![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।
সামহোয়্যারইন ব্লগ(বাঁধ ভাঙার আওয়াজ)-এর ব্লগারদের একটা বিরাট অংশ দেশের বাইরে থাকেন। তারা জীবিকার প্রয়োজনে কঠোর পরিশ্রমের মাঝেও ব্লগে আসেন তাদের মতামত প্রকাশ করেন। বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। অনেক ভাল লাগার মতো একটি ব্যাপার। তাদের বঞ্চনা আর কষ্টের কিছুটা হলেও আমরা জানতে পারি। আমি চাই প্রবাসীদের কথা আরো বেশী করে ব্লগে আসুক।
বাংলাদেশের প্রায় ৭০ লাখ মানুষ পেটের দায়ে হোক আর জীবন-জীবিকার প্রয়োজনেই হোক দেশের বাইরে কাজ করছেন এটাই এখন বাস্তবতা। তারা তাদের আয়ের বেশীর ভাগই দেশে পাঠিয়ে দিয়ে থাকেন। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সমৃদ্ধ করণে তাদের ভূমিকা অস্বীকার করার আর কোন উপায় নাই।
কিন্তু বিদেশে যারা আছেন তারা কি আর স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেন। খাওয়া-দাওয়া, থাকা সব কিছুতে কষ্ট। ছোট্ট একটা রুমের ভেতর গাদাগাদি করে থাকতে হয়। হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম। কোন আরাম আয়েস নেই। নেই বিনোদন।
দেশ থেকে জমি-জমা, ভিটে-মাটি, ঘর-বাড়ি বিক্রি করে যারা বিদেশে আছেন তাদের প্রকৃত অবস্থা অনেক ক্ষেত্রে তাদের নিকটা জনেরাও জানতে পারেন না। পরিবারের সবাই জানে ভাল আয় করে টাকা পাঠায় মন্দ কি। কিন্তু আমরা কি কেউ জানি যে, ৭০ লাখ বাংলাদেশী যারা বিদেশে আছেন তাদের প্রায় ৮০% এর মাসিক আয় ১৫/২০ হাজার টাকার অধিক নয়। কেউ কেউ আছে যাদের ইনকাম এর চেয়েও কম। কিন্তু এ জন্য তাদেরকে প্রাথমিক বিনিয়োগ করতে হয়েছে অনেক। দেখা গেছে ২ লাখ টাকা খরচ করে বিদেশে গেছে এক লোক । কিন্তু তার মাসিক বেতন ১৫ হাজার টাকা। এখন সে যদি ১৫ হাজার টাকা থেকে ১ টাকাও খরচ না করে তাহলেও তার মূলধন ফেরত পেতে ১৩ মাসেরও বেশী সময় লেগে যাবে। আর ১৫ হাজার টাকা থেকে যে যদি অর্ধেক খরচ করে ফেলে তাহলে তো আর কথাই নাই। আর বলাই বাহুল্য পৃথিবীর যে কোন দেশে জীবন যাত্রার ব্যয় বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশী।
অনেকই আছে যারা ২০ হাজার টাকা বেতন পান তারা কোন পরিচিত জনের কাছ থেকে টাকা ধার করেন। তারপর বড় একটা পরিমাণ টাকা দেশে পরিবারের কাছে পাঠান। পরবর্তী মাসগুলোতে কেবল সেই টাকা শোধ করতে থাকেন। এটা অনেকেই করে থাকেন। কারণ ১৫/২০ হাজার টাকা বেতন পেয়ে দেশে নিয়মিত টাকা পাঠানো অনেক কঠিন। ফলে তারা নিজেরা যেমন কষ্ট করে চলে তেমনি দেশে তাদের পরিবারও খুব একটা সুখে থাকে না। কোন রকমে খেয়ে পরে বেঁচে থাকা আর কি।
আমাদের প্রবাসী শ্রমিকদের বেশীর ভাগই পড়াশোনা জানে না। নেই কোন ভাল কাজের প্রশিক্ষণ। ফলে বেশীর ভাগ লোকই কোন ভাল কাজ পায় না যাতে বেশী বেতন পাওয়া যেতে পারে। ফলে সব চেয়ে কম বেতনের কঠিন কাজটিই তাদের জন্য নির্ধারিত থাকে। এছাড়া রয়েছে ভাষার সমস্যা। তারা জানে না ইংরেজি। আর যেহেতু ইংরেজি জানে না তাই অন্য ভাষা শিখতেও তাদের সমস্যা হয়। যাদের কাজ করছে তাদের কাছে নিজের চাহিদা কিংবা সমস্যা তুলে ধরার মতো কোন সুযোগও তাদের থাকে না।
মোদ্দাকথা, আমরা দেশ থেকে কেবল টাকাটাই দেখতে পাই। কিন্তু যারা এই টাকা পাঠায় আমরা জানি না তাদের জীবন যাত্রা কেমন। আমরা জানি না যে তারা কেমন আছে। তারা যে ভাল নেই এটা আমাদেরকে জানতে হবে। আমাদের ভাগ্য বিধাতারা হয়তো গর্ব করেন ওয়েজআর্নাররা প্রচুর রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে। কিন্তু সেই রেমিট্যান্সের ভেতর কত ঘাম, কত কষ্ট আর কত হাহাকার সেই খবর কয় জনে রাখে?
