নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ শুধু মানুষের জন্য না, জগতের সকলের জন্য

গরল

জগতের সকল প্রাণী শান্তি লাভ করুক

গরল › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনি কি ভুসি মালের ব্যাবসা করবেন না পোল্ট্রি ফিডের ডিলারশিপ নিবেন?

২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৩:০৯

বিদ্র: এটা কোন ব্যাবসা সংক্রান্ত পোষ্ট না, সামুর ব্লগিয় পরিবেশ নিয়ে আলোচনা।

আমার এক খালাতো ভাই, আমার চেয়ে দুই বছরের বড়, দেখতে সুদর্শন, লেখাপড়ায় ভালো ও বেশ টাকা পয়সাও আছে। তবে কথাবার্তায় অতটা স্মার্ট না। আজ থেকে প্রায় ২৫-৩০ বছর আগের কথা, জেলা শহরে বাসা, ঢাকায় এসেছে মাষ্টার্স এ পড়তে জগন্নাথ এ। ঢাকায় এসে অনে সুন্দরি মেয়ে দেখে পাগল হয়ে গেল প্রেম করার জন্য। প্রথম দর্শনে তাকে অবজ্ঞা করার আসলে সহজ না, সে এতটাই সুদর্শন। তবে যে মেয়েই পটায় ধরে রাখতে পারে না। আমি এত দিনে ব্যাপারটা ধরে ফেলেছি। কিছুদিন গেলেই মেয়েরা জানতে চায় বাবা কি করে, খুবই স্বাভাবিক। ছোট হলেও আমাদের সম্পর্ক ছিল বন্ধুর মত। তাকে আমি পরামর্শ দিলাম, ভাই বাবা কি করে জানতে চাইলে দয়া করে বলবেন না ভুসি মালের ব্যাবসা করে। ভাই আমাকে জিজ্ঞাসা করল তাহলে কি মিথ্যা কথা বলব? আমি বললাম না তা কেন তবে বলবেন পোল্ট্রি ফিডের ডিলারশিপের ব্যাবসা করে। আমার পরামর্শটা কাজে লেগেছিল।

যাই হোক গল্পটা বললাম এই কারণে যে সামান্য একটু ভাষার ব্যাবহার অনেক কিছু পরিবর্তন করে দিতে পারে। বন্ধু শত্রু হয়ে যেতে পারে আবার শত্রুও বন্ধু হয়ে যেতে পারে। ব্লগে কি আমরা কেউ কারো শত্রু না আমাদের কারো সথা কারো স্বর্থের টানাপোড়ন আছে? ব্লগে গত কয়দিন ধরে যা চলছে তাতে মনে হচ্ছে সামনা সামনি থালে আর একটা নিউ মার্কেটের ঘটনা ঘটে যেত। সব কিছুর সুত্রপাত আমার মনে হয় ভাষার অনিয়ন্ত্রিত ব্যাভার নিয়ে। একজন আর একজনকে আক্রমণ করবে, কটাক্ষ করবে, অপমান করবে, তিরষ্কার করবে বা একজন আর একজনের খারাপ কাজের প্রতিবাদ করবে, পোষ্ট দিবে, মন্তব্য করবে এটা তো খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু তিরষ্কার, আক্রমণ বা প্রতিবাদের ভাষা যেমন শালিন হতে হবে ঠিক তেমনই সহমত পোষণ বা প্রসংশার ভাষাও শালিন হতে হবে। কোন একটা প্রতিবাদ বা কটাক্ষমূলক পোষ্টে দেখা যায় কমেন্ট গুলো যেন আরও বেশি আক্রমণাত্মক বা অশালীন হয়।

উদাহরণ স্বরুপ উল্লেখ করতে পারি যে, কাল্পনিক_ভালোবাসা ভাই তার একটা পোষ্টে এরকম কপি পোষ্ট নিয়ে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তাকে চড়ম ভাবে তিরষ্কার করেছেন কিন্তু ভাষা কিন্তু ছিল যথেষ্ট শালীন। একজন অন্যায় করলে আর একজন প্রতিবাদ করবে বা করা উচিৎ, এতে কোনই দ্বিমত নেই। তবে প্রতিবাদের ভাষাটা নিয়েই যত সমস্য। আপনি চোর বা চুরি করেছেন না বলে আপনি কপি করেছেন বললে একই অপরাধ বুঝায়, ভাষার তারতম্যে অপরাধের কোনই তারতম্য হয় না। তবে লাভ যেটা হবে যে ভাষা শালিন হলে হ্য়ত ভূল বুঝা বা ভূল স্বিকার করার একটা অনুপ্রেরণা পেতে পারে। আর ভাষা খারাপ হলে যেটা হয় যে দেখা মাত্রই হয়ত মাথা গরম হয়ে যায় আর তখন আরও বেশি উল্টাপাল্টা মন্তব্য, পোষ্ট আসা শুরু হয়। ঠিক যেমন একজন খারাপের একটা লিষ্ট দিলে অপর পক্ষেরও একইরকম হওয়াটাই স্বাভাবিক। এবং এটা চেইন রিঅ্যাকশনের মত বৃদ্ধি পেতেই থাকে।

ভাষা যে মানুষকে কতটা পরিবর্তন করতে পারে তার একটা দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছে ব্লগার জ্যাকেল। যে পোষ্টে ব্লগার জ্যাকেল কে নিয়ে চড়ম অশালীন কথা বলা হয়েছে ঐ পোষ্টেই ব্লগার জ্যাকেল এর মন্তব্যের প্রতিউত্তরে লেখক বলেছেন উনি মেনে নিয়েছেন এবং তাকে বুকে জড়িয়ে ধরার কথাও বলেছে। চাঁদগাজীকে কেন তাহলে আপনারা দুর করলেন? উনার কটাক্ষমূলক ভাষার কারণেই তো। এখন তাহলে নিজেরাই আবার উনার চেয়েও আপত্তিকর ভাষা ব্যাবহার করছেন। তাহলে আপনাদের প্রতিবাদের উদ্দেশ্যটা আসলে কোথায় দিকনির্দেশ করে? আমরা যারা লিখতে আসি না, শুধু পড়তে আসি তারা আশা করি ভালো কিছু পড়ার। তবে একটা বিষয় খুবই আশ্চর্য্য লাগে যে ভালো লেখার চেয়ে এসব আক্রমণাত্মক লেখাগুলোই কেন যেন বেশি বেশি উৎসাহ ও আকর্ষণ লাভ করে। এটাও কি আমাদের চরিত্রের ভেতরে রুপটাই প্রতিফলিত করে না?

মন্তব্য ৮৩ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৮৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৩:২১

সোনাগাজী বলেছেন:



চাঁদগাজীকে কেন ব্যান করা হয়েছে, তা সময়ের সাথে বেরিয়ে আসবে; চাঁদগাজী নিক থেকে পোষ্ট পড়ে সঠিক মন্তব্য করার চেষ্টা ছিলো সব সময়।

ব্লগটা কিন্ডারগার্টেনের অভিযোগ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৭:২০

গরল বলেছেন: আপনার মন্তব্য সঠিক ছিল কিন্তু ভাষার ব্যাবহার বেশ রূঢ় ছিল, সেটাই সবার গায়ে লাগত। কিন্তু এখন বেশ অশালীন শব্দের চল শুরু হয়েছে আর সেজন্যই আমি মনে করি আপনাকে ব্যান করা অন্যায় হয়েছে।

২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৩:৩১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:



চমৎকার গোছানো লেখা। বিষয় বস্তু পরিষ্কার।
সকলের বোধগম্য হওয়ার কথা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে কাজের ক্ষেত্রে এই সব ভুলে যায় অনেকেই। তখনই সৃষ্টি হয় ক্যাচাল।
পোস্টে +

২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৭:২৩

গরল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, ব্লগে আসলে শান্তি চাই। এসব কারণে অনেকেই লেখালেখি বাদ দিয়ে চলে গেছে। unconscious biases বলে একটা কথা আছে, মনে হয় সেটাই এখন চেপে বসেছে।

৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৪:৫৮

শায়মা বলেছেন: হুম ভাষার ব্যবহার!
অবশ্য অবশ্য জরুরী বিষয়।
কিছুদিন আগে আমার এক কাজিনও বলছিসলো জানিস তোর দুলাভাই বাড়িতে একরকম ভাষা ইউজ করে বাইরের লোকের সাথে উনি বিনয়ের অবতার। সবাই তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। আহা সে যদি বাড়িতেও এমন করে কথা বলতো।
আমরা সব সময় বাড়িতে মা বাবা ছেলেমেয়েদের সাথে হা্সব্যান্ড ওয়াইফ নিজেদের সাথে একটু থেকে একটুতেই যে ভাষায় কথা বলে তা যদি আর একটু ভদ্রভাবে বলতো তো পৃথিবীতে অনেক ঝামেলা অশান্তিই মিটে যেত।
কিন্তু আমরা তা করি না।


আবারও একটা কথা আছে কিছু বেয়ারা মানুষ আমাদের পরিবার ও সমাজে থাকে তাদের জন্য আবার সোজা আঙ্গুলে ঘি তো উঠেই না আঙ্গুল বাঁকা করার পরেও নো পাত্তা। মানে তারা বেয়াড়া বা নির্লজ্জ হয়। :(

আবার কিছু মানুষ আছে তারা হয় গোয়ার গোবিন্দ। আমি যা বলছি তাই রাইট। তোদেরকে আমি যাই করিস তাই নিয়ে কিছু একটা বলবোই এবং কারো ইমোশনের তোয়াক্কা না করে অপমানের চিন্তা না করে যা খুশি তাই বলে বুঝি আমি হিরো হবো। এসব মানুষ আবার গায়ে মানে না আপনি মোড়ল। :(

