নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সােরায়ারমামুন

আমি এ দেশের মানুষ।এ দেশ আমাকে দিয়েছে অপূর্ব এক শৈশব।বিশাল এই পৃথিবীতে ছোট্ট এই দেশটাকে আমি ভালোবাসি আমার শরীরের একটুকরো হৃতপিন্ডের মত করে !

সােরায়ারমামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

"আরেকটা যুদ্ধ চাই"

২৩ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:৫৮

যুদ্ধ বিধস্ত ছিন্ন বাংলা মা আমার ! স্বাধীনতা নামের ইজ্জত রক্ষার্থে আরেকটা যুদ্ধ চাই আমরা। রুপের রাণী রুপসী মাকে দেবী রুপে ঢেলে সাজাবো আমরাই। বিশ্বের সব প্রতিষ্ঠিত রাজত্বের অধিকারীরা মুগ্ধ হবে দেবীর দর্শনে। দেবী রাণী ধরা দেবেনা, এটাই আমরা চাই।



কতো রক্তের বিনীময়ে জন্ম দিলে মাগো, সহ্য করেছ তীব্র বেদনা। তোমার সন্তান যদি হয়ে থাকি তবে আজ থেকে প্রতিজ্ঞা মোদের তুমিই অনন্যা। তোমার অযোগ্য সন্তানেরা আর তোমাকে কাঁদতে দেবেনা। মাগো তোমার মুখে হাসি দেখতে চায় তোমার সন্তানেরা। মায়া কান্না কেঁদে কোন ভাল ফল আশা করতে পারেনা কেউ। রক্ত চক্ষু নিয়ে এবার আমাদের দিকে ফিরে তাকাও। আবার যদি রক্ত দিতে হয় তোমাকে সন্তান জন্ম দিতে, সে তুমি পারবে মা-আপত্তি করোনা ! তুমি অনন্যা ভুলে যেওনা। শুধু তোমার পরিচয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবো আমরা।অবজ্ঞার ভয়ে নয় গর্ভভরে অকাতরে দিয়ে যাবো প্রান! এমন সৌভাগ্য আর হয়না।



একমাত্র মাই জানে সন্তান কিভাবে মানুষ করতে হয়। দোহাই তোমার দেবী মূর্তী ধারন কর মাগো, চুপচাপ থেকোনা। তোমার সন্তানেরা সেটা চায়না। জন্ম দিয়েছো বলেকি মানুষ করবেনা ?তোমার ছেলেরা হায় হুতাস করে জলাঞ্জলী দিক প্রাণ এটা নিশ্চই চাওনা। তাদের যা কিছু বায়না আছে তাকি পূরন করতে চাওনা ?তুমি কেমন মা ?



শ্রদ্ধা-ভক্তি ভরে তোমাকে পূজো দেবো করবো নতুন-নতুন বায়না। পৃথিবী অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখবে অভুক্ত বাঙ্গালী সেটা নিশ্চই চাওনা। কামনা বাসনা যদি ফুরিয়ে যায় কলসী ভরে-ভরে সমুদ্র সেচবো হুকুম করে বলনা। মা তুমি সব পার, হুকুম কর আমাদের। বৃথা অশ্রুপাত চাইনা ,চাইনা-চাইনা।



বুদ্ধিজীবরিা সুবিধাভোগি-সুবিধাবাদী কথাটা অনেক পুরোনো শোনায় তাইনা ? আমরা যদি বলি সব মানুষই সুবিধাবাদী কথাটাকি ফেলে দেবার মত কথা হবে তাহলে? ব্যাপারটা এরকম পর্যায় এসে ঠেকেছে যে, প্রতিটা আধুনীক সভ্য মানুষই তার সমস্ত সত্বাকে বাস্তবে এমন ভাবে ঢেলে সাজিয়ে রেখেছেন যে, তা থেকে স্পস্ট ধারনা জন্মায় যে, সবকিছু নিজের সুযোগ সুবিধার অনুকূলে ভাবতেই সে বাধ্য হেচ্ছে। সে পরিনতি যে ভাবই হোক আর যে ভাবেই আসুকনা কেন। এক্ষেত্রে দেশ জ্বাতীর কোন ভেদাভেদ খুঁজলে কোন খালি জায়গা হয়তোবা পাওয়াই যাবেনা।



কথারকথা অনেকেই বলে ফেলেন বুদ্ধিজীবিরা সুবিধাবাদী। তাহলে সমস্ত বিশ্বের বাকি মানুষ গুলো কি ফেরেস্তা ? মানুষ মানুষই, ফেরেস্তা ফেরেস্তাই। কারো সাথে কারো মিল নেই। এ দুটি ছাড়াও জ্বিন-পরী-ভূত এসবই এক একটা আলাদা-আলাদা। আমরা মানুষ, মানব ধর্মই শ্রেষ্ঠ। তাই বলে সর্বেসর্বা তা বলতে চাচ্ছিনা। আমাদের হিউমেনের বৈশিষ্ট শাশ্বত স্বতন্ত্র এটাই ইউনিভার্সেল ট্রুথ-সত্য।



