![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
.
Sayeed Asad ফেসবুক
সকাল বেলায় ডিউটি অফিসারের কাছে স্থানীয় এক ব্যক্তি ফোন করে জানাল, খালে একটি লাস ভাসছে!
যথারীতি ইমারজেন্সি ডিউটিতে থাকা অফিসার কে সেখানে প্রেরন করা হইল।
ঘটনা সঠিক ইমারজেন্সি অফিসার সেখানে উপস্থিত হয়ে ওয়াকিটকি তে জানিয়ে লাস উঠানের জন্য লোক খুজতে লাগল। এত ক্ষন সেখানে ভীর ছিল মানুষের, যখন লাস উঠানের জন্য লোক দরকার হল তখন আর কাউকেই পাওয়া গেল না।
শেষ পর্যন্ত তিনি নিজে সাথের সিপাইদের নিয়ে খালের মধ্যে নেমে পচা আর গলিত লাস টি ঠাংগায় এনে সুরতহাল রিপোর্ট করলেন।
এর পর ভ্যান খোজা শুরু লাস পাঠাতে হবে পোস্ট মরটেম এ। পচা লাসের খবরে এলাকার সব ভ্যান উধাও। বহু টাইম পর এক ভ্যান পাওয়া গেল। কিন্তু ভ্যান ওয়ালা এই লাস তার ভ্যানে তুলবেই না।
অনেক্ষন বকাঝকার পর জোর করেই ভ্যানে লাস তুলে আনা হল। ভ্যান ওয়ালা কে লিগ্যাল ভাড়া হিসাবে ৫০০ টাকাই দিলেন ইমারজেন্সি অফিসার। ভ্যান ওলার দারী ১৫০০ টাকা। যেহেতু পচা লাস।
প্যান প্যান করতে লাগল ভ্যান ওয়ালা। ইমারজেন্সি অফিসার দিলেন তাকে এক থাপ্পড়।
থাপ্পড় খেয়ে ভ্যান অলা চলে গেল।
এর পর ডোম বাবাজিদের আবদার "স্যার পচা লাস " পুরা ১৮০০ টাকাই দেয়া লাগবে।
তাদের বুঝিয়ে সুঝিয়ে ১৫০০ টাকা দিয়ে কোন রকমে আসলেন।
সন্ধ্যার টাইমে ওসি সাহেব কে স্থানীয় এক সংবাদ প্রতিনিধি ফোন দিয়ে বল্ল" আপনার অফিসার ভ্যান ওয়ালা কে মেরে আহত করছে! এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হইছে।
এভাবে এস পি সাহেবের কানে গেল ভ্যান ওয়ালা কে পিটিয়ে আহত(?) করার সংবাদ।
বেচারা সারাদিনে গন্ধযুক্ত লাস টেনে টুনে পকেট থেকে ২০০০ টাকা খরচ করে এম্নিতেই মেজাজ খারাপ তার উপরে এস পি সাহেবের আদেশে ভ্যান ওয়ালাকে পিটানোর অপরাধে লাইনে ক্লোজ।
ভ্যান ওয়ালাকে মুলত দিয়ে ছিল চড়! সাংবাদিকের ক্যামরার তোলা ছবিতে দেখা গেল ভ্যান অলার ফেস কাটিং খুব ব্যাথা পাওয়া টাইপের।
কয়েকদিন পর ভ্যান ওয়ালাকে খুজে এনে ব্যাপার টা জিজ্ঞাসা করলে সে চড় খাবার কথাই বল্ল! আর এ বিষয়ে সে কোন অভিযোগ করেনি।
বুঝলাম দক্ষ সাংবাদিক ভাই নিজে স্ব উদ্যোগে এত কাহিনী বানিয়ে ছিল।
ছিল চড় নিউজ হইল পিটিয়ে আহত করা!
যাই হোক!
১৫ দিন পর ময়নাতদন্ত এর রিপোর্ট আসছে! রিপোর্ট মতে এটা শ্বাসরোধ করে হত্যা এটা!
অই ইমারজেন্সি অফিসার নিজে বাদী হয়ে কেস দিলেন!