কি আর করা ভাইয়া পৃথিবীতে ১২ রকম নাকি মানুষ। সবাইকে নিয়েই এই দুনিয়া। তায় আবার বাঙ্গালী মানুষ। আমেরিকায় গেলেও এই স্বভাব ছাড়তে পারবে না। উন্নত দেশে গিয়ে দেশের বদনাম আবার উন্নত দেশে গিয়েও নিজের অনুন্নত স্বভাব প্রদর্শনই তাহাদের কাজ। :(

সেই জন্যই মাঝে মাঝে আইনের আওতায় ফেলে টুটি চেপে ধরা ছাড়া আর উপায় থাকে না। :(

কিন্তু এই সব গোয়ার গোবিন্দ, বেয়াড়া গায়ে মানে না আপনি মোড়লদের কান্ড কারখানা দেখে মাঝে মাঝে আইন) আন্ধা কানুন হয়ে যায়। :(

২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৭:৩১

গরল বলেছেন: যথার্থই বলেছেন, মোটামুটি ভাবে অনেকেই বাসায় একরকম আর বাহিরে অন্যরকম ব্যাবহারে অভ্যাস্থ। তাদের ক্ষেত্রেই এই সম্ভবনাটা থাকে যে বাহিরেও হটাৎ হটাৎ ঘরের ব্যাবহার টা চলে আসে। আর এটাই আসলে ঘটছে ব্লগেও, কিন্তু সেটা যখন আবার আরও দশ জনের উৎসাহ পায় তখন আরও বহুগূণ বেড়ে যায়। আমার কথা হল একজন দুজন এমন করতেই পারে, সেখানে বাকিরা কেন উৎসাহ যোগাবে, উৎসাহ না পেলে এমনিতেই কমে যেত।

৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৫:০০

অধীতি বলেছেন: সময়টা অস্বস্তিকর। সাধারণ পাঠকরা কাকে ভাল আর কাকে নিন্দা করবে তাতেও বিপত্তিতে আছে। সব মিলিয়ে যা দেখতে পাচ্ছি এখানেও এখানেও এক ধরনের চক্র তৈরি হচ্ছে যেটা সামুর জন্য ক্ষতিকর না ভাল সময়ই বলে দিবে।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৭:৩৯

গরল বলেছেন: পাঠদেরতো কোন ব্লগার বা ব্যাক্তি বিশেষকে ভালো খারাপ যাচাই করার কোন দরকার নাই। তারা সমালোচনা করবে নির্দিষ্ট কোন লেখার বা মন্তব্যের। তাহলেই আশা করি এই সমস্যা আর থাকবে না। মানুষ হিসেবে কাউকে ভালো খারাপ যাচাই করার কোনই যৌক্তিকতা দেখি না। আবার খারাপ লিখলে সেটা সমালোচনার করার দরকার হলেও ভাষা শালীন থাকলে খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা না।

৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৫:০২

রেজাউল৯৭ বলেছেন: মডারেটরকে তৈল দিয়ে কি পাবার আছে?

মডারেটর একজন কপিবাজকে "এরশাদ " বলে সম্মধন করেছেন। আবার বলেছেন ডাক্তার দেখাতে।
এগুলো আপনার নিকট শালীন ভাষা মনে হয়?

২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৭:৪২

গরল বলেছেন: এই যে আপনি বললেন কপিবাজ, এটা কি চোর বলার চেয়ে অনেক বেশি শালীন নয় কি? আমি এটাই বুঝাতে চেয়েছি। মডারেটর কে তেল মেরে আমার আসলে কিছুই পাবার নাই। আমার কাছে এটা চড়ম অপমানজনক তিরস্কার মনে হেয়েছে তবে অশালীন মনে হয় নাই।

৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৫:১২

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আপনার চিন্তাভাবনা যথেষ্ট পরিষ্কার আর সেকারণেই লেখাটিও চমৎকার গোছানো হয়েছে।

ভালো লেখার চাইতে আক্রমণাত্মক লেখাগুলোর প্রতি কারো অধিক আকর্ষণের কারণ হিসাবে বিশেষ কারো প্রতি ব্যক্তি আক্রোশ বা কোনো কিছুকে টু পার্সোনালি নেয়াটা কাজ করেছে বলে আমার মনে হয়েছে। তাই অনেকের পোস্টও সেই একই ধরণের ক্যাচালের লুপে আবর্তিত হয়েছে বারংবার।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৭:৫০

গরল বলেছেন: আপনার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত, ব্যাক্তির প্রতি আক্রোশ থেকেই এরকম হয়েছে। আর এই আক্রোশটাও জন্মেছে যথেচ্ছ ভাষা ব্যাবহারের করার কারণেই। আমরা যদি ভাষা ব্যাবহারে মার্জিত হই তাহলে হয়ত এতটা আক্রোশ জন্মাত না। আক্রোশ থেকে এখন ঘৃণার পর্যায় চলে যাচ্ছে সেটাই চিন্তার কারণ।

৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৫:১৯

আশিকি ৪ বলেছেন: আমি আসলে বুঝতে পারছিনা অপু আসলে কি চায়? সে ত একজন ব্লগার। কপি পেস্ট বন্ধ করা তার কাজ নয়। সেটা মডারেশনের কাম। মডারেশনের কাম মডারেটর করুক। মডারেশনের পতি এত্তটুকু সম্মান তো প্রদর্শন করুক। আমি তার পুষ্টে একখানা ভাল মন্তব্য করলাম সে ব্যাক্টি আক্রমণ করে মন্টব্যের জবাব দিল সুধু শহমত ভাই হই নই তাই। এইডা কিছু হৈল? এই মন্তব্য করাড় পর দেখবেন দলবল নিয়ে আমার উপ্রে জাফিয়ে পড়বে। এর উদ্দেশ্য পরিষ্কার নয়। এ কি রাজিভ ব্লগ আউট করতে চায় কিনা বুঝতে পারছিনা। কপি পেস্ট বন্ধ করার জন্য জানা আছেন। কাভা আছে। গুটা মডারেশনের সবাই আছে। অপু ও তার দলবল এত্তগুলা ফুস্ট ক্যান দিলেন বুজতে পারসিনা।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৮:০৭

গরল বলেছেন: আক্রমণ ও প্রতি-আক্রমণ ছিল, আছে থাকবে তবে তা শালীন ভাষায় হওয়া বাঞ্চনিয়। আমি শুধু এটাই বুঝাতে চেয়েছি, আপনার এবং উনার দুজনেরই ভাষা শালীন ছিল।

৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৫:২১

সত্যপীরবাবা বলেছেন: আপনার মূল বক্তব্যের সাথে সহমত যে পোস্টে অশালিন/অশ্লিল ভাষা ব্যবহার করা উচিত নয়।

কিন্তু আপনার উদাহরনের সাথে একমত নই -- চুরি, চোর, অপব্লগার এইগুলো কোনো অশালিন বা অশ্লিল শব্দ না, বিশেষ করে যখন প্রমানসহ ব্যবহার করা হয়। প্রমানসহ কোন ব্লগারকে চোর বলা অথবা ব্লগার লেখা চুরি করেছেন বলা যদি অশালিন হয় তাহলে প্রমানসহ কোন পাকি ব্লগারকে রাজাকার/জামাত-শিবির বলাও অশালিন? প্রমানের সত্যতাই বিশেষায়িত শব্দের যথার্থতা নির্ধারন করে --- প্রমানটা মহাজাগতিক কবির বিমূর্ত প্রমানের মত না হলেই হল।

ব্লগের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের কারন দেখি না --- ব্লগ এর চাইতেও কঠিন আর উত্তাল সময় পার হয়ে এসেছে। পরিস্থিতির সুযোগে একদল, পুরানো ব্লগীয় ভাষায়, "হুদাই পাট লইতেসে" নিজেদের পোস্ট হিট করানোর জন্য, একজন খাবলা-খাবলি কপি-পেস্ট নির্ভর "সম্পাদনা" মডু কর্তৃক নিষিদ্ধ হওয়ায় এখন ব্যস্ত অখাদ্য কোবতে যত্রতত্র গুঁজে দিয়ে নিজের চৌর্যবৃত্তির সাফাই গাইতে। আর মজলিশে সুরার সদস্যরা চাঁদগাজির সাঙ্গপাঙ্গদের এই সুযোগে "সাইজ" করার চেষ্টা-তদবির চালাচ্ছে। কোনটাই ব্যাপার না, কয়দিন পর সবারই উত্থিত অনুভূতি ন্যাতায় যাবে। তবে কোবতে আর চুরি-চামারি চলতেই থাকবে -- সাময়িক ভাটার টান আসতে পারে বড়জোর।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৮:২১

গরল বলেছেন: চোর, অপব্লগার, পাকি, জামাত-শিবির শব্দগত ভাবে কোন অশালীন শব্দ না, আমি আপনার সাথে একমত। তবে কাউকে যখন সরাসরি বলা হয় তখন সেটা অশালীন লাগে। যেমন ধরুন যৌনতা কি কোন অশালীন শব্দ? তবে আমরা যদি বলি আমি যৌনক্রিয়া খুব পছন্দ করি সেটা নিশ্চই শালীন শুনাবে না যদিও কথাটা বেশির ভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই সত্য। কিছু কথা নিশ্চই ভদ্রতার খাতিরে ঘুরিয়ে বলবেন।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:১১

গরল বলেছেন: একজন সহনশীল বা বন্ধুভাবাপন্ন মানুষ কখনই তার সহকর্মী, সহ ব্লগার, প্রতিবেশি, বন্ধু বা কাউকেই আপনি চোর বলতে পারে না। একটু ঘুরিয়ে বলবে যে আপনি যেটা করেছেন সেটাকে চুরি বলে। ঠিক সেরকম অমুক বা তমুক অপব্লগার, পাকি, জামাত-শিবির না বলে নির্দিষ্ট কোন পোষ্ট বা মন্তব্য উল্লেখ করে বলতে পারে এটা অপব্লগিং, বা পাকি বা জামাত-শিবিরের মত মানসিকতা বা লেখা বা চিন্তা ভাবনা। আর সেটাই হচ্ছে শালীনতা।

৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৬:১২

প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: আমরা উপরে উঠতে চাইনা(যোগ্যতা নাই ) ,
কাউকে উপরে উঠতে না দিলেই ,নিজের উচ্চতা প্রতীয়মান।
সহজ ফর্মুলা (রক্তে মিশে গেছে,ফিল্টার নেই )

২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৮:২৭

গরল বলেছেন: এখানে উপরে উঠা বা নিচে নামার কি আছে ব্লগে? কেউ একটু বেশি পপুলার আর কেউ একটু কম এই তো। এখানে সমস্যা হচ্ছে যে ব্যাক্তি আক্রোশটা ঘৃণার পর্যায় চলে যাচ্ছে যেটা মোটেও শুভ লক্ষণ না।

১০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৭:০৪

নিমো বলেছেন: এসব লেখায় লাভ হবে না। ঠাকুর মাহমুদ সঠিক অনুধাবন করেছেন। ব্লগ এখন চর দখলের পর্যায়ে চলে গেছে। তবে কাল্পনিক ভালোবাসার উদাহরণ পড়ে হাসি পেয়ে গেল (আপনি বোধহয় উনার সব মন্তব্য পড়ে দেখেন নি)। একই সাথে বাঘের বাচ্চা বললে প্রশংসা আর অন্য কিছুর বাচ্চা হলে কুৎসা এগুলোও ভেবে দেখার মত। আপনার লেখা শেষ তিনটা লাইনের উত্তরেই লুকিয়ে আছে সমাধান।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৮:৩৭

গরল বলেছেন: না আমি উনার সব পোষ্ট পড়ি নাই, গত কয়েক মাস হল ব্লগে নিয়মিত তাই যেটা চোখে পড়েছিল সেটার কথাই বলেছি। ঠাকুর মাহমুদ ভাই অভিজ্ঞ ব্লগার উনি সঠিক বিশ্লেষণ করেছেন। স্বামী বিশুদ্ধানন্দ ভাই বলেছেন এটা হচ্ছে ব্যাক্তি আক্রোশ তবে আমি দেখতে পাচ্ছি ঘৃণা আর এই ঘৃণার মূল কারণ হচ্ছে অশালীন ভাষা প্রয়োগ। আমরাতো এখানে সবাই বুঝতে পারছি যে কে কি করছে, কে কি বলছে। তাই প্রতিবাদ স্বরুপ একজন একটা পোষ্ট দিল সবাই সেটাতে আকমত পোষণ করল ঠিক আছে। কিন্তু সেটা নিয়ে একের পর এক আক্রমণাত্মক পোষ্ট আর একই কথা বার বার বলে তো কোন লাভ নাই।

১১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৭:৫৭

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া
বাঘ সিংহ ও শেয়ালের একটা গল্প আছে।

শেয়াল চতুর ও ধূর্ত। সে বাঘকেও মামা বলে সিংহকেও মামা বলে।
তো বাঘকে গিয়ে বললো বাঘ মামা সিংহ তো আপনাকে চোর বলেছে। বাঘ বললো কি!!!!!!!!!! এত বড় কথা? তো সেই শেয়াল আবার সিংহকেও গিয়ে বললো সিংহ মামা আপনাকে বাঘ কপিবাজ বলেছে। সিংহ বললো কি এত বড় কথা?

তারপরের দিন বাঘ আর সিংহ একে অপরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লো আর শেয়াল দূরে দাঁড়িয়ে বলতে লাগলো মামার জয় মামার জয়.......

বাঘ আর সিংহ দুজনেই উৎসাহ পেতে থাকলো কারণ দুজনকেই শেয়াল মামা ডাকে।

কাজেই দুইজন মারামারি করে মরলো আর শেয়াল মামা ডেকে দুজনকেই উৎসাহিত করলো।

কি মজা!

২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৮:৩৯

গরল বলেছেন: হাহাহাহা, মজা পেলাম, সেটাই ঘটছে ব্লগে। তবে ভাগ্নের সংখ্যা বেশি হয়ে গেছে এটাই সমস্যা।

১২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:০৪

জুল ভার্ন বলেছেন: ব্লগে এখন চলছে খিস্তিখেউড় এর মচ্ছব- এটাই যেনো ব্লগিং!

২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:০৩

গরল বলেছেন: একজন দুইজন খিস্তিখেউর করবে এটা মেনে নেওয়া যায় কিন্তু সেটা চেইন আকারে চলতে থাকবে এবং অনেকেই তাতে ইন্ধন যোগাবে সেখানেই সমস্য।

১৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:০৪

নিমো বলেছেন: লেখক বলেছেন: স্বামী বিশুদ্ধানন্দ ভাই বলেছেন এটা হচ্ছে ব্যাক্তি আক্রোশ তবে আমি দেখতে পাচ্ছি ঘৃণা আর এই ঘৃণার মূল কারণ হচ্ছে অশালীন ভাষা প্রয়োগ।
এটা হচ্ছে, কারণ ব্লগ এখন আর ব্লগ নেই। এটা ব্লগের গন্ডী পেরিয়ে ফেসবুকে চলে গেছে। অনেকে ব্লগের বিষয়বস্তু নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বসেন। ব্যস হয়ে গেল।

আমরাতো এখানে সবাই বুঝতে পারছি যে কে কি করছে, কে কি বলছে। তাই প্রতিবাদ স্বরুপ একজন একটা পোষ্ট দিল সবাই সেটাতে আকমত পোষণ করল ঠিক আছে। কিন্তু সেটা নিয়ে একের পর এক আক্রমণাত্মক পোষ্ট আর একই কথা বার বার বলে তো কোন লাভ নাই।
হ্যাঁ নেই। কারণটা উপরেই বললালম। যেখানকার সমস্যা সেখানেই মেটানো উচিত। সমস্যা হল ব্লগে আপনি সেটা ফেসবুকে নিয়ে গিয়ে সমস্যা বাড়ালেন। এরজন্য ব্লগ কর্তৃপক্ষ, মডারেটরের কাণ্ডজ্ঞানহীনতাই দায়ী। ব্লগের ফেসবুক গ্রপ খুলে সেখানেই সরব থাকা, অনেক লেখা গ্রুপে আসে, ব্লগে আসে না, আলাদা ই-মেইল গ্রুপ খোলা, ব্লগের চেয়ে ফেসবুককেই প্রাধান্য দেয়া। চ্ক্র একদিনে হয় না। এটা আমার- আপনার কাজ নয়। হয় ব্লগ কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতা নেই, নতুবা জনবল নেই। সেক্ষেত্রে ব্লগ সঠিক পথেই আছে। সত্যপীরবাবার ভাষায় বলি কয়দিন পর সবারই উত্থিত অনুভূতি ন্যাতায় যাবে। তবে কোবতে আর চুরি-চামারি চলতেই থাকবে -- সাময়িক ভাটার টান আসতে পারে বড়জোর। ভালো থাকুন।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:০৭

গরল বলেছেন: তাই নাকি, জানতাম নাতো যে সামু এখন ফেসবুকে চলে গেছে। ফেসবুক আমি খুব একটা ব্যাবহার করি না কারণ সেটা হয়ে গেছে অকম্যাদের লম্ফঝম্ফের যায়গা। সামুর কোন টিকটক পেজও ( টিকটকে পেজ না প্রোফাইল, কি বলে আমি জানি না) আছে নাকি?

১৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:১৪

সোনাগাজী বলেছেন:



@জুল ভার্ন,
আপনি বলেছেন: ব্লগে এখন চলছে খিস্তিখেউড় এর মচ্ছব- এটাই যেনো ব্লগিং!

-আপনি চাঁদগাজীকে ও সোনাগাজীকে বস্তির ভাষায় গালি দিয়েছেন, চাঁদগাজীকে হেয় করার জন্য গাধা নিয়ে অনেকগুলো পোষ্ট করেছেন।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:০৩

গরল বলেছেন: দেখা যাক উনি আপনার মন্তব্যের কি জবাব দেন।

১৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৫৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: এসব বন্ধ হোক।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:০৩

গরল বলেছেন: আমিও সেটাই চাই, অনেক ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।

১৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৪৩

রানার ব্লগ বলেছেন: অশালীন শব্দ কখনোই ব্যাবহার করা উচিৎ নয় তা সে ব্লগে হোক আর ব্যাক্তি জীবনে হোক তারপরেও আমরা ব্যাবহার করি, কেনো করি ? কারন যখন আমাদের প্রতিবাদ জানানোর ভাষা হারিয়ে যায় তখন অশালীন শব্দ ব্যাবহার করে সর্বচ্চ অসুন্তষ্ট প্রকাশ করি ।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:০৮

গরল বলেছেন: যত অসন্তুষ্টি বা ঘৃণাই থাকুক না কেন ভাষার ব্যাবহার মার্জিত হওয়া কাম্য। তারপরেও কেউ যদি অশালীন ভাষা ব্যাবহার করে সেটা তার স্বাধিনতা। আমাদের কিছুই বলার নেই। ধন্যবাদ।

১৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:১০

প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: লেখক বলেছেন: এখানে উপরে উঠা বা নিচে নামার কি আছে ব্লগে? কেউ একটু বেশি পপুলার আর কেউ একটু কম এই তো। এখানে সমস্যা হচ্ছে যে ব্যাক্তি আক্রোশটা ঘৃণার পর্যায় চলে যাচ্ছে যেটা মোটেও শুভ লক্ষণ না
কেউ একটু বেশি পপুলার আর কেউ একটু কম এই তো

