নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
The inspiration you seek is already within you. Be silent and listen. (Mawlana Rumi)
প্রচলিত রুপকথা এরুপ, এই বঙ্গমূলকে জনাব শেরশাহ নামে একজন শাসক ছিলেন, যার আমলে টাকায় আটমন চাল পাওয়া যেত। আজ শেরশাহ নেই, তবে বাংলাদেশ আছে। যে দেশে এখন আর টাকায় চাল পাওয়া যায় না ঠিকই তবে বিনা টাকায় মানুষের জীবন পাওয়া যায়। এখানে এখন সব থেকে সস্তা হলো জীবনের দাম। যেখানে ইচ্ছে হলেই গুলি করে জ্যান্ত মানুষকে লাশ বানানো যায়! আর সবাই নিরব হয়ে লাশ হয়ে যাওয়ার নাটক দেখে? এ এক অদ্ভূত সুবিধাবাদী, নিমক হারাম জাতি। যারা নিজের সুবিধার অসুবিধা হবার ভয়ে নিজের বাপকেও অস্বীকার করতে দ্বিধা করে না। কথা বললে ব্যক্তি স্বার্থে আঘাত লাগার আশংকা নেই। সুতরাং ক্রিকেট নিয়ে বাঙাল তোতাদের কটকটানিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তথা ফেসবুকে যাওয়া যায় না, চায়ের আড্ডায় বসা যায় না। এবেলা সবাই দেশপ্রেমিক আর সাহসী-সচেতন। অথচ পুলিশের গুলিতে এতগুলো সাধারণ মানুষের প্রাণ ঝরে গেল বাঁশখালিতে। সব ভদকা দেশপ্রেমিক চুপ। একদম চুপ। কেনরে ভাই?
প্রশ্ন করেন কেন এভাবে মানুষকে গুলি করে মারা হচ্ছে। অবাধ ও সুষ্ঠু ইউপি নির্বাচন নামক তামশা তামশা খেলায় কয়েক ডজন মানুষ মারা গেছে। জানতে চান আর কতজন মরলে নির্বাচন নির্বাচন পুতুল খেলা বন্ধ হবে। এসব প্রশ্ন করার জন্যে ধর্ম পরিচয়ের দরকার নেই। রাজনৈতিক পরিচয়ের দরকার নেই। নিতান্তই মানবিক বোধ আর সচেতন, সাহসী মানসিকতার দরকার। আপনি যদি আজ চুপ থাকেন একদিন এভাবে অযথা গুলি আপনার বুকেই ফিরে আসবে মনে রাখবেন।
আর একটা কথা উন্নয়ন চাইলে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এসব আপনাকে করতে হবে, এসব করতে চাইলে পরিবেশের ক্ষতি হবে সেটাও মেনে নিতে হবে। এক্ষেত্রে পরিবেশের ক্ষতি হবে বলে এসব প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া কোন বুদ্ধিমানের কাজ না। তবে কোন প্রক্রিয়ায় করলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে, দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা থাকে না, যারা বিশেষজ্ঞ তাদের উচিৎ এসব বিষয়ে সরকারের সাথে দেন দরবার করা। সরকারের উচিৎ তাদের সাথে বসে পরামর্শ নেওয়া। সুন্দরবনের পাশ ঘিরে ভারতের সাথে যৌথ বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে। ভারত নিজেই প্রযুক্তিতে আনকোড়া এক রাষ্ট্র। চলে আমেরিকা, রাশিয়ার দয়া দাক্ষিণ্যের উপরে। সেখানে ভারতের মত একটি গরীব দেশকে কেন এমন একটি বড় প্রকল্পের জন্য বেছে নেওয়া হল সে প্রশ্ন তুলুন।
গত ক’দিনের ক্রিকেট কাহিনীর পর ভারত আমাদের কেমন বন্ধু তা পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার কথা। বর্তমানে ক্ষমতায় গণতান্ত্রিকভাবে দুর্বলতম একটি সরকার, সুতরাং সে নিজ দেশের স্বার্থ রক্ষা করছে কি না এ ব্যাপারে সচেত হন, সুন্দরবনের এ অঞ্চলটিতেই কেন বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে হবে সে প্রশ্ন তুলুন? যদি প্রস্তাবিত প্রকল্পকে ১০০ গজ দূরে সরালে পরিবেশের কম ক্ষতি হয় তাহলে সরকারের আপত্তি কোথায়?
ফিরে আসি বাঁশখালিতে, এ অঞ্চলের মানুষ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধের দাবিতে রাস্তায় নেমেছে। তাদের বুঝানো যেত, তাদের দাবি মেনে নিয়ে (আংশিক) বিদ্যুৎ কেন্দ্রর জায়গা পরিবর্তন করা যেত। যেসব কৃষক ক্ষতির শিকার হচ্ছে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রস্তাব করা যেত। আলোচনা করে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব ছিল। কিন্তু এসবের কিছু না করে রাস্তায় নামা জনতার উপরে নির্বিচারে গুলি চালানোর যুক্তি কি? তাও রীতিমতো ব্রাশফায়াড় করে মানুষ হত্যা।
তার অর্থ কি এই দাঁড়ায় যে এ দেশে মানুষের জীবন, ক্ষমতার কাছে বন্দী। চাইলামতো দুই চারটাকে নিয়ে একটু কুতকুত খেলার মজা নিলাম???? এসআলম গ্রুপ, সরকার না আমরা সুবিধাবাদী পাবলিক কে দেবে এ প্রশ্নের উত্তর!
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:১৮
বিজন রয় বলেছেন: আসলেই আমরা লজ্জাহীন।