![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তনুর মনে হচ্ছে ঘড়ির পেন্ডুলামটা খুব অস্থির ভাবে এদিক ওদিক করছে, সময়টা বুঝি খুব দ্রুত এগুচ্ছে। কালকে সে অন্য একটা মানুষের সাথে নতুন জীবন শুরু করতে যাচ্ছে। এই মানুষটাকে তনু এখনও বুঝে উঠতে পারেনি। মাত্র দুমাস হোল তাদের পরিচয়, হঠাৎ করেই বিয়ে ঠিক হয়ে গেলো। বাবার ইচ্ছাতেই বিয়েতে রাজি হতে হলো, এই সময় মনে হলো আসলেই কি বাবার ইচ্ছাতেই বিয়েতে সে রাজি হয়েছে, তার কি কোন ইচ্ছাই ছিলনা। তার এগুলো ভাবতে ভালো লাগেনা, তবুও কেন যেন ভাবনা গুলো চলে আসে। তনু তার দুমাস আগে ফেলে আসা অতীত টাকে একদম ভুলে যেতে চায়, জানে না কিভাবে ভুলবে সে, কিন্তু ভুলতে হবে তাকে।
চোখ বন্ধ করতেই লাবিবের কথা মনে পরে গেলো তনুর। এইতো কিছুদিন আগেও সকালে লাবিবের ফোন পেয়ে ঘুম থেকে উঠা, ওর সাথে কথা বলে ঘুমোতে যাওয়া। সবই এখন অতীত হয়ে গেছে। এখন তার বর্তমান ভবিষ্যৎ শুধুই তমাল
তনু যখন লাবিবের সাথে সম্পর্কটা ভেঙ্গে দিলো, তখন মনে হচ্ছিলো লাবিব ব্যাপার টা এতো সহজে হতে দিবে না। কিন্তু খুব আশ্চর্য লাবিব দু-একবার অনুনয় ছাড়া তনুকে কিছুই বলেনি। এই তো কিছুদিন আগে ফোনে লাবিবের সাথে কথা হলো, ওর কথা সুনে মনে হলো ও খুব ভালো আছে। কিন্তু ওকে তো আমি দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে চিনি, ওর ভালো থাকা কণ্ঠের আড়ালে দীর্ঘ অনুযোগ “পারলে তুমি এটা করতে”।
তনুর খুব বলতে ইচ্ছে করছিলো হ্যাঁ আমি পেরেছি খুব ভালো করেই পেরেছি, কারন জীবনে বেচে থাকতে হলে স্বার্থপর হতেই হয় লাবিব। তুমি হয়তো কোনদিন ও বুঝবে না, টাকার নিরাপত্তার কাছে ভালোবাসা গুলো সবসময়ই অসহায়।
এগুলো ভাবতে ভাবতে তনুর চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পরতে লাগলো। তারিখ টা নয়, জুলাই মাস, আষাঢ়ের বৃষ্টিও নামলো খুব জোরে।
©somewhere in net ltd.