![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দামে কম মানে ভাল, বাংলাদেশী ডাক্তার
আজ বলবো কিছু সিভিল সিরিয়াল কিলারের কথা। সিরিয়াল কিলার আগেও ছিল, এখনও আছে। লিষ্ট করলে হয়তো এদের জন্যই একটা সিরিয়াল লিখতে হবে। আমি যাদের আজ পরিচয় করিয়ে দিব তাদের নিষ্ঠুরতা সব কিছুকে ছাড়িয়ে যায়। আমি হুবুহু অনুবাদ করছি তাই যারা দুর্বল হৃদয়ের তাদের না পড়ার অনুরোধ করছি।
১) John Wayne Gacy
John Wayne Gacy, যে "The Killer Clown" হিসাবে পরিচিত, সে তার পরিচিত জগতে ছিল একজন ভাল স্বামী, একজন ভাল পিতা। সে কত লোককে তার সারা জীবনে হত্যা করেছে তার সঠিক হিসাব আজও অজানা। তার এই কালজীবনের অধ্যায় প্রকাশ পায় যখন দুইটা টিনএজ ছেলেকে সেক্সুয়ালি এসাল্ট করার জন্য তার ১০ বছরের সাজা হয়। সময়টা ছিল ১৯৬৮ সাল। কিন্তু জেলে তার স্বাভাবিক ভাল ব্যবহার দেখে তার সাজা কমে যায়, মাএ ১৮ মাস সাজা কাটিয়ে সে ছাড়া পেয়ে যায়।
জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর সে বিয়ে করে।(কিছুদিন পর তাদের ডিভর্স হয়ে যায়, তার বৌ জেনে যায় যে তার স্বামী গোপনে একজন সমকামী) এবং খুব দ্রুত সে সমাজে খুব জনপ্রিয় একজন ব্যক্তি হয়ে যায়। সে "Pogo the Clown" এর পোষাক পরে বাচ্চাদের পার্টি ও অন্যান্য অনুষ্ঠানে ভলানটিয়ার ওয়ার্ক করতো। সে ছিল একজন সম্মানিত ব্যবসায়ী ও প্রতিবেশীদের কাছে প্রিয়।
পরের ছয় বছর, সে ফাইনালি গ্রেফতার হবার আগে সে নিম্নে ৩৩ জন পুরুষকে ক্যাডনাপ করে হত্যা করে। ডেডবডি গুলো সে তার বাড়ির সামনের বাগানে কবর দিত, যখন বাগানে আর জায়গা সংকুলান না হলো তখন সে ডেডবডি গুলোকে নিকটবর্তী নদীতে ফেলে দিত। সে তার শিকার হিসাবে ভাসমান টোকাই, পুরুষ প্রস্টেটিউট ও বাচ্চা ছেলেদের বাছাই করতো। সে তার শিকারদের অজ্ঞান করে তার গাড়িতে তুলতো, তাদের বাসায় এনে টরচার করতো, রেপ করতো সবশেষে হত্যা করতো। তার হবি ছিল এই সব হতভাগাদের হাড়গোড় সংগ্রহ করার। গ্রেফতার হবার পর তার বেসমেন্টে সাজিয়ে রাখা অসংখ্য হাড়গোড় পাওয়া যায়। যদি এই সব হাড়গোড় তার শিকার করা হতভাগাদের হয়ে থেকে তাহলে হিসাব মতে সে ছয় বছরে ৩৯৫ জনকে হত্যা করেছে। ১৯৯৪ সালে তার মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়।
[আমাদের দেশের রাজাকাররা এর চেয়ে অনেক বেশী ভয়ংকর]
২) Jeffrey Dahmer
Jeffrey Dahmer হলো আমেরিকার সবচেয়ে ভয়াবহ সিরিয়াল কিলার। ১৩ বছরের সে ১৭ জন পুরুষ ও বালককে হত্যা করে। তার হত্যা বলতে বুঝতে হবে, ধর্ষন, শরীর ব্যাবচ্ছেদ, নেকরোফিলিয়া(মৃতদেহের সাথে সহবাস),
