| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যের অন্বেষণকারী
রাজনীতি করলে মনে হয় সব মাফ আজ প্রথম আলো পত্রিকা পড়ে তাই মনে হলো:
শীর্ষ সন্ত্রাসী কাদের ও ছেড়া আকবরের নাম প্রত্যাহার
রাজনৈতিক বিবেচনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে চাঞ্চল্যকর তিনটি খুনের মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী সাবেক ছাত্রলীগ ক্যাডার আবদুল কাদের ওরফে মাছ কাদের। এর মধ্যে একটি মামলায় আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী আকবর হোসেন ওরফে ছেড়া আকবরের নামও প্রত্যাহার করা হয়েছে। চট্টগ্রামের পৃথক দুটি আদালত সম্প্রতি এ আদেশ দেন।
মামলা তিনটি হলো: নগরের পাঁচলাইশ থানার পলিটেকনিকের ছাত্র আবদুল কাদের হত্যা মামলা, ডবলমুরিং থানার ব্যবসায়ী আবদুল কাদের হত্যা মামলা ও আরেক ব্যবসায়ী আহাম্মদ আলী হত্যা মামলা।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কামাল উদ্দিন আহাম্মদ জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠি গত ১৫ সেপ্টেম্বর পাওয়ার পর ১০ অক্টোবর নাম প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়। হরতাল-অবরোধের কারণে ও বিচারক না থাকায় ধার্য দিনে শুনানি হয়নি। ৯ জানুয়ারি ও ১৩ জানুয়ারি শুনানি শেষে বিচারক আবদুল কাদের ও আকবর হোসেনের নাম প্রত্যাহারের মৌখিক আদেশ দেন।
মামলার নথিতে দেখা গেছে, বিচারক আদেশে উল্লেখ করেছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আবদুল কাদের ওরফে মাছ কাদেরকে মামলার আসামি করা হয় বলে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদনে উল্লেখ করে। এ ছাড়া রাজনৈতিক বিবেচনায় মামলা থেকে তাঁর নাম প্রত্যাহার করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও সুপারিশ করে। তাই মামলা থেকে আবদুল কাদেরের নাম প্রত্যাহার করা হলো। অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা চলবে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, পাঁচলাইশ পলিটেকনিক এলাকার ফারজানা হোটেলে সন্ত্রাসী আবদুল কাদের ও তাঁর সহযোগীরা ১৯৯৯ সালের ২ মার্চ পলিটেকনিক ছাত্র আবদুল কাদেরকে গুলি করে হত্যা করেন। এ ঘটনায় নিহত আবদুল কাদেরের বন্ধু এ এম মহিউদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে পরের বছরের ১৬ মার্চ অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন এ মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র তিন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। সর্বশেষ গত ৯ জানুয়ারি শুনানি শেষে মামলা থেকে আবদুল কাদের ও অপর শীর্ষ সন্ত্রাসী আকবর হোসেনের নাম প্রত্যাহারের আদেশ দেন আদালত। মামলার অপর ২৫ আসামির বিরুদ্ধে মামলা চলবে।
এ ঘটনায় মামলার বাদী এ এম মহিউদ্দিন গত বৃহস্পতিবার ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘১৫ বছরে বিচার তো পেলাম না। উল্টো আসামির নাম প্রত্যাহার করে নিল সরকার।’
ডবলমুরিং এলাকার ব্যবসায়ী আহাম্মদ আলী হত্যা মামলা থেকেও আবদুল কাদেরের নাম প্রত্যাহারের আদেশ দিয়েছেন বিচারক। তবে অপর ১০ আসামির বিরুদ্ধে বিচার চলবে।
২০০০ সালের ৯ জানুয়ারি ঈদের দিন ডবলমুরিং মোগলটুলী এলাকায় ব্যবসায়ী আহাম্মদ আলীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির বাবা জবর আলী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে পরের বছরের ২২ আগস্ট অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন এ মামলায় ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র একজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। ২০০৪ সালের ৪ এপ্রিল নিহত ব্যক্তির বড়ভাই আবদুল মান্নান সাক্ষ্য দেন। ইতিমধ্যে মারা গেছেন মামলার বাদী।
চাঁদা না পেয়ে নগরের ডবলমুরিং ক্রাউন কোম্পানির বাড়ির সামনে ব্যবসায়ী আবদুল কাদেরকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেন সন্ত্রাসী আবদুল কাদেরের সহযোগীরা। এ ঘটনা ১৯৯৮ সালের ৭ অক্টোবরের। নিহত ব্যক্তির বড়ভাই নুরুল ইসলামের দায়ের করা মামলায় পুলিশ সন্ত্রাসী আবদুল কাদেরসহ তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে পরের বছরের ৩১ ডিসেম্বর অভিযোগপত্র দাখিল করে। এ মামলা থেকেও আবদুল কাদেরের নাম প্রত্যাহারের আদেশ দেন আদালত।
মামলার বাদী নুরুল ইসলাম ২০০৭ সালের ২ আগস্ট তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যতে আসামি মাছ কাদেরের নির্দেশে তাঁর সহযোগীরা আবদুল কাদেরকে খুন করে বলে জানান।
প্রধান আসামির নাম প্রত্যাহারের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বাদী নুরুল ইসলাম বলেন, ‘সাক্ষ্য দেওয়ার পরও প্রধান আসামির নাম প্রত্যাহার করা হলে কোথায় বিচার পাব।’
র্যাব ও পুলিশ সূত্র জানায়, মাছ কাদেরের বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি, অস্ত্র, অপহরণসহ প্রায় ২৯টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ২৩টি মামলায় সাক্ষীরা মুখ না খোলায় খালাস পান মাছ কাদের। ২০০০ সালের ১ এপ্রিল গ্রেপ্তার হন তিনি। নয় বছর পর ২০০৯ সালের ১৮ এপ্রিল কারগার থেকে মুক্তি পান। একসময় মাছ বিক্রির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে মাছ কাদের হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন আবদুল কাদের।
হায়রে দেশ , বাংলাদেশ
সুত্র: প্রথম আলো
২|
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৪৮
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: @ হাসিব০৭ বলেছেন: গত সরকারের মেয়াদে ২১ জন ফাসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামি খালাস পেয়েছিল এবারের মেয়াদে না য় ৪২ টা পাবে। ভালো না ভালো তে।
৩|
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:২৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: স্বাধীন দেশের প্রথম প্রশাসনেও এই তুঘলকি চালীয়েছিল!!
দলান্ধতা ন্যায়-বিবেক-আইনকে পদদলিত করেছিল বারবার....
দেশটাকে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তায়েনর গহীন খাদে...দুর্ভিক্ষ আর স্বৈরাচারের বধ্যভূমিতে....
আজও একই ষ্টাইল দেখা যাচ্ছে!!!!
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৫২
হাসিব০৭ বলেছেন: গত সরকারের মেয়াদে ২১ জন ফাসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামি খালাস পেয়েছিল এবারের মেয়াদে না য় ৪২ টা পাবে। ভালো না ভালো তে।