নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ

সরোজ মেহেদী

The inspiration you seek is already within you. Be silent and listen. (Mawlana Rumi)

সরোজ মেহেদী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষ হত্যার বিচার চাই!

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৪

একজন কাউকে খুন করলে সেটা হয় হত্যা। আর আপনাদের সিস্টেম ও আপনারা সবায় মিলে যখন একজন উদ্যমী তরুণকে জবাই করেন সেটার নাম হয়ে যায় আত্মহত্যা!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেটাও তাই আত্মহত্যা করেছে। অথচ এর আগে সে বারেবারে হত্যার শিকার হয়েছে। তার যতো স্বপ্ন, বেঁচে থাকার যতো আশা সব একে একে শেষ করে দেওয়া হয়েছে। কয়েকদিন আগে দেখলাম জগন্নাথের একজন সাত তলার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে স্বেচ্ছা খুনকে বরণ করেছে। এরা সবাই চাকরিপ্রার্থী। একটা চাকরি চায়। বেঁচে থাকার জন্য, সমাজে মুখ দেখানোর জন্য কিছু একটা করতে চায়। এটা এমন এক সমাজ, এই সমাজে মুখ দেখা যায় খুব কম, শুধু মুখোশের উকিঁঝুঁকি, বাগাড়ম্বর।

বিনিময়ে চাকরি না পাক খানিকটা সহানুভূতি পেলেও হয়তো প্রাণটা বেঁচে যেত! কিন্তু কে হাত বাড়াবে? আমি সবখানে দেখি ছুতা ধরে দূরে ঠেলার, একা একা ভোগ করার বাহানা। নিজে রাজা হয়ে, দলদাসদের প্রজা বানিয়ে সর্বভোগের বাসনা। তারা ভিন্নমত দূরের কথা, মতামত দিতে পারে এমন মানুষ সইতে পারে না। তাদের প্রথম ও একমাত্র পছন্দ হলো-বোবা কালা-অথর্ব। যার কাছে সূর্য পশ্চিমে উঠলেও সই আবার রাতের আকাশে চাঁদের বদলে অবাক করা আলুর দেখা মিললেও ব্যাপারটা বিশ্বাসযোগ্য-কারণ আর কিছু না, ষাঁড় বলেছে। স্যার খুশি থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে একটা চাকরি হয়ে যাবে।

আমি এক নামী প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া বিভাগের এক নামী অধ্যাপক কাম চেয়ারকে দেখেছি, যার মুখে সত্য বলতে কিছু নেই। ‘শুওর’ শব্দটা ছাড়া ওর চরিত্র বুঝানো মুশকিল আসলে। যদি কখনো ওর বিপরীতে কোনো নারী সহকর্মী ধর্ষণের কাহিনী শুনি অবাক হব না। সে তার আশপাশে নারীসঙ্গ ছাড়া আর কিছু এনজয় করে বলেও তাকে দেখে মনে হয় না। কোর্ট টাই পরে ক্রেতাদূরস্থ এক দুবৃত্ত। নিপাট মূর্খও হয়তো। (যদ্দূর দেখেছি তাতে কিছু গল্প বা ছোটখাট উপন্যাস করে ফেলা যায়।) এমন দুবৃত্তে আসলে এই দেশের প্রতিটি সেক্টর ভরা। ওরা বশংবাদ ভেড়ার পাল চায়, বা ভেড়ী! এরা নিজেরা বিলাই বলে বাঘের ছায়া দেখলে আঁতকে উঠে।

এই একজনকে টেনে এনে, বলে, শুনিয়ে লাভ কি? আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চেয়ারে বসে থাকা যাদের আমরা শিক্ষক বলি তারাতো সৃষ্টিতে না, ধ্বংশের বেলা সবসময়েই কয়েক দাগ এগুনো। এই সত্য সব যুগে, সব কালেই ছিল বলে ধারণা করি। তবে এখনকার মতো এতটা নগ্ন হয়তো ছিল না আগে।

এই শিক্ষক নামীয় জীবরা হলেন, 'ভাত দেবার মুরোদ নেই, কিল মারার গোঁসাই। তাদের পড়ানোর মুরোদ নেই, নিজের কাজটা ঠিক করে করার সক্ষমতা নেই কিন্তু অপমানের বেলায় জিহ্বা আর থামে না। দালালি করতে করতে, চাটতে চাটতে নিজেকে এমন এক মাননীয়র পর্যায়ে নামিয়ে নিয়ে আসে জুতা দিয়ে পেটালে জুতার জাত যায়। এরাই হলো শিক্ষক। এই জাতিকে শিক্ষিত করার, সভ্য করার মহান দায়িত্ব তাদের কাঁধে।

