নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আপনালাপ

সরজিত চক্রবর্তী

সরজিত চক্রবর্তী › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষার উপর ভ্যাট ও রাজস্ব বোর্ডের অপবক্তব্য

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৩০

শিক্ষার উপর ভ্যাট বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রজ্ঞাপন প্রকাশ। যার মূল বক্তব্য ভ্যাট শিক্ষার্থীদের উপর নয় বরং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর ধার্য করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের এতে বিচলিত হওয়ার কারন নেই।

খুবই ভাল সংবাদ। কিন্তু প্রশ্ন হলো রাজস্ব বোর্ডের সবগুলো কর্মকর্তাই কি তিন বারে মেট্রিক পাশ করে টাকার জোরে চাকুরী পেয়েছে। নাকি বাংলাদেশের অনার্স মাষ্টার্সের পুলাপাইনগুলারে আবুল মন্ত্রী মনে করে।

ভ্যাট এমন এক জিনিস যা কখনো উপরে বা মধ্যবর্তী কোন যায়গায় আরোপ করা যায় না। এ জিনিস সর্বদাই 'তলে' আরোপ হয়।

মার্কেটিং চেইনের সর্বশেষে অবস্থান কনজুমারের। পণ্য বা সেবা উৎপাদন ও সরবরাহের ক্ষেত্রে যত খরচ সব তাকেই বহন করতে হয়। ভ্যাটের কোপটাও শেষতক তার ঘাড়েই এসে পড়ে। এবার তা পণ্যের উপর আরোপ করা হউক আর প্রতিষ্ঠানের উপর আরোপ করা হোক।

যতই ভাঁওতাবাজীর বক্তব্য দেওয়া হোক না কেন ভ্যাট আরোপিত থাকলে তার বোঝা ছাত্রদেরই বহন করতে হবে। ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই।

শিক্ষা কোন পণ্য নয়। এটা মানুষের মৌলিক প্রয়োজনীয়তা। আধুনিক জীবনে এসে এটা খাদ্য বস্ত্রের চেয়েও বেশি প্রয়োজনীয়।

তবে সত্যি বলতে, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যে একেকটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। তাদের কাছে শিক্ষা একটা পণ্যের চেয়ে বেশি কিছু নয়। এসব প্রতিষ্ঠানের মালিক মাদার তেরেসা না। এরা জনসেবা করতে আসেনি, ব্যবসা করতেই এসেছে। সুতরাং এদের উপর নিয়ন্ত্রণ ও আয়ের উপর কর আদায় করা অবশ্যই দরকার আছে।

তবে সেটা কোন ভাবেই ভ্যাট আরোপের মাধ্যমে নয়। আরো অনেক বিকল্প পদ্ধতি আছে। যেমন বাৎসরিক আয়ের উপর আয় কর আরোপ করা যেতে পারত। এতে করে একদিকে যেমন প্রতিষ্ঠানগুলোর আয় ব্যয়ের হিসাব জানা যেত, তেমনি ভাবে শিক্ষার্থীদের থেকে বেশি ফি আদায় করা হচ্ছে কিনা সেটাও জানা যেত। প্রয়োজনে ফি আদায়ের উপর নিয়ন্ত্রনও আরোপ করা যেত।

কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের দেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ অত্যন্ত অদূরদর্শী ও অবিবেচক। প্রতিটি ক্ষেত্রই এরা অদক্ষতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। এদের কাছথেকে দায়িত্বশীল কিছু আশা করাটাও পাপ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:



"শিক্ষা কোন পণ্য নয়। এটা মানুষের মৌলিক প্রয়োজনীয়তা। আধুনিক জীবনে এসে এটা খাদ্য বস্ত্রের চেয়েও বেশি প্রয়োজনীয়। "

- হ্যালো বড় মাথা, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি মানেই শিক্ষাকে পণ্য করা হয়েছে; সেটার থেকে বের হওয়ার কথা বলুন।

২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২০

সরজিত চক্রবর্তী বলেছেন: আমার পোষ্টে গুনে গুনে নয়টা প্যাড়া। আর আপনার চোখে কেবল একটা পরল। চক্ষু মেলিয়া দেখুন পরের প্যাড়াতেই প্রাইভেট ভার্সিটি গুলোকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বলা হয়েছে। এদের উপরনিয়ন্ত্রন আরোপের কথাও বলা হয়েছে। তবে সেটা ভ্যাট আরোপের মত অধোগতিশীল পদ্ধতি ব্যবহার না করে অন্য কিছু কররার কথা বলা হয়েছে। অর্থনীতির আরো অনেক হাতিয়ার আছে যার মাধ্যমে এটা করা যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.