..............................।
মন্তব্য করে ভুল করেছি। দয়া করে মুছে দিবেন দুটি মন্তব্যই
.......................................
প্রথমত
ব্লগ শুধু নয় ভুসি মাল বিষয়টাও এসেছে ,অর্থাৎ জীবনের প্রায় সকল ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
দ্বিতীয়ত
কেউ একটু বেশি পপুলার আর কেউ একটু কম এই তো অর্থাৎ অবস্থান গত ভাবে, কেউ একটু উপরে কেউ একটু নিচে ,জীবনের প্রায় সকল ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
তাই মন্তব্য করেছিলাম -
প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: আমরা উপরে উঠতে চাইনা(যোগ্যতা নাই ) ,
কাউকে উপরে উঠতে না দিলেই ,নিজের উচ্চতা প্রতীয়মান।
সহজ ফর্মুলা (রক্তে মিশে গেছে,ফিল্টার নেই )

২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:০৯

গরল বলেছেন: আপনি আপনার মতামত প্রকাশ করেছেন আমি আমারটা করেছি। আপনার মতামতের অসম্মান তো করি নাই, এখানে মতামত করে ভূল করেছেন এই কথা আসল কেন বুঝলাম না।

১৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:১৪

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: চাঁদগাজী আর রাজীব ছাড়া এই ব্লগে অন্যরা সব ধোয়া তুলসি পাতা।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:২৯

গরল বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই তো নিজেকে বদলে নিয়েছেন, অনেক সতর্ক ভাবে মন্তব্য করেন। রাজীব ভাই কেও আরও সংযত হতে হবে। খারাপের লিস্ট, অপব্লগারদের লিস্ট, এসব না করলেই ভালো আমার মতে। এসব করে ব্লগে শুধু আক্রোশই বাড়ে, পরিবেশ নষ্ট হয়।

১৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৩২

ঢাবিয়ান বলেছেন: আর ইউ নিকটা খুব সম্ভবত কারো মাল্টি নিক। ক্য্যচাল বাধাানো ছাড়া কোন বস্তুনিষ্ঠ পোস্ট এই নিক থেকে দেখিনি। ব্যক্তিগত আক্রমন যেই নিক থেকেই করা হোক না কেন তা কোন অবস্থাতেই গ্রহনযোগ্য্ নয় । কপি পেস্ট লেখা দিয়ে কেউ যদি ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ করে থাকে, তবে সেই লেখার বিরুদ্ধে রিপোর্ট করাই যথেষ্ঠ। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ব্লগ মডারেটরতো আছেই। কিন্ত যেভাবে এই ইস্যূতে 'চোর চোর " ডেকে ব্যক্তি আক্রমন করা হচ্ছে তা কোন অবস্থাতেই গ্রহনযোগ্য্ নয়। ।ব্লগার রাজীব নুরের সাথে আমার যত মত পার্থক্যই থাকুক না কেন , তাকে চোর ডেকে হেনস্তা করার কোন অধিকারই আমার নাই। শুধু রাজীব নুরই নয়, ব্লগের বয়োজোষ্ঠ ব্লগার শাহ আজিজকে পর্যন্ত উক্ত নিক থেকে চোর আখ্যায়িত করা হয়েছে।ব্লগার রাজীব নুর , শাহ আজিজ স্বনামে ব্লগিং করেন। সমাজে তাদের একটা মান সম্মান আছে। ব্লগের মত জায়গায় তুচ্ছ কপি পেস্ট করার জন্য্ কি তাদের চোর ডাকা যায় ?

ব্লগার চাঁদ্গাজী যাকে তাকে ইচ্ছেমত জামাত শিবির, প্রশ্নফাশ জেনারেশন , পিগমি ইত্যাদি ট্য্যাগ করে ব্যক্তিগত আক্রমন করে বেড়াতেন। আমিসহ আরো অনেক ব্লগার এ কারনে তার বিরুদ্ধে জোড়ালো অবস্থান নিয়েছিলাম। ব্লগ কতৃৃপক্ষ সেই মাফিক ব্যববস্থাও নিয়েছেন। ঠিক সেই একই কারনে আমি ব্লগ কতৃৃপপক্ষ বরাবর ''আর ইউ'' নিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলাম। ব্যক্তিগত আক্রমন যেই নিক থেকেই করা হোক না কেন , আমার অবস্থান সব সময় একই থাকবে।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:৩৬

গরল বলেছেন: কপি-পেষ্ট নিয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে চাইলে করতেই পারেন, বার বার একই কাজ হতে থাকলে প্রতিবাদ করাই উচিৎ। তবে সেটা শালীন ভাবেও করা যায়, আমি সেটাই বলছি। তবে নির্দিষ্ট কোন উদ্দেশ্য নিয়ে কোন নিক খোলা হয়েছে কিনা সেটা মডারেটর দেখবে, আপনার সেরকম মনে হলে আপনিও প্রতিবাদ করে পোষ্ট করতে পারেন।

২০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৪৬

আরইউ বলেছেন:




@ঢাবিয়ান
সামোহোয়ারইন ব্লগ লেখালেখির একটা প্ল্যাটফর্ম। লেখালেখির জগতে সবচেয়ে বড় অন্যায় যেটা আপনি করতে পারেন সেটা হলো কারো লেখা প্লেজিরাইজ করা। প্লেজিয়ারিজমের কাকে বলে “the practice of taking someone else's work or ideas and passing them off as one's own.” [সূত্রঃ https://languages.oup.com/google-dictionary-en]

প্লেজিয়ারিজমের বাংলা কী? বাংলা হচ্ছে “কুম্ভীলকবৃত্তি” বা আরো সহজ বাংলায় “চুরি”। নিচের স্ক্রিনশট দেখুনঃ


ছবি দেখা না গেলে গুগল ট্রান্সলেটে সার্চ করুন।

এখন, বলুন যে অন্যের লেখা প্লেজেরাইজ করে তাকে লেখা চোর ছাড়া আপনি আর কী বলতে পারেন। সেই অপকর্ম যেই করুক, সে সমাজের যত সন্মানিত ব্যক্তিই হোন না কেন তাকে তার কৃত অপকর্মের দায় নিতেতো হবে, নাকি?

২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:৪৫

গরল বলেছেন: ইংলিশে plagiarism এর synonym হিসেবে অনেকগুলো শব্দ যেমন copying, infringement of copyright, piracy, theft, stealing অনেক কিছুই আছে। চুরির মামলা ফৌজদারি অপরাধ, লেখা চুরি কিন্তু ফৌজদারি অপরাধ না। চুরির মামলা কিন্তু Criminal court এ হয় আর plagiarism এর মামলা হয় Civil court এ। অতএব পার্থক্য যে আছে সেটা তো অনস্বিকার্য। আর তাই লেখা চোর কে চোর বলা আমার মতে সঙ্গত নয়।

২১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৫৬

জটিল ভাই বলেছেন:
পোস্টের মূলবক্তব্য অনেকে বুঝছে না, নাকি বুঝেও বুঝছে না বুঝতে পরলাম না। লেখক বলছেন শালীণ প্রতিবাদের কথা, আর অনেকে বুঝতে চাইছে প্রতিবাদহীণতা। সত্যিই সেকুলাস! বড়ই আশ্চর্যজনক এই ব্লগ!

২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:৪৬

গরল বলেছেন: এক কথায় আমার পুরো পোষ্ট এর মর্মার্থ বুঝিয়ে দিয়েছেন। চমৎকার, অসংখ্য ধন্যবাদ।

২২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:১৫

নিমো বলেছেন: ঢাবিয়ান বলেছেন:ব্লগের মত জায়গায় তুচ্ছ কপি পেস্ট করার জন্য্ কি তাদের চোর ডাকা যায় ?
হাসালেন। কপি-পেস্ট তুচ্ছ নয়, তা সেটা ব্লগই হোক বা অন্য কোথাও। এখন কপি-পেস্ট অভিযোগের সুযোগে কাউকে ব্যাক্তি আক্রমণ, আক্রোশ মেটানো বা ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে কিনা সেটাতো কর্তৃপক্ষ দেখবেই বলেছে। সেই পর্যন্ত ধৈর্য্য রাখুন না।

ঢাবিয়ান বলেছেন:লেখার বিরুদ্ধে রিপোর্ট করাই যথেষ্ঠ।
লাল পতাকা কখনো ব্যবহার করেছেন বলেতো মনে হয় না। আমি কোন এক পোস্টে একটি মন্তব্য করায়, জনৈক শান্তিনগরের জমিদার আমাকে যা নয়, তাই লিখে পোস্ট দিয়েছিলেন। লাল পতাকার সাহায্য নিয়ে লাভ হয় নি। তাই আমাকেও বাধ্য হয়ে কিছু প্রতিমন্তব্য করতে হয়েছিল যা, অনেকাংশে Ad hominem.

২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:৫২

গরল বলেছেন: ইংলিশে plagiarism এর synonym হিসেবে অনেকগুলো শব্দ যেমন copying, infringement of copyright, piracy, theft, stealing অনেক কিছুই আছে। চুরির মামলা ফৌজদারি অপরাধ, লেখা চুরি কিন্তু ফৌজদারি অপরাধ না। চুরির মামলা কিন্তু Criminal court এ হয় আর plagiarism এর মামলা হয় Civil court এ। অতএব পার্থক্য যে আছে সেটা তো অনস্বিকার্য। আর তাই লেখা চোর কে চোর বলা আমার মতে সঙ্গত নয়।

২৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:৪৯

সোনাগাজী বলেছেন:



@ঢাবিয়ান,

চাঁদগাজী নিক ব্যান হওয়ার পর আপনিও এখন ক্রেডিট দাবী করছেন; তবে, চাঁদগাজী নিককে আপনার বা অন্য কোন নিকের চাপে ব্যান করা হয়েছে বলে আমি মনে করি না। চাঁদগাজী নিককে কেন ব্যান করা হয়েছে সেটা সামুটিম জানে। যথাসম্ভব, উনার লেখার চিন্তাভাবনা ও ধারণার জন্য ব্যান করা হয়েছে।

চাঁদগাজী নিককে আক্রমণকারী ১৭৮টি নিক, যেগুলোকে সামু "ব্যান করেছে", সেসব নিক যখন চাঁদগাজীকে আক্রমণ করে যাচ্ছিলো, আপনি তাদের থামতে বলেছিলেন?

