নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাজ্জাদ হোসেন

সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ

জানতে ও জানাতে আমার খুব ভাল লাগে।

সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নয়া অর্থবছর ও কিছু ভাবনা

০১ লা জুলাই, ২০২১ রাত ৮:২০


আজ থেকে নয়া একটি অর্থ-বছর শুরু হল। এটা সবারই জানা (যারা খবর রাখেন আর কি)। সরকার প্রতি বছরই নিত্য নতুনভাবে আয় বাড়ানোর চেষ্টা করে। এখানে কর একটি বিশাল ভূমিকা পালন করে। কিন্তু আজ এমন একটি বিষয় নিয়ে বলব যেটি যদি সরকারের পর্যন্ত পৌঁছে ও বাস্তবায়ন হয়, তবে সরকারের আয় কম করে হলেও ১০ থেকে ১০০ গুণ বাড়বে কোন ঝামেলা ছাড়াই।

আসুন মূল কথায় আসি। কমপ্লায়েন্স নামক একটা ব্যাপার আছে। সরকার ব্যবসাকে নিয়ন্ত্রণ ও সমাজের উন্নয়নের জন্য অনেক আইন করে থাকে। কয়েকটা এমন আইনের বিষয় নিয়ে আজ বলব।

রাজস্ব স্ট্যাম্পঃ
সহজ কথায় বলতে গেলে ৪০০ টাকার উপর লেনদেনে ১০ টাকার রাজস্ব স্ট্যাম্প লাগবে (১)। অন্যথায় ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা (২) হতে পারে। মানে হল ১০ টাকার জন্য ৫০০ টাকা জরিমানা। এটি সরকার চাইলেই হাজার হাজার কোটি টাকা আয় ও লাখ কোটি কোটি টাকার জরিমানা আদায় করতে পারে।


শ্রমিক কল্যাণ তহবিল ও মুনাফায় অংশগ্রহণ তহবিলঃ
এটিও একটি ফাটাফাটি আইন। শ্রম আইন, ২০০৬ এর ২৩২ ধারানুযায়ী (৩) এটির বাধ্যবাধকতা ও ২৩৪ ধারায় (৪) এর ব্যবস্থাপনা নির্দেশনা দেয়া আছে। ২৩৬ ধারায় (৫) সাজা ও জরিমানার কথা বলা হয়েছে যার সারমর্ম হল যখন থেকে এটি প্রযোজ্য তখন থেকে এটির ব্যবস্থা না করলে কোম্পানির কর্তাগণ প্রতিজন অনধিক ১ লক্ষ টাকার জরিমানা গুণবেন, আর প্রতিদিনের জন্য ৫ হাজার টাকা; যা বছরে হিসেব করলে হয় ১৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা (১,৮২৫,০০০)। বাংলাদেশের কর দেয়া কোম্পানিগুলোর অনেকেই এই শ্রমিক কল্যাণ তহবিল ও মুনাফায় অংশগ্রহণ তহবিলের যোগ্যতা রাখে যাদের ৯০%ই এই আইন মানে না। একবার চিন্তা করলেই বোঝা যায় ঠিক কত টাকার আয় হতে পারে।

বঙ্গবন্ধু একটি সৎ ও আইনমান্যকারী জনগণের রাষ্ট্রের স্বপ্নই দেখেছিলেন।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

লেখক পেশায় হিসাববিদ ও সনদপ্রাপ্ত আয়কর পেশাজীবি


(১) Obligation to give receipt in certain cases.
30. Any person receiving any money exceeding [four hundred Taka] in amount, or any bill of exchange, cheque or promissory note for an amount exceeding [four hundred Taka], or receiving in satisfaction or part satisfaction of a debt any movable property exceeding [four hundred Taka] in value, shall, on demand by the person paying or delivering such money, bill, cheque, note or property, give a duly stamped receipt for the same.
Any person receiving or taking credit for any premium or consideration for any renewal of any contract of fire-insurance, shall, within one month after receiving or taking credit for such premium or consideration, give a duly stamped receipt for the same.

(২) Penalty for executing, etc., instrument not duly stamped.
62.(1) Any person-
(a) drawing, making, issuing, endorsing or transferring, or signing otherwise than as a witness, or presenting for acceptance of payment, or accepting, paying or receiving payment of, or in any manner negotiating, any bill of exchange payable otherwise than on demand or promissory note without the same being duly stamped; or
(b) executing or signing otherwise than as a witness any other instrument chargeable with duty without the same being duly stamped; or
(c) voting or attempting to vote under any proxy not duly stamped;
shall for every such offence be punishable with fine which may extend to five hundred Taka:
Provided that, when any penalty has been paid in respect of any instrument under section 35, section 40 or section 61, the amount of such penalty shall be allowed in reduction of the fine (if any) subsequently imposed under this section in respect of the same instrument upon the person who paid such penalty.
(2) If a share-warrant is issued without being duly stamped, the company issuing the same, and also every person who, at the time when it is issued, is the managing director or secretary or other principal officer of the company, shall be punishable with fine which may extend to five hundred Taka.