ক্যানিবালিজম(নরমাংসভক্ষন)। তার অনেক ভিক্টিম পালাতে সক্ষম হলেও সে গ্রেফতার হয় যখন সে তার একজন ভিকটিমকে মৃত মনে করে ফেলে রাখে, কিন্তু ভিক্টিমটি জীবিত ছিল এবং জ্ঞ্যান আসার পর সে দৌড়ে রাস্তায় উঠে আসে এবং একটি পুলিশ গাড়ি থামাতে সমর্থ হয়। যখন পুলিশ এই সিরিয়াল কিলারের এপার্টমেন্টে প্রবেশ করে তারা ডিসটার্বিং পরিস্থিতি দেখে। তারা দেখতে পায় এই উম্মাদ লোকটি একজন ভিকটিমের মাথায় ড্রিলম্যাশিন দিয়ে ফুটা করতাছে, তার ভাষ্য মতে সে একজন "মাইন্ডলেস সেক্স স্লেভ" তৈরি করার চেষ্ঠা করতাছে। যখন তার ভিক্টিমরা মারা যেত তখন সে তাদের দেহের উপর "grotesque acts"(এইটার ব্যপারে আমার কোন আইডিয়া নাই) পালন করতো, সেই সাথে চলতো সেক্সুয়াল এসাল্ট, এবং মৃতদেহ খাওয়া।
১৯৯৪ সালে তাকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয় এবং তার জেলের সহকর্মী তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলে।
৩) Ted Bundy
এই সিরিয়াল কিলার ছিল খুবই সুদর্শন, বন্ধুবত্সল ও চার্মিং। সে চমৎকার বাকপটুও ছিল ফলে খুব সহজে সে তার শিকার মানে মেয়েদের পটিয়ে ফেলতে পারতো। তার এই সুদর্শন চেহারার পিছনের চেহারাটা বের হয়ে যেত। ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৮ সালের মধ্যে ৩০ জন মেয়েকে হত্যা করে। সে অশিকার করলেও তার বিরুদ্ধে আরও ৪০ জন মেয়ের হত্যা ও গুমের অভিযোগ আছে।
সে তার হিক্টিমদের বাড়িতে ঢুকে তাদের ঘুমের মাঝে তাদের হত্যা করতো। সে তার ভিক্টিমদের হত্যা করার পর রেপ করতো, টর্চার করতো তারপর তাদের শরীরের অংশ কেটে রাখতো সুভেনিয়ার হিসাবে। তার বাসা থেকে এমন অনেক শরীরের অংশ পাওয়া গেছে।
একটা শ্বাসরুদ্ধকর পুলিশি ধাওয়ার পর এই সিরিয়াল কিলার কে পুলিশ ধরতে সমর্থ হয়। ১৯৭৯ সালে তার মৃত্যুদন্ডাদেশ হয় এবং ১৯৮৯ সালে তাকে ইলেকট্রিক চেয়ারে বসিয়ে তা কার্যকর হয়।
৪) Gary Ridgway
Gary Ridgway, "Green River Killer" হিসাবে পরিচিত, ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ সালের ভিতর সে ৭১ জন নারী হত্যা করে। তার প্রথম ৫ জন ভিক্টিমকে গ্রিন রিভার থেকে উদ্ধার করা হয়, যার কারনে সে তার ঐ নিক পেয়েছে।
তাকে ধরা এতো সহজ ছিল না, কারন তার আইকিউ ছিল এভারেজের চেয়ে অনেক বেশী, স্কোর হিসাবে ৮২।
তার ভিক্টিমদের বেশিরভাগই ছিল প্রস্টেটিউট। সে তার ভিক্টিমদের রাস্তা থেকে তুলতো এবং তাদেরকে তার ছেলের ছবি দেখিয়ে বিশ্বাস অর্জন করতো। তারপর তাদেরকে নিজ হাতে হত্যা করতো। সে প্রায়ই সহবাসের জন্য ডেডবডির কাছে ফিরে আসতো। সে গ্রেফতার হয় যখন তার শ্রুক্রানু একজন ভিক্টিমের শরীরে পাওয়া যায়।
২০০১ সালে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এখন পর্যন্ত সে জেল কাটছে।
৫) Ed Gein
তার বিরুদ্ধে মাএ দুইটি হত্যার অভিযোগ থাকলেও তার কৃত নিষ্ঠুর পন্থায় হত্যার পদ্ধতি থেকে "সাইকো", "টেক্সাস চেইনসো ম্যাসাকার" ও "সাইলেন্স অফ দি অম্ব" মুভি তৈরির প্লট হয়েছে। আর কিছু বলার দরকার আছে কি?
