নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

হ্যাজাক লাইট।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৫৯



আমাদের দোহার উপজেলায় কারেন্ট ( বিদ্যুত) আসে সম্ভবত ১৯৭৮-৭৯ সালের দিকে। তাও স্বল্প পরিসরে। অর্থাৎ যেই এলাকাগুলো সাবেকী ( অর্থাৎ চর নয়) সেই এলাকায় সংযোগ দেয়া হয় বিদ্যুতের। বাকি সব এলাকার কোন উৎসব কিংবা যে কোন ধরনের বড় অনুষ্ঠানে আলো দেবার কাজ করতো হ্যাজাক লাইট।


অসাধারণ একটি জিনিস ছিল এই হ্যাজাক। আমি অবাক বিস্ময়ে এর কার্যকলাপ দেখতাম। এই লাইটের ভিত্তিতে ( বেসমেন্ট) ছিল একটি চেম্বার যাতে তেল ভরে তা পাম্প করা হতো। পাম্প করলে তেলের উপর যে চাপ পড়তো তাতে তেলা চিকন নল বেয়ে উপরে উঠে যেত। সেখানে কোন এক বিশেষ ধরনের সুতোর তৈরী ম্যান্টেল বলা হত যাকে তাতে তেলের বাষ্প চলে যেত এবং তা জ্বলে প্রচুর আলো দিত।
হ্যাজাক ছিল গ্রামের মানুষের কাছে বিদ্যুতের আলোর চেয়েও দামী। বড় বড় হাটে, মেলায় দোকানীরা হ্যাজাক সব সময় রেডি রাখতো। বিয়ে শাদীতে হ্যাজাক খুবই কাজে লাগতো। সবাই তো আর হ্যাজাক কিনতে পারতো না। ফলে জয়পাড়া বাজারে হ্যাজাক লাইট ভাড়া দেয়া হতো। যারা মাইক ভাড়া দিত তাদের দোকানে হ্যাজাক লাইটও ভাড়া পাওয়া যেত।




সর্বশেষ জয়পাড়া কলেজ রোডের মিন্টুদের হ্যাজাক লাইট ভাড়া দেয়ার দোকান ছিল। মিন্টুদের দোকানে হ্যাজাক লাইটের সাথে সাথে সাইকেলও ভাড়া দিত। মিন্টু এখন প্যারিসে থাকে। আমাকে মাঝে মাঝে কল দেয়। আলাপের এক পর্যায়ে ওকে জিজ্ঞেস করি- হ্যাজাক লাইটগুলো কি আছে রে দোস্ত?

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৩৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হ্যাজাক বাতির ইংলিশ কি?

আমেরিকানরা অবস্য বলে - 'কোলম্যান ল্যাম্প'। এটাও সঠিক মনে হয় না। কারন কোলম্যান একটা কম্পানী।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৪২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমার জানা নেই। সহব্লগার রাজিব নুরের পোস্টে হারিকেন এর ছবি দেখে হ্যাজাক লাইটের কথা মনে পড়লো।
হ্যাজাক নিয়ে আমার জানার পরিধি শূণ্য।

২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৫৮

ঢাকার লোক বলেছেন: ইংরেজিতে কোলম্যান লাইট বলেই এটি পরিচিত, বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি রাজ্যের উইলিয়াম কোলম্যান এটি চালু করে বাজারজাত করেন, তার কোম্পানি কোলম্যান, তাই এই নামেই এটি পরিচিত । গ্রামে গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছার আগে এই লাইটই গ্রামে বিয়ে বাড়ি, ওয়াজ মাহফিল ইত্যাদি আলোকিত করতো !

