নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইংরেজি ভাষা চাপিয়ে দিলে মন্দ হতো না।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৭

ইংরেজরা ২ শত বছর উপমহাদেশ শাসন করে গেছে। অনেক ভালো কাজ তারা করেছে। যেটা তারা না করলে জীবনেও এই অঞ্চলে হতো কিনা আমার সন্দেহ। তারা অনেক বড় বড় স্থাপনার কাজ করেছে। সমাজের সংস্কারও করেছে।

তারা একটি কাজ করলে আজকে আমাদের অবস্থা বর্তমানের চেয়ে অনেক বেশী ভালো হতে পারতো।
১৭৫৭ সালে লর্ড ক্লাইভ ভারত জয়ের পর উনি যদি পুরো অঞ্চলের জন্য ইংরেজি ভাষা চাপিয়ে দিতেন তাহলে আজকে এই অঞ্চলের বিরাট অংশ ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে পারত। তাদের প্রথম কিংবা দ্বিতীয় ভাষা হতে পারতো ইংরেজি। আমার জ্ঞান চর্চায় বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারতাম।

মিস্টার রবার্ট ক্লাইভ, আপনি কেন ইংরেজি ভাষা চাপিয়ে দিলেন না? আপনার উত্তরসুরীরাও কাজটি করেননি।
অন্যদিকে দেখুন, আফ্রিকার ফরাসী উপনিবেশগুলোতে ঠিকই ফরাসী ভাষা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। ফলে আফ্রিকার অনেক দেশের প্রথম কিংবা দ্বিতীয় ভাষা এখন ফরাসী। অনেক দেশের আবার আসল ভাষাই হারিয়ে গেছে।

দক্ষিণ আমেরিকায় পর্তুগীজ কিংবা স্প্যানিশ কলোনীর ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। সেই অঞ্চলের অনেক দেশই নিজ ভাষা হারিয়ে এখন পর্তুগীজ কিংবা স্প্যানিশ ভাষায় চলছে।

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৯

সনেট কবি বলেছেন: ইংরেজরা একটা মহাভুল করেছে।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৪০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমি নিজে ভুক্তভোগী ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছি। মাস্টারস এ আমার থিসিস ছিল। থিসিস বুঝতে আমার জান বেরিয়ে গিয়েছিল। তাই আমার মনে হয়ছে সব চেয়ে বড় ভুল টা করেছেন লর্ড ক্লাইভ ও তার পরের গভর্নরগণ।

২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩১

স্বপ্নীল ফিরোজ বলেছেন: আপনরা বক্তব্য আমার ভালো লেগেছে।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৪০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমি ভুক্তভোগী তো তাই।

৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: ইংরেজ আমলটাই ভালো ছিল।
কমলাপুর রেল স্টেশন, মিডফোর্ড হাসপাতাল, কার্জন হল, ঢাকা মেডিকেল এইসব তো ইংরেজদের হাতেই বানানো।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৪১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ইংরেজরা চাইলে আরো অনেক ভালো কিছু করতে পারতো। প্রতিটি পরিবারকে শিক্ষিত করে দিয়ে যেতে পারত। তাদের সেই সক্ষমতা ছিল।

৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আফ্রিকার অনেকের ভাষার বর্ণমালা টালা কিছই ছিলো না; ফলে, ওখানে ভাষা বিস্তার সহজ হয়েছে

১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৪২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এদের নিজস্ব কোন বর্ণমালা নেই। ইংরেজি বর্ণমালায় লেখে। তারা তো সহজেই ইংরেজি পড়তে পারবে।

৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২১

ইমরান আশফাক বলেছেন: ইংরেজী টা অন্তত: সহযোগী ভাষা হিসাবে রেখে দেয়া উচিৎ ছিল, এখন তো আমরা সম্পূর্ন উপেক্ষা করছি। অথচ ভারতীরা কেবলমাত্র এই ভাষার গুনে বিদেশে আমাদের চেয়ে অনেক বেশী গ্রহনযোগ্যতা পায়। অন্যান্য গুনও তাদের আছে সেটা অস্বীকার করছি না।