এর মধ্যে সারাদেশেই মেইল /মেসেজে মৃত্যু ব্যাক্তির ছবি সহ প্রেরন করা হইল। কিন্তু লাসের পরিচয় সনাক্ত করার কেউ আসেনি।
মামলা হবার পর তদন্তকারী হিসাবে আমাকে নিয়োগ করা হইল।
আমি চাকুরীতে নতুন। পাইলাম অজ্ঞাত হত্যা মামলা।
পেরেশানি কাকে বলে।
৩৫ দিনের মাথায় একজন মহিলা আসল। লাসের পড়নে থাকা কাপড় আর ছবি দেখেই বুঝলেন! এই উনার স্বামী।
আমি মহিলার কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে নিলাম। কিন্তু কে বা কারা কেন খুন করল তার কোন সুত্র পেলাম না।
মৃত্যু ব্যক্তির বয়স ৪২ বছর। তিনি নাকি ভারতে যেতেন প্রায় ই। হুন্ডি ব্যবসায়ী।
ধারনা করলাম হুন্ডি কি খুনের কারন!
কোন সুত্র পেলাম না।
৬০ দিনের মাথায় বিভিন্ন ভাবে সংবাদ সংগ্রহ করে খুনি হিসাবে ১ জন কে সন্দেহ করলাম।
সাথে একজন কনস্টেবল নিয়ে খুলনায় গেলাম। আসামীর লোকেশান ট্রেস করার চেস্টায় ফেল করছি বার বার। ৪ দিন থেকে কিছুই করতে পারলাম না।
ফিরে গেলাম।
আবার ১৬ দিন পর খুলনায় সেই আসামির খোজে গেলাম। ৩ দিন অবস্থান করেও হদিস নাই। এমুন কোন চেস্টা নাই যে আমি করিনাই।
এর মধ্যে আমার ১৫/২০ হাজার টাকা খরচ হইছে। বোনাস হিসাবে সিনিয়র অফিসারদের বকা ফ্রি। আর উপাধী পাইলাম আমি কোন কাজের না।
এভাবে কয়েকদিন পর আবার খুলনা গেলাম! এরপর ফরিদপুর! এভাবে ১০/১২ দিন খুজে টুজে ৩৫ হাজার টাকা খরচ করে আসামী একজন কে ধরলাম।
মৃত্য ব্যাক্তির ওয়াইফের অবস্থা খুব খারাপ তার কাছ থেকে খরচপাতি কি আর চাইব তাকে উলটা ভাড়া দিয়ে পাঠাতে হয়।
আসামী পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ কালে কিছুতেই মুখ খুলছে না। অনেক ইন্টারোগেশন এর পর তথ্য পেলাম অন্য সহযোগী আসামীদের একজনের কাছে মৃত্য ব্যক্তির সেল ফোন টি আছে।এই আসামীর কাছ থেকে খুনের কিছু ক্লু পেলাম। নারী আর হুন্ডি দুটাই কারন।
এর পর শুরু হল অন্য আসামীকে গ্রেফতার করার চেস্টা...
মাঝখানের ৬০ দিনে ৩ বার মানববন্ধন হয়ে গেল পুলিশের বিরুদ্ধে। আসামী ধরতে না পারায়।
চলবে........
২| ১৩ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:৫৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
গল্প, ঘটনা?
৩| ১৩ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৪২
নতুন বলেছেন: বাস্তব ঘটনা কাহিনির থকেও জটিল হয়।++
ভাল লাগলো আপনি পুলিশ হয়েও ব্লগ লেখার মতন মন এখনো আছে। (ফেসবুক লিংকে তাই দেখলাম)
ব্লগে স্বাগতম... আশা করি নিষ্ঠার সাথে কাজের সাথে সাথে পুলিশকে ভালো করার জন্য কিছুটা চেস্টা করবেন... যদিও সাধারন সদস্য হিসেবে বেশি কিছু করা যায় না। তবুও আলো ছড়িয়ে দেয়ার চেস্টা করতে হয় নিজের স্হান থেকেই।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:৫০
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: মুদ্রার অপর পিঠ!! কিন্তু হেডই বেশী দেখা হয়।।।।