নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আপনালাপ

সরজিত চক্রবর্তী

সরজিত চক্রবর্তী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মান্তর সম্পর্কিত সমাচার

০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:৩১

# মহেন্দ্র_পাল_আর্য | ইনার পূর্ব নাম
# পন্ডিত_মেহবুব_আলী । ইনি একসময় একজন
হুজুর ছিলেন। নিয়মিত নামায পড়তেন ও
কুরান, হাদিস পাঠ করতেন। কিন্তু এসবে
তিনি শান্তি পাচ্ছিলেন না। একদিন
ইনি সৌভাগ্যক্রমে পবিত্র বেদ পাঠ
করার সুযোগ পান। ইনি পবিত্র বেদ পাঠ
করে এমন কিছু প্রশ্নের উত্তর পান যা
ইনি দীর্ঘদিন খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন।
উনি ইসলাম ও সনাতন ধর্মের প্রকৃত
পার্থক্য বুঝতে পেরে চিরসত্য, সবচেয়ে
প্রাচীন, সত্য, শুভ্র সনাতন ধর্ম গ্রহন করেন।


# মাহফুজূর_রহমান : ইনার পূর্বনাম
# শ্রী_রমন_কুমার_রায় । পিতাঃ
# শ্রী_পরেশ_কুমার_রায় । যিনি একজন
বিশিষ্ট ঠাকুর পরিবারের সন্তান।
নিয়মিতভাবে গীতা, বেদ, পুরাণ পাঠ
করেন। পূজা অর্চণা করেন। বেদ ও
কল্কিপুরাণ পাঠ করতে করতে এক
পর্যায়ে তিনি বুঝতে পারেন
ইসলামের সর্বশেষ নবী হজরত মোহাম্মদ
(সাঃ) হচ্ছেন কল্কি অবতার। তিনি
বুঝতে পারলেন এতোদিন যা পালন
করেছেন তা ভুল মিথ্যা। ইসলামই
একমাত্র সত্য ধর্ম, প্রকৃত ধর্ম। ইতিপূর্বে এক
ঠাকুরে ছেলে হয়েও ঠাকুরের পদ
পদতলে পিষ্ট করে কঠিন ঈমানী
পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি এখন একজন
গর্বিত মুসলমান।


ঘটনাদ্বয় ও চরিত্রদ্বয়ের সত্যতা সম্পর্কে
আমার বিন্দু মাত্র ধারণা নেই। এবং
আমি এর সত্যতা যাচাইয়ের কোন আগ্রহও
বোধ করিনা। গত কয়েকদিনে ফেসবুকের
নিউজ ফিড সার্ফিং করতে গিয়ে
ঘটনাগুলো আমার চোখে পড়ে। দুটি
ধর্মবাদী পেইজ নিজ নিজ ধর্মের
মহিমা প্রচার করতে গল্পদুটো ফেঁদে
বসে। এবং আমার দুজন ফেসবুক বন্ধু বেশ
আত্মতৃপ্তি ও অহংকারের ঢেকুর তোলে। এবং ব্যাপক পরিমানে উত্থিত ইমানদন্ড নিয়ে তা ফেসবুকে শেয়ার করে।

ঘটনা দুটির মধ্যে আবার পরস্পর বিরোধিতা বিদ্যমান। দুই ব্যক্তি দুটি ভিন্ন ধর্মে কনভার্ট হলেও তাদের পুরাতন ইমানদন্ড গুড়িয়ে দিয়ে নতুন ইমানের সন্ধানদাতা গ্রন্থ কিন্তু একটাই। এক বেদ পড়ে কিভাবে দুজন মানুষ ভিন্ন জ্ঞান লাভ করে তা আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে ধরে না। অবশ্য অতি ইমানদার ধার্মিকরা চিজটাই এমন। ইমানের জোশে এরা কখন যে কি বলে নিজেরও জানে না।

ঘটনাদ্বয় সত্য মিথ্যা যাই হোক না
কেন, ধর্মান্তরিত হওয়ার ব্যাপারটা যে
সত্য তাতে কোন সন্ধেহ নেই। আমাদের
আশেপাশে নিয়মিতই এমনটা হচ্ছে।
এ.আর রহমান, কবির সুমন, কবরী, ভক্ত
হরিদাস, জয়পতাকা স্বামী, স্যামসন
চৌধুরী সহ আরো কয়েকজন বিখ্যাত
ব্যক্তির নাম আমি জানি যারা
ধর্মান্তরিত হয়েছে।


এদের প্রত্যেকের ধর্মান্তরিত হওয়ার
পেছনের কাহিনী ভিন্ন। কেউ
বৈবাহিকী কারনে, কেউ সমাজ
বঞ্চিত হয়ে, কেউ আর্থিক সুবিধা
লাভের জন্য, কেউ বা নিতান্তই
বিচিত্রতার কারনে। তবে কারণ যাই
হোক ধর্মীয় অনুভবের একটা ব্যাপার
এখানে কার্যকরণ হিসাবে আছেই।


ধারনা করা হয় পৃথিবীতে আনুমানিক
সাড়ে চারহাজর ধর্মমত প্রচলিত হয়েছে।
বর্তমানে কমপক্ষে আড়াই হাজার ধর্ম
প্রচলিত আছে। এরমধ্যে বৃহৎ চারটি ধর্ম
হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান। প্রত্যেক
ধর্মেরই কমপক্ষে ১০০ কোটি করে
অনুসারী আছে। প্রতিটি ধর্মেরই ইশ্বর,
আল্লাহ, গড যাই বলুন না কেন, একে
অন্যের চেয়ে আলাদা। তাই হয়
আপনাকে প্রত্যেকের অস্তিত্বের উপর
বিশ্বাস করতে হবে নতুবা সকলকেই
অবিশ্বাস করতে হবে। কারন প্রত্যেকের
উপরই কমপক্ষে ১০০ কোটি মানুষের
বিশ্বাস আছে। আর ১০০ কোটি
সংখ্যাটা কিন্তু কম নয়। ১০০ কোটি
মানুষের বিশ্বাসকে অবহেলা করে
আপনি যাকে আকরে ধরছেন সে যে সত্য
তার গেরান্টি কি?


ব্যক্তিগত ভাবে ধর্মান্তর ব্যাপারটা
আমার কাছে হাস্যকর মনে হয়। যেন
একজন মূর্খ মূর্খতা করতে করতে ক্লান্ত
হয়ে নতুন ধরনের মুর্খতায় মেতে উঠতে
যাচ্ছে। এটা অনেকটা আই এস থেকে
শিবসেনায় কিংবা হেফাজতে
ইসলাম থেকে হিন্দু সংগ্রাম পরিষদে
যোগ দেওয়ার মত। এক সন্ত্রাসী গ্রুপ
থেকে আরেক সন্ত্রাসী গ্রুপে যোগ
দেওয়া।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.