আমরা প্লে গ্রুপ থেকে শুরু করে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত ইংরেজী পড়েও এই ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারি না। অথচ আমরা ইংরেজীভাষী দেশে যেয়ে মাত্র একমাসের মধ্যে এই ভাষায় চিন্তাও করতে শিখে ফেলি। তাই আমার মনে হয় ইংরেজী শিক্ষাটা সবার জন্যে একাডেমিকভাবে বাধ্য করা উচিৎ নয়। বরং অধিকাংশকে প্রফেশনালভাবে এটা আত্নস্হ করার ব্যবস্হা করে দেয়া উচিৎ অন্য কোনভাবে।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৪৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মালয়েশিয়ার বতর্মান প্রধানমন্ত্রী তুন মাহাথির একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন- প্রাইমারী থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত গণিত ও সব ধরনের টেকনিক্যাল বিষয় ইংরেজিতে পড়ানো উচিত।

আমার কাছে তার কথাটি খুব যুক্তিপূর্ণ মনে হয়েছে। আমাদের দেশেও এটা করার জন চিন্তাভাবনা করা দরকার।

৬| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: ইংরেজরা এটা না চাপিয়ে সবচেয়ে বেশি উপকার করেছে আমাদের দেশের ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোকে। মানুষ এখন খেয়ে না খেয়ে হলেও কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে বাচ্চাদের ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পাঠাচ্ছে।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৪৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বরার্ট ক্লাইভকে সামনে পেলে আমি বলতাম- ইংরেজি সবার উপর চাপিয়ে দিন। এটা আমাদের কাজে লাগবে।

তখন সব স্কুলই হতো ইংলিশ মিডিয়াম। এবং প্রাইমারী স্কুলও হতো একই মানের।

৭| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০১

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ভালোই তো হতো ;)
ইংরেজি না হয়ে বাংলা আন্তর্জাতিক ভাষা হলে একথা বলতেন নাকি B-)
নাকি তখন বাংলার গুণগান...... B-))

১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৪৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বাংলা আন্তর্জাতিক ভাষা হলে কে আর এই কথা বলতো। এখন তো চাপে পড়ে বুঝতে পেরেছি ইংরেজি না পারলে খুব সমস্যা।

৮| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: খুবই ভাল হয়েছে যে এই পোস্ট ফেব্রুয়ারীতে প্রসব করেননি। নাহলে, চেতনাবাজদের বিরাগভাজন হতেন। আমাদের জন্য ইংরেজী শেখাটা খুবই জরুরী। বাংলাকে মর্যাদা দিয়েই ইংরেজী শিখতে বা চর্চা করতে দোষ নেই। কিন্তু কিছু চেতনাধারীরা এগুলো নিয়ে আপত্তি করে। তেনারা এমন কি ইংরেজী সাইনবোর্ডের বিরুদ্ধেও মামলা করে জিতেছে...

১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৪৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এই পোস্ট সব মাসের জন্যই প্রযোজ্য। লক্ষ্য করুন- এই পোস্টটি আমি কিন্তু বাংলায়ই লিখেছি।

এখনো সময় আছে , প্রাইমারী থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত গণিত ও সব ধরনের টেকনিক্যাল বিষয় ইংরেজিতে পড়ানো উচিত। এটা করলে জাতি এগুবে।

৯| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৩

রিফাত হোসেন বলেছেন: ভিন্নমত আছে আমার কিন্তু সাহেব আমি ব্যস্ত পরে বলব। কাজে আছি এখন।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৪৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: কাজ সেরে আসুন। আপনার মন্তব্য জেনে ধন্য হই।

১০| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:৫০

ফেইরি টেলার বলেছেন: ইংরেজী ভাষা চাপিয়ে দিয়েছিল কিন্তু ! আমাদের বিচার বিভাগের অফিসিয়াল ভাষা এখনো ইংরেজী ভুলে যাবেন না ;)

কিন্তু উপমহাদেশীয়রা আফ্রিকানদের চেয়ে কম রেজিসটিভ, সহনশীল হবার কারণে আফ্রিকানদের কপাল বরণ করতে হয় নি