ইদানিং একটা কথা অনেককেই বলতে শুনিঃ বিদেশে থাকার দরকার নাই, দেশেই একটা কিছু কর। অনেক সুন্দ পরামর্শ। সবাই চায় দেশে একটা কিছু করতে। কিন্তু কি করবে? দেশে কোন কাজটা আছে? কোন কাজটা করবে মানুষ? কে দেবে কাজ?
বেশীর ভাগ প্রবাসীর নিজের জমিজমা বলতে তেমন কিছু নেই। শিক্ষা নেই। দেশে কোন কাজটা তারা পাবে? ধরে নিলাম, তারা গামেন্টেসে কাজ পাবে? অর্ধকোটি লোককে কাজ দেবার মতো শিল্পকারখানা কি দেশে আছে? আমি একটা কথা গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, দেশে যদি নুনতম ৮/১০ হাজার টাকা কামাই করার সুযোগ থাকত তাহলে প্রবাসে যারা আছে তাদের বেশীর ভাগই দেশে চলে আসত। দেশে গার্মেন্টস এর বেতন ধরা হয়েছে মাত্র ৩ হাজার টাকা। কে পারবে এই টাকায় সংসার চালাতে? স্ত্রী-পরিবার, ঘর-সংসার দেশে ফেলে কে বিদেশে থাকতে চায়? দেশে ব্যবসা করবেন? কোন ব্যবসাটা করবেন? সর্বত্র মাস্তানী, চাঁদাবাজি, ছিনতাই। বাসে চাঁদা, ট্রাকে চাঁদা , হাটে চাদা, ঘাটে চাদা, মাঠে চাঁদা। এমন কোন জায়গা নাই যেখানে নোংরা রাজনীতির ছোবল নেই। কোন জায়গায় কাজের আর ব্যবসার পরিবেশ আছে?