সে তার ভাই ও মার সাথে ওয়াসিংটনে বাস করতো। তার বিরুদ্ধে তার ভাইকে হত্যার অভিযোগ ছিল কিন্তু পুলিশ তা প্রমান করতে পারে নাই। তার মা মারা যাওয়ার পর তার মানসিক অবস্থা ভেঙ্গে পরে, সে প্রায়ই মার কবরস্থানে যেত। এবং সদ্য মৃত মাঝবয়সী মহিলাদের বডি কবর খুরে বের করতো। তার বাসা থেকে মানুষের শরীরের চামড়া, খুলি দিয়ে তৈরি পানপাত্র, নাক, চুল, স্তনের বোটা দিয়ে তৈরি কোমরের বেল্ট পাওয়া যায়। তার ফ্রিজে ফ্রেশ মানুষের অর্গান পাওয়া যায়।
১৯৫৭ সালে সে গ্রেফতার হয়। ১৯৮৪ সালে হার্ট এটাকে তার মৃত্যু হয়।
৬) Henry Lee Lucas
একে বলতেই হবে সি-রি-য়া-ল কি-লা-র ... ২০ বছরে পুলিশ ৩৫০ জনকে হত্যার প্রমান করতে পেরেছে। কিন্তু এই সিরিয়াল কিলার ৬০০ লোককে হত্যার দাবী করেছিল। নিজের মা কে হত্যা করে সে তার "সিরিয়াল কিলার" ক্যারিয়ার শুরু করে।
"Henry, Portrait of a Serial Killer" মুভিটি তার জীবনের উপর বেস করেই বানানো।
৭) Aileen Wuornos
কয়েকজন মহিলা সিরিয়াল কিলারদের ভিতর সে একজন। মাএ দুই বছরে সে সাতজন পুরুষকে হত্যা করে। Actress "Charlize Theron" "Best Actress Academy Award" জিতে যান এই সিরিয়াল কিলারের চরিএে অভিনয় করে, মুভির নাম "Monster"।
এই সিরিয়াল কিলারের জীবনের পুরটা ছিল এবইউজ এবং উশৃংখলতায় ভরা। মাএ পনের বছর বয়সে তার একটি বাচ্চা হয়, তার আপন ভাই এর সাথেই তার নাজায়েজ সম্পর্ক ছিল, সে অনেক গুলো ব্যাংক ডাকাতির সাথে জড়িত এবং এসাল্ট কেস ছিল অনেক গুলো। সে নিজে লেসবিয়ান ছিল, তার যথেষ্ট টাকা পয়সা থাকার পরেও সে প্রস্টেটিউশন করতো। সে তার কাস্টমারদের গুলি করে হত্যা করতো।
১৯৯১ সালে সে গ্রেফতার হয় এবং ২০০১ সালে বিষাক্ত ইনজেকশন দিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়।
৮) Richard Trenton Chase
"The Vampire of Sacramento" বলা হয় তাকে। সে প্রথমে শুধু কুকুর-বিড়াল মেরে তাদের রক্ত পান করতো। মাঝে মাঝে সে কোকাকোলা ও রক্ত মিক্স করে ককটেল বানাতো। যখন তার এই কারনামা পুলিশের নজরে আসে তখন তাকে পাগলা গরদে পাঠানো হয়। চিকিৎসার পর সেখান থেকে বের হয়ে সে মানুষের রক্ত খাওয়া শুরু করে।
