নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ শুধু মানুষের জন্য না, জগতের সকলের জন্য

গরল

জগতের সকল প্রাণী শান্তি লাভ করুক

গরল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৃষ্টি শেষে সোনালী আঁকাশ - সূর্যাস্ত দেখতে বসিলায়

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৭



ঢাকার দূষিত বায়ু ও ঝাপসা আকাশ দেখতে দেখতে চোখ ক্লান্ত হয়ে যায় তাই মাঝে মাঝে সাইকেল নিয়ে চলে যাই একটু বাতাস খেতে সাথে নদীর বুকে সূর্যাস্ত দেখতে পাওয়াটা বোনাস। গত শুক্রুবার গিয়েছিলাম বসিলা ব্রিজ পার হয়ে কেরাণীগঞ্জ, মোহাম্মাদপুর থেকে মাত্র ১৫ মিনিটের রাস্তা। যাওয়ার সময় মেঘ ছিল আকাশে, বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে সাইকেল চালাব এটাই চাচ্ছিলাম মনে মনে, সেই আশাও পূরণ হয়ে গেল। সবচেয়ে সবচেয়ে ভালো লাগলো বৃষ্টি শেষে পরিষ্কার আকাশে ডুবন্ত সূর্যের সোনালী আভা। হয়ত খুবী সাধারণ দৃশ্য তবুও ভালো লেগে গেলো অনেক। আরো ভালো লাগলো নদীর বুকে সূর্যের আলোকচ্ছটা, নদীর পানিটাও পরিষ্কার, টলটলে, বুড়িগঙ্গার মত কালো না তাই আরো ভালো লাগলো। ছবিটা হ্য়ত তুলতে পারি নাই তবে দৃশ্যটা আসলেই অসম্ভব সুন্দর ছিল যা বলে বুঝাতে পারব না। দিয়াবাড়ি, ৩০০ ফিট, আশুলিয়া অনেক যায়গায় গিয়েছি কিন্তু বসিলায় নদীর উপর সোনালী আকাশের প্রতিচ্ছবি এরকম আগে কখনও দেখি নাই, এমনকি পদ্ম নদীর বুকেও না, কারণ হয়ত পদ্মার পানিও অনেক ঘোলা। এর আগেও বসিলায় গিয়েছি তবে সঠিক সময়ে বৃষ্টি ও গোধুলী না থাকায় এরকম দৃশ্য অবলোকন করার সুযোগ হয় নাই। ক্যামেরা নিয়ে গেলে হয়ত আরও ভালো ছবি তোলা যেত। ব্লগের ফটোগ্রাফারদেরও আমণ্ত্রণ জানাচ্ছি যায়গাটা একবার ভ্রমণ করে কিছু ভালো ছবি তুলে আনার।

পরের ছবি দুইটা বৃষ্টির হওয়ার আগে যখন ব্রিজ পার হয়ে কেরাণীগঞ্জের দিকে যাচ্ছিলাম। ব্রিজ পার হওয়ার দশ পনেরো মিনিটের মধ্যেই বৃষ্টে শুরু হয়ে গিয়েছিল। আগের ছবি দুইটা ফেরার পথে যখন ব্রিজ পার হচ্ছিলাম, ততক্ষনে বৃষ্টি শেশ হয়ে গিয়েছিল। অবশ্য বলা যেতে পারে বৃষ্টি শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। মাঝে মাঝে প্রকৃতিক দৃশ্য অবলোকন করলে চোখ ও মনের প্রশান্তি আসবে ও একঘেয়ামি কেটে যাবে। তাই সবাইকে আহবান করব প্রতি সপ্তাহে না হোক অন্তত মাসে একবার হলেও একটু গ্রামের দিকে যেয়ে ঘুরে আসবেন, বা সময় কাটাবেন। তাতে করে অনেক মানসিক অশান্তি বা দুশ্চিন্তা দুর হয়ে যাবে। একটু নিরিবিলি যায়গায় যাবেন, যেখানে সচরাচর মানুষের ভীড় কম হয়, মানুষের ভীড়ে গেলে আমার স্ট্রেসতো কমেই না, আরো বেড়ে যায়। তাই কক্সেস বাজার যেয়ে আমি তেমন কোন আনন্দ পাই না বা কোন পিকনিকে যেয়েও না। বড় জোড় বউ আর মেয়েকে নিয়ে নিরিবিলি কোথাউ যাই।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২

অচেনা হৃদি বলেছেন: প্রথম দুটো ছবি দেখে কর্ণফুলি নদী মনে করেছিলাম! ;)

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২২

গরল বলেছেন: হমম বার্জ দেখে সরকম লাগে তবে কর্ণফুলি হলে শত শত জাহাজ থাকত। বুঝতেই পারছ যে আমি বাংলাদেশেই থাকি তবে জাপানে তিন বছরের কিছু বেশি সময় থেকেছিলাম চাকুরীর সুবাদে প্রায় বছর দশেক আগে।

২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫

নীল বরফ বলেছেন: চমৎকার হয়েছে এই সোনালী সূর্যাস্ত । :)

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২২

গরল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।

৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৯

অপ্‌সরা বলেছেন: বাহ ভাইয়া এই বসিলার খবর তো আমি জানতাম না!

