![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ। বড় আজব এই মানুষ। মানুষ নাকি ফানুষ তাও এখন আর বোঝার ক্ষমতা আমি রাখি না। সব ক্ষমতা হারিয়ে গেছে। হারিয়ে দিন যাচ্ছে নির্জনে। নির্জনে থাকি নিজের সাথে। ধীরে ধীরে নির্জনতা প্রিয় মানুষে রুপান্তরিত হচ্ছি। হয়তো হয়েও গেছি। ইদানিং চলাফেরা করতেও ভয় হয়। চারিপাশে মানুষ দেখি না। দেখি শুধু মুখোশ। মুখোশে-মুখোশে ছেয়ে গেছে গোটা পৃথিবী। নিজের বিভৎস চেহারা সামনে একটি মসৃন আবরন। সেটাই মুখোশ। নিজেকে লুকিয়ে রেখে ভালো মানুষি মুখোশটাকে ইদানিং দেখা যায় বেশী। স্বার্থ এমনই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। স্বার্থ ফুরালেই সব শেষ। মুখোশটা ঠিক তখনই উন্মোচন হয়। বিভৎস সেই চেহারা দেখে বমি চলে আসে। থুথু ছিটিয়ে প্রতিবাদ করতেও উদ্ধত হই। কিন্তু তাও পারি না। এত কাছের মানুষকে তাও করা সম্ভব হয় না। তাইতো নির্জনে চলে গেছি। একদম নির্জনে। হাজার অবিশ্বাস নিয়ে এখন আমিও মুখোশধারীদের মতো হয়ে গেছি। মুখোশটাই হয়ে গেছে জীবনের মূলমন্ত্র। কারণ, জীবন একটি মুখোশ।
কমরেড, আজ নতুন নবযুগ আনবে না?
কুয়াশাকঠিন বাসর যে সম্মুখে।
লাল উল্কিতে পরস্পরকে চেনা -
দলে টানো হতবুদ্ধি ত্রিশঙ্কুকে,
কমরেড, আজ নবযুগ আনবে না?
লাইনগুলো পদাতিক কাব্যগ্রন্থের প্রথম কবিতা “সমকালের গান” থেকে নেয়া। এই কবিতা দিয়ে যিনি প্রবেশ করেছিলেন বাংলা কবিতায় তিনি যে বিপ্লবী কবি তা নিঃসন্দেহে বলে দেয়া যায়। বাংলা কবিতার জগতে সুভাষ মুখোপাধ্যায় অনেকটা চমক দেখিয়েই প্রবেশ করেছিলেন। ‘চমক’ শব্দটি ব্যবহার এই জন্যে যে তিনি বাংলা কবিতার প্রথম কবি যিনি প্রেমের কবিতা দিয়ে কাব্য অঙ্গনে প্রবেশ করেননি। সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের অভিনবত্ব ছিল ঐখানেই। রাজনৈতিক সচেতন সুভাষ রাজনৈতিক কবিতা দিয়েই ঢুকে গিয়েছিলেন কাব্য জগতে। শুরু থেকেই ছিলেন বিপ্লবী। মার্কসীয় চেতনায় উদ্বুদ্ধ সুভাষ মুখোপাধ্যায় শুরুতেই প্রকাশ করে দিয়েছেন তাঁর চিন্তা চেতনার দর্শন। রাজনীতি, সমাজ, দেশ কিংবা ইতিহাস নিয়ে কি ভাবেন তাও সরাসরি প্রকাশ করে দিয়েছেন কবি সুভাষ।
সর্বপ্রথম সুভাষ রাজনীতিকে নিয়ে এসেছিলেন বাংলা কবিতায়। বাংলা কবিতাকে তিনি দেখিয়েছেন এক নতুন দিগন্ত। মাত্র ২১ বছর বয়সে আক্রমণাত্মক কবিতা লিখে তিনি মন কেড়েছেন তৎসময়ের বিখ্যাত কবিদেরও। তরুণতম কবি হিসেবে প্রবেশ করে তাক লাগানোর মত কবিতা নিয়ে যখন “পদাতিক” কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশ হয় তখন কবি বুদ্ধদেব বসু তাঁকে নিয়ে লিখে ফেলেন একটি লিখা। যাঁর শুরুতেই তিনি লিখেন,