সে গ্রেফতার হবার আগে ৬ জন কে হত্যা করে, যাদের ভিতর দুইজন ছিল বাচ্চা, যাদের সে হত্যা করে তাদের রক্ত পান করে, রক্ত দিয়ে গোসল করে এবং তাদের পুরোপুরি খেয়ে ফেলে। ১৯৭৯ সালে সে গ্রেফতার হয়, এবং তাকে গ্যাসচেম্বারে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয় কিন্তু তার আগেই সে সুইসাইড করে।
৯) Andrei Chikatilo
ইউক্রেনিয়ান সিরিয়াল কিলার যার নিক ছিল "Butcher of Rostov," "The Red Ripper" ও "The Rostov Ripper"। জীবন দশায় সে ৫২ জন মেয়ে ও শিশু হত্যা করে।
তার প্রথম ভিক্টিম ছিল ৯ বছরের একটি মেয়ে শিশু। যখন সে শিশুটিকে হত্যা করে তখন সে আবিস্কার করে যে যখন সে শুধু হত্যার করে তখনই সে সেক্সুয়াল সেটিসফেক পায় ফলে সে একটার পর একটা হত্যা করা শুরু করে। ১৯৯২ সালে একবার কানের পিছনে গুলি করে তার মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়।
১০) Dennis Rader
১৯৭৪ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত সে নিন্মে ১০ জন কে হত্যা করে। সে BTK Killer হিসাবে পরিচিত,যার মানে "bind, torture, kill"। সে হত্যার বর্ননা লিখে পুলিশ ও লোকাল মিডিয়ার কাছে চিঠি পাঠাতো এবং ফ্লপিতে ভিডিও পাঠিয়ে দিত।
সে তার ভিক্টিমদের জ্ঞান না হারানো পর্যন্ত মারতে থাকতো, যখন তার ভিক্টিম আবার জ্ঞান ফিরতো তখন তাকে আবার মারা শুরু করতো।
তাকে ধরা হয় ডিলিট করা একটি ফাইল যা তার পাঠানো একটি ফ্লপি ডিক্স থেকে। ২০০৫ সালে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং লাইফ টাইমের জন্য তাকে জেলে পাঠানো হয়।
আমার অন্যান্য "কত অজানা রে" সিরিজ পড়ার অনুরোধ রইলো।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৪
সেচ্ছাসেবক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ...
২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৯
ফ্রাস্ট্রেটেড বলেছেন: মাইরালা, সবডিরে মাইরালা
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৩
সেচ্ছাসেবক বলেছেন: সবটি মরা ... ভয় নাই ... বাদাও, আপনের প্রফাইল পিক মানুষটা কোন এক হলিউডি মুভির কন্ট্রাক কিলারের সাথে মিল আছে, মুভিটার নাম মনে নাই বাট কিলার মার্ডার করে গ্যাস সিলিন্ডারের সাথে একটা পিস্টন লাগাইয়া।
৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৮
শান্তা273 বলেছেন: ভয় পাইছি!
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৫
সেচ্ছাসেবক বলেছেন: ম্যায় হু না / আর আমি না থাকলেও মাউন্টেন ডিউ আছে ... ভয়ের আগে জয় ...
৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩০
একাকী সমুদ্রে বলেছেন: ভাই আপনি কি রসু খাঁ এর কথা ভুইলা গেলেন? সেতো কম ছিল না এর চেয়ে :S
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৬
সেচ্ছাসেবক বলেছেন: রসু খাঁর কথা সবাই জানে ... ওকে, যারা জানে না তাদের জন্য,
নানা কৌশলে মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তাদের নিয়ে অভিসারে যাওয়ার কথা বলে একের পর এক হত্যা করে সে। শুধু খুনেই অবশ্য নরপিশাচের প্রতিহিংসার সমাপ্তি ঘটেনি। খুনের আগে কোনো কোনো ক্ষেত্রে দুর্ভাগ্যের শিকার ওই নারীদের ধর্ষণও করে সে। এসব অপকর্মে সঙ্গী ছিল তার ভাগ্নে জহিরুল। এই জহিরুলকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রসু খাঁর পিশাচজীবনের শুরু ২০০৭ সালের প্রথম দিকে শ্যালক মান্নানের স্ত্রী রীনাকে হত্যার মধ্য দিয়ে। রীনার বাড়ি হাতিয়ায়। তাকে মিথ্যা কথা বলে ফরিদগঞ্জের ভাটিয়ালপুরে এনে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর সে একে একে আরও ১০টি খুন করে। যাদের খুন করা হয় তাদের বয়স ১৭ থেকে ৩৫ বছরের ভেতর। হত্যার আগে শুধু পছন্দের নারীদের ধর্ষণ করত দাবি করে নরপিশাচ জানায়, সবাইকে সে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে।
চাঁদপুরের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমিরুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় গতকাল নরপিশাচ রসু জবানবন্দি দিয়েছে। এতে ফরিদগঞ্জে সংঘটিত সব খুনের বর্ণনা দেয় সে। সর্বশেষ গত ২০ জুলাই ফরিদগঞ্জের হাসা গ্রামের একটি খালপাড়ে রসু ও জহিরুল মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ শেষে খুন করে পারভীন বেগম নামের একজনকে। এর আগে ২০০৭ সালে ফরিদগঞ্জের ভাটিয়ালপুরে শহীদা নামে আরেক নারীকে ধর্ষণ করে খুন করে রসু। একই বছর ফরিদগঞ্জের প্রত্যাশী এলাকায় বন্ধু মানিকের প্রেমিকা আঙ্কুর বেগম বন্ধুৃর সঙ্গে প্রতারণা করায় ফরিদগঞ্জে এনে তাকে খুন করে রসু। এ খুনে মানিক ও বসু নামে আরও দু'জন তাকে সহায়তা করে। চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি টঙ্গীর বাড়িতে ভাড়া থাকার সময় ভাড়াটের ছোট ভাই শাহীনের সঙ্গে এক মেয়ে প্রতারণা করায় তাকেও ফরিদগঞ্জের হাসা গ্রামে এনে ধর্ষণের পর পানিতে ডুবিয়ে খুন করে রসু। ২০০৭ সালে এই গ্রামেই হোসনে আরা নামে একজন এবং সে বছরই বালিথুবায় বিআর খালে পলাশ নামে আরেক নারীকে নির্যাতন করে হত্যা করে সে। ২০০৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর ফরিদগঞ্জের নানুপুর খাল পাড়ে এনে ধর্ষণ শেষে খুন করে ফরিদপুুরের সহিদা বেগমকে। একই বছরের ২৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ বালিয়া গ্রামে এনে খুন করে কুমিল্লার মেয়ে কহিনূরকে। চলতি বছরের ১৩ মার্চ উপজেলার দুর্গাদি গ্রামে এনে খুন করে রংপুরের মেয়ে মেহেদীকে। ৬ জানুয়ারি চাপিলা বিলে এনে খুন করে ফরিদপুরের মেয়ে সহিদাকে।
যেভাবে আটক