২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:৫৪

গরল বলেছেন: আশা করি এমন কোন কিছু খুঁজে পেলে অন্য নিক ও ব্যান করা হবে।

২৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:০২

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: বাংলা অভিধান থেকেই এই শব্দ গুলি বাদ দেওয়া দরকার। তাহলে আর কেউ ঐ খারাপ শব্দ গুলি ব্যবহার করতে পারবে না।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:৫৮

গরল বলেছেন: আপনি হয়ত বুঝতে ভূল করেছেন পুরো পোষ্ট এর মর্মার্থ। জটিল ভাই এর মন্তব্যটা দেখুন তাহলে বুঝবেন আমি আসলে কি বুঝাতে চেয়েছি। ৮ নং মন্তব্যের উত্তরে আমি বলেছি কিভাবে শালীন শব্দের প্রয়োগও অশালীন হতে পারে। ধন্যবাদ।

২৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৪১

মিরোরডডল বলেছেন:




পোষ্টের সাথে সহমত, অশালীন শব্দ ব্যবহার কাম্য না ।

কাউকে চোর বললে হয়তো অফেন্সিভ শোনায় কিন্তু কেউ লেখা চুরি করলে যদি তাকে লেখা চোর বলা হয়,
সেটা অশালীন কিছু না ।
হতে পারে সে মানুষ অনেক ভালো কিন্তু সে যে লেখা চুরি করে তার এই কাজটা অবশ্যই খারাপ কাজ আর
তারজন্য তাকে লেখা চোর বলাই যায় ।



২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:৫৩

গরল বলেছেন: ইংলিশে plagiarism এর synonym হিসেবে অনেকগুলো শব্দ যেমন copying, infringement of copyright, piracy, theft, stealing অনেক কিছুই আছে। চুরির মামলা ফৌজদারি অপরাধ, লেখা চুরি কিন্তু ফৌজদারি অপরাধ না। চুরির মামলা হয় Criminal court এ হয় আর plagiarism এর মামলা হয় Civil court এ। অতএব পার্থক্য যে আছে সেটা তো অনস্বিকার্য। আর তাই লেখা চোর কে চোর বলা আমার মতে সঙ্গত নয়।

২৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৩:৩৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সত্যি বলতে সামগ্রিক ঘটনা খুবই বিরক্তিকর। এই বিষয়ে সত্যি বলতে কোন ব্যাখ্যা দিতে ইচ্ছে করছে না। তারপরও আপনার যৌক্তিক পোস্টটি আমার পছন্দ হওয়াতে নিজের অনুভুতি প্রকাশ করতে আসলাম।

কপি পেষ্ট করা অবশ্যই অন্যায়, এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই এবং আমরা এই সকল জিনিসকে উৎসাহ দিতে পারি না।

ব্লগার রাজীব নূর এবং চাঁদগাজী উভয়ই ভালো ব্লগার কি মন্দ ব্লগার আমি সেই বিচারে যাবো না, তবে ব্লগার হিসাবে তাঁরা উভয়ই ব্লগকে সম্মান দেখাতে পারেন নি। ব্লগ টিম তাদেরকে বার বার সর্তক করা স্বত্তেও তারা নিজেদেরকে সংশোধন করেন নি।

রাজীব নূর কপি পেষ্ট করেন - কোন সন্দেহ নেই। যিনি কপি পেষ্ট করবে তার ব্যাপারে অভিযোগ করা আপনার দায়িত্ব। আমাদের চোখে পড়লে আমরা ব্যবস্থা গ্রহন করি বা অন্য কেউ আমাদেরকে জানালে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করি। কিন্তু ব্যাপার হচ্ছে এই যে রাজীব নূর লেখা কপি পেষ্ট করেন সেটার ব্যাপারে কবে থেকে "সবাই" সোচ্চার?

সহজ উত্তর হচ্ছে - ব্লগার চাঁদগাজীর পক্ষ হয়ে অতিরিক্ত সাফাই গাইবার পর "সবাই" তার এই লেখা চুরির ব্যাপারে সোচ্চার হয়েছেন। তাহলে কি এর আগে তিনি লেখা কপিপেষ্ট করতেন না? অর্থাৎ অন্যের লেখা নিজের নামে প্রকাশ করতেন না?

আমি জানি না। তবে ধারনা করা যায় হয়ত করতেন।

এবার আসুন ব্লগার চাঁদগাজীর ব্যাপারে। প্রথমে উনার কিছু ভালো দিক বলিঃ
তাঁর লেখার হাত বেশ ভালো। তাঁর যাপিত জীবন, স্মৃতিচারন বা সুক্ষ কৌতুকবোধ সম্পন্ন যে কোন লেখা পাঠক প্রিয়তা পায়। মাঝে মাঝে তিনি রাজনৈতিক বিশ্লেষনও ভালো করেন। সবচেয়ে বড় কথা - তিনি এমন অনেক লেখার কঠোর সমালোচনা করেন যা আমরা অনেক সময় চক্ষু লজ্জায় করতে পারি না। তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য তিরস্কার হলো - প্রশ্নফাঁস জেনারেশন। ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখলে এটা আসলে ব্যক্তি আক্রমন না। এটা এক ধরনের তিরস্কার!

উনি ব্লগারদের প্রতি মানবিক। তাঁর প্রতি ঘৃণা পোষন করে বা কট্টর সমালোচনাকারীদের কেউ কেউ কোন কারনে ব্লগে না থাকলে তিনি মেইল করে খোঁজ খবর নেন, জানতে চান, তাদের ব্যাপারে। ব্যক্তিগতভাবে আমি শুধু একবারই তাঁকে জনৈক ব্লগারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে দেখেছি।

এবার আসি তাঁর খারাপ দিক সম্পর্কেঃ
তিনি অনেক সময় ক্ষেপে গিয়ে বা ব্যক্তিগত তরল অবস্থায় অত্যন্ত আপত্তিকর ভাষায় সমালোচনা করেন যা মূলত ভয়াবহ ব্যক্তি আক্রমন। তিনি মনে করেন, তিনি যাকে যা ইচ্ছে যেভাবে খুশি বলতে পারেন। এটাই ব্লগিং বা বাকস্বাধীনতা। তিনি অন্যের বিপরীত চিন্তার মনভাবকে সহজে গ্রহন করতে চান না। তিনি অন্যকে অহেতুক রাগিয়ে তার সাথে অন্যায় রসিকতা করার চেষ্টা করেন। সবাই এই ধরনের রসিকতার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে না।

সবচেয়ে বড় খারাপ দিক - ব্লগের নীতিমালার প্রতি তাঁর নুন্যতম শ্রদ্ধাবোধ নেই। থাকলে তিনি অন্যায়ভাবে ব্যক্তি আক্রমন করা থেকে ব্যহত থাকতেন এবং নিজেকে শুধরে নিতেন। তিনি নিজেকে অপরিবর্তনশীল রেখে মূলত ব্লগটিমকে বুঝিয়েছেন - পারলে আমার কিছু করে দেখাও।

ফলে ব্লগ টিম তাঁকে মাটিতে নামিয়ে এনেছে। তাঁর চাঁদগাজী নিকটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

ব্লগে যখন অনেকেই পিঠ থাপড়াথাপড়ি ব্লগিং করে অভ্যস্ত তখন চাঁদগাজীর সমালোচনা অনেককে বিরক্ত করেছে। এর থেকে পরিত্রানের রাস্তা ব্লগার চাঁদগাজী নিজেই বাতলে দিয়েছেন - অযাচিত অন্যায়ভাবে ব্যক্তি আক্রমন মূলক সমালোচনা করে। যা কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়। সম্মানিত অনেক ব্লগারদেরকে তিনি অন্যায়ভাবে নাজেহাল করেছেন। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্লগারদের একটা অংশ ক্ষেপে যায়, এতে যুক্ত হয় আরো অনেকেই। শুরু হয় নানা ধরনের বিক্ষোভ, স্যাটায়ার, 'রম্যের' মাধ্যমে প্রতিবাদ। রম্যকে মার্ক করে দিলাম কারন ইদানিং ব্লগে যা রম্য হিসাবে স্বীকৃতি পাচ্ছে - সেটা নিয়ে কথা বলাটাই একটা সেরা রম্য বা কৌতুক। এমনকি ব্যক্তি আমি পর্যন্ত অনেকের চক্ষুশূল হয়েছি। কিছু ব্লগাররা তো পারলে আমার কোর্ট মার্শাল করেন। আমি এখানে জেন্ডার আর আলাদা করে ভাগ করছি না। অথচ আমরা দায়িত্বের বাইরে কোন কিছুই করি নাই।


যাক ধান ভানতে শীবের গীত গাইলাম। রাজীব নূরের কপি পেষ্ট নিয়ে যেভাবে আলাদা করে পোস্ট এসেছে সেটা শতভাগ উদ্দেশ্য প্রনোদিত এবং একটি নির্দিষ্ট মানুষ কেন্দ্রিক। নইলে ব্লগে প্রতিনিয়ত যারা কপি পেষ্ট করে চলছে তাদের ব্যাপারে এত সচেতন কাউকে কেন আমরা কোন প্রতিবাদ করতে দেখি নাই?

