![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রগচটা মানে তিরিক্ষি মেজাজের। শর্ট টেম্পার্ড। রগচটা মানুষের মাথাটা সব সময় গরম থাকে, কারণে-অকারণে সে রেগে যায়। তার কারণে রাগাটা হয় যুক্তির অনুপাতে বহুগুণ, অকারণে রাগাটা অর্থহীন। এ ধরনের মানুষকে অন্যরা এড়িয়ে চলে, অথবা অনেক কষ্টে সহ্য করে, কিন্তু পছন্দ করে না। পরিবারের কর্তা রগচটা হলে তাকে এড়িয়ে থাকাটা কঠিন—তার স্ত্রী হয়তো তাকে নীরবে—অথবা সরবে—সহ্য করে, কিন্তু ছেলেমেয়েরা সুযোগ পেলেই পালিয়ে যায়। গুরুত্বপূর্ণ কেউ রগচটা হলে অধঃস্তনদের জন্য জীবনটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। মান-সম্মান নিয়ে জীবিকা নির্বাহ অথবা বেঁচে থাকাটা তখন একটা কষ্টের অভিজ্ঞতা হয়ে দেখা দেয়।
রগচটা মানুষ থেকে বাঁচা সম্ভব হলেও রগচটা প্রতিষ্ঠান অথবা পদ্ধতি থেকে বাঁচাটা সহজ নয়। যেমন, আমাদের রগচটা রাজনীতি। গণতান্ত্রিক সমাজে রাজনীতির বিকল্প নেই, কিন্তু সেই রাজনীতি রগচটা হলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাটাই বিকল হতে বসে। এক রগচটা পরিবার-কর্তার জন্য তার পরিবারটাই যেমন একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে থাকে সব সময়, রগচটা রাজনীতির জন্য একটা দেশের সবকিছু হয়ে দাঁড়ায় অস্বাভাবিক। এই রাজনীতি নেতা-নেত্রীদের অসহিষ্ণু করে দেয়, তাদের যুক্তিহীন এবং একগুঁয়ে করে, ক্যাডার-কর্মীদের সহিংস ও মারমুখি করে তোলে এবং স্বাভাবিক সব কার্যক্রমে রুক্ষতার ও সহিংসতার একটা মাত্রা দেয়। রগচটা রাজনীতি নেতা-কর্মীদের স্বাভাবিক সৌজন্যবোধ ভুলিয়ে দেয়, তাদের কথাবার্তায় শ্লীল-অশ্লীলের বিভাজন ঘুচিয়ে দেয় এবং বৈঠকি বা ঘরোয়া পরিবেশেও তাদের কথাবার্তাকে আক্রমণাত্মক করে তোলে। আমার এক মনোবিদ্যা-বিশেষজ্ঞ বন্ধু বলে, রগচটা মানুষ আসলে অনেক সময় একটা প্যারানইয়া বা শঙ্কায় ভোগে এবং মেজাজটা তিরিক্ষি থেকে তিরিক্ষিতর করে তোলাটা তার সেই শঙ্কা-ব্যবস্থাপনার একটা উপায় হিসেবে সে দেখে। আমার বন্ধু যে শঙ্কা-ব্যবস্থাপনার কথাটা বলল—ফিয়ার ম্যানেজমেন্ট—এটি পশ্চিম থেকে নেওয়া। পশ্চিম যুক্তিবাদী বলে আমাদের ধারণা, সে জন্য ব্যবস্থাপনা দিয়ে শঙ্কা অথবা রাগ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় সেখানে খোঁজা হয়। আমরা আবেগপ্রবণ বলে যুক্তির পরিবর্তে অযুক্তি অথবা আবেগ দিয়ে শঙ্কা অথবা রাগ মোকাবিলা করি। ফলে রাগটা বাড়ে, শঙ্কাও বাড়ে।
রগচটা রাজনীতিরও একটা প্যারানইয়া বা অনিরাময়যোগ্য ভয় থাকে এবং তা হলো ক্ষমতায় থাকা-না থাকার ভয়। আমাদের দেশে ক্ষমতা কখনো দেশসেবার সুযোগ নয়। জনগণের খেদমতের মাধ্যম নয়, ক্ষমতা হচ্ছে সম্পদে-গুরুত্বে-কর্তৃত্বে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠার এক বিরল সৌভাগ্য। ক্ষমতা যত বেশি, আত্মসেবার সুযোগ তত বেশি এবং ক্ষমতার বাইরে থাকার অর্থ, একইভাবে, হচ্ছে, অর্থবিত্ত এবং প্রভাব-প্রতিপত্তি হারানো। ক্ষমতার বাইরের মানুষের প্রভাব-প্রতিপত্তি খুব যে কমে, তা অবশ্য নয়; কিছুদিন আগে কাগজে পড়লাম, সাবেক এক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, বর্তমানে