুদ্ধ করেছে রোহিঙ্গা নিধনে। কারণ হচ্ছে আরাকানে হবে চীনের পোর্ট কারণ বাংলাদেশ চিটাগাং পোর্ট সেভাবে দিতে রাজি হয় নাই যেহেতু ইন্ডিয়ার প্রভাব আছে। আর তাই রোহিঙ্গা দিয়ে বাংলাদেশকেও একটু চাপে ফেলা গেল। সড়ক পথে বা ট্রেনে আরাকান (কুনমিং থেকে আরাকান) পর্যন্ত এসে তারপর জাহাজের চড়লে এশিয়া ও আফ্রিকাতে পণ্য সরবরাহের খরচ চার ভাগের এক ভাগ কমে যাবে আর সময়ও কমবে মোটামুটি তিন ভাগের এক ভাগ। কারণ এখন সেটা পাঠাতে হয় ম্যাকাও বন্দর হয়ে যা ঘুরে আসে উপরের ছবির ম্যাপ অনুযায়ি।

আশা করি বাংলাদেশ এই আশংকা থেকে উতরে গেছে তবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে পেয়েছে রোহিঙ্গা সমস্যা। চিটাগং এর বিকল্প হিসেবে পেয়েছে আরাকান কে। যেহেতু কলম্বোর কোন বিকল্প নাই তাই শ্রিলংকাকে একটু বেশই মূল্য দিতে হবে। তবে আপনার সাথে সমপূর্ণ একমত, দূর্নীতি না থাকলে আর আইন এর শাসন থাকলে বাংলাদেশ অনেক দুর এগিয়ে যেতে পারত।

১১ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৫৮

জ্যাকেল বলেছেন: আপনি এমন একটা কারণ বলছেন যা আমি উল্লেখ করতে বেমালুম ভুলে গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ।

১৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:০১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
@ শাহিন-৯৯ সারাক্ষন নিজ দেশের পাছা মেরে অমঙ্গল কামনা করাটা অন্যায়।
বৈদেশিক ঋনের কারনে বাংলাদেশের অবস্থা খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
দেখুন। জিডিপির তুলনায় বৈদেশিক ঋন।

Kuwait 17.78%
Bangladesh 34.81%
Malaysia 56.32%
Pakistan 77.00%
Sri Lanka 82.99% বর্তমানে প্রায় ১০১%
Venezuela 214.45%

সুত্র - IMF ও World Population Review

১৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:০১

এপোলো বলেছেন: শেষের চারটি পরামর্শ খুবই যুক্তিযুক্ত। সময়ের দাবি। তবে ৪ নাম্বারটাকে আমি ১ নাম্বারে তুলে দেওয়ার দাবি জানালাম। দুদক'কে যদি শক্তিশালী (আর দুর্ণীতিমুক্ত) করা যায়, তাহলে দেশের আভ্যন্তরীন আমলাতান্ত্রিক সিস্টেম লস অনেক কমে আসবে। সাধারণ মানুষ দুর্ণীতির বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস খুঁজে পাবে।
সাধারণ মানুষ যেদিন ভুল ধরার সাহস খুঁজে পাবে সেদিন থেকেই রাজনৈতিক চৌর্যবৃত্তি কমতে শুরু করবে।

১১ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৫৯

জ্যাকেল বলেছেন: সাধারণ মানুষ যেদিন ভুল ধরার সাহস খুঁজে পাবে সেদিন থেকেই রাজনৈতিক চৌর্যবৃত্তি কমতে শুরু করবে।

মানুষের জবান বন্ধ থাকায় চোখের সামন দিয়া এরা দুর্নিতি করবার সুযোগ, সাহস পায়।

১৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৮:২৯

হাইজেনবার্গ ০৬ বলেছেন: গুড পোস্ট।

১১ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:০০

জ্যাকেল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইসাহেব।

১৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:১২

প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট

১১ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:০০

জ্যাকেল বলেছেন: ধন্যবাদ কবি ভাইসাহেব।

১৮| ১১ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:৪৪

জটিল ভাই বলেছেন:
সুন্দর পোস্ট আর টপিকে জটিলবাদ জানবেন প্রিয় ভাই :)

১১ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:০১

জ্যাকেল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইসাহেব।

১৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:২৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: নাহ বাংলাদেশের অবস্থা শ্রীলংকার মত হবে না। কুশাষন হয়ত কিছুটা কারন তবে মুলত কোভিড ও কুচক্রী ভুরাজনীতির কারনেই আজকে শ্রীলংকার এই অবস্থা। তবে শ্রীলংকায় শিক্ষার হার ৯২.৩% । হয়ত শীঘ্রই তারা এই অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে সক্ষম হবে। শ্রীলংকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি বাংলাদেশের চাইতে অনেকগুনে ভাল। সে দেশের রাজণিতিবিদেরা আমাদের দেশের মত দেশীয় সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচার করে না । আমরা এত জঘন্য রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেও কিছুটা ভাল আছি ফরেন রেমিটেন্সের কল্যানে। এত সস্তা মজুরিতে কামলা আর কোন দেশ থেকেই পাওয়া সম্ভব নয় বিধায় বিদেশে বাংলাদেশি শ্রমিকের ভাল কদর। এশিয়ার আর কোন দেশ থেকেই এত বিপুল সংখ্যক শ্রমিক বিদেশে কাজ করতে যায় না। প্রবাসী শ্রমিকেরা বিদেশে কেমন মানবতের জীবন যাপন করছে তা নাহয় নাই জানি, কিন্ত এটা সবাই জানি যে তারা তাদের বেতনের প্রায় পুরোটাই দেশে পাঠিয়ে দেয়। এই বিপুল ফরেন রেমিটেন্সের কল্যানেই টিকে আছে এই দেশ।

১২ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:১৮

জ্যাকেল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইসাহেব। আপনার সাথে দ্বিমত করার সুযোগ পাইতেছি না!

২০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:২০

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: যতই ব্যাখ্যা দিন, আমাদের ভয় আছেই!

১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:২৭

জ্যাকেল বলেছেন: সঠিক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.