নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মাহাথিরের দ্বিতীয় বছর শুরু হল আজ

০৯ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৪৮

হবু প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম এর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ডঃ মাহাথির

শেষ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হবার পর দ্বিতীয় বছরের যাত্রা শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী তুন ডাক্তার মাহাথির মোহামাদ। নির্বাচনের আগে পাকাতান হারাপান এর শর্ত অনুযায়ী মাহাথির মোহামাদ দর দুই বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কথা ছিল। তবে জোট রাজি হলে তিনি তিন বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রথম বর্ষপূর্তিতে আজ এক বিদেশি মিডিয়ার সাথে এক ব্রিফিং প্রধানমন্ত্রী একথা জানান। এসময় হবুপ্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি আনোয়ার ইব্রাহিম তার পাশে ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী জানান বর্তমানে দেশে অনেক সমস্যা বিরাজমান রয়েছে ।সেই সমস্যাগুলো একটা কূলকিনারা করে তারপরে তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চান। প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ,আমি জানি না দুই বছর না তিন বছর। তবে আমি এটা জানি যে আমি অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আছি। তিনি আরো বলেন প্রথম বার মাস আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ করেছি । এখন অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করতে চাই। তিনি আরো বলেন,এটাই বাস্তবতা যে, পূর্ববর্তী সরকার পুরোটাই দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল। এখন দুর্নীতি খুবই কমে গেছে। মানুষ এখন অতিরিক্ত অর্থ অপচয় ছাড়াই ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারছে।

পুত্রজায়াতে আজকের ইফতার মাহফিলে

দীর্ঘ ২২ বছর একটানা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর ২০০৩ সালে স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছেড়ে দেন তিনি। পরবর্তীতে তারই দল ক্ষমতায় এলে ও তারা ব্যাপক দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়। নতুন দল গঠন করে এবং নতুন জোট তৈরি করে তিনি নির্বাচনে লড়াই করেন। ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় তার নেতৃত্বাধীন জোট পাকাতান হারাপান। পার্লামেন্টে মাহাথিরের নিজের দল ১২ টি আসন লাভ করে।

উল্লেখ্য , আগামী দুই মাস পর মন্ত্রী ৯৪ বছরে পা দিবেন।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: মাহাথির কি তার দেশের ভাইরে আর কিছু ভাবেন না?

১০ ই মে, ২০১৯ ভোর ৫:৪২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ভাবেন। বিদেশী শ্রমিক কমানোর ব্যাপারে উনার ভাবনা আছে। আমাদের শ্রমিকরা মনে করে উনি বাংলাদেশের নাতি। তাদেরকে কিছু বলবে না।

কিন্তু উনি বাংলােদেশের নাতি নন। উনি ভারতের কেরালার নাতি।

২| ০৯ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:০১

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: তার জন্য শুভকামনা রইলো।

১০ ই মে, ২০১৯ ভোর ৫:৪৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনার জন্যও অনেক শুভ কামনা ভাই সাহেব। আপনার জ্ঞানগর্ভ পোস্টগুলো পড়ে বিস্মিত হই। মানুষ এতো পড়াশোনা করার সময় পায় কই!

ভালো থাকুন সব সময়।

৩| ১০ ই মে, ২০১৯ ভোর ৫:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আনোয়ার ইব্রাহিম প্রধানমন্ত্রী হলে, একদিন আবার জেলে যাবে।

১০ ই মে, ২০১৯ ভোর ৫:৪৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: খারাপ কাজ করলে জেল কেন গিলোটিনে দিলেও আমি খুশী ।
আমি এক জন সহজ সরল মানুষ।
আমি খারাপ মানুষ পছন্দ করি না।

স্যার, আপনার শরীর কেমন? চোখ কি আগের চেয়ে একটু ভালো?

