নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সার্জিল খান

বাস্তবতার ভার্শন ২.৭.১২ এ আছি। নিয়মিত আপডেট হচ্ছি।

নিরুদ্দেশ পথিক

বাস্তবতার ভার্শন ২.৭.১২ এ আছি। নিয়মিত আপডেট হচ্ছি। ফেসবুক আইডিঃ https://www.facebook.com/sarxilkhan

নিরুদ্দেশ পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনুগদ্যঃ গন্ধ

০২ রা জুলাই, ২০১৩ ভোর ৫:৪২

ট্রেনের আলাদা একটা নিজস্ব গন্ধ আছে। সবাই এই গন্ধটা সব সময় পায় না। সবাই যেটা পায় তা হলো তেল পোড়া আঠালো একটা গন্ধের সাথে প্রশ্রাব, সিগারেট আর ঝালমুড়ির পেয়াজ মরিচ কাটার একটা গন্ধের একযতা মিক্স গন্ধ। কিন্তু কেউ ট্রেনের নিজস্ব গন্ধটা পায় না। রমিজ নিয়মিত ট্রেনে যাতায়াত করে। তার কাছেও ট্রেনের গন্ধটা আর সবার মতোই লাগে। আলাদা ঘ্রাণটা সে সব সময় পায় না। ট্রেনের এই ঘ্রাণটা সে প্রথম পায় আজ থেকে আড়াই বছর আগে চট্টগ্রাম যাওয়ার সময়। শীতের মাঝে রাতের ট্রেন ছুটে চলছিলো। সিগারেট খাওয়ার জন্য সে দরজার কাছে এসে দাড়িয়েছিলো। ম্যাচে আগুন জ্বালাতে গিয়ে সে এই ঘ্রাণটা প্রথম পায়। কেমন যেন টক টক মিষ্টি মিষ্টি একটা গন্ধ। কারোর বডি স্প্রের গন্ধ না যে এটুকু বোঝা যাচ্ছিল। সিগারেট না ধরিয়েই সে ঘ্রাণটা বেশ কয়েকবার শোকার জন্য জোরে জোরে নি:শ্বাস নিচ্ছিলো। কেমন যেন মাতাল একটা গন্ধ। সেবার ঘ্রাণটা পুরোপুরি মন ভরে শুকে নিতে পারেনি। সিগারেট খেয়ে সিটে গিয়ে ঘুমিয়েই রাত পারি করেছিলো। ঘুম থেকে ওঠার পর সে ঘ্রাণটা শোকার চেষ্টা আবার করেছিলো। কিন্তু তখন আর সেই গন্ধটা নেই। নাকে সর্দি জমেছিলো কিনা দেখার জন্য টয়লেটে গিয়ে নাক পরিস্কারও করে এসেছিলো। তাও গন্ধটা নেই।



অদ্ভুতভাবে আজ সিলেটে যাবার রাতের ট্রেণেও সে সেই একই গন্ধ পাচ্ছে। হঠাৎ হারানো বস্তু ফিরে পেলে মানুষ যেমন আত্মহারা হয়ে পুলকিত অনুভব করে, ঠিক সেভাবেই রমিজ আচমকা লাফিয়ে উঠে পাশের যাত্রীকে ডেকে বললো,



-ভাই কি কোন টক টক মিষ্টি মিষ্টি গন্ধ পাচ্ছেন?



সহযাত্রী যে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন রমিজ তা দেখেনি। তাই ঘুম থেকে ডেকে অবান্তর প্রশ্ন করায় ভদ্রলোক রেগে জবাব দিলেন,



-কেন ভাই সাতদিন গোসল না করেই কি মিষ্টি ফ্লেভারের বডি স্প্রে মারছেন নাকি? নাকি হজমি খায়া পাদতেছেন যে টক টক মিষ্টি মিষ্টি গন্ধ পাইতে হবো? ঝালটাও দিতেন। পুরাই চাটনী হইয়া যাইতো।



ভদ্রলোককে রমিজ আর কিছু জিজ্ঞেস করলো না। সহযাত্রীটিও কোন কথা না বলেই আগের মতো ঘুমানোর ভংগি করে সিটে হেলান দিয়ে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়লেন।



রমিজ জোরে জোরে নি:শ্বাস নিচ্ছে। সে স্পষ্ট বুঝতে পারছে যে এটা ট্রেনেরই সেই গন্ধটা। জানালার গ্লাস নামিয়ে দিয়ে সে মাতাল হয়ে সেই ঘ্রাণ শোকার চেষ্টা করছে। চেনা গন্ধের ভীড়ে অচেনা গন্ধটিকে তার কাছে কেন যেন হঠাত বড় ভালো লাগছে।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ ভোর ৬:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো।