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর তথ্য দিলেন। এটা আমার জানা ছিল না। আপনাকে ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা।

৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন:



একটা সময় বেশ কাজের জিনিস ছিল হ্যাজাক লাইট। এখন কদাচিত ক্যানভাচারদের মজমা ছাড়া তেমন চোখেই পড়ে না।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমার খুব প্রিয় জিনিস ছিল এটা। আমি অবাক হয়ে এর কার্যক্রম লক্ষ্য করতাম।
এই জিনিস আগামীতে আর দেখা যাবে না।

৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৪৬

নতুন নকিব বলেছেন:



ঢাকার লোক সুন্দর বলেছেন।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ঢাকার মানুষ অনেক আগেই বিদ্যুতের সুবিাধা ভোগ করেছেন। কিন্তু উনার হ্যাজাক লাইট নিয়ে অনেক বেশী জ্ঞান আছে। এটা আমার জানার পরিসরকে সমৃদ্ধ করেছে। উনার কাছে কৃতজ্ঞতা।

৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ২:৪৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: চমতকার বেশ পুরানো একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন ।
আমাদের বাড়ীতে একটি ছিল , এখনো সেটা আছে ।
এটা জ্বালানোটা ছিল বেশ মঝার , জ্বালানোর সময়
একটু তাল বেতাল হলে মেন্টল খসে যাওয়ার
সম্ভাানা থাকত , তবে একবার শিখে নিলে
আর তেমন কোন সমস্যা হতোনা ।
এর ছিল নানামুখী ব্যবহার যা সুন্দর
করে আপনার লেখায় উঠে এসেছে ।
তবে আরো দারুন আর একটি জায়গায়
ব্যবহার ছিল , সেটা হল সার্কাশ পার্টিতে
সখানে ব্যাবহৃত হত ছবির মত এমন
এক হ্যাজাক লাইট , রাতে সার্কাস
প্যন্ডেলে বাদুরের মত ঝুলে থাকত
উজ্বল আলো দিত , তার নীচে আমরা
কতই না মন আকৃষ্ট করা সার্কাস দেখতাম ।

ধন্যবাদ স্মৃতিকে অনেক পিছনে নিয়ে যাওয়ার জন্য ।

শুভেচ্ছা রইল

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: স্যার, আপনার সুন্দর মন্তব্য খুবই চমৎকার। এখান থেকেও অনেক কিছু শিখতে পারলাম। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সব সময়।

৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: চার্জার লাইটের কারনে এখন আর হ্যাজাক বাতি দেখায় যায় না। অবশ্য আজকাল গ্রামেও বিদ্যুৎ আছে। বিদ্যুৎ না থাকলে জেনারেটর চালায়।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: তবে বাংলাদেশের বিদ্যুতের একটা অভ্যাস আছে। এরা চলে যায় না। মাঝে মাঝে আসে। এই বিদ্যুতের কারণে বাংলাদেশের ইংরেজি ভাষায় একটি নতুন শব্দ চালু হয়েছে। সেটাকে বলে লোড শেডিং। লোডকে শেড দেয়। জেনারেটর ভালো জিনিস। আগে সাইকেলের পেছনে ছোট জেনারেটর দেখতাম। আমার কাছে খুব ভালো লাগতো।

৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৫০

হাবিব বলেছেন: আমাদের বাড়িতে একটা হ্যাজাক লাইট এখনো আছে। বিদ্যুৎ আসার আগে সেটাই ছিলো বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আলোক বাতি ছিলো। এখন সেটা অনাদরেই পরে আছে।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৪৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: জিনিসটি যত্ন করে রাখুন। সম্ভব হলে উহাকে নিয়ে একটি পোস্ট দিন। আমার খুব দেখার ইচ্ছে।ছবি পোস্ট দিবেন।

৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৪৮

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: খুব ভালো লাগলো

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৫৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনার লেখা আমার কাছে এর চেয়ে বেশী ভালো লাগে। আমি তো ভালো কিছু লিখি না । মনে যা আছে তা টাইপ করি। এখন থেকে আর টাইপও করবো না। নতুন অ্যাপস এসে গেছে। কষ্ট করে আর কে টাইপ করবে বলেন?

৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৩৬

জুন বলেছেন: মনে পড়ে হ্যাজাকের চোখ ধাধানো আলোয় কত পোকা মাকড় যে ছুটে আসতো। বহু পুরোনো স্মৃতি মনে পড়ে গেলো আপনার লেখায়।

১০| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০০

সুমন কর বলেছেন: বিদ্যুৎ আসার আগে গ্রামের যে কোন অনুষ্ঠানে ব্যবহার হতো এই হ্যাজাক লাইট। আপনার লেখা পড়ে, সেসব কথা মনে পড়ে গেল।
+।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.