নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ শুধু মানুষের জন্য না, জগতের সকলের জন্য

গরল

জগতের সকল প্রাণী শান্তি লাভ করুক

গরল › বিস্তারিত পোস্টঃ

করোনা ভাইরাস থেকে কি বাংলাদেশ ফায়দা নিতে পারে?

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৩

চীনে বাদুরের ভাইরাস করোনা এখন মানুষের শরীরে ভর করেছে তার প্রধান কারণ হচ্ছে তাদের খাদ্যাভাস। চীনাদের অনেক প্রধান খাবারই অল্প আঁচে রাননা করা হয় বা সিদ্ধ করে খাওয়া হয়। সাধারণত আমরা জানি যে পানিতে যতই তাপ দেওয়া হোক না কেন তার তাপমাত্রা কখনই ১০০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের বেশী বাড়ে না। তবে এর মধ্যে লবণ দ্রবিভূত হলে কিছুটা বাড়ে। যদিও পানি ফুটালে বেশীর ভাগ ব্যাকটেরিয়া মারা যায় তা কমপক্ষে ১০ মিনিট ফুটাতে হয়। তবে মাংস বা হাড়ের অভ্যান্তরের তাপমাত্রা অল্প আঁচে নাও বাড়তে পারে আর বেশিক্ষন রান্না না করায় কিছু জীবানু বেচে যাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না। তবে আমরা যেভাবে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে খাবার খাই তাতে সেই সম্ভাবনা নাই বললেই চলে। একটাই সম্ভবনা শুধু হাচি, কাশি বা থুতু থেকে বা একই গ্লাসে পানি খেলে এই রোগ ছড়ানোর সম্ভবনা থেকেই যায়।

যাই হোক আমার উদ্দেশ্য এসব নিয়ে ঘ্যান ঘ্যান করা না, এগুলো সবাই আমার চেয়ে ভালোই জেনে গেছেন। আমি শুধু এখানে একটা সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। করোনার কারণে কিছুটা হলেও চীনের রফতানিতে টান পড়েছে আর চীনের কিছুটা মানেই বাংলাদেশের অনেক বিরাট কিছু। সেটা তৈরী পোষাক থেকে শুরু করে ইলেকট্রনিকস বা খাদ্যপণ্য অনেক কিছুই হতে পারে। তবে খাদ্যপণ্যের সুযোগটা সবচেয়ে বেশী। বিশেষ করে লবণ, আলু, চিংড়ি, সামুদ্রিক মাছ, তেলাপিয়া আর পাংগাস। কানাডাতে দেখলাম চাইনীজ তেলাপিয়া দিয়ে সয়লাব, পাংগাসতো আমেরিকাতেও ভালো চাহিদা আছে। এগুলো বাংলাদেশে ব্যাপক হারে চাষ হয় কিন্তু চাহিদা নিতান্তই কম হওয়ায় দাম অনেক কম। আলুর মৌসুমে আলু পঁচে নষ্ট হয়। এছাড়াও পেট ফুডের সাপ্লাইও কিন্তু কম না, বাংলাদেশ থেকে গরু ছাগল, মুরগী এমন কি মাছের নাড়ি-ভুড়ি পর্যন্ত চীনে রফতানি হয় যা দিয়ে ওরা পেট ফুড বানািয়ে রফতানি করে। এটাও কিন্তু অনেক বড় অংকের বাণিজ্য যা সহযেই আমরা আয়ত্ত করতে পারি। মাছের আঁশ দিয়ে একধরণের রেজিন বানায় যা বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য আর আমাদের দেশের অধিকাংশ মাছেই আঁশ থাকে।