যিনি কারাগারে, আদালতে এসে কয়েক পুলিশকে আঙুল উঁচিয়ে শাসিয়েছেন, কিন্তু পুলিশ টুঁ শব্দ করেনি। কেননা, পুলিশ জানে, আর দুই বছর পর তিনি হয়তো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হবেন। তাঁকে রাগিয়ে দিলে তখন খবর থাকবে পুলিশদেরই। ক্ষমতা হারালে প্রভাব-প্রতিপত্তি কিছুটা কমে বটে, কিন্তু সবচেয়ে বেশি কমে টাকা বানানোর সুযোগ। আর এখন টাকা মানে ৩০-৪০ লাখ নয়, ৩০-৪০ কোটিও নয়, শত শত কোটি। বিশ্বায়নের ফলে এখন বিদেশে টাকা পাচার করা সহজ। মালয়েশিয়ার মতো কিছু দেশে ‘দ্বিতীয় ভূমি’ নামে উদ্যোগ চালু হয়েছে। ফলে সেসব দেশে টাকা চালান করে একটা নাগরিকত্বও বাগিয়ে নেওয়া যাচ্ছে। এখন টাকার জন্যই হাহাকারটা সবচেয়ে বেশি। আর ক্ষমতাশীলরা যখন টাকা বানানোকে প্রথম অগ্রাধিকার হিসেবে দেখেন, তখন বাকি সবাই ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় একটা চক্রের মধ্যে পড়ে যান। এই চক্রের নাম দুর্নীতিচক্র। দুর্নীতি নেই—এমন মন্ত্রণালয়, সংস্থা অথবা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে নেই। কাগজে দেখেছি, হজে মানুষ পাঠানো নিয়ে দুর্নীতি হয়, বাচ্চাদের স্কুলে ভর্তি নিয়ে দুর্নীতি হয়, হাসপাতালে গরিব মানুষের জন্য বরাদ্দ ওষুধপত্র নিয়ে দুর্নীতি হয়—দুর্নীতি এমন সুদূরবিস্তারি যে এখন এটি একটা সমুদ্রের ব্যাপ্তি পেয়েছে। রেল মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি তথা কালো বিড়াল ইত্যাদি নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে, অথচ দেখা গেছে, এই দুর্নীতি বাছতে গেলে সংস্থাটি চালানোর মতো আর জনবল থাকবে না। সোমবারের কাগজে দেখলাম, রেলের কর্তাদের অদল-বদল করা হয়েছে এবং দুর্নীতির দায়ে টিকিট চেকার, কনস্টেবল—এ রকম কয়েকজনকে বদলি করা হয়েছে। অর্থাৎ ঝড়টা যাবে ছোটখাটো পদধারীদের ওপর দিয়ে, বড়রা থাকবেন নিরাপদে। রেলে নিশ্চয় যোগ্য ও সৎ মানুষ অনেক আছেন, কিন্তু এ রকম একটি প্রতিষ্ঠানে, যেখানে নিয়োগ-বাণিজ্যে কোটি কোটি টাকা হাতবদল হয়, সেখানে তাঁরা আর কী করবেন।
ক্ষমতা হারানো এক বিরাট ভয়, ক্ষমতায় না থাকাটা এক বিরাট দুঃস্বপ্ন। ফলে যে প্যারানইয়া সৃষ্টি হয়—হয়েছে বস্তুত—তা জন্ম দেয় একরোখামির, ক্রোধের ও সহিংসতার। ফলে রাজনীতি রগচটা হয়। এই রগচটা রাজনীতির অনেক বহিঃপ্রকাশ আছে। প্রতিপক্ষকে সহ্য করতে না পারা। তার মনে কোনো বিরোধ থাকলে তার মীমাংসা করার বা আইনের আশ্রয় নেওয়ার ন্যায্য পন্থার পরিবর্তে তার ওপর আক্রমণ করা, তাকে অপহরণ বা গুম করা, হচ্ছে এর একটি প্রকাশ। এই অপহরণ দলের ভেতরের কোন্দলে হতে পারে, ক্ষমতাশীলরা এটি বিরোধী শিবিরের কাউকে করতে পারে। রাজনীতি যত রগচটা হবে, ততই আলাপ-সংলাপ অর্থাৎ আইনানুগ বিরোধ নিষ্পত্তির জায়গাটা কমতে থাকবে এবং সহিংস সমাধানের চর্চা বাড়বে। রখচটা মানুষ যেমন নিয়মনীতির তোয়াক্কা করে না, রগচটা রাজনীতির অনুসারীরাও তেমনি আইনকানুনকে ধর্তব্যের মধ্যে আনে না।
