নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন একটি মুখোশ

শেরিফ আল সায়ার

মানুষ। বড় আজব এই মানুষ। মানুষ নাকি ফানুষ তাও এখন আর বোঝার ক্ষমতা আমি রাখি না। সব ক্ষমতা হারিয়ে গেছে। হারিয়ে দিন যাচ্ছে নির্জনে। নির্জনে থাকি নিজের সাথে। ধীরে ধীরে নির্জনতা প্রিয় মানুষে রুপান্তরিত হচ্ছি। হয়তো হয়েও গেছি। ইদানিং চলাফেরা করতেও ভয় হয়। চারিপাশে মানুষ দেখি না। দেখি শুধু মুখোশ। মুখোশে-মুখোশে ছেয়ে গেছে গোটা পৃথিবী। নিজের বিভৎস চেহারা সামনে একটি মসৃন আবরন। সেটাই মুখোশ। নিজেকে লুকিয়ে রেখে ভালো মানুষি মুখোশটাকে ইদানিং দেখা যায় বেশী। স্বার্থ এমনই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। স্বার্থ ফুরালেই সব শেষ। মুখোশটা ঠিক তখনই উন্মোচন হয়। বিভৎস সেই চেহারা দেখে বমি চলে আসে। থুথু ছিটিয়ে প্রতিবাদ করতেও উদ্ধত হই। কিন্তু তাও পারি না। এত কাছের মানুষকে তাও করা সম্ভব হয় না। তাইতো নির্জনে চলে গেছি। একদম নির্জনে। হাজার অবিশ্বাস নিয়ে এখন আমিও মুখোশধারীদের মতো হয়ে গেছি। মুখোশটাই হয়ে গেছে জীবনের মূলমন্ত্র। কারণ, জীবন একটি মুখোশ।

শেরিফ আল সায়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প: মকলেস

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৯

সেদিন যেই ছেলেটার লাশ কলোনির বস্তির ড্রেনের পাশে উপুড় হয়ে পড়ে ছিল, তার নাম মকলেস। ওই ড্রেনের আশেপাশে এলাকার কেউই আগে সেখানে যেতো না। সেদিন ড্রেনের পাশে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকা মকলেসকে নাকে রুমাল দিয়ে দেখতে মানুষের ভিড়ের কমতি নেই। বস্তির ড্রেনের দুর্গন্ধ সেদিন মানুষ মরার গন্ধে রূপ নিয়েছিল। উপুড় হয়ে পড়ে থাকে মকলেস। সোজা হওয়ার কী দরকার?

তবু মানুষ এই উপুড় হয়ে পড়ে থাকা মানুষের গন্ধ নিতে গেলো।

সবাই বুঝতে পারে মকলেসের পিঠের মাঝ বরাবর একটা ফুটো। সেখান থেকে রক্ত গড়াচ্ছে। মানুষ বুঝে না আসলে পেছন থেকেই গুলিটা হয়েছে নাকি বুক বরাবর গুলিটা পিঠ দিয়ে বের হয়ে গেছে। শুধু বোঝে মকলেস আসলে নেই।

মকলেস তো এমন ড্রেনের পাশে পড়ে থাকা কোনও লাশ হতে চায়নি। হতে চেয়েছিল উকিল। তবে ঠিক কবে যেন সে উকিল হতে চেয়েছিল? মনে পড়ে না। যদ্দুর মনে পড়ে—মকলেসদের বস্তির পাশেই এক উকিলের বাসা ছিল। গাড়ি দিয়ে প্রত্যেকদিন বের হতো, আর ঢুকতো। মকলেস ওতটুকুই দেখতে পেতো।

উকিলকেও মকলেস ঠিক মতো কখনো দেখেনি। শুধু সবাই বলতো, ওইটা উকিলের বাড়ি কিংবা গাড়ি বের হলে লোকে বলতো, ওই যে উকিল বাইর হইছে। ব্যস! এটুকুই তার দেখা।

