![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অামি একজন সাধারন পাবিলক মানে ধুম পাবলিক!!
আব্দুল জব্বার খান
নতুন বার্তা ডটকম
ঢাকা: একাত্তর সালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ফাঁসি আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এবং বিচারপতি আনোয়ারুল হকের সমন্বয়ে গঠিত ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন।
গত ২৯ জানুয়ারি সাঈদীর মামলায় দ্বিতীয় দফা যুক্তি উপস্থাপন শেষ হলে মামলাটি রায় যে কোনো দিন দেয়া হবে মর্মে (সিএভি) বা অপেক্ষমাণ রেখে দেন ট্রাইব্যুনাল।
এর প্রায় এক মাসের মাথায় মামলাটির বৃহস্পতিবার এ রায় দেয়া হয়।
এ রায়ের ফলে ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন তিনটি মামলার রায় ঘোষণা করা হলো। তবে ট্রাইব্যুনাল-১ এ বিচারাধীন মামলাগুলোর মধ্যে এই প্রথম কোনো মামলার রায় হলো।
একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যতগুলো মামলা রয়েছে তার মধ্যে সাঈদীর মামলা ছিল এক নাম্বারে।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে করা একটি মামলায় সাঈদীকে ২০১০ সালের ২৯ জুন গ্রেফতার করা হয়। ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ২ আগস্ট তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
এরপর ২০১১ সালের ১১ জুলাই সাঈদীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। ১৪ জুলাই তার বিরুদ্ধে এ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। ওই বছরের ৩ অক্টোবর সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলার বিচার শুরু হয়।
এ মামলায় সাঈদীর বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ৭ ডিসেম্বর প্রসিকিউশনের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয় । তার বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ (আইও) ২৭ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেয়। তাদের মধ্যে ২০ জন মামলায় আনীত অভিযোগ বিষয়ে এবং সাতজন জব্দ তালিকার বিষয়ে সাক্ষ্য দেয়। আসামিপক্ষ তাদের জেরা করে। এছাড়া প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার আইও’র কাছে দেয়া ১৫ সাক্ষীর জবানবন্দি সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
এরপর ২০১২ সালের ২ সেপ্টেম্বর থেকে সাঈদীর পক্ষের সাক্ষীদের সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সাঈদীর পক্ষে সাফাই সাক্ষী হিসেবে ১৭ জন সাক্ষ্য দেয়। প্রসিকিউশন এ সাক্ষীদের জেরা করে।
গত ৬ ডিসেম্বর উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে সাঈদীর মামলার রায় যে কোনো দিন দেয়া হবে উল্লেখ করে মামলাটির রায় ঘোষণা অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখে ট্রাইব্যুনাল-১। কিন্তু এর মধ্যে বিচারপতি নিজামুল হকের স্কাইপে কেলেঙ্কারির প্রকাশ হয়ে পড়ে। এরইপ্রেক্ষিতে বিচারপতি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন।
এরপর বিচারপতি এটিএম ফজলুল কবীরকে চেয়ারম্যান করে পুনর্গঠন করা হয় ট্রাইব্যুনাল। এ পুনর্গঠনের কারণে সাঈদীর মামলার যুক্তিতর্ক আবারো শুরু হয়।
অবশেষে গত ২৯ জানুয়ারি যুক্তি উপস্থাপন শেষ হলে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান রেখে দেয়া হয়।
নতুন বার্তা/এজেখান/জাই/জিসা
©somewhere in net ltd.