দেশে গত কয়েক বছরে গুম ও অপহরণের ঘটনা যে বাড়ছে, যা আমাদের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তার একটি কারণ অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি। কিন্তু মূল কারণ ওই রগচটা রাজনীতির পারদ কয়েক ডিগ্রি বেড়ে যাওয়া। ভবিষ্যতে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় গেলে যে গুম, অপহরণ অতীতের বিষয় হয়ে যাবে, তা নয়; বরং আমার আশঙ্কা, তা আরও বাড়বে। কারণ, রগচটা রাজনীতি আরও রগচটা হবে। এর হিতাহিত জ্ঞান রহিত হয়ে যাবে। ফলে দেশের পরিস্থিতি থাকবে তপ্ত কড়াইয়ের মতো। তপ্ত কড়াইয়ে শসার মতো ঠান্ডা জিনিস দিয়ে দেখুন, তা ঠান্ডা থাকে কি না! রগচটা রাজনীতিতে যাদের শসার মতো ঠান্ডা থাকার কথা, যেমন আমাদের শিক্ষকদের, বিশেষ করে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকদের থেকে অনেক বেশি সুবিধাভোগী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের—তাঁদের অবস্থাটা দেখুন। দুটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন অচলাবস্থা: এর একটিতে চলছে সহিংসতা। অন্য অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েই চলছে সংঘাত, শিক্ষকদের অন্তর্দ্বন্দ্ব, শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহিংসতা। রগচটা রাজনীতি উপাচার্যদের রগচটা করে দেয়, শিক্ষক-নেতাদের রগচটা করে দেয়। ফলে শসার মতো ঠান্ডা থাকার কথা যাঁদের, যাঁরা বিরোধ নিষ্পত্তিতে সমাজের কাছে আদর্শ হতে পারতেন, তাঁরাই তখন উত্তাপ ছড়ান ক্যাম্পাসগুলোতে।
রগচটা রাজনীতিতে রাজনীতিবিদেরা রেগে থাকেন এবং রাগী মানুষের মতো আচরণ করেন। তাঁরা যখন টিভি ক্যামেরার সামনে রাগী বক্তব্য রাখেন, তখন কোমলমতি ছেলেমেয়েদের কথা মনে রেখে টিভি বন্ধ করে দিতে হয়। রগচটা রাজনীতির সবচেয়ে দুষ্ট, ভয়ানক, আত্মঘাতী এবং দেশধ্বংসী অস্ত্র হচ্ছে হরতাল। হরতাল কী পরিমাণ বীভৎসতা তৈরি করে তা কোনো হরতালে রাস্তায় বেরোলেই দেখা যায়। সোমবারের একটি কাগজে একটি পিলে চমকানো ছবি দেখলাম: এক টেকোমাথা, রগচটা পিকেটার হাতে এক পেন্নাই ইট নিয়ে তা ছুড়ে মারার প্রস্তুতি নিচ্ছে, এবং তার টার্গেট এক হিউম্যান হলারে বসা আতঙ্কে গুটিয়ে যাওয়া একটি মেয়ে তার দিকে মিনতি নিয়ে তাকাচ্ছে। মেয়েটির শেষ পর্যন্ত কী হলো, জানি না। সে বাঁচতে পারে টেকো মাথার নিশানা ব্যর্থ হয়ে থাকলে অথবা হলারের চালক গাড়ির গতি বাড়িয়ে দিয়ে থাকলে। কিন্তু এই রগচটা টেকো মাথারা এবং লাঠি-অস্ত্র হাতে উদ্ধত বেপরোয়া যুবকেরা তো সারা দেশের রাস্তাতেই ছিল। মেয়েটি বাড়ি ফিরে না গেলে কজনের হাত থেকে বাঁচবে? হরতাল সারা দেশে যে ভীতি এবং শঙ্কার পরিবেশ তৈরি করে, তার প্রভাব থাকে সারা বছর। আমার কাছে ওই ছবিটি একনজরে গোটা দেশকেই তুলে ধরেছিল। টেকো মাথা ওই পিকেটার হচ্ছে রগচটা রাজনীতি, হিউম্যান হলারটা বাংলাদেশ এবং ভীতসন্ত্রস্ত মেয়েটি হচ্ছে জনগণ। বিরোধী নেতারা—যাঁদের কথাবার্তা ক্রমশ রগচটা হচ্ছে। কারণ, তাঁরা আসন্ন ক্ষমতার গন্ধ পাচ্ছেন—দাবি করছেন, হরতাল জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য এবং তাতে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন আছে। সরকারের নেতারা, যাঁদের কথাবার্তাও ক্রমশ রগচটা হচ্ছে। কারণ, তাঁরা ক্ষমতা হারানোর আশংকা দেখছেন—বলছেন, জনগণ হরতাল প্রত্যাখ্যান করেছে। জনগণকে জিম্মি করে রাজনীতি করাটা খুব সুবিধার। ওই মেয়েটি কখনো বিরোধী নেতাদের গিয়ে বলতে পারবে না, ‘হরতাল মানি না’ এবং ‘আমার কথা না বলে নিজেদের কথা বলুন। বলুন যে, হরতাল করছেন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য, সরকারকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য।’ মেয়েটি সরকারি নেতাদেরও বলতে পারবে না, ‘হরতাল প্রত্যাখ্যান করা-না করা আমার হাতে নেই। আমি একটা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি করে সংসার চালাই। আজ কাজে যেতে পারিনি। ক্ষতিটা যা হলো, তা আমারই।’
অবশ্য রগচটা রাজনীতিবিদেরা যখন জায়গা বদল করবেন, তখন তাঁদের কথাবার্তা এবং যুক্তিটুক্তিও বদলে যাবে। বিএনপি-নেতা হয়তো তখন থাকবেন এলজিআরডিমন্ত্রী। আওয়ামী নেতা বিরোধী অবস্থানে। আওয়ামী লীগ তখন হরতাল ডাকবে। সেদিনও ওই দলের রগচটা টেকো মাথারা ওই মেয়েটির দিকে ইট ছুড়বে। হিউম্যান হলারটা ধ্বংস করতে নেমে পড়বে। হরতাল শেষে এলজিআরডিমন্ত্রী বলবেন, ‘দেশবাসী হরতাল প্রত্যাখ্যান করেছে’ এবং আওয়ামী নেতা বলবেন, ‘জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে হরতাল পালনের মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়েছে।’
তত দিনে হয়তো হরতাল একটা নিয়মিতচর্চা হয়ে দাঁড়াবে। কারণ, রাজনীতি আরও রগচটা হবে, গুম-অপহরণ আরও বাড়বে এবং হরতালের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসার যে একটা সম্ভাবনা বিএনপি তৈরি করেছিল রোড মার্চ ইত্যাদি চালু করে, যা থেকে প্রবল দাপটে বেরও হয়ে গেল দলটি এবং হরতালকেই মহৌষধ বলে আবার গ্রহণ করল। এর ধারাবাহিকতায় হরতাল আরও তীব্র এবং বীভৎস হবে। ফলে দেশটার বারোটা শুধু নয়, হয়তো আটচল্লিশটাই বেজে যাবে।
ইলিয়াস আলীকে খুঁজে বের করাটা এখন সরকারের জন্য অবশ্যপালনীয় কর্তব্য। আমরা আশা করব, তিনি সুস্থ দেহে পরিবারের কাছে ফিরে আসবেন এবং তাঁর অন্তর্ধান রহস্যের সমাধান হবে। এ জন্য দোষীদের শান্তি বিধানও সরকারের কর্তব্য। কিন্তু লাগাতার হরতাল করলেই যে তাঁকে ফেরত যাওয়া যাবে, এ রকম একটি চিন্তা কেন বিএনপি গ্রহণ করল? তারা তো তিন দফায় ক্ষমতায় ছিল। তখন কি হরতালে তাদের কোনো কাজ ত্বরান্বিত হয়েছে, অথবা কোনো ছাড় তারা আওয়ামী লীগকে দিয়েছে? তাহলে? সোমবারের হরতাল শেষে ‘আরও কঠিন কর্মসূচি’ দেওয়ার কথা বিএনপি-জামায়াতের। তা যদি লাগাতার হরতাল হয়, তাহলে বুঝতে হবে ওই হিউম্যান হলারটা টেকো মাথারা শুধু ভাঙচুর করেনি, পুড়িয়েই দিয়েছে। ওই হিউম্যান হলারের যাত্রী যে প্রায় তিন কোটি শিক্ষার্থী, যাদের একটি অংশের এ মুহূর্তে এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা, তারা কোনোক্রমে জান নিয়ে পালিয়েছে। কিন্তু হতাশ হচ্ছে এবং রগচটা রাজনীতির ওপর তাদের ঘৃণা জন্মাচ্ছে।
এখন এই তিন কোটি সন্তান যদি হতাশ হতে হতে রগচটা হয়ে যায়, তাহলে কী হবে?
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম: কথাসাহিত্যিক। অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
এখানে চেপে দেখুন :----
©somewhere in net ltd.