রসু যেসব খুনের কথা বলেছে, সেগুলোর সব ক্ষেত্রেই লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কিন্তু এখনও তারা সবাই পুলিশের খাতায় অজ্ঞাতই রয়ে গেছে। নরপিশাচ রসুকে গ্রেফতারের ফলে ওই নারীদের লাশগুলো অজ্ঞাত পরিচয়ের হাত থেকে মুক্তি পাবে বলে পুলিশ ধারণা করছে। জবানবন্দি দেওয়ার সময় উপস্থিত তদন্তকারী উপ-পরিদর্শক মীর আবুল কাশেম সমকালকে জানান, ফরিদগঞ্জের ৬ নারী খুনের মধ্যে দুটি মামলার একটি তদন্তাধীন এবং অন্য চারটি আলামত না পাওয়ায় নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। কিন্তু এ দুর্ধর্ষ খুনি যে খুনের বর্ণনা দিয়েছে এবং আলামত ও যে জায়গায় সে খুন করেছে সে জায়গাগুলোর সঙ্গে ওইসব খুনের মিল পাওয়া যাচ্ছে। তাই ওইসব খুনের মামলা আবারও পুনরুজ্জীবিত করার সম্ভাবনা রয়েছে।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি রনজিত কুমার পালিত জানান, গত ৩ আগস্ট ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ স্থানীয় মসজিদের ফ্যান চুরির মামলায় রসুকে টঙ্গীর নিরাশপাড়া থেকে আটক করে। এরপর তার মোবাইলের সূত্র ধরে পুলিশের সন্দেহ হয়, সে স্থানীয় এক কিশোরী হত্যায় জড়িত থাকতে পারে। সে সময় রসু জামিনে মুক্ত ছিল। পরে ৭ অক্টোবর রাতে তাকে টঙ্গী থেকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে পারভিন আক্তারকে খুনের কথা স্বীকার করে। তারপর তিন দিনের রিমান্ডে একে একে তার হাতে সংঘটিত খুনের কাহিনী বেরিয়ে আসতে থাকে।
[ব্লগার এস এম এ যাহিদ এর পোষ্ট থেকে কপি-পেষ্ট]
৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৭
নাইট বার্ড বলেছেন: ভাই আপনি কি রসু খাঁ এর কথা ভুইলা গেলেন? সেতো কম ছিল না এর চেয়ে
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৮
সেচ্ছাসেবক বলেছেন: আগের মন্তব্যে দিয়েছি ...
৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৭
সুপারনোভা ০০৭ বলেছেন: আসলেই কত আজব জিনিস আছে আমাদের এই দুনিয়ায়। অনেক কিছুই আমরা জানি না। পোস্ট প্রিয়তে।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০০
সেচ্ছাসেবক বলেছেন: ভাল লাগলে আমার "কত অজানা রে" সিরিজ পড়ার অনুরোধ রইলো। ... ধন্যবাদ ...
৭| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫০
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
এই পার্টটা ইন্টারেস্টিং হৈসে ||
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০২
সেচ্ছাসেবক বলেছেন: বলেন কি ??? আগের পার্টগুলো কি ইন্টারেস্টিং ছিল না ????
৮| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৬
জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: ওরে কত অজানারে!!!!
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৬
সেচ্ছাসেবক বলেছেন: আসলেই .... সিরিজ টা যে কত বড় হবে আল্লাহই জানে .... কন্টিনিউ করার চেষ্টা করবো ....
৯| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১৮
ফ্রাস্ট্রেটেড বলেছেন: ঠিকই ধরেছেন... ঐ লোকও কিন্তু একটা বেশ সিরিয়াল কিলার।
nO coUntry fOr oLd mEn
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৫২
সেচ্ছাসেবক বলেছেন: আজব , মুভিটা আমি কয়েকবার দেখছি, নামটা মনে পরলো না কেন ??? হুম ... অভিনেতার এটিচিউড ছিল দেখার মত ...
১০| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:১৩
আমিই মিসিরআলি বলেছেন: +++++++++
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৮
সেচ্ছাসেবক বলেছেন: ধন্যবাদ ...