(৩) কোম্পানীর মুনাফায় শ্রমিকের অংশগ্রহণ
অধ্যায়ের প্রয়োগ

২৩২। (১) এই অধ্যায় নিম্নলিখিত যে কোন একটি শর্ত পূরণ করে এমন কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে, যথা:-
(ক) কোন হিসাব বৎসরের শেষ দিনে উহার পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ অন্যূন এক কোটি টাকা;
(খ) কোন হিসাব বৎসরের শেষ দিনে উহার স্থায়ী সম্পদের মূল্য অন্যূন দুই কোটি টাকা;
(২) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উহাতে উল্লিখিত, অন্য কোন কোম্পানী ও প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও এই অধ্যায় প্রয়োগ করিতে পারিবে।
(৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এ যাহা কিছুই বিধান থাকুক না কেন, শতভাগ রপ্তানীমুখী শিল্প সেক্টর অথবা বৈদেশিক মুদ্রা বিনোয়গকারী শিল্প সেক্টরের ক্ষেত্রে সরকার, বিধি দ্বারা, উক্ত সংশ্লিষ্ট সেক্টরে কর্মরত সুবিধাভোগীদের জন্য ক্রেতা ও মালিকের সমন্বয়ে সেক্টর ভিত্তিক কেন্দ্রীয়ভাবে একটি করিয়া তহবিল গঠন, তহবিল পরিচালনা বোর্ড গঠন, অনুদানের পরিমাণ নির্ধারণ ও আদায়ের পদ্ধতি এবং তহবিলের অথের্ ব্যবহারের বিধানসহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে প্রয়োজনীয় বিধান প্রণয়ন করিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারার উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, উক্ত বোর্ড, সরকারের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে, প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।



(৪) অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল স্থাপন
২৩৪৷ (১) এই অধ্যায় প্রযোজ্য হয় এরূপ প্রত্যেক কোম্পানী-
(ক) এই অধ্যায় প্রযোজ্য হইবার তারিখ হইতে এক মাসের মধ্যে এই অধ্যায়ের বিধান মোতাবেক একটি শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও একটি শ্রমিক কল্যাণ তহবিল স্থাপন করিবে; এবং
(খ) এর মালিক প্রত্যেক বৎসর শেষ হইবার অন্যূন নয় মাসের মধ্যে, পূর্ববর্তী বৎসরের নীট মুনাফার পাঁচ শতাংশ (৫%) অর্থ ৮০ঃ ১০ঃ ১০ অনুপাতে যথাক্রমে অংশগ্রহণ তহবিল, কল্যাণ তহবিল এবং বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন, ২০০৬ এর ধারা ১৪ এর অধীন স্থাপিত শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে প্রদান করিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, কোন মালিক, এই বিধান কার্যকর হইবার অব্যবহিত পূর্বে, কোম্পানীর নীট মুনাফার এক শতাংশ (১%) অর্থ কল্যাণ তহবিলে জমা প্রদান করিয়া থাকিলে, ট্রাষ্টি বোর্ড কল্যাণ তহবিলে জমাকৃত উক্ত অর্থের পঞ্চাশ শতাংশ (৫০%) অর্থ উপরোল্লিখিত শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে জমা প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবে।
(২) উপ-ধারা (১) (খ) এর অধীন উক্ত [তহবিলসমূহে] প্রদত্ত অর্থ যে বত্সরের জন্য প্রদান করা হইবে সে বত্সর শেষ হইবার অব্যবহিত পরের বত্সরের পহেলা তারিখে উহা [তহবিলসমূহে] বরাদ্দ হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷

(৫) জরিমানা, অর্থ আদায়, ইত্যাদি
২৩৬৷ (১) যে ক্ষেত্রে কোন কোম্পানী বা ট্রাস্টি বোর্ড ধারা ২৩৪ এর বিধানসমূহ প্রতিপালন করিতে ব্যর্থ হয়, সেইক্ষেত্রে সরকার, আদেশ দ্বারা উক্ত আদেশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে, সংশ্লিষ্ট বিধান অনুযায়ী কার্য সম্পাদনের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
(২) যদি কোন কোম্পানী বা ট্রাস্টি বোর্ড উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোন কার্য সম্পাদনে ব্যর্থ হয় তাহা হইলে সরকার, আদেশ দ্বারা, উক্ত কোম্পানীর প্রত্যেক পরিচালক, ব্যবস্থাপক অথবা উহার ব্যবস্থাপনা কাজের সহিত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে অথবা, ক্ষেত্রমত, সংশ্লিষ্ট ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান, সদস্য বা উহার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গকে অনধিক ০১ (এক) লক্ষ টাকা এবং অব্যহত ব্যর্থতার ক্ষেত্রে, ব্যর্থতার প্রথম তারিখের পর হইতে প্রত্যেক দিনের জন্য আরও ০৫ (পাঁচ) হাজার টাকা করিয়া জরিমানা আরোপ করিয়া পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে জরিমানার মোট অর্থ পরিশোধের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, কোন ব্যক্তি উল্লিখিত বিধান পুণরায় লংঘন করিলে বা প্রতিপালনে ব্যর্থ হইলে তাহার বিরুদ্ধে দ্বিগুণ জরিমানা আরোপিত হইবে।
(৩) ধারা ২৩৪ এর অধীন প্রদেয় কোন অর্থ অপরিশোধিত থাকিলে এবং এই ধারার অধীন আরোপিত জরিমানা, সংশ্লিষ্ট আদেশে উলেস্নখিত তারিখের মধ্যে পরিশোধ করা না হইলে, উক্ত অপরিশেধিত অর্থ ও জরিমানা সরকারী দাবী হিসাবে গণ্য হইবে এবং উহা Public Demands Recovery Act, 1913 (Act No. IX of 1913) এর বিধান অনুযায়ী আদায়যোগ্য হইবে।
(৪) উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন কোন আদেশের দ্বারা সংক্ষুব্ধ কোন ব্যক্তি উহা পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের নিকট, উক্ত আদেশের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে, দরখাস্ত পেশ করিতে পারিবেন এবং উক্তরূপ দরখাস্ত প্রাপ্তির পর সরকার অনধিক ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিনের মধ্যে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতঃ যথাযথ আদেশ প্রদান করিবে এবং বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, কোম্পানী বা ট্রাস্টি বোর্ডকে অবহিত করিবে।
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন সরকার কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।

