নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিথ্যার প্রতিবাদ/ সত্যের অন্বেষণ

আমি মিথ্যাকে, অন্যায়কে সহ্য করতে পারি না । তাই আমি স্পষ্টবাদী

সত্যের অন্বেষণকারী

সত্যের অন্বেষণকারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

জরায়ুমুখ ক্যানসার: আগেভাগেই ঠেকানো সম্ভব

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৩৩

জরায়ুমুখ ক্যানসার বিশ্বব্যাপী নারী-মৃত্যুর অন্যতম কারণ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশেও প্রতিবছর প্রায় ১৮ হাজার নারী নতুন করে জরায়ুমুখ ক্যানসারে আক্রান্ত হন এবং প্রতিবছর প্রায় ১২ হাজার নারী এই ক্যানসারে মারা যান। জরায়ুমুখে মরণব্যাধি ক্যানসার কারও শরীরে বাসা বাঁধছে কি না, তা বের করা সম্ভব ‘প্যাপ টেস্ট’ নামের একটি পদ্ধতির মাধ্যমে।

‘প্যাপ টেস্টের’ মাধ্যমে জরায়ুমুখের কোষের পরিবর্তন নির্ণয় করা হয়। ব্রাশ অথবা স্পেকুলাম নামের সরঞ্জাম জরায়ুমুখে প্রবেশ করিয়ে জরায়ু থেকে কোষ সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। জরায়ুকোষে যেকোনো ধরনের পরিবর্তন ধরা পড়লেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্রুত সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা শুরু করতে পারেন, যেন ভবিষ্যতে রোগীর ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা না থাকে।

যৌন সংস্পর্শ এই রোগ ছড়ানোর প্রধান কারণ। যৌন সক্রিয় প্রত্যেক নারীই তাই এই ঝুঁকির আওতাভুক্ত। যেকোনো নারীর দৈহিক সম্পর্ক শুরুর তিন বছর পর থেকে বছরে একবার ‘প্যাপ টেস্ট’ করা প্রয়োজন। যদি পর পর তিনটি পরীক্ষার ফলাফলে কোনো সমস্যা চিহ্নিত না হয়, সে ক্ষেত্রে প্রতি তিন বছরে একবার প্যাপ টেস্ট করা যেতে পারে। মেনোপজ অথবা জরায়ুর আংশিক অপসারণের পরও প্যাপ টেস্ট অব্যাহত রাখা দরকার। তবে ৭০ বছরের বেশি বয়স্ক নারীদের জন্য যদি বিগত ১০ বছরে পর পর তিনটি পরীক্ষার ফলাফলে কোনো সমস্যা না থাকে, তাহলে তাঁদের আর প্যাপ টেস্ট করার প্রয়োজন নেই। অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ‘প্যাপ টেস্ট’ করা যেতে পারে। পিরিয়ডের সময়টুকু বাদ দিয়ে মাসের যেকোনো দিন আপনি প্যাপ টেস্টের জন্য বেছে নিতে পারেন। তবে পরীক্ষাটির অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে থেকে দৈহিক মিলনে বিরত থাকতে হবে।

মনে রাখবেন জরায়ুমুখের ক্যানসার কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়। হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) নামের একটি ঘাতক ভাইরাস এই রোগের জন্য দায়ী। সাধারণত বেশির ভাগ জীবদ্দশায় একাধিকবার এইচপিভি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হন। একজন নারীর সহজাত প্রতিরোধ ক্ষমতা বা কনডমের ব্যবহার কখনোই এই সংক্রমণের বিরুদ্ধে স্থায়ী প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করতে পারে না।

সম্প্রতি জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে অতি কার্যকর টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে। পর পর তিন ডোজ টিকা, নিয়মিত প্যাপ টেস্টের মাধ্যমে স্ত্রিনিং, চিকিৎসকের পরামর্শ এবং সাবধানতা জরায়ুমুখের ক্যানসর প্রায় পুরোপুরি প্রতিরোধ করতে পারে।



সুত্র : প্রথম আলো

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.