![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মোবাইল ফোন নম্বর শুরু হয় একটা শূন্য দিয়ে। কারণ, এই শূন্য হলো আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশনের স্বীকৃত বাংলাদেশের ভেতরের মোবাইল কল সংকেত। যদি দেশের ভেতর থেকে কাউকে মোবাইলে ফোন করি, তাহলে এই শূন্য সংকেত থেকে টেলিকমিউনিকেশনস সিস্টেম বুঝে নেবে যে এই কলটি বাংলাদেশের ভেতরে যোগাযোগ করতে চায়। যদি বাইরের কোনো দেশ থেকে কল করতে হয়, তাহলে প্রথমে ০০৮৮ লিখে তারপর ০ নম্বর টিপতে হবে। কারণ, ০০ অর্থ আন্তর্জাতিক কল, ৮৮ হলো বাংলাদেশ, তারপর ০ দিয়ে শুরু মানে মোবাইলে বাংলাদেশের ভেতর কল যাবে। বাংলাদেশের কোড হলো ৮৮০। যদি নম্বরটি ০১৭.. হয়, তাহলে সেটা হবে গ্রামীণ ফোনের, ০১৫... হলে সেটা হবে টেলিটক ইত্যাদি।
সাবানের ফেনা কেন সাদা? কারণ সাবানের ফেনা যদি আলোর সবগুলো রং প্রতিফলিত করে, তাহলে সেটা সাদা দেখাবে। অনেক সময় ফেনার কোনো অংশ বেগুনি, লাল বা সবুজও দেখায়। তার মানে ফেনার মধ্য দিয়ে কিছু আলো প্রতিসরিত হয়ে চলে যায়, আর নীল, বেগুনি বা সবুজ রং প্রতিফলিত হয়ে আমাদের চোখে ফিরে আসে, তখন সেই রঙের দেখায়। কিন্তু এটা সাবানের রঙের জন্য নয়। আসলে সাবানের মধ্যে যে ক্ষার থাকে, তার রং সাদা। এর ওপর সবুজ বা গোলাপি রং মিশিয়ে হয়তো সাবান রঙিন করা হয়। কিন্তু পানিতে গোলানোর পর সেই রং আর থাকে না।
এখন দেখা যাক, ঘড়ির কাঁটা কেন ডান দিকে ঘোরে। কারণ, ঘড়ি আবিষ্কার হয়েছিল ইংল্যান্ড বা ইউরোপের কোনো দেশে। এর আগে ছিল সূর্যঘড়ি। ইংল্যান্ড পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে হওয়ায় সূর্য দক্ষিণ আকাশে হেলে থাকে। এ কারণে সূর্যঘড়ির যে দণ্ডের ছায়া দেখে সময় পরিমাপ করা হয়, সেই ছায়াটি বাঁ দিক থেকে ডান দিকে ঘোরে। কারণ, ওই স্থানটি উত্তর গোলার্ধে। ওখানে সূর্য যখন পূব থেকে পশ্চিমে যায়, তখন সূর্যঘড়ির দণ্ডের ছায়াটি বাঁ থেকে ডান দিকে ঘোরে। তাই ঘড়ি আবিষ্কারের সময় স্বাভাবিক ও অভিজ্ঞতালব্ধ চিন্তা অনুযায়ী ঘড়ির কাঁটা ডান দিকে ঘোরানোর পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। ঘড়ি যদি অস্ট্রেলিয়া বা নিউজিল্যান্ডে আবিষ্কার হতো, তাহলে হয়তো ঘড়ির কাঁটা বাঁ দিকে ঘুরত। কারণ, দক্ষিণ গোলার্ধে সূর্যঘড়ির ছায়া উত্তর গোলার্ধের বিপরীত দিকে, অর্থাৎ ডান দিক থেকে বাঁ দিকে ঘোরে!
গণিতে অনেক মজা আছে। যেমন, আমি টাঙ্গাইলের গণিত উৎসবে বললাম, তরুণেরা বন্ধুর জন্মদিনে গণিতের একটা মজার ধাঁধা ধরতে পারে। প্রথমে সে বলবে ৬১৭৪ একটি ম্যাজিক সংখ্যা। কেন ম্যাজিক? কারণ যে কেউ চার অঙ্কের একটি সংখ্যা বলুক, যার অন্তত একটি অঙ্ক অন্যগুলোর থেকে পৃথক হবে। তাহলে সে ওই চার অঙ্কের সংখ্যা থেকে কিছু সংখ্যা নির্দিষ্ট নিয়মে সাজিয়ে যোগ-বিয়োগ করে ৬১৭৪ সংখ্যাটি বের করে দেবে। এটি একটি চ্যালেঞ্জ। চার অঙ্কের সংখ্যাটি যা-ই হোক না কেন, শেষ পর্যন্ত ৬১৭৪ সংখ্যাটি বের করার কৃতিত্ব সে নিতে পারে। যেমন, কেউ ৩৭২৫ সংখ্যাটি বলল। এখন এই সংখ্যার চারটি অঙ্ক দিয়ে সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে ছোট সংখ্যাটি বের করতে হবে। এরপর বড়টি থেকে ছোটটি বিয়োগ করতে হবে। যেমন, এ ক্ষেত্রে বড় সংখ্যাটি হবে ৭৫৩২ এবং ছোটটি হবে ২৩৫৭। এর বিয়োগ ফল হবে ৫১৭৫। এখন আবার একই নিয়মে ৫১৭৫-এর সবচেয়ে বড় ও ছোট সংখ্যাটি বের করে আবার বিয়োগ। এভাবে কয়েকবার বিয়োগফল বের করলে শেষ পর্যন্ত ৬১৭৪ সংখ্যাটি পাওয়া যাবে।http://www.prothom-alo.com/opinion/article/759220/à¦à§à¦¿à¦°-à¦à¦¾à¦à¦à¦¾-ডান-দিà¦à§-à¦à§à¦°à§-à¦à§à¦¨
©somewhere in net ltd.