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২৪

গরল বলেছেন: মোহাম্মাদপুর বাসস্ট্যান্ডের থেকে বেরিবাধের দিকে গেলে এক কিলোমিটারের মত। তবে যেতে হবে বর্ষাকালেই কারণ অন্যসময় পানি থাকবে না।

৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:১২

অর্ক বলেছেন: দারুণ ছবি পোস্ট! আপনি কি নতুন কোনও ক্যামেরা কিনেছেন?

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২৭

গরল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অর্ক ভাই, আপনার মত একজন ফটোগ্রাফারের কাছ থেকে দারুন শব্দটা শুনে আমি বিগলিত। না ভাই ক্যামেরা আর কেনা হয় নাই তবে একটা ৫০এমএম১.৪ লেন্স কিনেছি আমার অলিম্পাস মিররলেস খেলনাটার জন্য। আশা করছি যে খুব শীঘ্রই ক্যানন বা নাইকনের ফুলফ্রেম মিররলেস বের হলে কিনব একটা, তাই অপেক্ষা করছি।

৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: ছবি গুলো কি সন্ধ্যার আগে তুলেছেন?

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২৮

গরল বলেছেন: জ্বি ভাই, ঠিক সন্ধ্যার বা সূর্য্য ডোবার ৭-৮ মিনিট আগেই তুলেছি।

৬| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


এটা কোন নদী? মানুষ কি মাছ ধরছিলো নদীতে?

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২

গরল বলেছেন: নদিটার নাম জানি না, তবে মিরপুর আমিন বাজার ব্রিজের নিচ দিয়ে যে নদি গিয়েছে সেটাই এদিকে আশছে, সেই হিসেবে এটার নাম তুরাগ হওয়ার কথা। নদিতে দুরে একটা নৌকা দেখা যাচ্ছিল যে দিকটায় বার্জ দেখা যাচ্ছে তার উল্ট দিকে তবে সেটা মাছ ধরার নৌকা ছিল কিনা বলতে পারব না।

৭| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৪

আখেনাটেন বলেছেন: বর্ষাকালে নদীগুলো মনে হয় পূর্ণ যৌবনা হয়ে উঠে।

চমৎকার ছবি বিশেষ করে প্রথম দুটি। এগুলো কি এডিট করা নাকি ন্যাচারাল।

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৭

গরল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, বর্ষাকালটা আসলেই নদিদের জন্য যৌবন নিয়ে আসে। মোবাইল এর স্মার্ট অটো মোড এ তোলা, মানে হচ্ছে র বিটম্যাপ কে প্রসেস বা এডিট করে জেপিজি ইমেজ হিসাবে সেভ করে। সেই হিসেবা বলা যায় এডিট করা, এবং ডিএসএলআরেও অটো মোডে ছবি তুললে সে প্রসেস করেই ফটো সেভ করে। তবে আমি নিজে এডিট করিনি।

৮| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৬

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আরো কিছু ছবি দিলে মন্দ হতো না....

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:০৩

গরল বলেছেন: বৃষ্টিতে ভিজেছিলাম তাই আর বেশি ছবি তোলা হয় নাই, ছবি তোলার প্রস্তুতি নিয়ে গেলে হয়ত তুলতে পারতাম। অনেক ধন্যবাদ, শুভকামনা রইল।

৯| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪২

সনেট কবি বলেছেন: ছবি ও পোষ্ট দু’টোই বেশ ভাল লেগেছে।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:০৬

গরল বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ সনেট কবি ভাই, ভাল লেগেছে জেনে আপ্লুত হয়ে গেলাম।

১০| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১০

রাকু হাসান বলেছেন: প্রথম ছবিটা তো একদম প্রফেশনাল মানের লাগলো আমার ,বাকি গুলোও খারাপ হয়নি ।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৪১

গরল বলেছেন: এই প্রথম কেউ আমার ছবিকে প্রফেশনাল মানের বলল, খুবই আনন্দিত। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই রাকু হাসান, শুভকামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.