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪৫

নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। :)

২| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৩৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: নিরুদ্দেশ পথিক,

ছোট্ট কিন্তু গভীরে গেঁথে যা্ওয়ার মতো ।

সব কিছুরই একটি আলাদা গন্ধ থাকে । আর সব মানুষই সে গন্ধের হাট থেকে তার ভালো লাগার কিছু একটা খুঁজে ফেরে - ।

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬

নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ভালো লাগলো, ঠিক কথাটাই বলেছেন। আমিও মাঝে মাঝে গন্ধের মাঝে স্মৃতি খুঁজে পাই। কি সুগন্ধ কি দুর্গন্ধ। ভালো স্মৃতিতে দুর্গন্ধকেও বড় প্রিয় লাগে, খারাপ স্মৃতিতে সুগন্ধও বড় বিরক্ত করে দেয় আমাকে। :)

৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৫৫

কালোপরী বলেছেন: :)

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭

নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: :)

৪| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:০৭

আহলান বলেছেন: পড়লাম , আরো বিস্তারিত লিখলে আরো ভালো লাগত, পাদাপাদি বাদ দিয়ে

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩

নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আমি মনে করি অনুগদ্য ছোটগদ্য নয়। ছোটগদ্যে কোন একটি নির্দিষ্ট কাহিনীর বর্ণনা পুঙ্খানুভাবে উল্লেখ থাকবে, প্রয়োজনে উক্তিতেও পরিষ্কার বর্ণনা থাকবে। উপন্যাসে একাধিক কাহিনীর প্রয়োজনে একাধিক চরিত্রের কিছু ঘটনার প্রেক্ষিতে পুঙ্খানুভাবে বর্ণনা থাকবে।

অনুগদ্য আকৃতিতে ছোট, কাহিনী বা চরিত্রেও ছোট। এটিকে যে বড় করা যাবে না তা না। তবে বড় করলে এটি আর অনুগদ্য থাকবে না। এই গদ্যের চরিত্র, কাহিনী বর্ণনা হুট করেই আসবে, হুট করেই চলে যাবে। লেখক লিখবেন একভাবে পাঠক পড়ে বুঝবেন নানা ভাবে। এখানেই এর বিশেষত্ব।

অনুগদ্য নিয়ে এই ধ্যান ধারণা একান্তই আমার নিজস্ব ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমার সাথে অনেকের মিল নাও থাকতে পারে। প্রতিটি লেখকই নিজস্ব আদর্শ ও স্বকীয়তা নিয়ে লিখে যান, আমিও সেরকমই। :)

৫| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৫৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভালো লাগলো পড়ে।

রাতের একটা নিজস্ব গন্ধ আছে ! বহু বছর পর একটা শর্ট জার্নিতে ট্রেনে চড়েছিলাম ! গল্পে উল্লেখিত কোনও গন্ধের মতো গন্ধ পাইনি। তবে গল্পে প্লাস দিলাম

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৯

নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: গল্পে ট্রেনের যে গন্ধটার কথা বলা হয়েছে, সেখানে স্পষ্ট কোন ধারণা দেয়া হয়নি, একটা সম্ভাব্য ধারণাকে "কেমন যেন" শব্দটি দিয়ে অস্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

যাই হোক, এরপরেও যে আপনার কাছে গল্পটা কিছুটা হলেও ভালো লেগেছে, এখানেই আমার স্বার্থকতা। :)

৬| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:০০

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ইন্টারেস্টিং, ভাল্লাগলো ||

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০০

নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। :)

৭| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১১

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: সবকিছুরই বোধহয় আলাদা একটা গন্ধ থাকে। সেটা পেলে কি অসাধারণ অনুভূতিই না হয়!

ভাল লাগল লেখাটা।

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০১

নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: একেক গন্ধের স্মৃতি একেক রকম। তাই গন্ধের প্রতি আমাদের আকর্ষণ ভিন্নরকম। :)

৮| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩৯

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: ৭ম ভাল লাগা।

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০১

নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ৭ম ধন্যবাদ। :)

৯| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০

মাক্স বলেছেন: ভালো লাগলো!

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০১

নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। :)

১০| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

+++++++ রইল

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০২

নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আপনার জন্যও অনেক ধন্যবাদ রইলো। :)

১১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৮

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ++++++++++++++++++++


চমৎকার লিখেছেন

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৫

নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.