৪| ১০ ই মে, ২০১৯ ভোর ৬:৫৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: মাহাথির মোহাম্মদ বাংলাদেশি অরিজিন লোক বলে একটি কথা এখনো প্রচলিত আছে। তাদের বাড়ি নাকি ছিল চট্টগ্রামের আমিন জুট মিলের পূর্ব পার্শ্বে। তার দাদা নাকি জাহাজে চাকরি করতেন। তিনি জাহাজ থেকে নেমে মালয়েশিয়ায় থেকে যান এবং স্থানীয় মেয়ে বিয়ে করেন। মাহাথির একবার বাংলাদেশ সফরের সময় তার পিতৃপুরুষের ভিটাও নাকি দেখতে গিয়েছিলেন, যাহোক সবি শুনা কথা।সত্য কিংবা মিথ্যা তা এখনো ভালমত পরখ করতে পারিনি ।

মাহাথির ২২ বছর ক্ষমতায় থাকাকালে দেশের ভাগ্য পরিবর্তনে ভূমিকা রেখেছিলেন এটা আজ বিশ্বজুরে সমর্থিত । মালয়েশিয়ায় প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য্য রয়েছে। বিশ্বের ১৩ অংশ রাবার উৎপাদন হয় মালয়েশিয়ায়। বিশ্বের সর্বাধিক পাম্ অয়েল উৎপাদন হয় মালয়েশিয়ায়। সম্পদের প্রাচুর্য্য না থাকলে তিনি মালয়েশিয়ার কেমন উন্নয়ন করতেন তা দেখতে পারলে ভাল হত । তখন তার উন্নয়ন মডেল বিশ্বের পাকৃতিক সম্পদে প্রাচুর্য্যহীন দেশগুলির জন্যি একটি মডেল হতে পারত! যাহোক, মাহাথিরের ২২ বছরের শাসনের সময় তার বিরুদ্ধে এক নায়ক সূলভ আচরণের অভিযোগও ছিল। তিনি দেশের নিরবিচ্ছিন্ন উন্নয়নের জন্য বিরোধী দলকে কখনও বেশি রাজনীতি করার অবকাশ দিতেন না। তিনি বিশ্বাস করতেন দেশের উন্নয়ন করতে হলে ক্ষমতার কনটিনিউটি দরকার । এবার তিনি দুর্নীতির ওপর বিরক্ত হয়ে ক্ষতায় রদবদল ঘটালেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে গিয়ে পুনরায় একনায়ক সুলভ আচরণ করার সুযোগ এবার কম কারন আর মাত্র একবছর পরে তাকে ক্ষমতার হাত বদল করতে হবে। মাহাথির এবার তার দেশের জন্য ক্ষমতার শীর্ষে যাকে রেখে যাবেন তিনি কেমন করেন তা দেখার বিষয় হবে। ধন্যবাদ ভাল একটি বিষয়ের উপর পোষ্ট দেয়ার জন্য ।

শুভেচ্ছা রইল

১১ ই মে, ২০১৯ সকাল ৮:২৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মাহাথির মোহাম্মদ বাংলাদেশি অরিজিন লোক বলে একটি কথা এখনো প্রচলিত আছে। তাদের বাড়ি নাকি ছিল চট্টগ্রামের আমিন জুট মিলের পূর্ব পার্শ্বে। তার দাদা নাকি জাহাজে চাকরি করতেন। তিনি জাহাজ থেকে নেমে মালয়েশিয়ায় থেকে যান এবং স্থানীয় মেয়ে বিয়ে করেন। মাহাথির একবার বাংলাদেশ সফরের সময় তার পিতৃপুরুষের ভিটাও নাকি দেখতে গিয়েছিলেন, যাহোক সবি শুনা কথা।সত্য কিংবা মিথ্যা তা এখনো ভালমত পরখ করতে পারিনি

স্যার, এ কথাটি আসলে সত্য নয়। কিন্তু অবস্থা যা দাঁড়িয়েছে লোকেরা এই কথাটিকে মিথে পরিণত করবে। আমি বিষয়টা নিয়ে মোটামুটি খোঁজখবর নিয়েছি। তাতে যা জানতে পেরেছি তা হলো, উনার পূর্বপুরুষরা ব্রিটিশ ভারতের কেরালা রাজ্য থেকে ব্রিটিশ আমলে এখানে এসেছেন। ২০০৯ সালের নির্বাচনে মাহাথির বিরোধীরা এই ইস্যুটিকে খুব কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছিল।
মালয়েশিয়াতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত জনাব ফারুক সোবহান মাহাথিরের প্রথম মেয়াদের সময় মালয়েশিয়াতে রাষ্ট্রদূত ছিলেন। জানা গেছে উনার সাথে সেই সময়কার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির এর চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। মাহাথিরের পূর্বপুরুষগণ বাংলাদেশের কিনা এ ব্যাপারে জানার জন্য উনার সাথে কথা বলা যেতে পারে। জনাব ফারুক সোবহান বর্তমানে বাংলাদেশের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ এন্টারপ্রাইজেস নামক একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত আছেন।