আজ থেকে নয়া একটি অর্থ-বছর শুরু হল। এটা সবারই জানা (যারা খবর রাখেন আর কি)। সরকার প্রতি বছরই নিত্য নতুনভাবে আয় বাড়ানোর চেষ্টা করে। এখানে কর একটি বিশাল ভূমিকা পালন করে। কিন্তু আজ এমন একটি বিষয় নিয়ে বলব যেটি যদি সরকারের পর্যন্ত পৌঁছে ও বাস্তবায়ন হয়, তবে সরকারের আয় কম করে হলেও ১০ থেকে ১০০ গুণ বাড়বে কোন ঝামেলা ছাড়াই।

আসুন মূল কথায় আসি। কমপ্লায়েন্স নামক একটা ব্যাপার আছে। সরকার ব্যবসাকে নিয়ন্ত্রণ ও সমাজের উন্নয়নের জন্য অনেক আইন করে থাকে। কয়েকটা এমন আইনের বিষয় নিয়ে আজ বলব।

রাজস্ব স্ট্যাম্পঃ
সহজ কথায় বলতে গেলে ৪০০ টাকার উপর লেনদেনে ১০ টাকার রাজস্ব স্ট্যাম্প লাগবে (১)। অন্যথায় ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা (২) হতে পারে। মানে হল ১০ টাকার জন্য ৫০০ টাকা জরিমানা। এটি সরকার চাইলেই হাজার হাজার কোটি টাকা আয় ও লাখ কোটি কোটি টাকার জরিমানা আদায় করতে পারে।


শ্রমিক কল্যাণ তহবিল ও মুনাফায় অংশগ্রহণ তহবিলঃ
এটিও একটি ফাটাফাটি আইন। শ্রম আইন, ২০০৬ এর ২৩২ ধারানুযায়ী (৩) এটির বাধ্যবাধকতা ও ২৩৪ ধারায় (৪) এর ব্যবস্থাপনা নির্দেশনা দেয়া আছে। ২৩৬ ধারায় (৫) সাজা ও জরিমানার কথা বলা হয়েছে যার সারমর্ম হল যখন থেকে এটি প্রযোজ্য তখন থেকে এটির ব্যবস্থা না করলে কোম্পানির কর্তাগণ প্রতিজন অনধিক ১ লক্ষ টাকার জরিমানা গুণবেন, আর প্রতিদিনের জন্য ৫ হাজার টাকা; যা বছরে হিসেব করলে হয় ১৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা (১,৮২৫,০০০)। বাংলাদেশের কর দেয়া কোম্পানিগুলোর অনেকেই এই শ্রমিক কল্যাণ তহবিল ও মুনাফায় অংশগ্রহণ তহবিলের যোগ্যতা রাখে যাদের ৯০%ই এই আইন মানে না। একবার চিন্তা করলেই বোঝা যায় ঠিক কত টাকার আয় হতে পারে।

বঙ্গবন্ধু একটি সৎ ও আইনমান্যকারী জনগণের রাষ্ট্রের স্বপ্নই দেখেছিলেন।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

লেখক পেশায় হিসাববিদ ও সনদপ্রাপ্ত আয়কর পেশাজীবি


(১) Obligation to give receipt in certain cases.
30. Any person receiving any money exceeding [four hundred Taka] in amount, or any bill of exchange, cheque or promissory note for an amount exceeding [four hundred Taka], or receiving in satisfaction or part satisfaction of a debt any movable property exceeding [four hundred Taka] in value, shall, on demand by the person paying or delivering such money, bill, cheque, note or property, give a duly stamped receipt for the same.
Any person receiving or taking credit for any premium or consideration for any renewal of any contract of fire-insurance, shall, within one month after receiving or taking credit for such premium or consideration, give a duly stamped receipt for the same.

(২) Penalty for executing, etc., instrument not duly stamped.
62.(1) Any person-
(a) drawing, making, issuing, endorsing or transferring, or signing otherwise than as a witness, or presenting for acceptance of payment, or accepting, paying or receiving payment of, or in any manner negotiating, any bill of exchange payable otherwise than on demand or promissory note without the same being duly stamped; or
(b) executing or signing otherwise than as a witness any other instrument chargeable with duty without the same being duly stamped; or
(c) voting or attempting to vote under any proxy not duly stamped;
shall for every such offence be punishable with fine which may extend to five hundred Taka:
Provided that, when any penalty has been paid in respect of any instrument under section 35, section 40 or section 61, the amount of such penalty shall be allowed in reduction of the fine (if any) subsequently imposed under this section in respect of the same instrument upon the person who paid such penalty.
(2) If a share-warrant is issued without being duly stamped, the company issuing the same, and also every person who, at the time when it is issued, is the managing director or secretary or other principal officer of the company, shall be punishable with fine which may extend to five hundred Taka.