দশ বছর আগে বাংলার তরুণতম কবি ছিলাম আমি। কিন্তু ‘উর্বশী ও আর্টেমিস’ বেরোবার পর থেকে সে সম্মান হলো বিষ্ণু দে-র ভোগ্য, যতদিন না সমর সেন দেখা দিলেন তাঁর ‘কয়েকটি কবিতা’ নিয়ে। স¤প্রতি এই ঈর্ষিতব্য আসন সমর সেনেরও বেদখল হয়েছে, বাংলার তরুণতম কবি এখন সুভাষ মুখোপাধ্যায়।
তাঁর কাব্য জীবনকে স্বাগতম জানিয়ে এভাবেই বুদ্ধদেব বসু আলোচনা চালিয়েছিলেন। পদাতিকের সার্থকতা নিয়ে বিশদ আলোচনা করার শুরুতেই তিনি বলেছেন,
...তাঁর সম্বন্ধে সবচেয়ে বড়ো কথা এই যে মাত্র কয়েকটি কবিতা লিখে তিনি নিঃসংশয়ে প্রমাণ করেছেন যে তিনি শক্তিমান ; যে-কোনো আদর্শেই না বিচার করি, মন দিয়ে পড়লে তাঁর কাব্যের সার্থকতা স্বীকার করতেই হয়।
এই ব্যতিক্রম কাব্য সৃষ্টিকারী কবি ১২ ফেব্রুয়ারী ১৯১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে জন্ম গ্রহণ করেন। তরুণ বয়েস থেকেই তিনি কমিউনিস্ট পার্টির সার্বক্ষণিক কর্মী। সেই দর্শন থেকেই তার কবি হয়ে ওঠা। ফ্যাসিবাদের উত্থান সেই সাথে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রাজনৈতিক সংকট যে মহনতি মানুষগুলোর উপর প্রভাব ফেলে তা তিনি অনুভব করতে পেরেছিলেন। আর বুঝতে পেরেছিলেন বলেই নতুন কিছুর প্রত্যাশায় এবং একটি নতুন পৃথিবী সৃষ্টির লক্ষ্যেই সমকালিন বাস্তবতায় চমকসৃষ্টিকারী কাব্য রচিত হয়েছে তাঁর পদাতিকে। এই গ্রন্থের অন্তর্গত একটি কবিতা হচ্ছে মে দিনের কবিতা। এ কবিতায় তিনি নতুন প্রজন্মকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। নতুন প্রজন্মকে রোমান্টিকতা পরিহার করে সমাজের বাস্তবতা দেখে যাওয়া আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কবিতাটির শুরুতেই উল্লেখ করেছেন,
প্রিয়, ফুল খেলবার দিন নয় অদ্য
ধ্বংসের মুখোমুখি আমরা,
চোখে আর স্বপ্নের নেই নীল মদ্য
কাঠফাটা রোদ সেঁকে চামড়া।
ফুল দিয়ে তিনি বিলাসবহুল জীবনকে বুঝিয়েছেন। তিনি বলতে চেয়েছেন, ফুল দিয়ে নিজের তুচ্ছ আবেগ দেখানোর সময় আর নেই। এবং সেই সাথে বিলাসী জীবনটাকে তিনি পরিহারও করতে বলেছেন। পৃথিবী যেভাবে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে বিলাসী জীবনের দিকে না ঝুঁকে বাস্তবমুখর জীবন মোকাবেলা করবার শক্তি অর্জন করতে উদ্বুদ্ধ করেছেন।
কবিতা দিয়েই তিনি রাজনীতির দর্শনগুলো তুলে ধরেছেন অন্যের কাছে। কখনই তিনি কবিতার সাথে রাজনীতিকে আলাদা করে দেখেননি। তাঁর লেখাগুলো পড়লে একটি লাভ আছে। তা হচ্ছে, তাঁর লেখায় সে সময়কার অনেক চিত্র ফুটে ওঠে। যদিও লেখক কিংবা কবিদের কাজ হচ্ছে সময়কে ধরে রাখা। রাজনীতিও কবিতার বাইরে নয় এই ধারণাটা সুভাষ মুখোপাধ্যায় প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। তাঁর লেখা “কবিতার বোঝাপড়া” শীর্ষক প্রবন্ধে বলেছেন,