সহজ সরল ভাল মানুষের মতো একটা মুদির দোকান দিবেন। সেখানে আপনাকে ৩ লাখ টাকার মাল সব সময়ই বাকির খাতায় রাখতে হবে। কিছু কিছু আবার যাবে চির বাকির খাতায়। যে বাকী আর ইহজীবনেও আদায় হবে না। রোজ কম করে হলেও ১ প্যাকেট সিগারেট যাবে পাড়ার উঠতি মাস্তানদের পেটে। তাদের কাছে টাকা চাইলে তারা ছুরি কিংবা কাটা রাইফেল কিছু একটা প্রদর্শন করবে। খুব দ্রুত দোকান লাটে উঠবে। তার চেয়ে ঢের ভাল বিদেশে পড়ে থাকা। এই সব ঝামেলা তো আর নেই সেখানে।
এবার বিদেশে থাকার কতিপয় বিড়ম্বনা তুলে ধরছি। বেশ কিছু প্রবাসী বন্ধুর মতামত ও আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে দেখা গেছে:
১। দেশে যারা আত্নীয় স্বজন আছে তারা মনে করে বিদেশে অনেক ভালই তো আছে। মাঝে মাঝে মোটা অংকের টাকা পাঠাচ্ছে।
২। প্রবাস থেকেই দেশে নিয়মিত মোবাইলে কল দিতে হবে। দেশ থেকে পারত পক্ষে কোন কল আসে না। এসএমএস অনেক সস্তা হলেও বাংলাদেশ থেকে কেউ একটা এসএমএসও পাঠায় না। মাঝে মাঝে কল দেবার তাগিদ দিয়ে আসে মিসডকল। তখন আবার কল ব্যাক করতে হয়।
৩। এক সময় মোবাইল ছিল না। তখন চিঠিই ছিল বেশীর ভাগ প্রবাসীর স্বদেশে যোগাযোগের এক মাত্র মাধ্যম। মাঝে মাঝে ক্যাসেট প্লেয়ারে কথা রেকর্ড করে সেই অডিওর ফিতাটি ডাকযোগে পাঠিয়ে দেয়া হত। দেশের পরিবারের সবাই তা শুনত। তারাও আবার ফিরতি অডিও ফিতা পাঠাতো। ফলে খরচ কম হত। এখন বিরাট একটা খরচ হয় কথা বলতে। তারপরও প্রবাসীরা অনেক খুশী। কারণ প্রিয়জনের সাথে কথা বলতে তো পারল।
৪। আমার এক জন খুব পরিচিত এলাকাবাসী যিনি ইটালীতে থাকেন তিনি বললেন, বাংলাদেশের মানুষ বিদেশে নিজেরা নিজেরা ঝগড়া করে। মারামারি করে। ফালতু রাজনীতিও করে কেউ কেউ। কিন্তু ঘরের বাইরে গেলে বিরাট ভোদাই। তিনি বললেন, পারলে মার তো কোন আফ্রিকানকে! নিজেরা নিজেরা মারামরি করে কোন লাভ?
৫। টাকা পাঠানোর অনেক ভাল পদ্ধতি থাকলেও এখনো কম আয়ের কারণে বাংলাদেশীরা কোন ব্যক্তি দেশে গেলে তার হাতে টাকা পাঠাতে পছন্দ করে। অবশ্য এ ক্ষেত্রে টাকা মার যাবার রেকর্ড তেমন নাই। কম আয়ের মানুষদের টাকা পাঠাতে আসলেই কষ্ট। কারণ ফি তো লাগে ।
নিজের দেশ সবারই প্রিয়। জন্ম ভূমির মাটি সবাইকেই টানে। কিন্তু প্রবাসী বাংলাদেশীদের কপাল এমনই খারাপ যে বাংলাদেশ তাদেরকে কাছে টানলেও এই সব বহুবিধ কারণে দেশ তাদের কাছে চিরদিনই ধরা-ছোয়ার বাইরে থাকে । শেষ জীবনে যখন আর কাজ কর্ম করার মতো শক্তি অবশিষ্ট থাকে না তখন দেশে ফিরে আসতে হয়।
প্রিয়জনদের কেউ কেউ হয়তো তারপরো বলেন: বিদেশে থাকার দরকার নাই, দেশে একটা কিছু কর। কে বিদেশে পরে থাকতে চায়? সবাই চায় নিজের দেশে থাকতে। ভাল ভাবে বেঁচে থাকতে। কিন্তু কেন মানুষ তা পারে না?
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:১৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: স্বাধীনতার পরপরই তৎপর হতে পারলে আজ হয়তো বিদেশে যেতে হতো না।
বরং বিদেশ থেকেই শ্রমিক আসত আমাদের দেশে কাজ করতে।
তা তো আর হল না।
আফসোস!
২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:২৪
একজন আমি বলেছেন: হুমম একমত
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:১৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:২৫
কামাল২০১০ বলেছেন: খুব ভালো লাগলো ....আপনাকে ধন্যবাদ . হায়রে আমাদের প্রবাসী জীবন / আল্লাহ কবে আমাদের দেশের উন্নতি করবে আর দেশে আসবো চাকরি করবো পরিবারের সবাইকে নিয়ে এক সাতে থাকবো .