(৩) কোম্পানীর মুনাফায় শ্রমিকের অংশগ্রহণ
অধ্যায়ের প্রয়োগ

২৩২। (১) এই অধ্যায় নিম্নলিখিত যে কোন একটি শর্ত পূরণ করে এমন কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে, যথা:-
(ক) কোন হিসাব বৎসরের শেষ দিনে উহার পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ অন্যূন এক কোটি টাকা;
(খ) কোন হিসাব বৎসরের শেষ দিনে উহার স্থায়ী সম্পদের মূল্য অন্যূন দুই কোটি টাকা;
(২) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উহাতে উল্লিখিত, অন্য কোন কোম্পানী ও প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও এই অধ্যায় প্রয়োগ করিতে পারিবে।
(৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এ যাহা কিছুই বিধান থাকুক না কেন, শতভাগ রপ্তানীমুখী শিল্প সেক্টর অথবা বৈদেশিক মুদ্রা বিনোয়গকারী শিল্প সেক্টরের ক্ষেত্রে সরকার, বিধি দ্বারা, উক্ত সংশ্লিষ্ট সেক্টরে কর্মরত সুবিধাভোগীদের জন্য ক্রেতা ও মালিকের সমন্বয়ে সেক্টর ভিত্তিক কেন্দ্রীয়ভাবে একটি করিয়া তহবিল গঠন, তহবিল পরিচালনা বোর্ড গঠন, অনুদানের পরিমাণ নির্ধারণ ও আদায়ের পদ্ধতি এবং তহবিলের অথের্ ব্যবহারের বিধানসহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে প্রয়োজনীয় বিধান প্রণয়ন করিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারার উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, উক্ত বোর্ড, সরকারের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে, প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।



(৪) অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল স্থাপন
২৩৪৷ (১) এই অধ্যায় প্রযোজ্য হয় এরূপ প্রত্যেক কোম্পানী-
(ক) এই অধ্যায় প্রযোজ্য হইবার তারিখ হইতে এক মাসের মধ্যে এই অধ্যায়ের বিধান মোতাবেক একটি শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও একটি শ্রমিক কল্যাণ তহবিল স্থাপন করিবে; এবং
(খ) এর মালিক প্রত্যেক বৎসর শেষ হইবার অন্যূন নয় মাসের মধ্যে, পূর্ববর্তী বৎসরের নীট মুনাফার পাঁচ শতাংশ (৫%) অর্থ ৮০ঃ ১০ঃ ১০ অনুপাতে যথাক্রমে অংশগ্রহণ তহবিল, কল্যাণ তহবিল এবং বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন, ২০০৬ এর ধারা ১৪ এর অধীন স্থাপিত শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে প্রদান করিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, কোন মালিক, এই বিধান কার্যকর হইবার অব্যবহিত পূর্বে, কোম্পানীর নীট মুনাফার এক শতাংশ (১%) অর্থ কল্যাণ তহবিলে জমা প্রদান করিয়া থাকিলে, ট্রাষ্টি বোর্ড কল্যাণ তহবিলে জমাকৃত উক্ত অর্থের পঞ্চাশ শতাংশ (৫০%) অর্থ উপরোল্লিখিত শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে জমা প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবে।
(২) উপ-ধারা (১) (খ) এর অধীন উক্ত [তহবিলসমূহে] প্রদত্ত অর্থ যে বত্সরের জন্য প্রদান করা হইবে সে বত্সর শেষ হইবার অব্যবহিত পরের বত্সরের পহেলা তারিখে উহা [তহবিলসমূহে] বরাদ্দ হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷

(৫) জরিমানা, অর্থ আদায়, ইত্যাদি
২৩৬৷ (১) যে ক্ষেত্রে কোন কোম্পানী বা ট্রাস্টি বোর্ড ধারা ২৩৪ এর বিধানসমূহ প্রতিপালন করিতে ব্যর্থ হয়, সেইক্ষেত্রে সরকার, আদেশ দ্বারা উক্ত আদেশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে, সংশ্লিষ্ট বিধান অনুযায়ী কার্য সম্পাদনের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
(২) যদি কোন কোম্পানী বা ট্রাস্টি বোর্ড উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোন কার্য সম্পাদনে ব্যর্থ হয় তাহা হইলে সরকার, আদেশ দ্বারা, উক্ত কোম্পানীর প্রত্যেক পরিচালক, ব্যবস্থাপক অথবা উহার ব্যবস্থাপনা কাজের সহিত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে অথবা, ক্ষেত্রমত, সংশ্লিষ্ট ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান, সদস্য বা উহার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গকে অনধিক ০১ (এক) লক্ষ টাকা এবং অব্যহত ব্যর্থতার ক্ষেত্রে, ব্যর্থতার প্রথম তারিখের পর হইতে প্রত্যেক দিনের জন্য আরও ০৫ (পাঁচ) হাজার টাকা করিয়া জরিমানা আরোপ করিয়া পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে জরিমানার মোট অর্থ পরিশোধের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, কোন ব্যক্তি উল্লিখিত বিধান পুণরায় লংঘন করিলে বা প্রতিপালনে ব্যর্থ হইলে তাহার বিরুদ্ধে দ্বিগুণ জরিমানা আরোপিত হইবে।
(৩) ধারা ২৩৪ এর অধীন প্রদেয় কোন অর্থ অপরিশোধিত থাকিলে এবং এই ধারার অধীন আরোপিত জরিমানা, সংশ্লিষ্ট আদেশে উলেস্নখিত তারিখের মধ্যে পরিশোধ করা না হইলে, উক্ত অপরিশেধিত অর্থ ও জরিমানা সরকারী দাবী হিসাবে গণ্য হইবে এবং উহা Public Demands Recovery Act, 1913 (Act No. IX of 1913) এর বিধান অনুযায়ী আদায়যোগ্য হইবে।
(৪) উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন কোন আদেশের দ্বারা সংক্ষুব্ধ কোন ব্যক্তি উহা পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের নিকট, উক্ত আদেশের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে, দরখাস্ত পেশ করিতে পারিবেন এবং উক্তরূপ দরখাস্ত প্রাপ্তির পর সরকার অনধিক ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিনের মধ্যে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতঃ যথাযথ আদেশ প্রদান করিবে এবং বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, কোম্পানী বা ট্রাস্টি বোর্ডকে অবহিত করিবে।
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন সরকার কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।