লেখা চুরি দেখলে অবশ্যই প্রতিবাদ করতে হবে, জানাতে হবে। কেউ ইগনোর করলে পোস্ট দিতে হবে। কিন্তু সেটা যখন শুধু একজনের ক্ষেত্রেই আপনি করবেন, তখন আপনার নৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠবে এবং এটাই স্বাভাবিক।

আর আমার বিরক্তিটা এখানেই। এই ব্যক্তিগত রেষারেষিটা ব্লগে প্রভাব বিস্তার করছে। আমরা এটাও লক্ষ্য করেছি - অনেক ব্লগার অসম্পূর্ন অহেতুক কারনে রম্য বা স্যাটায়ার দিয়ে অন্যকে খোঁচান। যাকে খোঁচানো হয় যে যখন এর বিরুদ্ধে কিছু করে বা বলে - তখন অনেকেই পোস্ট দিয়ে বা অন্যকে ডেকে বলে - দেখেন! কি করতেছে! কি অবস্থা!! এর ব্যান চাই!!

ব্লগে দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় আমি দায়িত্ব পালন করছি। ব্লগে আছি সেই ব্লগের প্রায় সেই শুরুর সময় থেকে। কে কোন গান গায়, আমরা সেটার তাল বহু আগে থেকেই ধরতে পারি। আমি আশা করব, সকলেই নিজের ম্যাচিউরিটিকে উন্নত করবেন।

ব্লগার আর ইউ লেখা চুরির বিরুদ্ধে বলছেন। আমি তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে স্বাগত জানাই। যেহেতু রাজীবনূর কে নীতিমালার আওতায় আনা হয়েছে এখন তিনি অন্য ব্লগার যারা নিয়মিত কপি পেষ্ট করছে তাদের ব্যাপারে সজাগ হবেন।

নইলে এই প্রতিবাদের কোন মুল্য থাকবে না। সেটা হবে এক বালতি দুধের মধ্যে, এক ফোঁটা চনার মত।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৫০

গরল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কাভা ভাই আপনার অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য। আসলে সবাই আপনার কাছ থেকেই এই ব্যাপারে কিছু একটা শুনতে চাচ্ছিল। আশা করি আপনার মন্তব্য একটা দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করবে। কারণ বুদ্ধিমানদের জন্য ইশারাই যথেষ্ঠ।

২৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৫:২৯

আশিকি ৪ বলেছেন: কাল্পনিক ভালোবাসা বলেছেনঃ

রাজীব নূর কপি পেষ্ট করেন - কোন সন্দেহ নেই। যিনি কপি পেষ্ট করবে তার ব্যাপারে অভিযোগ করা আপনার দায়িত্ব। আমাদের চোখে পড়লে আমরা ব্যবস্থা গ্রহন করি বা অন্য কেউ আমাদেরকে জানালে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করি। কিন্তু ব্যাপার হচ্ছে এই যে রাজীব নূর লেখা কপি পেষ্ট করেন সেটার ব্যাপারে কবে থেকে "সবাই" সোচ্চার?

সহজ উত্তর হচ্ছে - ব্লগার চাঁদগাজীর পক্ষ হয়ে অতিরিক্ত সাফাই গাইবার পর "সবাই" তার এই লেখা চুরির ব্যাপারে সোচ্চার হয়েছেন। তাহলে কি এর আগে তিনি লেখা কপিপেষ্ট করতেন না? অর্থাৎ অন্যের লেখা নিজের নামে প্রকাশ করতেন না?


সামুর সকল ব্লগার ও পাঠকদের অবগতির জন্য জান্নাচ্ছি রাজিব নুর ৪০০০ পোস্ট দেয়ার পাশাপাশি লক্ষাধিক মন্তব্য করেন। দীর্ঘ সময় ধরে। বিগত ৯ বছর কেউ টু শব্দ করলনা। যেই চাঁদ গাজির পক্ষে অতিরিক্ত সাফাই গাওয়া শুরু করল তখন থেকে অপ তানভির আর ইউ ও তাদের দলের অন্যান্যরা জুরালু পতিবাদ তুলল।


এতে স্পষ্ট কি পমাণিত হয় সামু মামুর ব্লগার দের পশ্ন করে গেলাম।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৫৪

গরল বলেছেন: এখানে প্রমাণ বা বিচারে কিছু নাই, কিছু নিক হয়ত কিছু উদ্দেশ্য নিয়ে লিখছে। তবে আমার কথা হচ্ছে আমরা কেউ কেউ এতে ইন্ধন না যোগালেই হল।

২৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:৪৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: @ আরইউ , plagiarism এর মানে আমার ভালই জানা আছি। আমি সাইন্সের ছাত্র। মাস্টার্স এর থিসিসে , পিএইচডি থিসিসে এই দেশে অনেকেই বিদেশী পেপার থেকে লেখা চুরি করে জমা দেয়। খুব কম সংংখ্যক ছাত্রই তাতে ধরা খায়। অথচ এই কপি পেস্ট থিসিসের বদৌলতে অনেকেই ভাল রেজাল্ট করছে। কিন্ত এটা গুরুতর অপরাধ। কপি রাইট ভঙ্গ করে নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থে যখন মানুষ সেটা ব্যবহার করে সেটা গুরুতর অপরাধ। আবার মৌলিক গানের সুর, কথা চুরি হয় অনেক সময় বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে , সেটাও গুরুতর অপরাধ। আমাদের দেশে যেভাবে ইদানিং কবি সাহিত্যিক ব্যাঙ এর ছাতার মত গজাচ্ছে তাদের কতভাগ মৌলিক তাতে যথেষ্ঠ সন্দেহ আছে। মেলা শেষে শুনি যে কয়েক কোটী টাকার বই বিক্রি হয়েছে। আমাদের তারুন্যে এমন কথা ভাবাই যেত না। কবি বা সাহিত্যমনাদের অন্য পৃথীবির মানুষ হত। আর এখন দেখি যে ফুল টাইম চাকুরি করছে, সামাজিক সকল দ্বায়িত্ব পালন করছে আবার একখানা বইও প্রকাশ করেছে! কেনার জন্য পিড়াপিড়িও করছে। এই তথাকথিত কবি সাহিত্যিকদের কতজন পুরোপুরি মৌলিক ? plagiarism যখন বানিজ্যিক বা ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধারে ব্যবহ্রত হয় সেটা আইনের দৃষ্টিতে গুরুতর অপরাধ।

এবার আসি ব্লগ প্রসঙ্গে। রাজীব নুর এর কপি পেস্ট এর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। তার কপি পেস্ট বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহ্রত হয়নি। অপরাধের মাত্রা বলে একটা ব্যপার আছে। আমাদের দেশে হাজার কোটী টাকা চুরি করা লুটেরাদের বেলায় সবাই নিশ্চুপ থাকে। কিন্ত সাধারন পকেটমারকে গনধোলাই দিয়ে মেরে ফেলা হয়।

এই পোস্টে আমি কমেন্ট করেছি যেহেতু পোস্টের কন্টেন্ট এর সাথে আমি একমত। প্রতিবাদ হতে হবে শালীন ভাষায়, ব্যক্তিগত আক্রমন করে নয় ।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:০২

গরল বলেছেন: plagiarism এবং theft দুটো সমর্থক হলেও দুটোই দুই মাত্রার অপরাধ এবং দুটোর আদালতও আলাদা। চুরির মামলা হয় ফৌজদারি আদালতে এবং যার নামে মামলা হয় তাকে বলে আসামি। অপরদিকে লেখা চুরির মামলা হয় দেওয়ানি আদালতে এবং যার নামে মামলা হয় তাকে বলে অভিযুক্ত। অতএব দুটোকে এক করে দেখা সঙ্গত নয়।

২৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৫০

আরইউ বলেছেন:



@ঢাবিয়ান, আপনার মাস্টার্স করেছেন না পিএইচডি করেছেন তা কোন বিবেচ্য বিষয় না। পরীক্ষা পাস আর শিক্ষিত হওয়া এক জিনিস নয়। আপনি যেভাবে রাজীবের লেখা চুরি কে ডাউন প্লে করছেন তাতে বেশ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে প্লেজিয়ারিজম বিষয়ে আপনার ভাবনা ভুল, এ বিষয়ে আপনার শিক্ষা শুন্যের কোঠায়।

আপনি, লেখক সহ অনেকে প্রতিবাদের ভাষা নিয়ে খুব ব্যস্ত হয়েছেন। বাহ বাহ! রাজীবকে প্রথমে কেউ লেখা চোর বলেনি। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছে লেখা কি আপনার? তারপর বলা হয়েছে লেখার সূত্র কী? তারপর আপনি উইকিপিডিয়া থেকে কপি করেছেন। তারপর আপনি কপি-পেস্ট বন্ধ করুন। তারপর আপনি টুকলিবাজী বন্ধ করুন। তারপর আপনি অন্যের লেখা মেরে দিয়েছেন। তারপর আপনি অন্যের লেখা চুরি করেছেন। তারপর আপনি লেখা চোর!