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:১৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আসলেই অনেক কষ্টের প্রবাস জীবন আমাদের।
দেশের নেতারা ভাল হলে আমাদের দেশেই কত কাজ থাকতে পারত।
৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৩২
শোভন এক্স বলেছেন: যে বিদেশে ভালো কিছু করতে পারে তার ওখানেই থাকা উচিৎ। তার জায়গায় দেশে একজন বেকারের কর্মসংস্থানের জায়গা হয়। তার পাঠানো রেমিটেন্সেও দেশ ব্যাপক ভাবে উপকৃত হয়। তাছাড়া আমাদের এই ঘরকুনো প্রবনতাও আমাদের পিছিয়ে পড়ার কারন। নতুন নতুন দেশ দেখতে হবে, নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। তা না ঘরে বসে খালি কামড়া-কামড়ি করি আমরা।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:০৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি অনেক ভাল বলেছেন।
ধন্যবাদ।
৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৩৫
সত্যচারী বলেছেন: বাস্তব সত্য কিছু কথা বললেন ভাই। তবে প্রবাসে যে বাংগালী ভায়েরা ভাল অবস্থানে আছে তাদের কথা লিখলেও পারতেন,
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৩৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ৫% বাংলাদেশী হয়তো ভাল আছেন।
তারা আরো ভাল থাকুন।
৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৩৯
শেরজা তপন বলেছেন: প্রবাসে বিড়ম্বনার কথায় একটু বিস্মিত হলাম! এগুলো-তো কোন সমস্যাই না আরো কত ক্যাচাল আছে!
শামিম ভাইয়ের কথার সুত্র ধরে বলছি- তবুও বিদেশ ভাল!
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:১৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: তা অবশ্য ঠিক।
কিন্তু দেশ যদি সামান্য ভাল কিছু দিতে পারত তাহলে কেউ কি আর বিদেশ যেত?
৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:০৪
খালেকুজজামান বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ যে প্রবাসিদের দুঃখ ও বিড়ম্বরনার কথা তুলে ধরার জন্য । প্রবাস যে কি আর কি কষ্টের যে পেয়েছে সেই জানে
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:২১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: প্রবাসের কষ্ট থেকেই বলছি, দেশের জন্য ভাল একটা করার মতো কোন মহান মানুষ কি আসবে না এই বাংলায়?
মানুষ আর কত কষ্ট করবে?
৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:০৭
সিটিজি৪বিডি বলেছেন: অনেক অনেক অনেক ভাল লেগেছে..প্রবাসে আর ভাল লাগছে না। কিন্তু দেশে গিয়ে কি করব। দেশেতো গ্যাস-বিদু্ত-পানিই থাকে না। চারিদিকে শুধুই অরাজকতার চিত্র দেখতে পাই। তাই দেশে আসতে ও ভয় পায়।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:২৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: দেশে ভদ্র ভাবে আয়ের কোন সুযোগ থাকলে এখই কম করে হলেও ৫০ লাখ প্রবাসী দেশে চলে আসবে!
এটা আমার বানানো কথা নয়।
অনেকর সাথেই আলাপ করেছি।
সবাই দেশে যেতে চায়।
কিন্তু দেশে গিয়ে করবেটা কী????
৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:১৯
ওরাকল বলেছেন: যত যাই বলেন স্বদেশ স্বদেশই হাজার সুযোগ-সুবিধা পেলেও নিজ দেশের সাথে কোন কিছুর তুলনা চলে না।
তাই চলে আসছি দেশে। তবে আমার যেমন জবের নিশ্চয়তা আছে অন্যদের ক্ষেত্রে হয়ত তা নেই
তবে আমি বিশ্বাস করি ২-৩ লাখ টাকা খরচ করে ভিন দেশে ১৫-২০ হাজার টাকা আয় করার চেয়ে দেশেই কিছু এখটা করা উচিত। রাস্তা, হোটেল, কনস্ট্রাকশনে কাজ করার চাইতে গ্রামের শাক-সবজি শহরগুলতে এনে বিক্রি করার মত ছোট কাজও অনেক আরাম ও সম্মানের।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:২৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: প্রায় ৭০ লাখ প্রবাসী!