আজ থেকে নয়া একটি অর্থ-বছর শুরু হল। এটা সবারই জানা (যারা খবর রাখেন আর কি)। সরকার প্রতি বছরই নিত্য নতুনভাবে আয় বাড়ানোর চেষ্টা করে। এখানে কর একটি বিশাল ভূমিকা পালন করে। কিন্তু আজ এমন একটি বিষয় নিয়ে বলব যেটি যদি সরকারের পর্যন্ত পৌঁছে ও বাস্তবায়ন হয়, তবে সরকারের আয় কম করে হলেও ১০ থেকে ১০০ গুণ বাড়বে কোন ঝামেলা ছাড়াই।

আসুন মূল কথায় আসি। কমপ্লায়েন্স নামক একটা ব্যাপার আছে। সরকার ব্যবসাকে নিয়ন্ত্রণ ও সমাজের উন্নয়নের জন্য অনেক আইন করে থাকে। কয়েকটা এমন আইনের বিষয় নিয়ে আজ বলব।

রাজস্ব স্ট্যাম্পঃ
সহজ কথায় বলতে গেলে ৪০০ টাকার উপর লেনদেনে ১০ টাকার রাজস্ব স্ট্যাম্প লাগবে (১)। অন্যথায় ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা (২) হতে পারে। মানে হল ১০ টাকার জন্য ৫০০ টাকা জরিমানা। এটি সরকার চাইলেই হাজার হাজার কোটি টাকা আয় ও লাখ কোটি কোটি টাকার জরিমানা আদায় করতে পারে।


শ্রমিক কল্যাণ তহবিল ও মুনাফায় অংশগ্রহণ তহবিলঃ
এটিও একটি ফাটাফাটি আইন। শ্রম আইন, ২০০৬ এর ২৩২ ধারানুযায়ী (৩) এটির বাধ্যবাধকতা ও ২৩৪ ধারায় (৪) এর ব্যবস্থাপনা নির্দেশনা দেয়া আছে। ২৩৬ ধারায় (৫) সাজা ও জরিমানার কথা বলা হয়েছে যার সারমর্ম হল যখন থেকে এটি প্রযোজ্য তখন থেকে এটির ব্যবস্থা না করলে কোম্পানির কর্তাগণ প্রতিজন অনধিক ১ লক্ষ টাকার জরিমানা গুণবেন, আর প্রতিদিনের জন্য ৫ হাজার টাকা; যা বছরে হিসেব করলে হয় ১৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা (১,৮২৫,০০০)। বাংলাদেশের কর দেয়া কোম্পানিগুলোর অনেকেই এই শ্রমিক কল্যাণ তহবিল ও মুনাফায় অংশগ্রহণ তহবিলের যোগ্যতা রাখে যাদের ৯০%ই এই আইন মানে না। একবার চিন্তা করলেই বোঝা যায় ঠিক কত টাকার আয় হতে পারে।

বঙ্গবন্ধু একটি সৎ ও আইনমান্যকারী জনগণের রাষ্ট্রের স্বপ্নই দেখেছিলেন।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

লেখক পেশায় হিসাববিদ ও সনদপ্রাপ্ত আয়কর পেশাজীবি


(১) Obligation to give receipt in certain cases.
30. Any person receiving any money exceeding [four hundred Taka] in amount, or any bill of exchange, cheque or promissory note for an amount exceeding [four hundred Taka], or receiving in satisfaction or part satisfaction of a debt any movable property exceeding [four hundred Taka] in value, shall, on demand by the person paying or delivering such money, bill, cheque, note or property, give a duly stamped receipt for the same.
Any person receiving or taking credit for any premium or consideration for any renewal of any contract of fire-insurance, shall, within one month after receiving or taking credit for such premium or consideration, give a duly stamped receipt for the same.

(২) Penalty for executing, etc., instrument not duly stamped.
62.(1) Any person-
(a) drawing, making, issuing, endorsing or transferring, or signing otherwise than as a witness, or presenting for acceptance of payment, or accepting, paying or receiving payment of, or in any manner negotiating, any bill of exchange payable otherwise than on demand or promissory note without the same being duly stamped; or
(b) executing or signing otherwise than as a witness any other instrument chargeable with duty without the same being duly stamped; or
(c) voting or attempting to vote under any proxy not duly stamped;
shall for every such offence be punishable with fine which may extend to five hundred Taka:
Provided that, when any penalty has been paid in respect of any instrument under section 35, section 40 or section 61, the amount of such penalty shall be allowed in reduction of the fine (if any) subsequently imposed under this section in respect of the same instrument upon the person who paid such penalty.
(2) If a share-warrant is issued without being duly stamped, the company issuing the same, and also every person who, at the time when it is issued, is the managing director or secretary or other principal officer of the company, shall be punishable with fine which may extend to five hundred Taka.


(৩) কোম্পানীর মুনাফায় শ্রমিকের অংশগ্রহণ
অধ্যায়ের প্রয়োগ

২৩২। (১) এই অধ্যায় নিম্নলিখিত যে কোন একটি শর্ত পূরণ করে এমন কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে, যথা:-
(ক) কোন হিসাব বৎসরের শেষ দিনে উহার পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ অন্যূন এক কোটি টাকা;
(খ) কোন হিসাব বৎসরের শেষ দিনে উহার স্থায়ী সম্পদের মূল্য অন্যূন দুই কোটি টাকা;
(২) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উহাতে উল্লিখিত, অন্য কোন কোম্পানী ও প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও এই অধ্যায় প্রয়োগ করিতে পারিবে।
(৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এ যাহা কিছুই বিধান থাকুক না কেন, শতভাগ রপ্তানীমুখী শিল্প সেক্টর অথবা বৈদেশিক মুদ্রা বিনোয়গকারী শিল্প সেক্টরের ক্ষেত্রে সরকার, বিধি দ্বারা, উক্ত সংশ্লিষ্ট সেক্টরে কর্মরত সুবিধাভোগীদের জন্য ক্রেতা ও মালিকের সমন্বয়ে সেক্টর ভিত্তিক কেন্দ্রীয়ভাবে একটি করিয়া তহবিল গঠন, তহবিল পরিচালনা বোর্ড গঠন, অনুদানের পরিমাণ নির্ধারণ ও আদায়ের পদ্ধতি এবং তহবিলের অথের্ ব্যবহারের বিধানসহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে প্রয়োজনীয় বিধান প্রণয়ন করিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারার উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, উক্ত বোর্ড, সরকারের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে, প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।



