![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছুই জানিনা,বোকা বলতে পারেন। সামুই আমার বর্তমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যা কিছু শেখা এখান থেকে। সামুতে আসার পর থেকে নিয়মিত আমি কিছু না কিছু শিখছি। তাই সামুর সকল কর্মকর্তা ও ব্লগারদের জন্য রইল আমার অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা।
সকল প্রশংসার তারিফ মহান আল্লাহু তা'আলার জন্য।
মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহু তা'আলা আসমান-যমীন, চন্দ্র-সূর্য,গ্রহ-নক্ষত্র, জল-বায়ু, জীব-জন্তু, গাছ-পালা, লতা-পাতা ,প্রভুতি সৃষ্টি করিলেন দুনিয়া পত্তন করার জন্য। মানব সৃষ্টির পুর্বে আল্লাহু তা'আলা ফেরেশতা ও জ্বীন, জাতিকে পয়দা করেন। ফেরেশ্তাগণ আল্লাহু তাআলার 'নূর' হতে আর জ্বীনেরা আগুন হতে সুষ্ট...। ফেরেশতাগণ পাপমুক্ত। তাহারা শোক, জ্বরা, মৃত্যু, প্রভুতি হতে মুক্ত। তারা মানব চক্ষের অগোচর। তাদের পর বা ডানা আছে। আর সেই পর বা ডানা দ্বারা তারা যথেচ্ছা ভ্রমণ করিতে পারে। এই ফেরেশ্তাগণের ন্যায় জ্বীনেরাও মানব চক্ষের অদৃশ্য। তবে জ্বীনেরা মানুষের ন্যায় জ্বরা, সুখ-দুঃখ ভোগী। এই ফেরেশ্তা আর জ্বীন সৃষ্টি করার পর আল্লাহু তাআলার আবার ইচ্ছা হল আদম সৃষ্টি করতে। এই ইচ্ছা পরিপূর্ণ করতে আল্লাহু তাআলা একদিন ফেরেশ্তাদেরকে বললেন,"আমি প্রথিবীতে আমার প্রতিনিধি সৃষ্টি করতে চাই।" ফেরেশ্তাগণ আল্লাহু তাআলার এই কথা শুনে যাহা উত্তর করিল, পবিত্র কোরআনে উহার বিবরণ নিম্নরূপঃ
"[বাংলা অর্থ -হে প্রভু! আপনি কি সৃষ্টি করবেন পৃথিবীতে, এমন লোক যাহারা সেখানে কলহ বিবাদ করবি এবং রক্তারক্তি করবে, আমরাই তো আপনার গুণ-কীর্তন ও পবিত্রতার বর্ণনা করছি।---------------------------------------------------------------------------------------]"
(সুরা বাকারা , আয়াত ৩০) আল্লাহ্ তাআলা ফেরেশ্তাগণের এই উক্তিতে যাহা বলেছিলেন তাহাও পবিত্র আল-কোরআনে উল্লেখ আছে। তাহা এই :-
"[বাংলা অর্থ] - নিশ্চিয় আমি যাহা জানি তোমরা তাহা জান না -----।"
[সুরা বাকারা, আয়াত ৩০]
তার পর আল্লাহু তাআলা তাহার সংকল্পিত বস্তু সৃষ্টি করিলেন মাটি দ্বারা। এই সৃষ্টি বস্তুর নাম হলো আদম। তখন হতে আল্লাহুর সৃষ্টি জগতে শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হল এই আদম জাতি। 'কর্দমকে-ছাঁচে আকার দিয়ে, শব্দকারী মাটি হতে আদমকে সৃষ্টি করা হয়েছে।' [সুরা হিযর, আয়াত ২৬]
অতঃপর আল্লাহু তাআলা হযরত আদম (আঃ)-কে জীবন দান করে তাঁহার ভাষা ও যাবতীয় বস্তু সম্বন্ধে শিক্ষা দিয়ে ফেরেশ্তাগণের সম্মুখে উপস্থিত করলেন। আল্লাহু তাআলা ফেরেশ্তা ও জ্বীনগণকে বস্তুর বিশেষ বিশেষ গুণাবলীর বর্ণনা করতে আদেশ করলেন। জ্বীন ও ফেরেশ্তাগণ ঐ সকল বস্তুর নাম ও গুণাবলী বর্ণনা করতে পারল না। তাহারা আল্লাহু তাআলাকে বললেন, '[বাংলা অর্থ] -আপনি তো পরম পবিত্র আমাদের জ্ঞান নাই। যাহা আপনি আমাদেরকে দান করেছেন উহাই; নিশ্চয়ই আপনি মহা জ্ঞাণী।' [সুরা বাকারা, আয়াত- ৩২]