সবাই যদি চলে আসে দেশের কি অবস্থা হবে ভেবে দেখেছেন?
এতো মানুষকে কোথায় কাজ দেবেন?
দিতে পারলেতো ভালই।
১০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:২৪
এমদাদ হোসেন জাবেদ বলেছেন: প্রবাস কষ্টের তা ১০০% সত্য কথা, তবে দেশ যে কি তা যদি প্রবাসে না আসতাম তা বুঝতাম না। দেশের প্রতি প্রবাসীদের যতটুকু ভালোবাসা সেটা যদি দেশের মানুষ বুঝতো তাহলে হয়তো আমরা আরো একদাফ এগিয়ে যেতাম।
কিছু অসুস্থ রাজনীতিবিদ আর আমাদের মান্দাতার সিস্টেমের জন্য আমরা পিছিয়ে আছি, তবে আমরা আশাবাদী এর পরিবর্তন হবেই।
@শোভন - রেমিটেনস্ এর চিন্তা না করে দেশের প্রবৃদ্ধির চিন্তা করুন। গোলামীর জাতি কোন দিন ভালো কোন পর্যায়ে যেতে পারেনা। আর যারা অর্থনৈতিক বা সামাজিকভাবে বড় হয়েছেন তাদের সবাই অন্তত গোলামী করে বড় হয়নি। তাদের কর্মদক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছে। প্রবাসের রাস্তার ব্রাশ মেরে দেশের উন্নতি সম্ভবনা।
সবার প্রতি অনুরোধ দেশের সম্ভবনাময় ক্ষেত্র গুলো নিয়ে সবাই আলোচনা করুন তাতে দেশের যুব সমাজ দিক নির্দেশনা পাবে এবং বিদেশ আসার প্রবনতা মন থেকে যাবে।
ধন্যবাদ সবাইকে -
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:২৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্য অনেক অনেক ভাল লাগল।
আসলেই ঠিক তাই।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন সব সময়।
১১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৩৮
আকাশের তারাগুলি বলেছেন: গার্মেন্টসে এন্ট্রি সেলারি ৩ হাজার টাকা, ওভারটাইম ও বিভিন্ন ইনসেনটিভ নিয়া ৪৫০০টাকার কম নহে।
আচ্ছা আমি একটা ব্যপার বুঝতে কষ্ট হয়, চাকুরীতে নতুন জয়েন করে কেউ বিবাহ, স্ত্রী ছেলেমেয়ে, সংসার খরচ চালানোর কথা চিন্তা করে কেমন করে। শিক্ষা জীবন শেষ করে চাকুরিতে জয়েন করে অনেকেই ৩থেকে ৫বছর পর বিবাহ করেন তার পর ছেলেমেয়ে ভরনপোষনের ব্যপার আসে। আর যে কেউ শুরুতে চাকুরিতে জয়েন করে সংসার খরচ চালায় না বরং কিছু কিছু সহযোগীতা করেন। গার্মেন্টস শ্রমিকরা ৩০০০টাকা বেতনে জয়েন করে ৫ বছর পর কমপক্ষে ৭০০০/১০০০০টাকা বেতন পান। বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প শ্রমিকদের উপর ডিপেন্ডেন্ট। কারন পর্যাপ্ত শ্রমিকের অভাব আছে।
বিষয়টা হলো এতোবড় একটা সেক্টর নিয়ে লোক দেখানো শ্রমিকবেতন কাঠামো নিয়ে কথা বলে সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়া যায় সহজেই তাই এত শ্রমিক দরদী পাওয়া যায়।
ভালোখারাপ মালিক সব সেক্টরেই আছে।
গ্রামীন ফোন, লিন্ক, এসব ফোন কোম্পানী গুলা বিনা নোটিশে পরেরদিন থেকে চাকুরি নট হয়ে যায় সেসব ব্যপারে কোন জন দরদীকে দেখলাম না।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:২৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বাংলাদেশের কোন শ্রমিক ৭,০০০/১০,০০০টাকা বেতন পান এটা যদি সত্যি হয় তাহলে তো বিরাট ভাল কথা।
কিন্তু আজ পর্যন্ত তো শুনিনি কোন শ্রমিকের বেতন ৭০০০/১০০০০টাকা ।
১২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৫০
শোভন এক্স বলেছেন: @এমদাদ হোসেন জাবেদ - ঐ আলোচনা আর লম্বা লম্বা কথা বলা বাদ দিয়ে কাজ করার চিন্তা করুন। আপনাদের কাছেতো আবার কাজ করা হলো গোলামী। ঘরে বসে বসে রাজা-উজির মারার চেয়ে প্রবাসে গিয়ে রাস্তায় ব্রাশ মারলে দেশের বরং অনেক কাজে আসবে। আমাদের এই ঘরকুনো স্বভাব না থাকলে ব্রিটিশরা আমাদের শাসন করে যেতে পারতোনা।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:২৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ব্রিটিশরা কিছু উপকারও কিন্তু করে গেছেন। একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারবেন।
১৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৪৭
এমদাদ হোসেন জাবেদ বলেছেন: @শোভন - ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। আমার ইনটেনশন কিন্তু কাজ না করা না, আশাকরি ভালো ভাবে আমার মন্তব্যটি পড়লে আপনি পরিস্কার ভাবে বুঝবেন। দেখুন আমরা লম্বা লম্বা কথা বলার সময় নাই কারণ কাজ করেই আমাদের কে চলতে হয়। লম্বা কথা বলেন রাজনীতিবিদ গণ, আর ঘরে বসে রাজ উজির মারা কার কাজ তা আমার জানা নাই। যাইহোক এবার কাজের কথায় আসেন-
বাংলাদেশের বেশীর ভাগ প্রবাসীই মধ্য প্রাচ্যে থাকেন আর তার বৃহত্তম অংশই কাজ করেন এখানকার সবচেয়ে নিচু পর্যায়ে, যেমন - ক্লিনার, কনষ্ট্রাকশান লেবার অথবা বিভিন্ন এগ্রোবেজড ফার্মে। তাদের বেশীর ভাগেরই বেতন ২০০-৩৫০ ডলারের মধ্যে সীমাবদ্ধ যা কিনা আমাদের মুদ্রায় ৳১৪০০০ থেকে ৳ ২৪৫০০। এখন একজন লোক এখানে আসেন অন্তত ২.৫ থেকে ৩ লক্ষ টাকা খরচ করে। এখানকার মাসিক খরচ শুধু খাওয়া এবং আনুসাঙ্গিক - ১১০ -১৫০ ডলার। তাতে একজন শ্রমিকের কত থাকে এবং কতদিনে তার পুজি উঠাবে এবং কিভাবে তার ভবিস্যত উন্নতি হবে তা আমার জানা নাই। আর এই স্ট্রাগল করেই এখান থেকে টাকা পাঠান। এবার আসা যাক কাজের অবস্থান - ৪০ থেকে ৪৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কাজ করা কতটা কঠিন আশা করি আপনার ধারণা নাই। তার উপরে অনেকেই ঠিকভাবে বেতন পাননা। একবার চিন্তা করুন সেই দৃষ্টিতে কি দেশের গার্মেন্টস গুলোতে কাজ করা ভালোনা। অন্তত পুজি তো লাগতোনা। আর এই পুজি দিয়ে যে পরিশ্রম এখানে করে তা যদি দেশে করে তাতে কি পরিমাণ আয় করা যেতো তা যারা এখানে আসেন তারা ভালো জানেন। এখন প্রশ্ন তবে যায়না কেনো - সমস্যা একটাই যে পুজি উঠানোর জন্য মানুষ যেতে পারেনা। বড়ই করুন প্রবাস জীবন ভাই। দেশে কাজ করে একবেলা কম খেয়ে থাকাও অনেক ভালো এই প্রবাসী জীবন থেকে, পরিবারের দূরত্ব হয়তো আপনি জানেন না।
এবার আসুন রাষ্ট্রীয় উন্নতির কথায় - আপনি তাকিয়ে দেখেন চীন, ওরা নিশ্চয় ওদের এই বিশাল জনসংখ্যা দেশের বাহিরে পাঠিয়ে আজকের আর্থনীতির সবচেয়ে উন্নত হয়নি। ওরা ওদের মেধার ক্রমবিকাশের মাধ্যমে আজ এই পর্যায়ে।
ভাই যখন একজন লোক কে দেশের বাহিরে পাঠানোর চিন্তা করা হয় অন্তত তাকে একজন দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করেই পাঠানো উচিত তাতে দেশের সম্মান থাকে এবং বৈদাশিক ভালো রেমিটেন্স্ও আসে। আজ মধ্য প্রাচ্যে আমাদের অবস্থান কি তা নিশ্চয় আপনি জানেন, কেনো এই অবস্থা তা কি জানেন??? ছোট খাট চুরি থেকে সব অন্যায় করছে, কেনো??? একবার চিন্তা করেন।