(৪) অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল স্থাপন
২৩৪৷ (১) এই অধ্যায় প্রযোজ্য হয় এরূপ প্রত্যেক কোম্পানী-
(ক) এই অধ্যায় প্রযোজ্য হইবার তারিখ হইতে এক মাসের মধ্যে এই অধ্যায়ের বিধান মোতাবেক একটি শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও একটি শ্রমিক কল্যাণ তহবিল স্থাপন করিবে; এবং
(খ) এর মালিক প্রত্যেক বৎসর শেষ হইবার অন্যূন নয় মাসের মধ্যে, পূর্ববর্তী বৎসরের নীট মুনাফার পাঁচ শতাংশ (৫%) অর্থ ৮০ঃ ১০ঃ ১০ অনুপাতে যথাক্রমে অংশগ্রহণ তহবিল, কল্যাণ তহবিল এবং বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন, ২০০৬ এর ধারা ১৪ এর অধীন স্থাপিত শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে প্রদান করিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, কোন মালিক, এই বিধান কার্যকর হইবার অব্যবহিত পূর্বে, কোম্পানীর নীট মুনাফার এক শতাংশ (১%) অর্থ কল্যাণ তহবিলে জমা প্রদান করিয়া থাকিলে, ট্রাষ্টি বোর্ড কল্যাণ তহবিলে জমাকৃত উক্ত অর্থের পঞ্চাশ শতাংশ (৫০%) অর্থ উপরোল্লিখিত শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে জমা প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবে।
(২) উপ-ধারা (১) (খ) এর অধীন উক্ত [তহবিলসমূহে] প্রদত্ত অর্থ যে বত্সরের জন্য প্রদান করা হইবে সে বত্সর শেষ হইবার অব্যবহিত পরের বত্সরের পহেলা তারিখে উহা [তহবিলসমূহে] বরাদ্দ হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷

(৫) জরিমানা, অর্থ আদায়, ইত্যাদি
২৩৬৷ (১) যে ক্ষেত্রে কোন কোম্পানী বা ট্রাস্টি বোর্ড ধারা ২৩৪ এর বিধানসমূহ প্রতিপালন করিতে ব্যর্থ হয়, সেইক্ষেত্রে সরকার, আদেশ দ্বারা উক্ত আদেশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে, সংশ্লিষ্ট বিধান অনুযায়ী কার্য সম্পাদনের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
(২) যদি কোন কোম্পানী বা ট্রাস্টি বোর্ড উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোন কার্য সম্পাদনে ব্যর্থ হয় তাহা হইলে সরকার, আদেশ দ্বারা, উক্ত কোম্পানীর প্রত্যেক পরিচালক, ব্যবস্থাপক অথবা উহার ব্যবস্থাপনা কাজের সহিত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে অথবা, ক্ষেত্রমত, সংশ্লিষ্ট ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান, সদস্য বা উহার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গকে অনধিক ০১ (এক) লক্ষ টাকা এবং অব্যহত ব্যর্থতার ক্ষেত্রে, ব্যর্থতার প্রথম তারিখের পর হইতে প্রত্যেক দিনের জন্য আরও ০৫ (পাঁচ) হাজার টাকা করিয়া জরিমানা আরোপ করিয়া পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে জরিমানার মোট অর্থ পরিশোধের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, কোন ব্যক্তি উল্লিখিত বিধান পুণরায় লংঘন করিলে বা প্রতিপালনে ব্যর্থ হইলে তাহার বিরুদ্ধে দ্বিগুণ জরিমানা আরোপিত হইবে।
(৩) ধারা ২৩৪ এর অধীন প্রদেয় কোন অর্থ অপরিশোধিত থাকিলে এবং এই ধারার অধীন আরোপিত জরিমানা, সংশ্লিষ্ট আদেশে উলেস্নখিত তারিখের মধ্যে পরিশোধ করা না হইলে, উক্ত অপরিশেধিত অর্থ ও জরিমানা সরকারী দাবী হিসাবে গণ্য হইবে এবং উহা Public Demands Recovery Act, 1913 (Act No. IX of 1913) এর বিধান অনুযায়ী আদায়যোগ্য হইবে।
(৪) উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন কোন আদেশের দ্বারা সংক্ষুব্ধ কোন ব্যক্তি উহা পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের নিকট, উক্ত আদেশের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে, দরখাস্ত পেশ করিতে পারিবেন এবং উক্তরূপ দরখাস্ত প্রাপ্তির পর সরকার অনধিক ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিনের মধ্যে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতঃ যথাযথ আদেশ প্রদান করিবে এবং বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, কোম্পানী বা ট্রাস্টি বোর্ডকে অবহিত করিবে।
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন সরকার কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।

