![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাস্তবতার ভার্শন ২.৭.১২ এ আছি। নিয়মিত আপডেট হচ্ছি। ফেসবুক আইডিঃ https://www.facebook.com/sarxilkhan
গোলাপ, রজনীগন্ধা, ডালিয়া, কদম কোন ফুলই আমাকে সেভাবে আকর্ষিত করে না যেভাবে না হাস্নাহেনা ফুল আমাকে আকর্ষণ করে। তারমানে সহজেই ধরে নেওয়া যায়, আমার প্রিয় ফুল হাস্নাহেনাই। আমার বিভিন্ন লেখার মাঝে আর কোন ফুলের ব্যবহার না থাকলেও রাতের কোন দৃশ্যে হাস্নাহেনার বর্ণনা থাকবেই। হাস্নাহেনা আসলেই আমার খুব প্রিয় একটি ফুল। অথচ এই গাছটিকে আমি কখনো আমার কাছাকাছি রাখি না বা রাখতে দেই না। রোজ গোধুলী বেলায় আমি হাঁটতে বের হই। ঘুরে বেড়াই প্রায় তিন ঘণ্টার মতো। এসময় আমি শুধু খুঁজে বেড়াই হাস্নাহেনার ঘ্রাণ। একেকদিন একেক পথে খুঁজে খুঁজে বের করি গাছটি। যদি একদিন কোথাও খুঁজে না পাই, তখন বড্ড খারাপ লাগে।
চাইলেই যেখানে হাস্নাহেনার গাছ লাগানো যায় বারান্দায়, সেখানে আমি লাগাই না। আমি মনে করি প্রকৃতির সৌন্দর্য অসীম হলেও এর প্রাচূর্যতা মাঝে মাঝে আমাদের এই সৌন্দর্যগুলোর প্রতি উদাসীন করে তুলে। আজ যদি নিয়মিত হাস্নাহেনার ঘ্রাণ শুঁকি, তাহলে একসময় আমার এই ফুলটির প্রতি আকর্ষণ কমে যাবে।
প্রতিদিনই গোধূলীলগনে সূর্য নামে। কিন্তু সবদিনই আকাশকে বড্ড মায়াবী লাগে না। প্রতিদিনই রঙবেরঙের খেলা পুরো আকাশ জুড়ে থাকে না।
মাসে প্রায় সবদিনই আকাশে চাঁদ দেখা গেলেও আকাশ ফাটা জোছনা প্রতিদিনই থাকে না। ঘুরে ঘুরে একটি নির্দিষ্ট দিনেই উথাল পাথাল জোছনা নামে।
মহান সৃষ্টিকর্তা প্রকৃতির মাঝেই মানুষের সুখ লিখে রেখেছেন। এগুলোকে খুঁজে খুঁজে বের করতে হয়। এগুলোর জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয়। অপেক্ষায় না থাকলে এগুলোর প্রতি আকর্ষণবোধ কাজ করে না। এগুলোর প্রাচূর্যতা যদি আমাদের কাছে থাকতো, তবে আমরা এগুলোকে মূল্য দিতে পারতাম না।
মানুষের জীবনের সঙ্গেও প্রকৃতির সৌন্দর্যগুলোর অদ্ভুত মিল আছে। মানুষও তার চরিত্রের সুন্দর দিকগুলো সবসময় সবার কাছে প্রকাশ করে না। সবসময়ই যদি সবাই চরিতের সুন্দর দিকগুলো প্রকাশ করে, তাহলে সেই সুন্দর দিকগুলোর অনুভূতিগুলোও একসময় ভোঁতা হয়ে যাবে।
যে জিনিস খুব সহজেই পাওয়া যায়, তার স্থায়িত্বগুলোও খুব দীর্ঘস্থায়ী হয় না।
©somewhere in net ltd.