নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিথ্যার প্রতিবাদ/ সত্যের অন্বেষণ

আমি মিথ্যাকে, অন্যায়কে সহ্য করতে পারি না । তাই আমি স্পষ্টবাদী

সত্যের অন্বেষণকারী

সত্যের অন্বেষণকারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্যান্সারের খবরে মারা গেলেন বাবা : তবু ক্যাম্পাসে ফিরতে চায় শাহেদ

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৫১

শাহেদুল ইসলাম কয়েক মাস যাবত হাসপাতালের বেডে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে আছেন। গত ৪ জানুয়ারি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ধরা পড়ে ব্লাড ক্যান্সার। প্রথমে বাবা-মায়ের কাছে বিষয়টি গোপন রাখা হলেও পরে জেনে যায় তারা। আদরের সন্তানের এমন খবর শুনেই স্ট্রোক করেন শাহেদের বাবা শাহ আলম। গত ২৩ তারিখ পৃথিবী ছেড়ে চলে যান তিনি।



হাসপাতালে কাতর শাহেদকে জানানো হয়নি পিতার মৃত্যুর খবর। কেবলই দিন গুনছেন তার প্রিয় ক্যাম্পাস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যাওয়ার জন্য।



শাহেদুল ইসলামের বড় ভাই কামরুল ইসলাম সুমন অনেকটা আবেগাপ্লুত হয়ে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে এসব কথা বলেন।



কান্না জড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ভেবেছিলাম ভাইয়ের ক্যান্সারের খবর বাবাকে জানাবো না। তবুও জানাতে হলো। কিন্তু এতে যে বাবাকেই হারিয়ে ফেলবো তা ভাবিনি। এখন ভাইয়ের কাছে বাবার মৃত্যুর খবরটিও গোপন রেখেছি। এ খবর শোনালে তাকেও হয়ত হারাতে হবে।



শাহেদের বড় ভাই আরো বলেন, প্রতিদিনই ৪ হাজার টাকারও অধিক খরচ যায় শাহেদের পেছনে। একজন মধ্যম আয়ের লোক হিসাবে এটা আমার জন্য খুবই কষ্টকর। তবুও আদরের ছোট ভাইকে হারাতে চাই না। কিন্তু তার উন্নত চিকিৎসার জন্য যে মোটা অঙ্কের টাকা লাগবে, তা কিভাবে জোগান দিবো সে চিন্তায় রাতে ঘুমাতে পারি না।



শাহেদের গ্রামের বাড়ি ফেনীর সদর উপজেলার নৈরাজপুর গ্রামে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়ে মাস্টার্স ১ম বর্ষে অধ্যয়ন করছেন। ৫ম ও অষ্টম শ্রেণিতে পাওয়া ট্যালেন্টপুলে বৃত্তির টাকা দিয়ে কেটে যায় তার উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়ার খরচ। ঢাবিতে ভর্তি হয়ে শহরের একটি মেসে থেকে পড়াশোনা চালিয়ে নিচ্ছিলো সে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর থেকেই টিউশনি করে নিজের পড়ার খরচ চালিয়েছে শাহেদ।



সম্প্রতি গ্রান্ড অপারেশনের পর রক্তে ক্যান্সার ধরা পড়ে শাহেদের। তার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের (সাবেক পিজি) ক্যাবিন ব্লকের ৬০৫ নং কক্ষে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী দেশের বাইরে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা পেলেই সুস্থ হয়ে ফিরবে শাহেদ। তবে এই মুহূর্তে দেশে এবং দেশের বাইরে নিয়ে চিকিৎসার ব্যয়ভার চালানোর সামর্থ্য নেই তার বড় ভাই কামরুলের। তবু অদম্য ইচ্ছা ছোট ভাইকে সুস্থ করে তুলতে।



তাকে বাঁচাতে আনুমানিক ৫০ লাখ টাকা প্রয়োজন। এই বিপুল অঙ্কের অর্থ যোগান দেওয়া শাহেদের দরিদ্র পরিবারের পক্ষে একেবারেই অসম্ভব। উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বিত্তশালী-সহৃদয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছে তার পরিবার। শাহেদের চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা করতে চাইলে সরাসরি যোগাযোগ করতে হবে- ০১৭১২২৩৬৮৬৮, ০১১৯০৭৪২৫৬৭ সেলফোন নম্বরে। টাকা পাঠানো যাবে ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর ১০১১০১১৬৩৭৫২

সুত্র: প্রথম আলো

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১০

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: এভাবে কতজনকে বাঁচানো সম্ভব?

প্রেসিডেন্ট আনদুল হামিদ একদিনে দেশে ২০টি ক্যান্সার হাসপাতাল শুরু করতে পারেন।

২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১১

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: চলুন আমরা তাকে বলি সে যেন ২০টা ক্যানসার হাসপাতাল করে আগামী মাসে, না হয় যেন পদ ছেড়ে চলে যায়!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.