এই ভাবে লিখে আপনাকে হয়তো বলে বুজানো যাবেনা প্রবাসী জীবন আর দেশের জীবন কি। কয়েকজন অসুস্থা লোকের অস্থিরতায় আমাদের দেশ অস্থির অথচ তার চিন্তা না করে আমাদেরকে আপনি দেশের বাহিরে থাকতে বলছেন, কেনো ভাই... আমাদের কি ইচ্ছে করেনা স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে এই কারা থেকে রেহাই নিয়ে। কেনো চিন্তা করনে না যে আমরা দেশের ইন্টারনাল সমস্যা গুলো যদি ঠিক করতে পারি আমাদের দেশ আগামী দিন মালেয়শিয়া বা সিংগাপুরকে অতিক্রম করবে, কি নেই আমাদের যা ওদের আছে???
ধন্যবাদ, আশা করি একবার চিন্তা করবেন। ভাই পরের বাড়ীর কাজ করার চেয়ে নিজের কাজ অনেক উত্তম।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:১৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনার সুচিন্তিত মতামত অনেক ভাল লাগল।
ধন্যবাদ।
১৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১১
জাহিদ আহমেদ বলেছেন: nah, bidesher e valo. deshe kaz korar poribesh na, eta dozokh khana. desher obostha chiriyakhana, manush er boshobasher ozzoggo. bideshe manush bash kore. manush er moto beche thaka zai. 40-48 degree te kaz kora onek valo desher nongrami theke dure thaka.
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:২০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনার ক্ষোভমূলক বক্তব্য আসলেই বাস্তব সম্মত।
কি আর করা।
আমরা তো সবাই কলুর বলদ।
১৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩০
আরিফ আহমেদ বলেছেন: খুবই সুন্দর একটি লেখা।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:১৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন।
১৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:২১
সান্তনু অাহেমদ বলেছেন: সুচিন্তিত, আলোচনাগ্রাহী, তথ্যমূলক লেখনি।
জীবনের সংগা দেয়া বড়ই কঠিন।
তৃপ্তিইতো লক্ষ্য, যেখানে তৃপ্তি আছে, দীর্ঘশ্বাস থাকলেও তা যে প্রাণের খোরাক মেটায়।
দারুন লেখা। ধন্যবাদ।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৩৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন।
১৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৪৭
মিনরুল বলেছেন: অনেক সুন্দর লেখা.. ধন্যবাদ
১৮| ২৯ শে জুন, ২০১২ সকাল ৭:৪৮
ভেজাল মানুষ বলেছেন: [sb]আকাশের তারাগুলি বলেছেন: গার্মেন্টস শ্রমিকরা ৩০০০টাকা বেতনে জয়েন করে ৫ বছর পর কমপক্ষে ৭০০০/১০০০০টাকা বেতন পান।
গার্মেন্টেসের বেতন কাঠামোর ব্যাপারে আপনার ধারনা সঠিক নয়....আশুলিয়ার ঘটনা তার প্রমাণ
১০ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:০৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: গার্মেন্টস এর বেতন আসলেই অনেক কম। এটা মানা যায় না। তারা তো মানুষ। না খেয়ে তো আ র কেউ কাজ করবে না।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:২৪
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: বিদেশেই থাকা ভালো। এই দেশ তো আর ভদ্রলোকের বসবাসে জায়গা না।
এই সমস্যা থেকে বের হওয়া কঠিন। নেতা বদলালে হয়তো সহজ হতেও পারে।