তখন হয়তো কোনো একদিন তার মনে হয়েছিল, সেও একদিন উকিল হবে, আর তারও এমন একটা গাড়ি হবে। যে গাড়িতে এভাবেই মকলেস ফিটফাট হয়ে বের হয়ে যাবে আর আসবে।

আসলে উকিলের কী কাজ, তা মকলেস ঢের জানে। ওই যে কামালের দোকানে যে টিভিটা চলে, সেই টিভিতে বাংলা সিনেমায় নায়ক আলমগীরকে সে উকিল হতে দেখেছে বহুবার। সেই উকিল যে নানান কায়দায় নায়ককে আসামি থেকে নিরাপরাধ প্রমাণ করে–তাই দেখে তার উকিল হওয়ার বাসনা মনে জন্মায়।

কিন্তু আসলে মকলেস ওসব হয় না। মকলেস হয়ে পড়ে এক গাড়ির গ্যারেজের সাধারণ কর্মচারী। সারাদিন পরিশ্রম করে মকলেস আসলে বাড়ি যায় না। গ্যারেজেই থাকে। ওই গ্যারেজই তার ঘর। আর নষ্ট গাড়িগুলাই তার পরিবার। মাঝে মাঝে যখন মকলেসের খুব একা একা লাগে, তখন সে কথা বলে নষ্ট হয়ে পড়ে থাকা গাড়িগুলার সঙ্গে।

কখনো কখনো একেকটি গাড়ির সামনে গিয়ে বলে, কীরে তুই দুই দিন পরপর আমার কাছে আহস ক্যান? ড্রাইভারের দুষ না মালিকের দুষ? তোরে তো ঠিহই কইরা দেই। তাও আইয়া পরস, কহনও ডায়নামা যায়গা, কহনও ব্রেকপ্যাড ক্ষইয়া যায়, কহনও চাক্কার হপস যায়গা। পাইছস কী?

এসব প্রশ্ন করে মকলেস নিজে নিজে মাটিতে পাটি বিছিয়ে শোয়ার বন্দোবস্ত করে। মাঝে মাঝে নীরবে কাঁদে। এই দুনিয়ায় মকলেসের আসলে কে আছে, তাও সে জানে না। তার মাঝে মাঝে মনে পড়ে কলোনির বস্তির কোনো ঘরে সে ছোটবেলায় ছিল। সেখানে পাশের ঘরের আজিজ চাচা মাঝে মাঝে তারে ডেকে নিয়ে একটা চকলেট দিতো। কোলে বসাতো। মাঝে মাঝে আজিজ চাচা মকলেসের প্যান্টের ভেতর হাত ঢুকাতো। মকলেস বুঝতো না চাচা ওইখানে হাত দেয় কেন?

এই প্রশ্ন সে ভাবছিল একবার কাউকে করবে। কিন্তু কাউকেই সে খুঁজে পেতো বলে মকলেসের মনে পড়ে না। এক ভদ্রলোকের চেহারা তার আবছা আবছা মনে পড়ে। যারে হয়তো সে বাপ ডাকতো কিংবা সেও তারে বাপ ডাকতো।

সকালে ঘুম থেকে উঠে বস্তিময় ঘুরে বেড়াতো মকলেস। রাতে ঘরে ফিরলে ওই ভদ্রলোক খালিগায়ে লুঙ্গি পরে বসে থাকতো। ঘরে এলে মকলেস দেখতো, তার জন্য প্লেটে ভাত আর আলু ভর্তা নিয়ে বসা সে লোক।

মোকলেস খাইতো। তারপর ঘুমিয়ে যেতো। একবার আজিজ চাচার বউ সুফিয়া চাচি বলছিল, ওই লোক আসলেই মকলেসের বাপ ছিল।

মকলেস চাচিরে জিজ্ঞেস করতো, বাপ তাহলে এহন কই?