১১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬
অনির্বাণ রায়। বলেছেন: আরো কত সাইকো যে এখনো খুন করে যাছে
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩০
সেচ্ছাসেবক বলেছেন: হ ভাই ... ছোটবেলায় আমার এইম অফ লাইফ ছিল কন্ট্রাক কিলার হওয়া ... স্নাইপার রাইফেল দিয়া চাঁদে বসে পৃথিবীর মানুষ মার্ডার করার প্লান করতাম
১২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৩
রাসেল ভাই বলেছেন: বিচিত্র এই পৃথিবি বিচিত্র সব মানুষ কত অজানারে ।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩১
সেচ্ছাসেবক বলেছেন: আসলেই কত অজানা রে ...
১৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৩
অভি৯১৭৫ বলেছেন: Zodiac এর কথা কি ভুলে গেলেন! পিশাচদের তালিকা হলে Zodiac এর নাম আসা উচিত!
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১১
সেচ্ছাসেবক বলেছেন: Zodiac এর কথা যে ভাবি নাই তা না , আসলে এরিয়ে গেছি। আসলেও কি ছিল এমন কেও ?? মুভিটা দেখেছি কয়েকবার ... আইডিয়া নাই ...
১৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৪
শুঁটকি মাছ বলেছেন: ভয় খাইচি!!!!!!!!!!!!!
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৯
সেচ্ছাসেবক বলেছেন: কন কি ??? কিআরলাই ??
১৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০২
অভি৯১৭৫ বলেছেন: @ সেবক ভাই Zodiac একটি বাস্তব চরিত্র। এবং এই নিয়ে সামুতে বেশ তথ্য পূর্ণ পোস্ট আছে। নাফিজ ভাইয়ের এই ব্লগটা দেখতে পারেন।
Click This Link
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৩
সেচ্ছাসেবক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ... পড়লাম ... মুভিটি আগেই দেখা ছিল ... মিস্টিরি অফ হিস্টিরি ...
১৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৯
অহন_৮০ বলেছেন: সোজা প্রিয়তে
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৩
সেচ্ছাসেবক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ...
১৭| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:১৫
শের শায়রী বলেছেন: ভাই জ্যাক দ্যা রিপার কই?
১৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২২
সেচ্ছাসেবক বলেছেন: পড়িনাই তার ব্যপারে। আপনি জানেন কিছু, তাহলে জানান, আমি এড করে দিব।
১৮| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮
শের শায়রী বলেছেন: “মিষ্ট্রিয়াস রেপিষ্টঃ জ্যাক দ্য রিপার” আনসলভড মিষ্ট্রি
আর আমি একটা রহস্যর সংকলন করছি। আপনার লেখাও আছে
বিভিন্ন ব্লগারের শের শায়রীর প্রিয় কিছু রহস্যময় পোষ্ট লিঙ্ক সহ। রহস্যের দুনিয়ায় স্বাগতম
ভাল থাকুন ভাই
১৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৩৯
সেচ্ছাসেবক বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই ... আমি কান্নাকাটি শুরু করে দিছি আমার নাম দেখে ... আপনাকে ধন্যবাদ ....
১৯| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯
অনিকেত রহমান বলেছেন: ভাই সিরিয়াল কিলারদের নিয়ে আমার অনেক আগ্রহ কিন্তু অন-লাইনে তাদের নিয়ে লেখা কোন বাংলা অনুবাদ গ্রন্থ,উপন্যাস বা গল্প পাচ্ছি না, যা পাচ্ছি সব ইংলিশ ।। আপনার কাছে যদি কোন ডাউনলোড লিংক থাকে আশা করি দিবেন।।
লাস্ট একটা বই পড়ে ছিলাম "কিস দ্যা গার্লস" অসাম ছিল।।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৭
সাগর হাসি বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম।