নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্যাথার প্রকাশ শুধু কান্নাতেই যে হয় তা নহে। হাসিতেও ব্যাথা লুকিয়ে থাকিতে পারে। - ! ২০০৮
মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী জামাত সম্পর্কে সেই তখনকার দিনেই বলেছিলেন, 'নীল নদের পানি যেমন নীল নয়, জামায়াতের ইসলামও ইসলাম নয় । আসলেই এটা কোন ইসলাম নয় বরং এটা হল মওদূদীবাদ।
বাস্তবে জামাতে ইসলামের সাথে সবগুলা ইসলামী দলই ভিন্নমত পোষণ করে। বিশেষ করে মাজারকেন্দ্রিক অর্থনৈতিক সংঘরা জামাতকে ঘৃণা করে।
আপনে হেফাজতে ইসলামের ঘোর সমর্থকদের কাছে যান, দেখবেন এরাও জামাত ইসলাম সম্পর্কে নেতিবাচক উত্তর দিবে। যাক, আজকে মালনা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী সাহেবের জন্মদিন। উনাকে স্মরণ করা দরকার। উনি বাঙালি জাতির পিতা ছিলেন, পরে পাল্টিয়ে দেওয়া হইয়াছে।
উনার দাড়ি-টুপি ও লেবাসের কারণে তাঁর প্রতিপক্ষের জন্য প্রচার করা সহজ যে তিনি একজন গ্রাম্য মুসলমান নেতা ছিলেন। সেকালের বাংলার জমিদারদের ৮০ শতাংশ ছিলেন হিন্দুধর্মাবলম্বী এবং তাঁদের প্রজাদের ৭০ শতাংশ ছিলেন মুসলমান। তিনি যখন জমিদার-জোতদার ও মহাজনদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন, তা যাদের গিয়ে আঘাত করে, তাদের বারো আনাই হিন্দুধর্মাবলম্বী।
বাংলা ও আসামের বহু হিন্দু তাঁকে অবতার জ্ঞান করত। তিনি বলতেন, হিন্দুর ক্ষুধা, মুসলমানের ক্ষুধা, বৌদ্ধের ক্ষুধা, খ্রিষ্টানের ক্ষুধা একই রকম। শোষক ও জালেমের কোনো ধর্ম নেই। মজলুমের কোনো ধর্ম নেই। জালেম হিন্দু হোক আর মুসলমান হোক, দেশি হোক আর বিদেশি হোক, কালো চামড়ার হোক আর সাদা চামড়ার হোক—সব সমান।
ভাসানী কোন অবতার ছিলেন না, আর দশটা মানুষের মত তারও সীমাবদ্ধতা ছিলো, এবং তার মত বিশাল নেতার ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ভুলের জন্যে জাতিকে কড়া মাশুল দিতে হয়েছে। পাকিস্তান আমলে জিন্নাহর সাথে সুসম্পর্ক, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তার অনুসারীদের দদ্যুল্যমনতা(এর কারণ আজ স্পষ্ট ভারত কি করতেছে উহা দেখা যাচ্ছে), এবং ১৯৭৫ সালের পরবর্তী সময়ে তার কাজকর্ম নিয়ে অনেক বিতর্ক(কুতর্ক আছে, ইহা ভারতীয় দালালরা বিতর্ক বলে) রয়েছে। যত বিতর্কই থাকুক তিনি যে সত্যিকারে একজন কৃষকের নেতা ছিলেন, দরিদ্রের ভালো চাইতেন সেটা তার শত্রুও মেনে নেবে। তাই আমাদের উচিত এই মহান নেতার কাজকর্ম নিয়ে আলোচনা করা।
জামাত ইসলামের ইসলাম কেন্দ্রিক রাজনীতি আমার বরাবরই অপছন্দ। এই জায়গাটা মাওলানা ভাসানী সাহেব খুব সুন্দর করে ধরতে পেরেছিলেন। তিনি যৌক্তিক করাণেই জামাতের বিরোধিতা করতেন। আমার মতে জামাতের উচিত ধর্ম নিয়ে নিরপেক্ষ একটা অবস্থান তৈরি করে রাজনীতি করা। কারণ উনাদের রাজনীতির ফিল্ড খুবই শক্তিশালী। বাংলাদেশের ক্রমাগত উন্নয়ণ ও অগ্রগতি করার শক্তি বিএনপির চেয়ে জামাতে ইসলামের বেশি আছে। ইহা এ জাতির জন্য খুবই দরকার।
তবে আজ বেঁচে থাকলে তিনি নিশ্চয়ই জালিম হাসিনার বিরু্দধে কন্ঠ উঁচিয়ে কথা বলতেন। ভারতের বিরুদ্ধে আজকের তারেকের মতো রাস্তায় নেমে লংমার্চ করতেন। উনি বেঁচে থাকলে আজ জনগণ উনার সুতোয় এক হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ গড়তে অংশ নিতে পারতো।
মওলানা মিডিয়া সিন্ডিকেটের বুকে কাঁপন ধরিয়ে হাতে হারিকেন ধরিয়ে ঝেঁটিয়ে বিদায় করতেন নিশ্চয়ই। আসুন উনার মাগফেরাতের জন্য দোয়া করি।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৩২
জ্যাকেল বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: অনেকটা পাকিস্তান মানেই ইসলাম এরকম ভাইভ আছে কথাটার মধ্যে!
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৩২
জ্যাকেল বলেছেন: সঠিক।
৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: ভাসানী সৎ মানুষ ছিলেন।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪০
জ্যাকেল বলেছেন: উনি সৎ মানুষ ছিলেন, এই সার্টিফিকেশন আপনার মত চুর চুট্টাদের মুখে মানায় না।
৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪১
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: জামাতীরা রাস্ট্র পরিচালনা করতে পারবেনা তাদের সেই জ্ঞান নেই
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪০
জ্যাকেল বলেছেন: আসিফ মহিউদ্দিন বললেন জামাত সরকারের সকল বিভাগ দখল করে ফেলিয়াছে। তাহলে কেমনে কি হিসাব মিলল না!
৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪২
নান্দাইলের ইউনুছ বলেছেন:
১৯৭৮-৭৫
সালে
মাওলানার
ভূমিকা
রহস্যজনক।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৩
জ্যাকেল বলেছেন: মোটেও না, জাতির সংকটের কারিগর সেক মুজিবকে সরিয়ে দেওয়াতে উনি সমর্থন করেছিলেন। এই সেক মুজিব এবং তার উত্তরসুরিরাই বাংলাদেশকে পিছিয়ে রাখবার কারিগর।
৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৯
পুরানমানব বলেছেন:
ব্লগের স্বীকৃত লেখাচোর এবং মিথ্যুক রাজীবনুর বেশ কয়েকদিন আগে তাহার জীবনের ঘটনা বর্ণনা করিতে যাইয়া আরবের ফাতিমা নামক এক নারীর অসৎ চরিত্র লইয়া আলোকপাত করেন। সেখানে তিনি বলিয়াছিলেন ফাতিমা ধোনি নারী এবং রাজীব নূর কে সহবাসের আমন্ত্রণ করিয়াছিল।
আজকে তাহার একখানা লেখায় ১০ নম্বর পয়েন্টে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করিয়া লিখিয়াছেন ফাতিমা বেদুইন নারী এবং পতিতা।
একই নারীকে লইয়া দুইরকম বানোয়াট কাহিনী লেখার মূল উদ্দেশ্য হইল ফাতিমা নাম ব্যবহার করিয়া ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে বিদ্বেষ ছড়ানো। তাহার পোস্ট এ প্রমান সহ ধরিয়া দিলে সাথে সাথে মন্তব্য মুছিয়া দিয়াছে।
ইহা তাহার আজিকের লেখা।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৪
জ্যাকেল বলেছেন: উহা একটি কীট পতংগের নিম্ন শ্রেণিবুক্ত অমেরুদন্ডী প্রাণি।
৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৩
জুল ভার্ন বলেছেন: শফিকুল ইসলাম বনাম দ্বীন ইসলাম.....
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫
জ্যাকেল বলেছেন: সঠিক বলেছেন ভাইসাহেব।
৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৯
ঢাবিয়ান বলেছেন: আমাদের তারুন্যে জামাতি ইসলামি ও ছাত্র শিবিরের কোন পাত্তাই ছিল না। এদের আসলে জনপ্রিয় করেছে আওয়ামিলীগ সরকার। যখন নির্দিষ্ট কোন গোষ্ঠী বা দলের ওপড় জোড় জুলুম, নির্যাতন বেড়ে যায় , তখন তরুনদের মাঝে সেই দলের প্রতি একটা সিম্প্যথী ও আকর্ষন কাজ করে। এই কারনে এখন দেখা যাচ্ছে জামাতে ইসলামি বেশ শক্ত একটা অবস্থানে এসে দাড়িয়েছে।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬
জ্যাকেল বলেছেন: আপনার অভজারবেশন একদম সঠিক। জামাত ইসলামীর তেমন পরিচিতি ছিলই না আমাদের গ্রামে। এখন লীগের পুলাপান বলতেছে এরা বিএনপির সাথে গোসা করেছে তাই শত্রুর সাথে গলা মেলাবে।
৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৪০
ইলি বলেছেন: শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি এই মহান নেতাকে।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৭
জ্যাকেল বলেছেন: ধন্যবাদ রইল।
১০| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ ভোর ৫:১৩
আহরণ বলেছেন: একক ভাবে জামাত বলতে কিছু নেই। আছে স্বাধীনতা বিরোধী বিএনপি-জামাত, সহোদর জমজ ভাই........ @ ভাইয়া?
১১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৭
পারস্যের রাজপুত্র বলেছেন: উঠতি বয়সে মৌদুদির খাতিরের লোক ছিল নিয়াজ ফতেহপুরির মত ছুপা নাস্তিক। প্রিয় লেখক ছিল সৈয়দ আহমেদ খানের মত ফ্রিম্যাসন। কাজেই উনার চিন্তাভাবনায় যে ইবলিছ শয়তানের প্রভাব থাকবে - তা আর আশ্চর্য কি?
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:২১
রবিন.হুড বলেছেন: শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি এই মহান নেতাকে।