ওনাকে লেখাচোর ডাকাটা একদিনে হয়ে ওঠেনি। উপরে যেভাবে দেখছেন সেভাবে (হয়ত একই বাক্য ব্যবহৃত হয়নি) উনি ধীরে ধীরে লেখাচোর তকমাটা নিজের করে নিয়েছেন। উনি কখনোই তার সহ ব্লগারদের প্রতি রেসপেক্ট দেখাননি - উনি মন্তব্যের জবাবে বলেছেন ভুল হয়েছে। কিন্তু, ঠিক পরের পোস্টেই আবার চোরাই লেখা পোস্ট করেছেন। উনি বলেছেন সূত্র দেয়া উচিত ছিল। কিন্তু, পরের পোস্টই আবার সূত্র ছাড়া পোস্ট করেছেন। উনি কোন পোস্ট এডিট করে কখনো সূত্র যোগ করেন নি। উনি বলেছেন এখন ইচ্ছে করছেনা

আপনি অন্যায় করবেন আবার অন্যায় করে গলাবাজী এটাতো হতে পারেনা। উনি অন্যায় মেনে নিয়ে কপি-পেস্ট বন্ধ করলেই পারতেন। কিন্তু, উনি সগৌরবে অন্যায় করে গেছেন। এই অন্যায় করার সাহসটা উনি পেয়েছেন এই পোস্টের লেখক, আপনি, এবং আপনার মত ব্লগারদের কাছ থেকে। এখন আপনারা প্রতিবাদের ভাষা নিয়ে খুব সোচ্চার কিন্তু, কখনো রাজীব নুরের লেখা চুরির প্রতিবাদ করেছেন? কখনো আপনাদের সুশীলিয় শুদ্ধ ভাষায় রাজীবকে বলেছেন এভাবে কপি-পেস্ট করা ঠিক হচ্ছেনা!!

যাহোক, যে মূল লেখকের অনুমতি ছাড়া, উপযুক্ত এট্রিবিউশন/ক্রেডিট ছাড়া লেখা কপি-পেস্ট করে বা প্রকান্তরে লেখা চুরি করে তাকে লেখাচোর বলা কোনভাবেই ব্যক্তিআক্রমন নয়। আপনি আইন জানে-বোঝে এমন কাউকে প্রশ্ন করে দেখুন।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:১০

গরল বলেছেন: লেখাচোর এবং চোর দুটি আলাদা বিষয়, সেটা আমি ২৮ নং মন্তব্যের উত্তরে বলেছি। আর সেকারনেই লেখাচোরকে চোর ডাকা আমার মতে সঙ্গত নয়। আপনার আত্মিয়, বন্ধুবান্ধব, সহকর্মিদের মধ্য অনেকেই আছে যারা ঘুষ খায় বা পাবলিকের টাকা তসরুফ করে, আপনিকি একজনকেও ঘুষখোর বা চোর বলেছেন কোনদিন সামনা সামনি? যদি বলে থাকে তাহলে আপনি ব্লগেও কাউকে চোর বলতে পারেন। ব্লগে কেউ কাউকে দেখে না বলেই নির্দিধায় যা খুশি বলে যায়।

৩০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:১৯

জিকোব্লগ বলেছেন:



______________________________________________
২৬ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১:২৩ মডারেটর পোস্টে বলেছেন:
উল্লেখ্য নীতিমালা অনুসারে কপিপেষ্ট পোস্ট বা অন্যের পোস্ট নিজের নামে চালালে বা প্রাইভেসী সংক্রান্ত কোন সমস্যা হলেঃ

ক) সাময়িক সময়ের জন্য অভিযুক্তদের লেখা প্রথম পাতায় প্রকাশ করতে না দেয়া।
খ) সাময়িক সময়ের জন্য পোস্ট করার সুবিধা তুলে নেয়া।
গ) সাময়িক সময়ের জন্য ব্যান করা।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:২৬- মডারেটর মন্তব্যে বলেছেন :'' আপনি সহ সংশ্লিষ্ট সকলের 'স্বস্তির' জন্য জানাচ্ছি - অযাচিত ব্যক্তি আক্রমন করার কারনে ব্লগার রাজীব নূরকে নীতিমালার আওতায় আনা হয়েছে।''

২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৩:৩৩- মডারেটর মন্তব্যে বলেছেন: '' ব্লগার আর ইউ লেখা চুরির বিরুদ্ধে বলছেন। আমি তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে স্বাগত জানাই। যেহেতু রাজীবনূর কে নীতিমালার আওতায় আনা হয়েছে এখন তিনি অন্য ব্লগার যারা নিয়মিত কপি পেষ্ট করছে তাদের ব্যাপারে সজাগ হবেন।''
_______________________________________________

তাহলে বোঝা যাচ্ছে, অযাচিত ব্যক্তি আক্রমন করার কারনে ব্লগার রাজীব নুরকে নীতিমালার আওতায় আনা হয়েছে। কিন্তু বার বার লেখা চুরির অপরাধে রাজীব নুরকে কোন নীতিমালায় আনা হয়েছে কি না তাহা পরিষ্কার না।

দেখা যাচ্ছে লেখা চুরির জন্য সামহোয়্যার ইন ব্লগ নীতিমালায় অপরাধীর শাস্তি:
''
ক) সাময়িক সময়ের জন্য অভিযুক্তদের লেখা প্রথম পাতায় প্রকাশ করতে না দেয়া।
খ) সাময়িক সময়ের জন্য পোস্ট করার সুবিধা তুলে নেয়া।
গ) সাময়িক সময়ের জন্য ব্যান করা।
''

শ্রদ্ধেয় মডারেটরের কাছে আমার প্রশ্ন, সামহোয়্যার ইন ব্লগ নীতিমালায়:

১) কতবার লেখা চুরির অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার পরে সাময়িক শাস্তি অপরাধী কে দেওয়া হবে?
২) সাময়িক শাস্তি দেওয়ার পরেও অপরাধী বার বার লেখা চুরির অপরাধ করে গেলে চূড়ান্ত শাস্তি কি?


ধন্যবাদ।
শুভ ব্লগিং

২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:১২

গরল বলেছেন: আপনার মন্তব্যের উত্তর ৩১ নং মন্তব্যেই দিয়ে দিয়েছেন ব্লগার আরইউ।

৩১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৩৫

আরইউ বলেছেন:



@জিকো, কাল্পনিক_ভালোবাসার মন্তব্যটা আবার একটু পড়ে দেখুন। আপনার ক্রিটিসিজমটা সঠিক নয়।

উনি বলেছেনঃ অপু তানভীর, আপনাকে অনুগ্রহ করে আগামীকালের মধ্যে যারা যারা ব্লগে কপি পেষ্ট করছেন তাদের একটা তালিকা উদহারনসহ পোস্ট করার জন্য অনুরোধ করছি। উক্ত পোস্টটি আমরা স্টিকি করব এবং সেখানে যাদের নাম আসবে যদি তা প্রমানিত হয়, তাহলে তাদের ব্লগিং সুবিধা স্থগিত করা হবে।

ব্যক্তি আক্রমনের কারণে একটা ডিসিপ্লেনারি একশন নেয়া হয়েছে + কপি-পেস্টের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে (কপি-পেস্টকারীদের বিরূদ্ধে, হুইচ ইনক্লুডস রাজীব)। রাজীবের লেখাচুরির বিষয়ে কাল্পনিক_ভালোবাসা নিজেই কিন্তু বিভিন্ন সময় স্বপ্রনোদিত হয়ে সমালোচনা করেছেন। সো, বুঝতেই পারছেন... ...

২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:১১

গরল বলেছেন: আমার উত্তর আপনি দিয়ে দিয়েছেন, অনেক ধন্যবাদ।

৩২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:১৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: @ঢাবিয়ানঃ আপনি এমনিতেই আমার পছন্দের ব্লগার; হাজার হলেও আমরা দু'জনেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র! B-) কিন্তু আজ আপনার কথায় খুবই খুবই আশ্চর্য হচ্ছি। The practice of taking someone else's work or ideas and passing them off as one's own ...........প্লেইজারিজম এর সবচাইতে সিম্পল সংজ্ঞা এইটা। প্লেইজারিজম ইজ প্লেইজারিজম! এটা কমার্শিয়াল উদ্দেশ্যে, একাডেমিক উদ্দেশ্যে নাকি ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে সেটা বিষয় না। এটা ছোট চুরি নাকি বড়, সেটাও বিষয় না। এটা সোজাসুজি চুরি। দিস ইজ এজ সিম্পল এজ দ্যাট!!!

আপনি অনেক কিছু বলেছেন; তার সারমর্ম আমার কাছে মনে হলো, অনেক বড় বড় অন্যায়কে গুরুত্ব দেয়া হয় না, সেখানে ছোট অন্যায়কে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। হলি কাউ!! আপনি একটা অন্যায়কে আরেকটা অন্যায় দিয়ে জাস্টিফাই করতে চাচ্ছেন? এটা কি সত্যিই ব্লগার ঢাবিয়ানের স্টেইটমেন্ট? আমি শকড!!! :((

রাজীব নূরের কপি পেষ্ট নিয়ে যেভাবে আলাদা করে পোস্ট এসেছে সেটা শতভাগ উদ্দেশ্য প্রনোদিত এবং একটি নির্দিষ্ট মানুষ কেন্দ্রিক। নইলে ব্লগে প্রতিনিয়ত যারা কপি পেষ্ট করে চলছে তাদের ব্যাপারে এত সচেতন কাউকে কেন আমরা কোন প্রতিবাদ করতে দেখি নাই? আপনার এই বক্তব্য সম্পর্কে দু'টা কথা বলি জাদিদ ভাই। এটা একান্তই আমার কথা।

অন্যদের কপি-পেষ্ট নিয়ে ব্লগে যে কথা হয় নাই, বিষয়টা সেরকম না। হয়েছে........কিন্তু অনেক কম। তবে বিশেষভাবে রাজীব নূরকে কেন টার্গেট করা হয়? এর কিছুটা কারন ইতোমধ্যেই সংক্ষেপে আপনাকে একবার বলেছি।

