![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অামি একজন সাধারন পাবিলক মানে ধুম পাবলিক!!
হাবিবুর রহমান
নতুন বার্তা ডটকম
ঢাকা: দুর্নীতি মামলায় চার্জশিটভুক্ত সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা এক বছরেও কার্যকর করতে পারেনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জেলা ম্যাজিস্ট্রেসী নীতি শাখা থেকে চিহ্নিত ৪৪৫ জন কর্মকর্তার তালিকাসহ ২০১২ সালের ১৯ জানুয়ারি এক পত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। চিহিৃত তালিকায় বেশির ভাগই সচিব, যুগ্মসচিব ও উপসচিব অভিযুক্ত রয়েছেন। তবে এসব চিহ্নিত কর্মকর্তা এখনো বহাল তবিয়তে কাজ করছেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা পাওয়া আট মাস পর ২০১২ সালের ১২ সেপ্টম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মাহফুজা আখতার স্বাক্ষরিত এক পত্রের সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের চিহ্নিত ওইসব কর্মকর্তার তালিকাও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোতে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
এরমধ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের তালিকা পাঠানো হয় ৫২৭ নম্বর স্মারকে। সেই চিঠিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। ওই চিঠি পাওয়ার ছয়মাস পেরিয়ে গেলেও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কোন ব্যবস্থা নেয়নি তাদের বিরুদ্ধে, যেমন ব্যবস্থা নেয়নি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ও।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পাঠানো ওই নির্দেশনা পত্রে বলা হয়, বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস (পার্ট-১)-এর বিধি ৭৩ ইডি (আরইজি-নোট ১ ও ২ তদানিন্তন মন্ত্রিপরিষদ সচিবালয়ের সংস্থাপন বিভাগের ২১-০১-১৯৭৮ তারিখে রাস/জানি (দুদ) চা-১(৩১)ঢাকা/৮৮-১৪৩(৪৫) নম্বর সার্কুলার অনুযায়ী ফৌজদারি মামলায় গ্রেফতারকৃত অথবা জামিনপ্রাপ্ত আসামিদের (সরকারি কর্মচারি) চাকরি হতে সাময়িকভাবে বরখাস্তকরণের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
দুর্নীতির মামলায় যে সকল আসামির (সরকারি কর্মচারী) বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে চাকরিবিধি ও সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে এ বিভাগে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পাঠানো চিঠির সঙ্গে ওই মন্ত্রণালয়ের ১৭ জন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারির তালিকা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সচিবকে নির্দেশনা দেয়া হয়। এদের মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন পাঁচ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়েছে এবং ১১ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে। কমিশন ইতিমধ্যে একজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে। কিন্তু এক বছরেও এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
এসব কর্মকর্তার দুনীতির বিষয় তদন্ত করে দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক (অনি:বি:ওপরি আবুল কাশেম স্বাক্ষরিত তদন্ত প্রতিবেদন ও অভিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালিকা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
১৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাৎসহ নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক এসএম ওয়ালিউর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে অবৈধভাবে সরকারি নির্ধারিত সীমার চেয়েও অতিরিক্ত অর্থ বেসরকারি ব্যাংকে জমা রেখে জনস্বার্থ পরিপন্থী কাজ করা।
সাবেক সহকারী পরিচালক জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে ৬৮ হাজার ৮১৮ টাকা তুলে আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে এতে। মেহেরপুরের সাবেক ক্রীড়া কর্মকর্তা মোক্তার হোসেন এবং আত্মকর্মসংস্থান প্রকল্পের সাবেক পরিচালক জসীম উদ্দিন সিরাজীর বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগের বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়।