ফেরেশ্তা ও জ্বীনগণ নাম বর্ণনা করতে অক্ষম হওয়ায় আল্লাহু তৎক্ষনাৎ হযরত আদম (আঃ)-কে ঐ সকল বস্তুর নাম ও গুণাবলী বর্ণনা করতে আদেশ করলেন। "[বাংলা অর্থ]- হে আদম! তুমি বলিয়া দাও তাদেরকে ঐ বস্তুগুলির নাম।" [সুরা বাকারা, আয়াত ৩৩]
মহান আল্লাহু তাআলার আদেশ পাওয়া মাত্র হযরত আদম (আঃ) ঐ সমস্ত নাম ও গুণাবলী বর্ণনা করলেন। "[বাংলা অর্থ] অতঃপর যখন হযরত আদম (আঃ) বলিয়া দিলেন। তাদেরকে ঐ সমস্ত বস্তুগুলির নাম।"সুরা বাকারা, আয়াত-৩৩
তখন হযরত আদম (আঃ) ফেরেশতা ও জ্বীন এই দুই জাতির চেয়ে যে অধিক জ্ঞানী তাহা প্রমাণিত হয়ে গেল। তার পর আল্লাহু তাআলা ফেরেশ্তা ও জ্বীন উভয়কেই হযরত আদম (আঃ)-কে সম্মান প্রর্দশন হেতু সেজদা করতে আদেশ করলেন।
হুকুম পাওয়া মাত্র ইবলিস নামক একজন ফেরেশতা ব্যতীত আর সকলেই বিনা বাক্য ব্যয়ে হযরত আদম (আঃ)-কে সেজদা করল। ইবলিস যে আল্লাহু তাআলার আদেশ অমান্য করিয়া আদম (আঃ)-কে সেজদা করে নাই তাহার বর্ণনা আল কোরআনে উল্লেখ আছে। আল্লাহ বলেছেন-
"[বাংলা অর্থ] - যখন আমি হুকুম করিলাম ফেরেশ্তাদিগকে
তোমরা সেজদায় পতিত হও আদমের সামনে,
তখন সকলেই সেজদায় পড়িল কেবল ইবলিস ব্যতীত।
সে হুকুম তামিল করিল না ও অহংকারের গর্বিত
হইল এবং সে পরিগণিত হইল কাফেরদের মধ্যে।"
[সুরা বাকারা, আয়াত -৩২]
আল্লাহু তাআলা ইবলিসকে জিজ্ঞাসা করলেন-"তুমি কেন আদমকে সেজদা করলে না?"
ইবলিস গর্বভরে বলিল-'আমি আদম হতে শ্রেষ্ঠ; আমাকে তুমি জ্যোতির্ময় অগ্নি দ্বারা পয়দা করেছ আর আদমকে সৃষ্টি করেছ ঘৃণিত মৃত্তিকা দ্বারা। সুতরাং আমি আদম হতে শ্রেষ্ঠ, আমি কেন যাব আদমকে সেজদা করতে?'
আল্লাহু তাআলা ইবলিসের এইসব নাফরমানী ও আত্মৎগরিমার ধৃষ্টতা দেখিয়া বলিলেন, রে বেঈমান! তুই আজ থেকে আমার নিকট চির ঘৃণিত ও বিতাড়িত হইলি। তুই আমার সম্মুখ হতে দুরহ্। কেয়ামত পর্যন্ত তোর প্রতি আমার অভিশাপ বর্ষিত হবে।" [সুরা আল আরাফ, আয়াত ১৪-১৫]
ইবলিস আল্লাহুর দরবার হতে বিতাড়িত হয়ে আরয করলঃ
"[বাংলা অর্থ]- হে প্রভু! তুমি আমাকে কিয়ামত পর্যন্ত অবকাশ দান কর?"
আল্লাহু বললেন -" বাংলা অর্থ]- তোমাকে অবকাশ দেওয়া হল।"
[সুরা আল আরাফ, আয়াত ১৪-১৫]
ইবলিস শয়তান রূপে পরিগনিত হয়ে নিজেই ভাল হতে মন্দে পরিণত হল। বলা বাহুল্য, তদবধি সে তাহার নিজের প্রসার লাভ হেতুই আল্লাহুর প্রিয় বান্দা আদমকে কু-পথে/ বিপথে নেওয়ার জন্য সংকল্প বদ্ধ হল। সে আল্লাহু কে বলিল -'আমি তোমার বান্দাদের উপর কেয়ামত পর্যন্ত আক্রমণ চালাব, তাদের সম্মুখে ,পশ্চাৎ, ডান, বাম দিক হতে। তুমি কিছুতেই তাদের অধিকাংশকে তোমার স্বমতে পাইবে না।'
আল্লাহু বললেন-"হ্যাঁ, তুই আক্রমণ চালাস, কিন্তু যাহারা আমার খাঁটি বান্দা তাদেরকে কিছুই করিতে পারবি না। দুনিয়াতে যারা তোর অনুগত হয়ে কিংবা তোর ধোঁকায় ভুলিবে, তাহারাও তোরই সঙ্গে নরকে গমণ করবে।"
এই প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেছেন-
"[বাংলা অর্থ]- নিশ্চয়ই আমি নরক পরিপূর্ণ করব তোমার দ্বারা এবং যারা তোমার অনুগামী তাদের প্রত্যেকের দ্বারা।" সুরা সাওদ, আয়াত ৮৫
::: সূত্র ফেসবুক
©somewhere in net ltd.