রাজীব নূরকে এক সময়ে আমি খুব পছন্দ করতাম। তার হাতি পছন্দ, সেজন্যে একটা কৃষ্টালের হাতিও কিনেছিলাম; সময়-সুযোগ মতো পাঠানোর ইচ্ছা ছিল। সেটা তাকে জানিয়েওছিলাম এই ব্লগেই কোন এক মন্তব্যে। সেখান থেকে কিভাবে সে একজন বিরক্তিকর মানুষে পরিনত হলো? আপনি কিছুটা বলেছেন, তবে সেটা সম্পূর্ণ চিত্রের খন্ডিতাংশ। এটা অনেককেই বিভ্রান্ত করতে পারে। এই পরিবর্তন কিন্তু একদিনে হয় নাই। বছরের পর বছর ধরে হয়েছে। এটা একজন পছন্দের মানুষের আস্তে আস্তে বিরক্তিকর মানুষে পরিনত হওয়ার গল্প। মন্তব্যে বিস্তারিত বলতে গেলে বিশাল বড় হয়ে যাবে। আপনি চাইলে আমি আলাদা একটা পোষ্টে পুরো বিষয়টা ব্যাখ্যা করতে পারি।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:১৫

গরল বলেছেন: plagiarism এবং theft দুটো সমর্থক হলেও দুটোই দুই মাত্রার অপরাধ এবং দুটোর আদালতও আলাদা। চুরির মামলা হয় ফৌজদারি আদালতে এবং যার নামে মামলা হয় তাকে বলে আসামি। অপরদিকে লেখা চুরির মামলা হয় দেওয়ানি আদালতে এবং যার নামে মামলা হয় তাকে বলে অভিযুক্ত। অতএব plagiarism কে আপনি চুরি বলতে পারেন না।

৩৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৩২

জিকোব্লগ বলেছেন:



@আরইউ ,

লেখাচুরির বিষয়ে কাল্পনিক_ভালোবাসা নিজেই কিন্তু বিভিন্ন সময় স্বপ্রনোদিত হয়ে সমালোচনা করেছেন। - এই জন্য উনাকে অনেক ধন্যবাদ।

' সেখানে যাদের নাম আসবে যদি তা প্রমানিত হয়, তাহলে তাদের ব্লগিং সুবিধা স্থগিত করা হবে।' - এই জন্য অপেক্ষা করে দেখতে হবে। আর তখন -ই আমার ক্রিটিসিজমটা ইনভ্যালিড।

আর আপনাকে ও অপু তানভীরকে অনেক ধন্যবাদ যে আপনারা অনেক সময় ব্যায় করে ব্লগে লেখা চুরি বিশ্লেষণ করেছেন। এটা খুব কম জন-ই বিনা পারিশ্রমিকে স্বতঃস্ফূর্ততায় করবেন।

শুভ ব্লগিং।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৫৯

গরল বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার ব্লগিং শুভ হোক।

৩৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৫২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্লেইজারিজম হলো, The act of stealing another person’s intellectual property (IP) which includes ideas, inventions, original works of authorship, words, slogans, designs, proprietary information, etc. and using them as your own without proper acknowledgment and/or permission of the original author or inventor. নেন, আপনাকে আরেকটু বিস্তারিত সংজ্ঞা দিলাম।

থিফ বা চোরের কর্মকেই থেফট বা স্টিলিং বা চুরি বলে। চুরি ছোট নাকি বড়, ক্রিমিনাল নাকি সিভিল.........এসব অদ্ভুদ যুক্তি। আপনি নিজেই স্বীকার করেছেন, এটা একটা অপরাধ, তবে মাত্রা ভিন্ন। তাতে কি হয়? তাতে কি চুরিকে জাস্টিফাই করা যায়? দেওয়ানি আদালত অনুসারে তাহলে কি ''চৌর্যবৃত্তিতে অভিযুক্ত'' বললে চলবে?

চুরিকে আমি চুরিই বলবো। আপনি না বলতে চাইলে না বলবেন, আপনার স্বাধীনতা।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৫৪

গরল বলেছেন: আপনি কি বলবেন সেটাও আপনার অভিরুচি ও স্বাধিনতা, সেখানে আমার বলার কিছু নেই।

৩৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:০০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কিন্তু মাঝে মাঝে আমারও রাগ উঠে যায়
আমার ছোট একটা লিখা....। অন্তত দশজনে ফেবুতে কপি করে পোস্ট করেছে নিজেদের মত। এরারে চোর কইতাম না তো কীতা কইতাম।

তবে মানুষ যাতে মনে কষ্ট না পায় তেমন ভাষাই ইউজ করতে হবে। প্রতিবাদের ভাষাও শালীন হওয়া উচিত

২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৫৭

গরল বলেছেন: জ্বি ধন্যবাদ, সহমত আপনার সাথে।

৩৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:০৩

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: প্রথম বানান

ভূষি - ভুসি।

ভুসি [ bhusi ] বি. গম ডাল প্রভৃতি শস্যের খোসা বা চোকলা। [< সং. বুস]। .মাল বি. বাজে বা সারহীন বস্তু।

আমি অভিধান ব্যবহার করি।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:১৩

গরল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, আমি বানান ঠিক করেছি। বানান, ভাষা ও ব্যাকরণে অনেক কাঁচা বিধায় অনেক কিছু লিখতে চাইলেও লিখতে পারি না, লজ্জা লাগে।

৩৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:১৯

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আপনি একবার আমার সাইটটা দেখে আসুন, পরে এসব বললে আমি মানব।

আমি বিশ্বাস করি আপনি আমার চেয়ে অনেক বেশি জানেন।

আমার সাইট

এই সাইটে সব আমি লিখেছি এবং করেছি। (১৬ তে শুরু করেছিলাম, এখনো চলছে।) আমার লেখা পড়ে আপনি কি কখনো মন্তব্য করেছেন? আপনি অনেক ভালো লিখেন। কেমনে কী করতে হবে তা পরে বলব। আগে আমার সাইট দেখে আসুন।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:১১

গরল বলেছেন: আপনার সাইটটি দেখলাম, আপনার অনেক লেখা, সময় নিয়ে পড়তে হবে। আমি আসলে গল্প কবিতা কম পড়ি তাই আপনার লেখা সচরাচর পড়া হয় না তাছাড়া আমি বেশ কিছু দিন নিয়মিত ছিলাম না। তবে আপনার কিছু ইন্টারেস্টিং লেখা আছে সময় নিয়ে পড়ব।

৩৮| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:১৫

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আপনি অনেক ভালো লিখেন।

লেখা শেষ করার পর ধৈর্যের সাথে অনেক বার পড়তে হয়। তখন বানান এবং ব্যাকরণ ঠিক হয়। অভিধান দেখে বানান ঠিক করতে হয়। আমার কাছে সর্বমোট চার খান অভিধান আছে।

আল্লাহ আমাদেরকে ভাবপ্রকাশ শিখিয়েছেন। মৌখিক যত সহজ লৈখিক তত কঠিন। তবে মনোযোগ দিয়ে লিখলে সহজ হয়ে যায়। আমার লেখায় হাজার ভুল পাবেন।

গরল [ garala ] বি. 1 বিষ; 2 সাপের বিষ; 3 (আঞ্চ.) বিষাক্ত ঘা। [সং. গর + ল (স্বার্থে)]।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:২৭

গরল বলেছেন: হায় হায়, আমার নিকের বানান ভূল, আমিতো এত দিন ভাবতাম সরলের বিপরীত হচ্ছে গড়ল।

৩৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:৩০

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: হাহাহাহা
প্রথম দিন থেকে আমি বলতে চেয়েছিলাম, ভয় বলিনি, আজ সাহজ করে বলে দিয়েছি।

ভুল [ bhula ] বি. 1 ভ্রম, ভ্রান্তি (বইখানা ভুলে ভরা); 2 বিস্মৃতি (ডালে নুন দিতে ভুল হয়েছে); 3 প্রলাপ (ভুল বকা); 4 অযথার্থ ধারণা (বন্ধুকে শত্রু বলে ভুল করা)। বিণ. 1 ভ্রান্ত, ভ্রমপূর্ণ (ভুল কথা); 2 বেঠিক (ভুল লোক, ভুল অঙ্ক); 3 অযথার্থ (ভুল খবর)। [< সং.হ্বল্]। .চুক, .ভ্রান্তি বি. ছোটোবড়ো ভুল; ছোটোখাটো ভুল; অনবধানতা। ভুল বোঝাবুঝি বি. পরস্পরের মধ্যে বোঝাপড়ার ঘাটতি। ঠিকে ভুল (অপ্র.) যোগে ভুল।

আজ আমি খুব খুশি অন্তত একজন বুঝতে পেরেছেন যে বানান ভুল হয় এবং তা শুদ্ধ করা যায়। অভিধান হলো আমার আসল সম্পদ।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:০৪

গরল বলেছেন: মানুষ আসলে বাংলার ভুলটাকে কোন ভুলই মনে করে না। ইংলিশ বানান আমরা ছোট বেলায় যেভাবে চর্চা করি, বাংলাটা সেভাবে করি না বা করার কথা কেউ বলেও না। সবার মধ্যে এমন একটা ভাব থাকে যে বাংলা না শিখলেও চলবে। আমার মেয়ের ESL Teacher আমাকে বলেছিল যে She should learn her mother lounge well first to understand other language and language is a gift, more language she learn more her brain will be active.

৪০| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:১৪

জুল ভার্ন বলেছেন: আমাকে বারবার উত্যক্ত করার পরেই বাধ্য হয়ে গাধাকে গাধা বলেছি।

৪১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:৫৩

শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়া অমৃত গরল শুনেছি।

আরও শুনেছি গাড়ল মানে একদম গন্ড মূর্খ যার মানে।

হা হা হা তুমি কোনটা ভাইয়ামনি?

২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:১৬

গরল বলেছেন: হাহাহাহাহ, আমি আসলে একটা গাধা না হলে এসব পোষ্ট লিখি।

৪২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:১০

জিকোব্লগ বলেছেন:



@আরইউ,
ভাবগতি দেখে মনে হচ্ছে আমার ক্রিটিসিজমটা ইনভ্যালিড হওয়ার সম্ভবনা নাই বললেই চলে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.