![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলায় পুরো নাম মিজানুর রহমান বিজয় নিজের সম্পর্কে বলার মতো তেমন কিছুই নেই, আমার জন্মস্থান হচ্ছে টাঙ্গাইল। পড়াশোনা + কর্মজীবনে ছোটখাটো একটা চাকরি করি, গ্রামীণফোনের আই.টি. বিভাগে আছি। মিথ্যা বলা, প্রতারণা করা ও বাচালতা আমার কাছে সবচেয়ে অপন্দনীয় কাজ। ধূমপান, এটাকে তো রীতিমতো ঘৃণার চোখে দেখি। https://www.facebook.com/sayed.bijoy
পাশের বাসার প্রীতম বাবু মাঝে মাঝেই বউকে বেধড়ক পেটান। ওনার পেটানোর স্টাইল দেখে আমার মাঝে মাঝে মনে হয় বউ পেটানো হচ্ছে একটা আর্ট। আর প্রীতম বাবুরা হচ্ছেন এই আর্টের অভিগ্য আর্টিস্ট। প্রীতমবাবুর বউ পেটানোর সময়টা আবার অফিস থেকে ফেরার পর। অবশ্য বউয়ের ও দোষ কম না, প্রতিদিনই প্রীতম বাসায় এসে দেখেন বউ ঘরে নাই, বউ তার তৃতীয় তলার ভাবির সাথে বসে বসে জি বাংলা সিরিয়াল দেখছেন। এতো মার খাবার পরও বউটা আর জি বাংলা সিরিয়াল দেখার অভ্যাসটা কমাতে পারলোনা। আর প্রীতম বাবুওতো বউ পেটানোর অভ্যাসটা ভালোভাবে রপ্ত করেছেন। প্রাই শোনা যায় বউয়ে চিৎকার করে বলছে ” আর জীবনেও সিরিয়াল দেখবোনা, তোমার পা। ধরি, আর মেরোনা” আর প্রীতমবাবু বলেন ” তোর সিরিয়ালের গোষ্টিরে বিপ বিপ” ( অকথ্য ভাষা)। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে ঠিকই পরের দিন উনি তৃতীয় তলায় চলে যান সিরিয়াল দেখার জন্য। তো কয়েকদিন আগে প্রীতম বাবু অফিস থেকে এসে বউকে না পেয়ে ফোন করে বাসায় আনলেন। মেইন দরজা খোলা ছিলো তাই স্পষ্ট শোনা যাচ্ছিলো। বউ আসার সাথে সাথেই প্রীতম বাবু বউকে পেটানো শুরু করলেন। মার কি মার.. এ যেন গাধা পিটিয়ে ঘোড়া বানানোর অক্লান্ত প্রচেষ্টা। তো মারের এক পর্যায়ে প্রীতমের বউ চিল্লিয়ে বলে উঠলেন ” আমি সিরিয়াল দেখবো, দরকার হলে বাপের বাড়ি গিয়ে দেখবো, করলামনা তর ঘর, তুই মর” আরো অনেক অকথ্য ভাষা ছাড়লেন। প্রীতম বাবু বোধায় পেটাতে পেটাতে ততক্ষনে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছেন, তাই আর কোন মারের শব্দ শুনলামনা। আধা ঘন্টা পর দেখি প্রীতম বাবুর বউ স্যুটকেস নিয়ে বাপের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলেন। প্রীতম বাবুও দরজা পর্যন্ত এগিয়ে এলেন। আমাকে দেখে একটা মুচকি হাসি দিয়ে সশব্দে দরজ বন্ধ করে দিলেন। খুবই আপত্তিকর…।
……………………………..(আত্মচিৎকার)
©somewhere in net ltd.