‘মানুষ’ বলতেই একটা বিশেষ মানুষ আমার মনের মাঝখানে ভেসে ওঠে....যখন কবিতা লেখা হয়, নিরাকার নির্গুন মানুষে কাজ হয় না। কবিতার জন্য চাই গুণধর মানুষ। সে মানুষ এমন হবে যাকে ধরা-ছোঁয়া যাবে....আমি যেমন পাঁচ ইন্দ্রিয় দিয়ে প্রত্যক্ষভাবে দেখি, তেমনি অন্যের পাঁচ ইন্দ্রিয়কে প্রত্যক্ষভাবেই দেখাতে চাই। কবিতার জগতে সব কিছুরই হয় গড়ন নয় স্বাদ, হয় রং নয় গন্ধ, আছে- সব কিছুরই ধরা-ছোঁয়া যায় বলেই পৃথিবী শুধু পৃথিবী নয়, পৃথিবী ধরণী। ... জীবনের ডালে কবি নাড়া বাঁধে।
(চতুরঙ্গ, মাঘ ১৩৬৩, ৩৪৭ পৃষ্ঠা)
সুতরাং পৃথিবীর কোনো ঘটনাই কবিতার বাইরে নয়। আর কবিতাও পৃথিবীর বাইরে নয়। তাই কবিতায় পৃথিবীর কথা থাকতে হবে। আর পৃথিবীর কথা বলতে গেলেই বলতে হবে রাজনীতির কথা। বলতে হবে বুর্জুয়াদের অন্যায় শাসনের কথা। বলতে হবে খেটে খাওয়া মানুষের কথা। পৃথিবীর হানাহানিতে মানুষ দিশেহারা হয়ে ঘুরে ফেরে। সেই মানুষগুলোকে দেখাতে হবে স্বপ্ন। উদ্দিপ্ত করতে হবে নতুন পৃৃথিবীতে সৃষ্টির। নতুন কিছু করার স্বপ্ন দেখাতে হবে। আর তা খুব ভালো ভাবেই করে গেছেন কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়। তাই তিনি রাজনীতিও ছাড়েননি ও কবিতাও ছাড়েননি।
শুরু থেকেই আমি কবির পদাতিক কাব্যগ্রন্থ নিয়ে কথা বলছি। ঘটনাটি হয়তো অনেকের বিরক্তির উদ্রেক ঘটাতে পারে। তবে সত্যি কথা বলতে, পদাতিক বাংলা কবিতাকে নিয়ে গেছে অনেক দূর। পদাতিকের সফলতার পথ ধরে সে সময়কার বহু কবি এর পরপরই লিখতে শুরু করেছিলেন রাজনৈতিক কবিতা। সুতরাং সুভাষ বাংলা কবিতাকে দিয়ে গেছেন বৈপ্লবীক রূপ।
কবিতার পাশাপাশি সুভাষ রচিত বহু ছড়াও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এখানে মজার বিষয়টি হচ্ছে, সুভাষ মুখোপাধ্যায় ছড়া লেখা শুরু করেন যখন তাঁর বয়স ষাট পার হয়েছে। ভাবতেই অবাক লাগে। যে কবি এতো অল্প বয়সে রাজনৈতিক কবিতা লিখে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন সেই কবি ছড়া লিখতে বসলেন জীবনের শেষ প্রান্তে। কবির বিভিন্ন জায়গায় ছড়ানো ছিটানো ছড়গুলো নিয়ে যখন বই বের করবার সিদ্ধান্ত হলো তখন ১৯৬৯ সাল। সেই উদ্যোগের সফলতা আসে ১৯৮০ সালে। সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের প্রথম ছড়ার বই “মিউ-এর জন্য ছড়ানো ছিটানো”। পদাতিক যেমন আলোড়ন সৃষ্টি করলো ঠিক সেভাবেই মিউ এর জন্য ছড়ানো ছিটানোও ছড়া জগতে উন্মোচন করলো আরেকটি নতুন দিগন্ত। ছন্দের এক আশ্চর্যের খেলা দেখলো পাঠকরা। এর পর টানা বের হলো আরও তিনটি ছড়ার বই। যার মধ্যে একটি হচ্ছে, যুক্তাক্ষর বর্জিত। তবে ছড়াতেও তিনি বিদ্রোহভাব বর্জন করতে পারেননি। যেমন, তাঁর পারুলের বোন ছড়াটি পড়লেই বোঝা যায়।
অন্ধকার পিছিয়ে যায়
দেয়াল ভাঙে বাধার
সাতটি ভাই পাহারা দেয়
পারুল, বোন আমার-
দেখি তো কে তোমায় পায়
বেড়ি পরায় আবার?