সাবেক প্রকল্প পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও আত্মকর্ম) মোহনী মোহন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের। তবে একশ’ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ রয়েছে কাঠালিয়া উপজেলার সাবেক উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরুদ্ধে।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ঝালিকাঠি কার্যালয়ের সাবেক সহকারী পরিচালক সেকেন্দার আলীর বিরুদ্ধে ৫৬ হাজার টাকার আসবাবপত্র কেনার নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়। একই ধরনের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর চকরিয়ার সহকারি পরিচালক মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে। চট্রগ্রাম যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বেদার হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ এবং যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ঢাকার প্রকল্প পরিচালক জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে কুমিল্লা যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণের কাজে দুনীতির অভিযোগ রয়েছে।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের টাঙ্গাইল কার্যালয়ের উপ-পরিচালক উত্তম কুমারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ঘুষ গ্রহণ এবং যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর সরিষাবাড়ির হিসাবরক্ষক কাম মুদ্রাক্ষরিক আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে দুই লাখ ৭৪ হাজার ৭৩৭ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব কর্মকতার অভিযোগগুলো দুর্নীতি দমন কমিশন অনুসন্ধান করছে।
কালিয়াকৈর থানা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আজহারুল কবিরের বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়ে অবৈধভাবে সরকারি জমি লিজ দেওয়া এবং সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে ৬৩ হাজার ৪৫০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব নুর মহাম্মদ এর সাথে কথা হলে তিনি নতুন বার্তা ডটকমরেক বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষে থেকে এসব কর্মকতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জন্য চিঠি দিয়েছে। এসব অনেক কর্মকতার বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জন্য আমরা আবার জন প্রশাসনে পাঠাবো।
অপরদিকে আইন মন্ত্রণালয় থেকে মুজিবনগর সরকারের কর্মচারি হিসেবে অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া ১৯০ জন সাব-রেজিস্ট্রারের মধ্যে ১৪৭ জনের বিরুদ্ধে জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়ায় তাদের চাকুরিচ্যুত করার সুপারিশ করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের এক তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুজিবনগর কর্মচারি হিসেবে সাব-রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগপ্রাপ্ত ১৯০ জনের মধ্যে জীবিত ১৮৯ জনই ভুয়া তথ্য দিয়ে চাকরি নিয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এর পরে গত বছরের ১৯ জুন আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (প্রশাসন) মো: মজনুল আহসানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির অন্য ২ সদস্য ছিলেন- যুগ্ম-সচিব (মতামত) সহিদুল করিম ও উপ-সচিব (মতামত-৪) আবু আহমেদ জমাদার। ওই বছরেরই ২৬ জুন তারা আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করে।
তদন্তে প্রতিবেদনে বলা হয়, সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের আইনকোষে রক্ষিত নথিতে সাবেক মুজিবনগর কর্মচারী হিসেবে ১৯৮৫ সনের ১ হাজার ৬৩২ জনের একটি তালিকা আছে। ওই তালিকার ১০নং হতে ১৪নং পাতা নেই। তদন্তকারীরা এই প্রতিবেদনে ওই সাব-রেজিস্ট্রারদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি ফৌজদারি মামলা করারও সুপারিশ করা হয়। এ তদন্তে ১৯০ জন সাব-রেজিস্ট্রারের মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ যাচাই-বাছাইসহ তাদের মধ্যে জীবিত ১৮৯ জনেরই সাক্ষ্যগ্রহণ করে তারা। অসদাচরণ ও দুর্নীতির দায়ে চারজন সাব-রেজিস্ট্রারকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। তারা হলেন, সাব-রেজিস্ট্রার সুধীর কুমার সরকার,সাব-রেজিস্ট্রার আবদুর রাজ্জাক,সাব-রেজিস্ট্রার মাজেদা বেগম।
এ বিষয়ে জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আবদুস সোবহান সিকদারের সাথে কথা হলে তিনি নতুন বার্তা ডটকমকে বলেন, “আসলে সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোন মামলা হলে আগে তদন্ত করা হয়। তদন্তে তার বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হয়। এ জন্য জন প্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
নতুন বার্তা/ এইচ আর/জিসা
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৬
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: এ বিষয়ে সরকারের অগ্রগতি নেই
সব চুরের একই গলা