![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মসজিদে নববীর মাঠে ছেলেটির একজন মহিলার সাথে ধাক্কা লাগায় নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে আটক করে ৷ মহিলা নিরাপত্তা কর্মীদের কাছে কি অভিযোগ করেছেন নতুন আসাতে ছেলেটি কিছুই বুঝতে পারেনি ৷ নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে পুলিশে হস্তান্তর করে পরে কোম্পানীর লোকজন তাকে ছাড়িয়ে আনে ৷
আকামা বানাতে গিয়ে জানা যায় যে, মহিলা তার বিরূদ্ধে ইচ্ছাকৃত ভাবে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন ৷ মহিলাটি ছিলেন একজন হাজী, ওমরাহ শেষে তিনি তার দেশে চলে যান ৷ ছেলেটিকে আদালতে হাজির হওযার নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ বেশ কয়েকবার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করার জন্য বাসায় আসে ৷ এখানে নারী নির্যাতন মামলায় মহিলাদের জবানবন্দিকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয় ৷ অবশেষে তার অনুপস্থিতিতেই আদালত তাকে ছয় মাসের সাজা এবং তিরিশ দোররা (বেত্রাঘাত) মারার নির্দেশ দিয়ে মামলা নিষ্পত্তি করেন ৷
ছেলেটি অনেকের সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারে একমাত্র মসজিদে নববীর ইমাম সাহেবগণ এই সাজা মওকুফের ক্ষমতা রাখেন ৷ অনেক কষ্টে সে মামলার রায়ের ফটোকপি এবং সাজা মওকুফের দরখাস্ত নিয়ে ইমাম সাহেবের সাথে দেখা করেন ৷ ইমাম সাহেব সব শোনে বলেন, সেখানে কি ঘটেছে তা তিনি দেখেন নি, একজন বান্দার হক্ব নষ্ট করার মত ক্ষমতা তিনি রাখেন না এবং ক্বিয়ামতের মাঠে তিনি এর জন্য কি জবাব দিবেন? এই সাজার বোঝা মাথা নিয়ে ছেলেটি প্রায় সাত বছরের মত আমাদের সাথে কাজ করে যাচ্ছে ৷ দেশে যেতে হলে তাকে এই সাজা ভোগ করেই যেতে হবে ৷
যিনি লক্ষ লক্ষ মানুষের ইমাম তিনি সামান্য সাজা মওকুফের বিষয়ে কতটা সচেতন! একজন নারীর সাথে সাধারণ একটা ধাক্কার জন্য একজন পুরুষকে কি পরিমাণ শাস্তি ভোগ করতে হচ্ছে ৷ এই ঘটনাকে একদিকে আপনি ন্যায় এবং ইনসাফের এক অন্যন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে উপস্থাপন করে বলতে পারেন এটাই ছেলেটির নিয়তি ৷
যেখানে বাদী-বিবীদী কেউই উপস্থিত নেই শুধু মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে সাধারণ একটা ধাক্কার জন্য একজন মানুষকে এ ধরনের সাজা দেওয়া অমানবিক ৷ এত বড় ইমাম এই সামান্য সাজা মওকুফ করলে কি হত! এ ধরনের কথা বলে নিজেকে মানবতাবাদী হিসেবে উপস্থাপন করতে পারেন ৷
যে কোন বিষয় উপস্থাপন করা নির্ভর করছে আপনার মানসিকতার উপর ৷ আপনি যদি কাউকে অন্ধের মত ভালোবাসেন জীবনেও তার দোষ দেখবেন না ৷ আবার অন্ধ বিদ্বেষ পোষণ করলেও কখনোই তার ভালো দেখবেন না ৷
বেশিরভাগ তথাকথিত মানবতাবাদী হচ্ছে ভন্ড ৷ এরা ইভটিজিং এর বিরূদ্ধে কথা বলবে, বোরকাকে সেকেলে বলবে ৷ ধর্ষণের বিরূদ্ধে লম্বা লম্বা বক্তৃতা দিবে, শিরোচ্ছেদ কে বর্বর প্রথা বলবে ৷ এরা সমুদ্রে ভাষা আইলান কুর্দিকে দেখে বুক ভাসাবে কিন্তু প্রতিবেশী ভূখা শিশুদের দেখবে না ৷ এই ধরনের মানবতাবাদীদের কথা সত্য হলেও মতলব খারাপ থাকে ৷ তাই এদের কথা বাস্তব হলেও মতলব না বুজলে আপনি খুব সহজেই বিভ্রান্ত হয়ে যাবেন ৷
২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২০
সাঈদ জামিল বলেছেন: ভাই যা বলছেন তা অাগের কথা। এখন অবস্হা অনুযায়ী সৌদিতে কোন হাজী নিরাপদ না।।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৬
প্রতিবিম্ব প্রতিচ্ছায়া বলেছেন: একটা নিউজ দেখলাম.. এক সৌদি স্ত্রীর অগোচরে পরিচারিকার সাথে মত্ত হতো... মেয়েটি সন্দেহ করতো কিন্তু প্রমাণ ছিলো না, তাই সিসিটিভি লাগিয়ে তা ধারণ করে এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কে তা ছেড়ে দেয়, ফলশ্রুতিতে মেয়েটা গ্রেফতার হয় এবং বিশাল অংকের জরিমানাও দেয়... কিছুদিন আগে সৌদি তার কন্যাকে প্রেগন্যান্ট করার দায়ে বেত্রাঘাতের সম্মুখীন হয়... এর আগে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষিত হওয়া নারী ২০০ বেত্রাঘাতের শাস্তি পান এবং আপিল করলে আরো ২০০ বেত্রাঘাত বৃদ্ধি পায়