আজ থেকে নয়া একটি অর্থ-বছর শুরু হল। এটা সবারই জানা (যারা খবর রাখেন আর কি)। সরকার প্রতি বছরই নিত্য নতুনভাবে আয় বাড়ানোর চেষ্টা করে। এখানে কর একটি বিশাল ভূমিকা পালন করে। কিন্তু আজ এমন একটি বিষয় নিয়ে বলব যেটি যদি সরকারের পর্যন্ত পৌঁছে ও বাস্তবায়ন হয়, তবে সরকারের আয় কম করে হলেও ১০ থেকে ১০০ গুণ বাড়বে কোন ঝামেলা ছাড়াই।

আসুন মূল কথায় আসি। কমপ্লায়েন্স নামক একটা ব্যাপার আছে। সরকার ব্যবসাকে নিয়ন্ত্রণ ও সমাজের উন্নয়নের জন্য অনেক আইন করে থাকে। কয়েকটা এমন আইনের বিষয় নিয়ে আজ বলব।

রাজস্ব স্ট্যাম্পঃ
সহজ কথায় বলতে গেলে ৪০০ টাকার উপর লেনদেনে ১০ টাকার রাজস্ব স্ট্যাম্প লাগবে (১)। অন্যথায় ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা (২) হতে পারে। মানে হল ১০ টাকার জন্য ৫০০ টাকা জরিমানা। এটি সরকার চাইলেই হাজার হাজার কোটি টাকা আয় ও লাখ কোটি কোটি টাকার জরিমানা আদায় করতে পারে।


শ্রমিক কল্যাণ তহবিল ও মুনাফায় অংশগ্রহণ তহবিলঃ
এটিও একটি ফাটাফাটি আইন। শ্রম আইন, ২০০৬ এর ২৩২ ধারানুযায়ী (৩) এটির বাধ্যবাধকতা ও ২৩৪ ধারায় (৪) এর ব্যবস্থাপনা নির্দেশনা দেয়া আছে। ২৩৬ ধারায় (৫) সাজা ও জরিমানার কথা বলা হয়েছে যার সারমর্ম হল যখন থেকে এটি প্রযোজ্য তখন থেকে এটির ব্যবস্থা না করলে কোম্পানির কর্তাগণ প্রতিজন অনধিক ১ লক্ষ টাকার জরিমানা গুণবেন, আর প্রতিদিনের জন্য ৫ হাজার টাকা; যা বছরে হিসেব করলে হয় ১৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা (১,৮২৫,০০০)। বাংলাদেশের কর দেয়া কোম্পানিগুলোর অনেকেই এই শ্রমিক কল্যাণ তহবিল ও মুনাফায় অংশগ্রহণ তহবিলের যোগ্যতা রাখে যাদের ৯০%ই এই আইন মানে না। একবার চিন্তা করলেই বোঝা যায় ঠিক কত টাকার আয় হতে পারে।

বঙ্গবন্ধু একটি সৎ ও আইনমান্যকারী জনগণের রাষ্ট্রের স্বপ্নই দেখেছিলেন।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

লেখক পেশায় হিসাববিদ ও সনদপ্রাপ্ত আয়কর পেশাজীবি


(১) Obligation to give receipt in certain cases.
30. Any person receiving any money exceeding [four hundred Taka] in amount, or any bill of exchange, cheque or promissory note for an amount exceeding [four hundred Taka], or receiving in satisfaction or part satisfaction of a debt any movable property exceeding [four hundred Taka] in value, shall, on demand by the person paying or delivering such money, bill, cheque, note or property, give a duly stamped receipt for the same.
Any person receiving or taking credit for any premium or consideration for any renewal of any contract of fire-insurance, shall, within one month after receiving or taking credit for such premium or consideration, give a duly stamped receipt for the same.

(২) Penalty for executing, etc., instrument not duly stamped.
62.(1) Any person-
(a) drawing, making, issuing, endorsing or transferring, or signing otherwise than as a witness, or presenting for acceptance of payment, or accepting, paying or receiving payment of, or in any manner negotiating, any bill of exchange payable otherwise than on demand or promissory note without the same being duly stamped; or
(b) executing or signing otherwise than as a witness any other instrument chargeable with duty without the same being duly stamped; or
(c) voting or attempting to vote under any proxy not duly stamped;
shall for every such offence be punishable with fine which may extend to five hundred Taka:
Provided that, when any penalty has been paid in respect of any instrument under section 35, section 40 or section 61, the amount of such penalty shall be allowed in reduction of the fine (if any) subsequently imposed under this section in respect of the same instrument upon the person who paid such penalty.
(2) If a share-warrant is issued without being duly stamped, the company issuing the same, and also every person who, at the time when it is issued, is the managing director or secretary or other principal officer of the company, shall be punishable with fine which may extend to five hundred Taka.


(৩) কোম্পানীর মুনাফায় শ্রমিকের অংশগ্রহণ
অধ্যায়ের প্রয়োগ

২৩২। (১) এই অধ্যায় নিম্নলিখিত যে কোন একটি শর্ত পূরণ করে এমন কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে, যথা:-
(ক) কোন হিসাব বৎসরের শেষ দিনে উহার পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ অন্যূন এক কোটি টাকা;
(খ) কোন হিসাব বৎসরের শেষ দিনে উহার স্থায়ী সম্পদের মূল্য অন্যূন দুই কোটি টাকা;
(২) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উহাতে উল্লিখিত, অন্য কোন কোম্পানী ও প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও এই অধ্যায় প্রয়োগ করিতে পারিবে।
(৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এ যাহা কিছুই বিধান থাকুক না কেন, শতভাগ রপ্তানীমুখী শিল্প সেক্টর অথবা বৈদেশিক মুদ্রা বিনোয়গকারী শিল্প সেক্টরের ক্ষেত্রে সরকার, বিধি দ্বারা, উক্ত সংশ্লিষ্ট সেক্টরে কর্মরত সুবিধাভোগীদের জন্য ক্রেতা ও মালিকের সমন্বয়ে সেক্টর ভিত্তিক কেন্দ্রীয়ভাবে একটি করিয়া তহবিল গঠন, তহবিল পরিচালনা বোর্ড গঠন, অনুদানের পরিমাণ নির্ধারণ ও আদায়ের পদ্ধতি এবং তহবিলের অথের্ ব্যবহারের বিধানসহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে প্রয়োজনীয় বিধান প্রণয়ন করিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারার উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, উক্ত বোর্ড, সরকারের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে, প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।