Bangladesh now world's 3rd inland fish producer - Daily Star

ডেইলি ষ্টার এর রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশে বছরে মাছের উৎপাদন ৪১ লাখ টন যা থেকে অন্তত ১ লাখ টন আঁশ ও আরও ১ লাখ টন নাড়ি-ভূড়ি আমরা বর্জ্য আকারে পাই যা থেকে বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বাণিজ্য হতে পারে যা ইতিমধ্যে চীন করে যাচ্ছে। একই ভাবে পোল্ট্রির উৎপাদনও কিন্তু কম না। মুরগির নাড়ি-ভূড়ি পেট ফুড ও পালক থেকে কৃত্তিম তুলা ও তন্তু ও তাপ নিরোধক তৈরী হয় যা জ্যাকেটের ভেতরে ব্যাবহৃত হয়। পশু-পাখি ও মাছের নাড়ি-ভূড়ি থেকে কিন্তু সার্জিক্যাল সুতাও তৈরী হয় যেটাতে চীন এখন এক নম্বর রফতানিকারক। এটাও কিন্তু চায়নার একচেটিয়া বাণিজ্য। অতএব সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলে সম্ভাবনা অনেক।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



মাছের আঁশ থেকে কি তৈরি হয়?

বাংলাদেশের বিবিধ মাছ আসছে বিদেশে, এগুলোর মুল ক্রেতা বাংগালীরা/

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২১

গরল বলেছেন: https://www.amazon.com/Mermaid-Scales-Resin-Copper-Earrings/dp/B06XR1MCRM

এছাড়াও Collagen নামক একপ্রকার প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট ও শিল্পকারখানায় ব্যাবহৃত Resin, Fertilizer এবং বেটা ক্যারোটিন মেডিসিন এর কাঁচামাল তৈরী হয়।

২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৫

একাল-সেকাল বলেছেন:
দেশের রাজনৈতিক দুর্নীতির দুর্বৃত্ত পরায়নতা হতে বাহির না হয়ে এসবে হাত দিলে এই বাঙালি জাতি ডাইনোসরের মত বিলুপ্ত হয়ে যাবে, কিছু বুঝে ওঠার আগেই।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ভোর ৬:১৭

গরল বলেছেন: আশা করি সেরকম কিছু না হোক, ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১০

জাতির বোঝা বলেছেন: ব্যাংকের আমানত এর নিরাপত্তা নিয়ে কিছু কথা বলুন।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ভোর ৬:১৯

গরল বলেছেন: আমি আসলে ব্যাংকিং বা অর্থনিতী কম বুঝি তাই এই বিষয়ে যারা জ্ঞানী তারাই কিছু বলুক। না বুঝে সব বিষয় নিয়ে বলাটা মঙ্গলজনক না।

৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: পারমাণবিক বোমায় মানুষ মরার পর আবিষ্কারক কইতাছে, "আমিতো নিজের সুরক্ষার জন্য বানাইছিলাম। মানুষ-এর অন্যায় ব্যবহার করছে।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ভোর ৬:২০

গরল বলেছেন: কথায় যুক্তি আছে, একেবারেই উড়িয়ে দেবার মত না।

৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশ থেকে কেহ ভয়ে খাবার নিতে চাহে না।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ভোর ৬:২১

গরল বলেছেন: ঠিক বলেছেন তবে অবস্থার উন্নতি হচ্ছে দিন দিন।

৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টে এবং প্রতিমন্তব্যে বেশ কিছু চমৎকার তথ্য দিয়েছেন, এজন্য ধন্যবাদ। নাড়িভুঁড়ি না হোক, অন্ততঃ মাছের আঁশ রপ্তানি করে ফায়দা নেয়ার বিষয়টি আরো গভীরভাবে বিবেচনা করা দরকার। কিন্ত আমরা এমনই বিষ এবং ভেজালপ্রিয় নোংরা জাতি, আমাদের মাছ মাংস, আলু পটল, শাক সব্জী কোন কিছুই বেশি দিন বিদেশের বাজারে প্রবেশাধিকার ধরে রাখতে পারবে না।
(দ্রষ্টব্যঃ ঠাকুরমাহমুদ এর সাম্প্রতিক পোস্ট- "তাজা শাক সবজি নামে আমরা কি খাচ্ছি?")
পোস্টে প্রথম প্লাস টি রেখে গেলাম। + +

১৭ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:০৩

গরল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ খায়রুল ভাই, দুখিত দেরিতে উত্তর দেওয়ার জন্য। আসলে অনেকদিন ব্লগে আসা হয় নাই তাই দেরি হল, আশা করি ক্ষমা করবেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.