চাচি তখন বলতো–পুলিশ নাকি কোনদিন গুলি কইরা মাইরা ফেলছে।

কেন মাইরা ফেলছে—এই প্রশ্নের উত্তর সুফিয়া চাচি দেয়নি কখনো। তবে মকলেস ওই বস্তিতেই বড় হয়েছে। ওই বস্তির ভেতর সব ঘরেই মকলেস ঢুকতে পারতো কমপক্ষে ১০-১২ বছর বয়স পর্যন্ত। কারও ঘরের সামনে গেলে কেউ ভাত দিতো কিংবা রুটি দিতো। মকলেস খাইতো। তারপর সারাদিন বস্তির অন্যান্য পোলাপানের সঙ্গে বল খেলতো কিংবা সাতচারা খেলতো, কিংবা কিছুই খেলতো না। বস্তির কোনও একপাশে উপুড় হয়ে শুয়ে শুয়ে ঘুমাতো।

এভাবেই মকলেস বড় হয়েছে বস্তির ঘরে ঘরে। তবে আজিজ চাচার প্যান্টের ভেতর হাত দেওয়ার অভ্যাস দীর্ঘদিন ছিল।

একদিন আজিজ চাচা কেন প্যান্টের ভেতর হাত ঢোকায় এই প্রশ্ন সুফিয়া চাচিরে করে বসলো। সেই এক প্রশ্নেই সুফিয়া চাচি মকলেসরে দূরে সরাইয়া দিলো।

মকলেসকে দেখলেই সুফিয়া চাচি গালি দিয়া উঠতো। বলতো, খানকি মাগীর পোলা আমার ঘরের সামনে আবি না।

তবে মকলেস একদিন ঠিকই জানতে পারলো। তাও বললো, বস্তির আরেক চাচি আকলিমা। আকলিমা চাচি অন্যের ঘরে কাজ করতো। তার স্বামী তারে বহু আগে বস্তিতে একা রাইখা চলে গেছে।

একদিন রাতে আকলিমা চাচি মকলেসকে আদর করে ঘরে ডাকলো। বললো, খিদা লাগছে?

মকলেস বলল, জি চাচি।

আকলিমা মকলেসকে ভাত খাওয়ালো। তারপর জিজ্ঞেস করলো, সুফিয়া তোরে গাইলায় ক্যা?

তখনই মকলেস তারে বলে, চাচায় খালি আমার প্যান্টের ভেতর হাতায়। চাচিরে জিগাইছিলাম, এমুন হাতায় ক্যা? আমার ব্যথা লাগে।

আকলিমা মুচকি হাসি দেয়। সেই রাতে কোন কু-ক্ষণে মকলেস ঘুমায় আকলিমার ঘরে। আকলিমা একা। মকলেস ঘুমের মধ্যে বুঝতে পারে, আকলিমাও আজিজ চাচার মতো হাতাহাতি শুরু করছে। মকলেস উঠে দাঁড়ায়। তখনই আকলিমা তারে বুঝিয়ে বলে– ঘটনা আসলে কী।

মোকলেসের ঘিন ঘিন লাগে। সে দৌড়ায় চইলা আসে। এরপর থেকে মকলেসের কাছে প্রত্যাখ্যাত হওয়া আকলিমাও তারে দেখলেই গালি দেয়—খানকির পোলা বইলা।

মকলেসের নামে বস্তিতে ছড়াইলো–সে নষ্ট হইয়া গেছে। ব্যাডা-ব্যাডি পাইলেই সে নাকি ঘষাঘষি করে। তার অভ্যাস খারাপ।

বস্তির মালিক এলাকার প্রভাবশালী নেতা। সে এলো।

মকলেস সেদিন জানলো, তার বাপের নাম নুরু। নুরু কাজ করতো বস্তির মালিক শমসেরের আন্ডারে। নুরু মইরা যাওয়ার পর সে নাকি সবাইরে বলছে, নুরুর পোলা এই বস্তিতেই থাকবো। তোমরা সবাই তারে খাওয়াবা পিন্দাবা। বড় হইলে আমি ব্যবস্থা কইরা দিমু।

মকলেস তখন বুঝতে পারলো—গরিব এই বস্তির লোকজন এতকাল তারে কেন খাওয়ালো পিন্দালো।

শমসের একদিন এলো। মকলেসকে বললো, তোর বাপ তো ভালো ছিল, তুই এমন চুতমারানি কেন হইলি?