১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৪৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমি আমজনতার কথা বলছি। বিচার বিভাগে জর্জ ব্যারিস্টররা থাকেন। তারা ইংরেজি ভালো জানেন। আমি বলছি- আম জনতার কথা। মফিজদের কথা।

১১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:১৯

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ইংরেজি চাপিয়ে দিলে মন্দ হতো না - সম্পূর্ণ সহমত |

বাংলাদেশের যেকোন পেশার সাথে জড়িতরাই বেশ দক্ষ | তাদের একটিমাত্র দুর্বলতা হচ্ছে ইংরেজিতে দক্ষতার অভাব | আজ যদি সবাই ইংরেজি কমিউনিকেশনে দক্ষ হতো, বাঙালিরা সারা বিশ্বে ভারতীয় এবং পাকিদের চাইতে বিভিন্ন পেশায় ডমিনেট করতো |

আমি মধ্যপ্রাচ্যের যেকোনো বিমানবন্দরে গেলেই সেখানে কর্মরত বাংলাদেশী ভাইদের সাথে গল্প করে সময় পার করে দেই, এদের অনেকের সাথে আমার বেশ বন্ধুত্বও হয়ে গেছে | তাই আবারো যখন ওই এয়ারপোর্টে কখনো ট্রানজিট পড়ে, আমি তাদেরকে খুঁজে বের করতে চেষ্টা করি | এই সকল বাংলাদেশী ভাইরা কাজে কর্মে অনেক পরিশ্রমী হওয়া সত্বেও তাদের চেয়ে বেশি বেতনের কাজগুলো নিয়ে নেয় ভারতীয়রা | এর কারণ একটাই, ভারতীয়দের ইংরেজির দক্ষতা অনেক বেশি |

এখন চাইলেও বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত এই সকল প্রবাসী বাঙালিরা ভারতীয়দের মতো ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন না | কিন্তু ভবিষ্যতের জনশক্তি রপ্তানির সম্ভাবনার কথা চিন্তা করে অবশ্যই বর্তমান প্রজন্মকে ইংরেজিতে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে খুব সিরিয়াস হতে হবে | ফালতু প্রকল্পে হাজার হাজার কোটি ব্যয় না করে প্রতিটি উপজেলা পর্য্যায়ে সর্বাধুনিক কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে তাতে অতি দক্ষ ইংরেজি ভাষা শিক্ষক নিয়োগ করে কিছুটা হলেও এই গ্যাপ দূর করতে পারে যে কোনো দেশপ্রেমিক সরকার |

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:২৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি অত্যন্ত যুক্তি সঙ্গত কথা বলেছেন । আপনার কথার সাথে দ্বিমত প্রকাশ এর কোনো সুযোগই নেই। আপনার মন্তব্য থেকে ফটো অনেক কিছু জানতে পারবে। আপনার প্রতি সীমাহীন কৃতজ্ঞতা।

১২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৫

সাইন বোর্ড বলেছেন: বর্তমানে ইংরেজি ভাল জানাটা খুব জরুরী, সে সময় তারা এটাকে বাধ্যতামূলক করলে বাঙালির জন্য ইংরেজিটা সহজ হয়ে যেতো, সেক্ষেত্রে বাংলা ভাষা কিছুটা ম্লান হয়ে যেতো, এটা ঠিক ।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৩০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমার মনে হয় বিজ্ঞান ও গণিত বিষয়ে পুরোপুরি ইংরেজিতে পড়ানো উচিত। তাহলে অন্তত একটা দিক দিয়ে আমরা এগিয়ে থাকতে পারবো।

১৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৩০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি অত্যন্ত যুক্তি সঙ্গত কথা বলেছেন । আপনার কথার সাথে দ্বিমত প্রকাশ এর কোনো সুযোগই নেই। আপনার মন্তব্য থেকে ফটো অনেক কিছু জানতে পারবে। আপনার প্রতি সীমাহীন কৃতজ্ঞতা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.