![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
৫০ হাজার টাকার কম অঙ্কের চেক নিকাশে (ক্লিয়ারিং) চার্জ বা মাশুল নেবে না ব্যাংক। অন্যদিকে ইলেকট্রনিক পদ্ধতির মাধ্যমে সব ধরনের লেনদেনও মাশুল মুক্ত করা হয়েছে।
গত নভেন্বর মাসে এসব ক্ষেত্রে মাশুল আরোপ করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যবসায়ীরা এসব মাশুল প্রত্যাহারের দাবি তোলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কিছু ক্ষেত্রে মাশুল প্রত্যাহার এবং পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে।
এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। আগামী ১ মার্চ তথা আজ থেকেই নতুন নির্দেশনা কার্যকর হবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারের কাছ থেকে পাওয়া চেক ও সরকারি চালান বা সঞ্চয়পত্র কেনার জন্য গৃহীত চেক, বিভিন্ন সেবার (ইউটিলিটি) বিল এবং সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার বিভিন্ন পাওনার বিপরীতে সব ধরনের চেক নিকাশ মাশুলের আওতামুক্ত থাকবে।
এর বাইরে সাধারণভাবেই ৫০ হাজার টাকার কম চেক নিকাশ মাশুলমুক্ত থাকবে। একই সঙ্গে যেকোনো অঙ্কের ইএফটি (ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার) লেনদেন মাশুলমুক্ত থাকবে। ৫০ হাজার থেকে পাঁচ লাখ টাকার কম অঙ্কের চেক নিকাশের জন্য ভ্যাটসহ ১০ টাকা মাশুল আদায় করা হবে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক পাবে আট টাকা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক নেবে দুই টাকা। এর আগে এ ক্ষেত্রে ভ্যাট ছাড়া সাত টাকা মাশুল কাটার বিধান ছিল, যার মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পাঁচ টাকা পেত।
এ ছাড়া পাঁচ লাখ টাকা বা তার বেশি পরিমাণ টাকার চেক এক দিনের মধ্যে নিকাশের জন্য ৬০ টাকা মাশুল দিতে হবে। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পাবে ৫০ টাকা, বাকি অর্থ নেবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক। তবে এই চেকগুলো সাধারণভাবে নৈমিত্তিক নিকাশের জন্য দিলে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা মাশুল আরোপ করা হবে। এর ২০ টাকা নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, পাঁচ টাকা পাবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক।
সব ক্ষেত্রেই ধার্য করা এই মাশুল চেকের প্রাপক থেকে আদায় করা যাবে। তবে ব্যাংক চাইলে নিজস্ব উৎস থেকেও এই অর্থ পরিশোধ করতে পারবে।
মাশুলের হিসাব করতে সব ব্যাংককে পরবর্তী মাসের দ্বিতীয় কার্যদিবসের মধ্যে মাশুলের আওতাবহির্ভূত চেকের নম্বর, উপস্থাপনের তারিখ ও টাকার অঙ্কসহ প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে।
©somewhere in net ltd.