শুয়ে শুয়ে দিন গুনছে
পারুল বোন আমার।
সোনার ধানের সিংহাসনে
কবে বসবে রাখাল
কবে সুখের বান ডাকবে
কবে হবে সকাল!
অসাধারণ এই ছড়াটির কিছু অংশ তুলে ধরলাম কবির বিদ্রোহ কিংবা বুর্জুয়াদের শাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার কন্ঠটিকে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্যই। তাঁর ছড়া সম্পর্কে আরও কিছু উল্লেখ করা জরুরী বলে মনে করি। তবে তা আমার মতো তুচ্ছ ব্যক্তির মতামত দিয়ে নয়। তার ছড়া নিয়ে অধুনালুপ্ত মাসিক পত্রিকা সারস্বত প্রকাশ- এর (সম্পাদক: অমরেন্দ্র চক্রবর্তী ও দিলীপকুমার গুপ্ত) প্রথমবর্ষের সপ্তম সংখ্যায় ‘সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের কবিতা’ শীর্ষক রচনায় সেই ১৯৬৮ সালেই হিমানী বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছিলেন,
তাঁর দুই যুগের রচনাতেই আরেকটি প্রকরণের অনায়াস ও ব্যক্তিমন্ডিত নৈপুণ্য আমাদের মুগ্ধ করে - সেটি ছড়া। লৌকিক ছাড়ার চালে প্রয়োজিত তাঁর আপাত হালকা রাজনৈতিক ছড়াগুলি- কিন্তু অনুভূতির তীব্রতা, বিশ্বাসের গভীরতা, প্রচন্ড ও অন্তরঙ্গ উত্তাপ এই আপাত ছেলেমানুষি ছড়াগুলোকে বয়স্ক পাঠকেরও মনোমুগ্ধকর করে তোলে। অন্নদাশঙ্করের রাজনৈতিক ছড়ার চেয়েও সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ছড়ার লক্ষ্যভেদের ক্ষমতা অনেক বেশি। আর ছড়ার ভঙ্গিটি যুগপৎ লৌকিক ও শিক্ষিত, বিদগ্ধ ও অনুভূতিময়, কৌতুকে ভরা- পরিচ্ছন্ন, অনায়াস ও সংযত।
সকলের কাছে এভাবেই গৃহিত হয়েছেন সুভাষ বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা কাব্য জগতে তিনি যে এক প্রবাদ পুরুষ তা নিশ্চয় এখন আর কারও বোধের বাহিরে নয়। তিনি যে বাংলা কাব্যকে সেই চল্লিশ শতকেও শাসন করতে সক্ষম হয়েছেন তাও নিশ্চয় এখন প্রমাণিত।
সুভাষ মুখোপাধ্যায় নিজের পান্ডুলীপি সংরক্ষণে অনেক অসচেতন ছিলেন। তার বিভিন্ন ছিন্ন পত্রে কিংবা ভক্তদের দেয়া বিভিন্ন বইগুলোতে সাক্ষর দেয়ার সময় তিনি ছড়া জুড়ে দিতেন। সেইগুলোকে নানা ভাবে একত্র করবার এক ক্ষুদ্র চেষ্টা করছিলেন তাঁর অনুরাগীরা। তিনিও তালিকা নির্মাণে সহযোগিতা করেন। কিন্তু ধীরে ধীরে তার স্বাস্থেরও অবনতি হতে থাকে। এক পর্যায়ে তালিকাও প্রস্তুত। কবি তখন উৎসর্গ পত্রটি লিখলেন এবং বললেন, এ বইয়ের জন্য একটা ভূমিকা থাকা জরুরী, লিখে রাখব কাল সকালে, খুব ছোট করে।
ভূমিকাটি তাঁর আর লেখা হলো না। পরদিন সকালেই তিনি অসুস্থ হয়ে গেলেন। নিয়ে যাওয়া হলো হাসপাতালে। আর তাঁর ফেরা হয়নি। ৮ জুলাই (২০০৩) ভোরে তার জীবন অবসান হয়। সেই সাথে অবসান হয় এক কিংবদন্তির পথ চলা। সুভাষ মুখোপাধ্যায় জীবনে বহু সংগ্রাম করেছেন। কমিউনিসম রাজনীতি করার জন্য তাকে কারাভোগও করতে হয়। ১৯৪৮ সালে কমিউনিস্ট পার্টি নিষিদ্ধ হলে আড়াই বছর তাকে কারাবাস করতে হয়। জীবনের অধিকাংশ সময় তিনি লেগে ছিলেন লেখালেখির জগতের সাথে এবং রাজনীতির সাথে। শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে সচেষ্ট কবি সুভাষ ১৯৫২ সালে চটকল শ্রমিকদের সংগঠিত করবার এক চেষ্টা করতে শুরু করেন। শক্তিশালী কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় শুধু কবিতা কিংবা ছড়া নয়; গদ্য রচনাতেও গৌরব অর্জন করেছিলেন। তাঁর কর্মকৃতি স্বরুপ সাহিত্য আকাদেমি পুরষ্কার (১৯৬৪), আফ্রো-এশীয় লোটাস পুরস্কার (১৯৭৭), আনন্দ পুরস্কার (১৯৯১) সহ আর বহু সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।
২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:৪৭
শেরিফ আল সায়ার বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:৩৭
প্রণব আচার্য্য বলেছেন: ++
২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:৪৮
শেরিফ আল সায়ার বলেছেন: ধন্যবাদ প্রণবদা।
কেমন আছেন?
৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:৪১
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এই কবির কিছু পিডিএফ দরকার। আমাদের হলের লাইব্রেরীতে ওর কিছু কবিতা পড়েছিলাম, যেগুলো মারবো মারবো করে মারা হয়নি। তবে এটা ঠিক, জীবনের বিপ্লবী চেতনা অথবা গোড়া ভাবমূর্তিগুলো নিয়ে লিখে যাওয়াটাই মনে হয় ওনার ব্রত ছিলো!
২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:৫২
শেরিফ আল সায়ার বলেছেন: ওনার কোন পিডিএফ আমার কাছে নেই। তবে বই আছে।
বই মারার চিন্তা বাদ দিয়ে আজিজ থেকে কিনে পড়েন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:৪৩
ভুরিদত্ত বলেছেন: সুভাষচাচ্চুর বাবুই পাখির বাসার ন্যায় চুলের স্টাইলটি পুরাই লা-জবাব ছিল।
২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:১৫
শেরিফ আল সায়ার বলেছেন:
৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:৫০
প্রণব আচার্য্য বলেছেন: এইতো আছি। আপনি কেমন?
২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:১৭
শেরিফ আল সায়ার বলেছেন: আমি ভালোই আছি প্রণবদা।
৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:৫৪
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আজি থিকা কিনতে গেলে তো যাওন আসনের টিকিট বাবদ যেই টাকা যাইবো এইটা দিয়া মনে হয় আমার ৬ মাসের পেটের খাওন হইয়া যাইবো!
থাক ভাই, পড়নের খায়েষ বাদ!
২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:৩৪
শেরিফ আল সায়ার বলেছেন: হা হা হা।
দেশের বাইরে থাকেন। আগে কইবেন তো!
৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:০৪
মাত্রা আন্ধা বলেছেন: ভাই অনেক কষ্ট করেছেন।
২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:৪৩
শেরিফ আল সায়ার বলেছেন: আপনি পড়েছে তো?
৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:২৬
মহাকালর্ষি বলেছেন: দুঃখিত! কিচ্ছু করার নেই...প্রিয়তে রাখতে হচ্ছে।
ধন্যবাদ।
২১ শে অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫১
শেরিফ আল সায়ার বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।
৯| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:১৬
মাত্রা আন্ধা বলেছেন: প'ড়েই মন্তব্য করেছি।
২১ শে অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫২
শেরিফ আল সায়ার বলেছেন:
১০| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:১৪
নির্ঝর নৈঃশব্দ্য বলেছেন:
এই অঞ্চলে সুভাষই একমাত্র কবি যিনি প্রেমের কবিতা দিয়ে কবিতা লেখা শুরু করনে নি।
---------------------------------------------------------------------------------
সমর সেন এবং বীরেন কে নিয়েও লিখতে পারেন
পোস্টে ++
২১ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৮:০০
শেরিফ আল সায়ার বলেছেন: জ্বি চেষ্টা করবো।
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:২০
লাল সাগর বলেছেন: অনেক ইনফরমেশ্ন জানতে পারলাম।
আরো পরুন