সাহস দেখাবার প্রয়োজনে কামানের মুখে এসে দাঁড়াবার ভয় এখন আমাদের শেষ। সে লেঠা ৫২-তে অতপর ৭১-রে চুটিয়ে ফেলেছি আমরা। এখনকার সময় ঘড়ে বসেই কাজ করবো আমরা। ডিজিটেল বাংলাদেশ গড়া নতুন দিনের স্বপ্ন। আমাদের আরো অনেক স্বপ্ন আছ।



জাতী হিসেবে আমরা স্বপ্নবিলাসী এটা সত্যি। কিন্তু তার বাস্তবায়ন তো আর মিথ্যা হতে পারেনা। আমরা পেরেছিলাম মায়ের মুখের ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করতে, আমরা পেরেছিলাম বংলা মাকে স্বধীনতা নামের জীবন দিতে এখন কেন তাহলে গুমরা প্যাচার মত মুখ তুলে ড্যাব-ড্যাব করে তাকিয়ে থকবো সম্মুখের অন্ধকার পানে। আমরা নতুন প্রজন্ম ! আমরা আমরাই !! আমাদের স্বপ্ন আমরাই বাস্তবায়ন করতে নেমেছি পৃথিবীর কর্দমাক্ত ভূ-পৃষ্ঠে। যত যা কিছুই হোক বা ঘটুক এবার কিন্তু পিছু পা হবোনা। পেছন ফিরে তাকাবোনা আমরা। আমাদের ধন সম্পদ আমাদেরই ঐতিহ্য হয়ে থাকবে চিরকাল। ঘড়ে তুলে আনাটাই এখনকার মত প্রতিজ্ঞা। এ শুধু স্বপ্ন দেখা কোন দিনও না, বাস্তবায়নের যোগ্য।



রাজনীতি নামে যে, সোয়ারেছ লাইন চালু আছে সেটাকে পূর্ণমাত্রায় ব্যবহার করে দেশের সমস্ত ময়লা আবর্জনা পৃথিবীর বুক থেকে চিরতরে বিদায় নিশ্চিত করতে হবে। জরাজীর্ন এ সোয়ারেজের পাইপটা নানামুখে লিক আউট হয়ে আছে। সঠিকভাবে মেরামত কেউ চায়না। চায়না কি কারনে সেটা বুঝতে আনাদের কারো কষ্ট ভোগ করার কথা না।



টিনের চালে বর্ষার বৃষ্টি ঠেকাতে যেমন পুডিং ব্যবহৃত হয় এমনি করে রাজনীতির মার্কা সংস্কৃতির দুর্ঘন্দযুক্ত সোয়ারেছ পাইপ লাইন এর লিক সারাতে ব্যবহার নিশ্চিত করব আমরা। আমরাই। এ জন্য বিদেশি সংস্কৃতির প্রয়োজন বর্জনীয় বৈ কিচ্ছুনা। প্রয়োজনে যদি এ দেশের সোনা ফলানো মাটি চাপা দিতে হয় তাতেও কার্পন্য করবো।



এক রাজীতি দুই সংস্কৃতি- এ সহদোর দুপক্ষের কর্মি ও নেতা আমরাই সুনিশ্চিত ভরসায় নিয়োগ করবো যাতে করে অবজ্ঞা আর অবহেলায় সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি মুখ থুবরে পরে না থাকে।



এমন লোকেরা সেখানে নিয়োগ প্রাপ্ত হবে যারা সঠিক সময়ে উপযুক্ত ফলন ঘড়ে আনতে ব্যাস্ত রাখবে নিজেকে। অযথা অন্যের কাজে বাধা তো দূরে থাক নাক গলাবার স্পর্ধা পর্যন্ত ঠাঁই দিতে জানেনা অন্তরে। যোগ্য সত এ ধরনের লোক এখানে নিস্প্রয়োজন। অকর্মলোক খাটিয়ে সর্বউত্তম সমাধানই ভূ-প্রত্যাশিত। এসব এর জন্য দায়ী তদারকি হতে পারে মেইল কিংবা ফিমেল, কোন ভেদাভেদ থাকছেনা।



অধিক সন্ন্যসিতে গোল্লায় গলদ যেন না মনে হয় সে জন্য খেই ধরে কাউকে বসাবোনা রাষ্টিয় পর্যয়। যার ঘড় নেই পথে ঘুমায় সারারাত, এরকম একজন হলেই যথেষ্ট। ডাকলেই যাকে নির্ভরতায় কাছে পাওয়া যাবে সর্বক্ষন। এরকম সুখী লোক প্রতিটা দেশের সুখী মানুষের জন্য ভীষন প্রয়োজন। বিশেষ করে আমাদের মত দুস্বপ্নের ঘোড়ে ডুবে যাওয়া জাতীর ঘুম ভাঙ্গাবার তাগিদে। আমরা আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখবো বলে প্রত্যাশায় থাকবো অতন্দ্র প্রহরীর মত স্নেহময় নির্ভরশীলতায়। সুখী ব্যাক্তিত্বের সন্ধানে।



যে কিনা প্রতিদানের আশায় ত্যাগী মনোভাব পোষন করেনা।



চলবে...

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.