মহাথের ২০০৩ সালে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার পর ২০০৬ সালের দিকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কবি ও গীতিকার জনাব এ কে এম আতিকুর রহমান। মিস্টার রহমানের সাথে মাহাথিরের খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। একটি বই লেখার জন্য তিনি উনার সাথে খুবই ঘনিষ্ঠ ভাবে আলাপ আলোচনা করেছেন। এখানে উনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন আপনার পূর্বপুরুষ গণ বাংলাদেশের কিনা। জবাবে তিনি বলেছিলেন উনার পূর্বপুরুষরা ব্রিটিশ ভারতের কোন একটি জায়গা থেকে এসেছিলেন । সেটা পাকিস্তানও হতে পারে। আবার বাংলাদেশ ও হতে পারে।

তবে মাহাথিরের জীবনী নিয়ে যারা গবেষণা করেছেন তারা সবাই একমত যে তাদের পূর্বপুরুষ ব্রিটিশ ভারতের কেরালা থেকে মালয়েশিয়াতে এসেছিলেন । মাহাথির এর আত্মজীবনী গ্রন্থ A doctor in the house বইটিতেও বিষয়টি উল্লেখ পাওয়া যায়।

৫| ১০ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:৫৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , মাহাথিরের ব্যপারে প্রকৃত তথ্য জেনে খুশী হলাম ।
জনাব ফারুক ছোবহান বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ এন্টারপ্রাইজের সাথে জড়িত আছেন সে বিষয়টা আমি জানি । কারন এই গবেষনা প্রতিষ্ঠানটির বিষয়ে আমার সামান্য কিছু ধারনা আছে । প্রতিষ্ঠানটি হতে প্রকাশিত পাবলিকেশন সমুহ আমি সুযোগ পেলেই পাঠ করি । বেশ গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ের উপর এর সন্মানীত গবেষকগন বেশ মুল্যাবান গবেষনা কর্ম পরিচালনা করেন, যা তাদের জার্নালেও প্রকাশিত হয় । উপরে প্রতি মন্তব্যে বলেছেন আমি বর্তমানে বাংলাদেশের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ এন্টারপ্রাইজেস নামক একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত আছেন। তাই ধারনা করি আপনিও এই প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত আছেন । প্রতিস্ঠানটি দেশের আরো দুটি যথা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ ও সরকারী খাতের গবেষনা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষনা প্রতিষ্ঠানের ( BIDS) মনোপলির উপরে একটি ভাল প্রভাব বিস্তার করুক সে কামনা আমি করি। উল্লেখ্যে রিসার্চ এসোসিয়েট হিসাবে BIDS এ আমার কর্মজীবন শুরু হয়েছিল, অবশ্য সেখানে অবস্থান ছিল খুবই স্বল্পমেয়াদি ।
আপনার উল্লেখিত A doctor in the house বইটি পাঠের প্রচেষ্ঠা নিব ।
শুভেচ্ছা রইল

১১ ই মে, ২০১৯ সকাল ১১:৪১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ, স্যার। মোবাইলে বাংলা লিখি বলে হঠাৎ করে ভুলটা হয়েছে। আমি নিজে অত বড় মাপের কেউ নই । আসলে হবে , জনাব ফারুক সোবহান ওই প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

প্রথম দফায় ক্ষমতা থেকে অবসর নেওয়ার পর মাহাথির বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগ দিয়েছিলেন। এর মধ্যে চট্টগ্রামের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে। ফলে, তিনি তার পূর্বপুরুষদের দেশে গিয়েছিলেন এটা প্রচার করা সহজ হয়ে গেছে।

A Doctor in the house বলছি এখন কুয়ালালামপুরের বড় বড় বইয়ের দোকানে পাওয়া যায়। ইন্টারনেটে এর পিডিএফ কপি ও পাওয়া যাচ্ছে। আপনি ডাউনলোড করে পড়ে দেখতে পারেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.