ফলে আত্মহত্যাও একটা সমাধান এই জনপদে। এক ধরণের মুক্তি ও স্ব:স্তি। অন্তত চোখের সামনে কি হচ্ছে, আর যা হচ্ছে তা দেখে চুপ থাকার যন্ত্রণা নিয়ে, নিজের সামনে অথর্ব, অযোগ্য কাউকে পদ বাগিয়ে নিয়ে দাঁত কেলিয়ে হাসতে দেখার যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় না।

ভাবছি,
মাহাদীতো প্রচলিত কায়দায়ও মেধাবী। বিভাগের সেরা রেজাল্টধারীদের একজন। তবু তাকে গ্রহণ করার সময়/সদয় হলো না কারো! কেউ করেও না-এটাই নিয়ম এখানে! তরুণদের এই মৃত্যুর মিছিল দেখে এই রাষ্ট্র লজ্জ্বিত না! অথচ তারুণ্যের এমন আত্মাহুতি আমাকে বাকরুদ্ধ করে। যন্ত্রণায় বুকটা ধরে আসে।

মন চায়, চিল্লাইয়া সব তরুণকে বলি, বেঁচে থাক। আজ যার কারণে তুই বঞ্চিত কাল তার অপদস্থ হওয়ার দিনটা দেখার জন্য হলেও তোর বেঁচে থাকা দরকার। সেইদিন দর্শক সারিতে থাকতেও হলেও, আর কিছু না হোক শ্লেষের হাসিতো হাসতে পারবি।

বেঁচে থাক, চিরদিন কাহারো সমান যায় না-এই কথাটা সত্য বলে। সুতরাং তুই বেঁচে থাক, একদিন তোর দিন আসবে বলে। তুই বেঁচে থাক ভাই, তোর স্বপ্নগুলো বেঁচে থাকা জরুরি বলে…

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:০৪

নতুন বলেছেন: যারা আত্নহত্যা করে তারা বাস্তবতার মুখোমুখি হতে চায় না। পালাতে চায়।

চাকুরী না পেলে আত্নহত্যা, এটা একটা বাহানা মাত্র।

বিশ্বে লক্ষ মানুষ আছে যারা দিনমুজুরি করে বেচে আছে।

যারা আত্নহত্যা করতে চায় তাদের সবার আগে মানুষিক চিকিতসা দরকার। তাদের আজ চাকুরী দিলেও কয়েকদিন পরে অন্য কোন কারনে আত্নহত্যা করতে চাইবে।

২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৪৬

নিমো বলেছেন: @নতুন এত সহজে সিদ্ধান্তে পৌঁছে গেলেন ? জাপানের আত্মহ্ত্যার সংখ্যাটা নিয়ে আপনার ব্যাখ্যাটা কী ?

৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৪৭

সোহানী বলেছেন: আমি নতুন এর সাথে এক মত। কিন্তু এরপরও একটা কথা আছে, রাষ্ট্র তাদের জন্য কি করেছে?? এদেরকে হয় দেশ ছাড়া করেছে নতুবা হতাশগ্রস্থ করেছে।

রাষ্ট্রের কি কোন দায় নেই?

৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫৩

নতুন বলেছেন: নিমো বলেছেন: @নতুন এত সহজে সিদ্ধান্তে পৌঁছে গেলেন ? জাপানের আত্মহ্ত্যার সংখ্যাটা নিয়ে আপনার ব্যাখ্যাটা কী ?

নিমো আমি উনার ব্যাপারে সিন্ধান্ত দিচ্ছিনা।

যারা আত্নহত্যা করতে চায় এটা এক রকমের মানুষিক দূবলতার স্বীকার। অনেক সময় হিট অফ দা মোমেনটে মানুষ কিছু করে ফেলে সেটা আলাদা। কিন্তু যদি ভেবে চিন্তে আত্নহত্যা করে সেটা মানুষিক সমস্যা।

আর যাদের মানুষিক সমস্যা আছে তারা অন্য কোন সমস্যার সামনে এলেও এমনটা করতে পারে। কারন তারা শক্ত ডিটারমিনেসন অর্জন করতে পারেনাই্। সেল্ফ মটিভিসন সবচেয়ে বড় জিনিস এটা নিজের মাঝে তৌরি না করতে পারলে হতাশা আপনানাকে দূবল করে ফেলবেই।

রাস্টের অবশ্যই সবার চিকিতসার সুবিধা দেওয়ার মতন পরিবেশ সৃস্টিকরতে হবে। আমাদের দেশে শরীরের সকল রোগের চিকিতসার কথা মানুষ বলে খুবই কম মানুষিক চিকিতসার কথা বলে।

মানুষিক চিকিতসা মানেই হলো সেই মানুষটা পাগল এই ভাবনা থেকে সমাজের মানুষকে বেরহতে হবে।

৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫৭

নতুন বলেছেন: সোহানী বলেছেন: আমি নতুন এর সাথে এক মত। কিন্তু এরপরও একটা কথা আছে, রাষ্ট্র তাদের জন্য কি করেছে?? এদেরকে হয় দেশ ছাড়া করেছে নতুবা হতাশগ্রস্থ করেছে।

রাষ্ট্রের কি কোন দায় নেই?


