![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্যোসাল মিডিয়ার পাউয়ারটা আমাকে-আপনাকে বুঝতে হবে, গত কয়েকদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রে আহমেদ নামক এক মুসলিম বালককে ঘড়ি বানানোর অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছিলো, বলা হয়েছিলো- সে নাকি বোমা বানিয়েছে। আমেরিকার মত দেশে জেল-জরিমানা ছাড়া ঐ ছেলের বের হওয়ার উপায় ছিলো না। কিন্তু টুইটারসহ স্যোসাল মিডিয়ায় আহমেদের মুক্তি চেয়ে ঝড় তুলেছিলো তার সহপাঠীরা। তারসাথে সাধারণজনগণও প্রকাশ করেছিলো একাত্মতা, মুহুর্তের মধ্যে হয়েছিলো লক্ষ লক্ষ হ্যাশট্যাগ।
বিষয়টি স্যোসাল মিডিয়া এমনভাবে কাঁপিয়ে দেয় যে, ওবামা-হিলারী পর্যন্ত দিশেহারা হয়ে পড়ে। জনগণের সাথে তাল মিলিয়ে তারাও আহমেদের পক্ষে বলা শুরু করে, হোয়াইট হাউসে দাওয়াত দেয়। মার্কিন পুলিশ আহমেদকে নাকে খত দিয়ে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে জুকারবার্গ দাওয়াত দেয় আহমেদকে, মাইক্রোসফট পাঠায় নানান উপহার সামগ্রী।
এখানে বোঝার বিষয় হচ্ছে, সাধারণ মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। এটা কিন্তু স্যোসাল মিডিয়া বলে আপনি পারছেন। এ সুযোগ কিন্তু আর কোথাও নেই। ইলেকট্রনিক মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া কিন্তু আপনার কথা বলবে না, তারা বলবে তাদের কথা, সাধারণ জনগণের চাওয়া-পাওয়ার কোন মূল্য তাদের কাছে নেই।
আর আপনিও অন্য কোথাও কথা বলতে পাররেন না, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারবেন না। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করবেন ? সন্ত্রাসী ট্যাগ লাগিয়ে গ্রেফতার করা হবে। তাই সত্যিই বলতে, সুযোগ মাত্র একটি। স্যোসাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ করুন। অন্যায়ের প্রতিবাদে স্ট্যাটাস লিখুন। যদি নিজে লিখতে না পারেন, যার লেখাকে প্রতিবাদের ভাষা বলে মনে হয়, তার লেখা কপি করে ছড়িয়ে দিন, বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ার করুন। অনেকে কার্টেসিকে গুরুত্ব দেয়। আমার কাছে কার্টেসির কোন গুরুত্ব নেই। আপনার যখন আমার লেখা পছন্দ হবে তখন সেটাই আপনার লেখা, আপনার বক্তব্য। তাই আপনি নিজের বক্তব্য হিসেবে প্রকাশ করতে পারেন, কোন সমস্যা হওয়ার কারণ নেই।
মনে রাখবেন, যে অন্যায় করে আর যে অন্যায় সয় দু’জনেই সমান অপরাধী। তাই যতটুকু প্রতিবাদ আপনার আয়ত্বের মধ্যে আছে ততটুকু থেকেই প্রতিবাদ করুন। বাকিটা সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা।
©somewhere in net ltd.