মকলেস বোঝে না, তার অপরাধ আসলে কোন জায়গায়। কিংবা তার অপরাধটাই বা কী? সে চুপ করে থাকে।

শমসের সেদিন মকলেসকে বলে দিলো। এই বস্তিতে আর থাকিস না। আমার একটা গাড়ির গ্যারেজ আছে। ওইহানে কাম করবি। খাবি-দাবি। কাম শিখবি। কাম শিখলে বেতন পাবি। যতদিন শিখবি ততদিন শুধু খাওন পাবি, আর থাকবার পারবি। বেতন পাবি না। তুই রাজি?

মকলেস মাথা নাড়ায়।

ওই তখন থেকেই মকলেস এই গ্যারেজে। এই গ্যারেজে যখন সে এসেছিল, তখন তার বয়স ছিল ১২। এখন তার বয়স ২৩।

শমসের এখনও কয়, কীরে মকলেস তাড়াতাড়ি কাম শিখ। বেতন নিতে হইবো না?

অথচ মকলেসই গ্যারেজের সবচেয়ে পাক্কা হাত। যত বড় বড় নামি-দামি লোকের গাড়ি আসে সবাই মকলেসের পাক্বা হাতের জন্যই আসে। আইসাই বলে যায়, মকলেসই যেন গাড়ি দেখে।

মকলেস গাড়িতে হাত দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বোঝে যায়, সমস্যা কোথায়। তবু মকলেস কোনও বেতন পায় না। আসলে কাম শিখা কারে কয়, মকলেস বুঝে উঠতে পারে না।

এই গ্যারেজ ছাড়ার অফার মকলেস বহু পাইছে। এক গাড়ির মালিক মকলেসরে অফার দিছে ড্রাইভারগিরি করার। তারে আইসা বলছে, থাকা-খাওয়ার খরচসহ বেতন দেবো ১০ হাজার টাকা। চল মকলেস। এইখানে আর কতদিন? গাড়ি চালাবি আর আমার গাড়ির দেখভাল করবি। আইসা পর।

মকলেস রাজি হয়নি।

শমসের বিপদের সময় মকলেসকে এখানে চাকরি দিয়েছে। প্রায় দশ বছর মকলেসকে কখনো একটা বাজে কথা বলেনি শমসের।

সে প্রতিদিন রাতে আসে। এখানে মদ খায়। অনেক লোকজন আসে। মকলেস জানে গ্যারেজের আড়ালে এখানে বহু আকাম-কুকাম হয়। এসব নিয়া সে ভাবে না। সে ভাবে একদিন শমসের ঠিকই খুশি হবে। সেদিন থেকে তার বেতন শুরু হবে। বেতন শুরু হলে এই গ্যারেজে সে আর থাকবে না। অন্য কোথাও বাসা নেবে। একটা বিয়া করবে। তার বিয়া করার অনেক শখ ধীরে ধীরে তৈরি হচ্ছিল মনে।

কিন্তু যখনই এসব ভাবে মকলেসের হৃদয়ে একটা হাহাকার তৈরি হয়। এই গ্যারেজের পাশে এক চা দোকানদার আছে। তার নাম রমেন চাকলাদার। বয়স হবে ষাটের ওপর।

সে মকলেসকে বলেছে, তোর বাপ নুরুও এই গ্যারেজে কাজ করতো। পাক্বা ভালো লোক। একদম তোর মতো।

মকলেস এই গ্যারেজরেই এরপর থেকে তার বাপ মনে করে। এই গ্যারেজেই তার বাপরে সে সন্ধান করে। মাঝে মাঝে গভীর রাতে মকলেস হাওয়ার সঙ্গে কথা কয়। এই যেমন বলে, ওই আব্বা, আমনে কই? কই থুইয়া চইলা গেলেন আপনার পোলারে। দেখছেন?

মকলেস বিশ্বাস করে, এই গ্যারেজে তার বাপে নিশ্বাস নিতো। সেই নিশ্বাস এখনো এই গ্যারেজের বাতাসে ঘোরাঘুরি করে। সে ভাবে এই গ্যারেজের কোনায় কোনায় তার বাপ নুরুর স্মৃতির ছাপ আছে।

মকলেস সেই ছাপ খুঁজে বেড়ায়, তা প্রায় ১০ বছর তো হয়ে গেছে।

মকলেসের মাঝে মাঝে মায়ের কথা মনে পড়ে। মায়ের কোনো স্মৃতি মকলেস জানে না। মনেও পড়ে না। মা আসলে কেমন তা সে বুঝে উঠতে পারে না। সুফিয়া চাচি কিংবা আকলিমা চাচিদের মতো কি মা হয়? মকলেসের বিশ্বাস হয় না।

মকলেস আসলে ভালোবাসা-মায়া-মমতা কী, তা বুঝে উঠতেও পারে না। তাই মা নিয়ে মকলেসের কোনও আগ্রহই তেমন টেকসই হয় না। সে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।

তবে মকলেস আসলে বাবাকেই বেশি খুঁজে বেড়ায়। মকলেস একদিন রমেনকে জিজ্ঞেস করলো, আব্বা এখানে কী কাজ করতো?

রমেন যা বলেছিল, তা শুনে মকলেস ঘুমাতে পারেনি বহুদিন। কী আশ্চর্য! এর পর থেকে আজিজ চাচা ও চাচি কিংবা আকলিমা চাচির সঙ্গেও শমসেরের মিল খুঁজে পায় মকলেস, আর এই দুনিয়াটারে মনে হয় গ্যারেজের মতোই মরা। কত জনের কত রূপ অথচ কত মিল তাদের–এই ভেবে কুল পায় না মকলেস।

এই যে শমসের রাতে মদ খায়। আকাম-কুকাম করে। এই আকাম-কুকামের বহু প্রমাণ আসলে ছিল মকলেসের বাপের কাছে–এখন যেমন আছে মকলেসের কাছে। সেই সব অকথা-কুকথা শুনেও বা সবাই করবে কী?

এই শহরে বহুবার বহু মানুষ গুম হয়েছে। বহুবার বহুমানুষ গুম হয়ে ফিরেছেও। বহুবার বহুমানুষ ক্রসফায়ারে পড়ে মরে গেছে। কে আর রেখেছে কার খবর? ওই সকালে পত্রিকার পাতায় কিংবা রাতে বেডরুমে শুয়ে টিভির সংবাদে আপনারা যখন নুরুর গল্প পড়েছিলেন কিংবা দেখেছেন, কোনো এককালে, ঠিক তেমনই আসলে মকলেসেরও গল্পও অমন।

সেই একই চেনাজানা পান্তাভাত টাইপ গল্প। ওই যে গ্যারেজের ব্যবসার আড়ালে যত ইয়াবা চালান আসতো, তা লুকিয়ে ব্যবসা চলতো। কিংবা তারও আগে ছিল ফেনসিডিল, তারও আগে গাঁজা।

গাঁজা থেকে শুরু করে ইয়াবার রমরমা ব্যবসায় ব্যাপক প্রভাবশালী শমসেরের কি বালটা ছিঁড়ছে কেউ? অথচ নুরু কিংবা মকলেসরা নর্দমায় পড়ে থাকে মাদকব্যবসায়ীর তকমা নিয়ে!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: চমৎকার

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫২

শেরিফ আল সায়ার বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে- আমার নিজেকেই মকলেস বলে মনে হয়।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৩

শেরিফ আল সায়ার বলেছেন: এই শহরে সকলেই তো মকলেস

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.