সোহানী দুনিয়াতে কেউই আপনাকে কিছুই দেবে না বা করবেনা কিন্তু তাই বলে আপনি মারা যাবেন? জীবনটা আমার, অন্য মানুষের না যে তারা কি করলো , দিলো তার জন্য আমার জীবন ছেড়ে যেতে হবে।

আত্নবিশ্বাসী মানুষ রাস্ট কি দিলো বা না দিলো সেদিকে তাকিয়ে থেকে বসে থাকেনা। তারা তাদের পথ নিজেরাই খুজে নেয়। হতাশ হয়ে আত্নহত্যা করতে যায়না।

মানুষকে চেস্টা করতে হবে, সে অনেক বার ব্যার্থ হতে পারে কিন্তু তাকে একবার সফল হতে হবে। সেখান থেকে সে সবকিছুই নতুন করে শুরু করতে পারে।

ভেবেচিন্তে আত্নহত্যা যারা করে তারা অবশ্যই এক রকমের মানুষিক রোগী।

৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:২৫

সাগর শরীফ বলেছেন: মৃত্যু জিনিসটা স্বাভাবিক হলেও সহজ নয়। মরণ যন্ত্রণা যখন আসে তখন সবাই বেচে থাকার অকুতি করে। অনেক সাহসের প্রয়োজন। যার বেচে থাকার সাহস নেই, মরার সাহস ঠিকই আছে তাদের। তাহলে শিক্ষিত হয়ে কি করেছে তারা? শুধুমাত্র চাকরী্ যদি বাচা মরার প্রশ্ন হয়ে দাড়ায় তাহলে মানুষ রিকশা চালায় দিন মজুরী করে কেন? আমি তাকে রিকশা চালাতে বলছি না, সে নিজের পায়ে দাড়াতে উদ্যত হতে পারত, ব্যাবসায়িক একটা ধ্যান ধারণা নিজের মধ্যে আনতে পারত। কেন আনেনি? আমাদের মত লাখ লাখ বেকার তরুণ কি এভাবে বেচে নেই। এসব বেকার তরুণেরা সবাই বাপের টাকা ব্যাবসায় ঢেলেছে? সরকার কি কোন ফেসিলিটিস দিচ্ছে না আপনাকে নিজে কিছু করার জন্য? সরকারী চাকরীতে সুখ আর সিকিউরিটি খুজতে গিয়ে পরিবারকে ইনসিকিউরিটিতে কেন ফেলল? আমি গুছিয়ে বলতে পারিনি, তবে গুছিয়ে ভেবে দেখার অনুরোধ করলাম। সোজা কথায় আত্মহত্যাকারী মানুষগুলোর বেচে থাকার জন্য যে সাহসের দরকার তা নেই। এজন্য উচিত নিজেকে নিয়ে আগে ভাবা। শুরু থেকেই অপশন রাখা। পড়াশুনায় সবখানে টপ করে চাকরীই করতে হবে এই টেন্ডেন্সী থাকলে সেটাই যে কাজে দেবে তা কখনোই নয়।

৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪৩

নিমো বলেছেন: @নতুন আপনি ফলাফলের কথা বলছেন, আমি জানতে চাইছি কারণ। আপনার লেখায় জাপানের কোন ব্যাখ্যা পেলাম। চাঁদগাজী ব্লগে প্রায়শই সফল দেশ বলতে জাপানকে বুঝিয়ে থাকেন। তো সেই দেশে মানসিক অসুখের এত বাড়-বাড়ন্ত কেন ?

৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫৮

নতুন বলেছেন: @নিমো:- বেশির ভাগ আত্নহত্যাই মানুষিক সমস্যার কারনে হয়ে থাকে।
https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC6165520/

আমাদের দেশ দরিদ্র এবং দূনিতিগ্রস্থ এখানে সমস্যা আরো জীবনের সমস্যা গুলি জটিল হয়ে উঠে নানাবিধ কারনে। আমাদের দেশেই অনেক মানুষ আছে যারা সফল এবং সুখী এই সব বাধা কাটিয়েও।

আমাদের দেশের সমস্যা আমাদেরই মোকাবেলা করে এগিয়ে যেতে হবে। বেচে থাকতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.