(৪) অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল স্থাপন
২৩৪৷ (১) এই অধ্যায় প্রযোজ্য হয় এরূপ প্রত্যেক কোম্পানী-
(ক) এই অধ্যায় প্রযোজ্য হইবার তারিখ হইতে এক মাসের মধ্যে এই অধ্যায়ের বিধান মোতাবেক একটি শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও একটি শ্রমিক কল্যাণ তহবিল স্থাপন করিবে; এবং
(খ) এর মালিক প্রত্যেক বৎসর শেষ হইবার অন্যূন নয় মাসের মধ্যে, পূর্ববর্তী বৎসরের নীট মুনাফার পাঁচ শতাংশ (৫%) অর্থ ৮০ঃ ১০ঃ ১০ অনুপাতে যথাক্রমে অংশগ্রহণ তহবিল, কল্যাণ তহবিল এবং বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন, ২০০৬ এর ধারা ১৪ এর অধীন স্থাপিত শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে প্রদান করিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, কোন মালিক, এই বিধান কার্যকর হইবার অব্যবহিত পূর্বে, কোম্পানীর নীট মুনাফার এক শতাংশ (১%) অর্থ কল্যাণ তহবিলে জমা প্রদান করিয়া থাকিলে, ট্রাষ্টি বোর্ড কল্যাণ তহবিলে জমাকৃত উক্ত অর্থের পঞ্চাশ শতাংশ (৫০%) অর্থ উপরোল্লিখিত শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে জমা প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবে।
(২) উপ-ধারা (১) (খ) এর অধীন উক্ত [তহবিলসমূহে] প্রদত্ত অর্থ যে বত্সরের জন্য প্রদান করা হইবে সে বত্সর শেষ হইবার অব্যবহিত পরের বত্সরের পহেলা তারিখে উহা [তহবিলসমূহে] বরাদ্দ হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷

(৫) জরিমানা, অর্থ আদায়, ইত্যাদি
২৩৬৷ (১) যে ক্ষেত্রে কোন কোম্পানী বা ট্রাস্টি বোর্ড ধারা ২৩৪ এর বিধানসমূহ প্রতিপালন করিতে ব্যর্থ হয়, সেইক্ষেত্রে সরকার, আদেশ দ্বারা উক্ত আদেশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে, সংশ্লিষ্ট বিধান অনুযায়ী কার্য সম্পাদনের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
(২) যদি কোন কোম্পানী বা ট্রাস্টি বোর্ড উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোন কার্য সম্পাদনে ব্যর্থ হয় তাহা হইলে সরকার, আদেশ দ্বারা, উক্ত কোম্পানীর প্রত্যেক পরিচালক, ব্যবস্থাপক অথবা উহার ব্যবস্থাপনা কাজের সহিত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে অথবা, ক্ষেত্রমত, সংশ্লিষ্ট ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান, সদস্য বা উহার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গকে অনধিক ০১ (এক) লক্ষ টাকা এবং অব্যহত ব্যর্থতার ক্ষেত্রে, ব্যর্থতার প্রথম তারিখের পর হইতে প্রত্যেক দিনের জন্য আরও ০৫ (পাঁচ) হাজার টাকা করিয়া জরিমানা আরোপ করিয়া পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে জরিমানার মোট অর্থ পরিশোধের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, কোন ব্যক্তি উল্লিখিত বিধান পুণরায় লংঘন করিলে বা প্রতিপালনে ব্যর্থ হইলে তাহার বিরুদ্ধে দ্বিগুণ জরিমানা আরোপিত হইবে।
(৩) ধারা ২৩৪ এর অধীন প্রদেয় কোন অর্থ অপরিশোধিত থাকিলে এবং এই ধারার অধীন আরোপিত জরিমানা, সংশ্লিষ্ট আদেশে উলেস্নখিত তারিখের মধ্যে পরিশোধ করা না হইলে, উক্ত অপরিশেধিত অর্থ ও জরিমানা সরকারী দাবী হিসাবে গণ্য হইবে এবং উহা Public Demands Recovery Act, 1913 (Act No. IX of 1913) এর বিধান অনুযায়ী আদায়যোগ্য হইবে।
(৪) উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন কোন আদেশের দ্বারা সংক্ষুব্ধ কোন ব্যক্তি উহা পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের নিকট, উক্ত আদেশের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে, দরখাস্ত পেশ করিতে পারিবেন এবং উক্তরূপ দরখাস্ত প্রাপ্তির পর সরকার অনধিক ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিনের মধ্যে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতঃ যথাযথ আদেশ প্রদান করিবে এবং বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, কোম্পানী বা ট্রাস্টি বোর্ডকে অবহিত করিবে।
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন সরকার কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুলাই, ২০২১ রাত ৮:২৯

স্বপ্নাশিস বলেছেন: হুম,অনেককিছু জানলাম।

০১ লা জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৩৪

সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০২ রা জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:১৪

ফেনা বলেছেন: আইডিয়া জটিল।

০২ রা জুলাই, ২০২১ রাত ১১:১৫

সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.