নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ মালয়েশিয়াতে কেউ করোনা ভাইরাসে মারা যায়নি

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৩৩

ব্রিফিং করছেন মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মহাপরিচালক Datuk Dr Noor Hisham Abdullah


১৮ মার্চ ২০২০ তারিখে লকডাউন ঘোষণা করার পর থেকে আজ এই প্রথম মালয়েশিয়াতে COVID 19 এর সব চেয়ে ভালো খবর এসেছে। নতুন রোগী রেকর্ডভুক্ত হয়েছে মাত্র হয়েছে মাত্র ৩৬ জন ।

আর সব চেয়ে ভালো খবর হলো আজকে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত কেউ মারা যায়নি। তার মানে এপ্রিল মাসে এই প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কেউ মারা যায়নি।

রাজধানী পুত্রাজায়াকে মালয়েশিয়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয় এ তথ্য প্রকাশ করেন। মহাপরিচালক মহোদয়ের ইতোমধ্যেই মালয়েশিয়াতে হিরো অফ দা আওয়ার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করে ফেলেছেন। চীনের একটি টেলিভিশন নেটওয়ার্ক তাঁকে পৃথিবীর তিন জন আদর্শ ডাক্তারের এক জন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

আজকে চতুর্থ দিন যাতে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ২ ডিজিটে সীমাবদ্ধ থাকল এবং আজকের সংখ্যাটি বিগত দিনগুলোর (লক ডাউন এর তারিখ থেকে শুরু করলে ) মধ্যে সর্বনিম্ন।

ভাইরাস মালয়েশিয়াতে আসার পর থেকে এ পর্যন্ত সর্বমোট রোগী রেকর্ডভুক্ত হয়েছে ৫,৪২৫ জন। এদের মধ্য থেকে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন ৩, ২৯৫ জন।

এর মানে এই যে, বর্তমানে ২,০৪১ জন রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বর্তমানে মাত্র ৪৫ জন রোগী ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৮ জনের ভেন্টিলেশন লাগছে।

এ পর্যন্ত সর্বমোট ৮৯ জন রোগী মারা গেছেন।

মোট পজিটিভ কেসকে বিবেচনায় নিলে মালয়েশিয়াতে রিকভারি রেট হচ্ছে ৬০.৭৪%।

আজ মালয়েশিয়াতে লক ডাউন এর ৩৪ তম দিন অতিবাহিত হচ্ছে। জনসাধারণকে ঘরে অবস্থান করার জন্য সরকার থেকে কঠোরভাবে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তৃতীয় দফায় ঘোষিত লকডাউন আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংগালীদের চাকুরী আছে এবং কাজ আছে?

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৪৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এখানে বেশির ভাগ অফিস-আদালত বন্ধ । কলকারখানা বন্ধ । এক মাত্র খাবারের দোকান এবং গ্রোসারি সমূহ খোলা আছে। লাখ লাখ বিদেশি শ্রমিক বেকার হয়ে গেছে। তাদের কারও আয় রোজগার নেই। আজ এখানে বাংলাদেশের একটি যুবক আত্মহত্যা করেছে।

২| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: যারা বেকার হয়ে গেছে। সরকারের ক্ষ থেকে তাদের সাহায্য করা হচ্ছে না কেন??

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৫৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: পৃথিবীতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নিজের সাহায্য নিজেকেই করতে হয়। ভবিষ্যতের জন্য সামান্য হলেও সঞ্চয় রাখতে হয়। এমন কি এক জন রোগী যখন অপারেশন থিয়েটারে যায় তাকে অনেকটা পথ নিজেকেই যেতে হয়।
বাংলাদেশের পেক্ষাপটে যত কম রোজগার ই হোক সামান্য কিছু হলেও ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় রাখবেন । এই সঞ্চয় এই দুর্দিনে আপনাকে সহায়তা করবে।

৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৫২

ওমেরা বলেছেন: ভালো খবর।

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৫৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এ মাসের শেষের দিকে এখানে লকডাউন কিছু শিথিল হতে পারে। যাতে মানুষ জন কাজে যেতে পারে। মানুষজন ঘরে বন্দি থেকে অস্থির হয়ে গেছে । শ্রমিকদের কাজ না থাকাতে তাদের হাতে টাকা নেই।

৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভেরি গুড, গুড জব। ওয়েল ডান! :)

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এরা করোনার সূতিকাগার চীন থেকে আট জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এনেছে তাদের পরামর্শ সার্বক্ষণিকভাবে নেওয়ার জন্য। এটা মনে হয় একটা ভালো দিক।

৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:২৯

শুভ্র মিহির বলেছেন: ভাল সংবাদ। আইন মানার সুফল

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আসলেই তাই । আমাদের সকলেরই উচিত নিজের নিজের জীবনের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আইন-কানুন মেনে চলা । শুধু করোনার সময়ই নয় , সব সময়ই আইন মেনে চলা প্রতিটি নাগরিকের নাগরিক দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।

৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


সবচেয়ে বেশী সমস্যায় পড়বে বাংগালীরা, বাংলাদেশের প্রশাসন সাহায্য করবে না; প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য সামান্য টাকা দেয়া হয়েছে, সেগুলো দিয়ে এম্বেসীর লোকেরা ঢাকায় নতুন বাড়ী তুলবে

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সূত্র মতে, মালয়েশিয়াতে 1.7 মিলিয়ন বৈধ বিদেশী কর্মী রয়েছে। এদের বেশির ভাগেরই এই মুহূর্তে কোন কাজ নেই। কেননা কল কারখানা বন্ধ।

তাদের নিজ দেশের সরকার, বিভিন্ন সহযোগিতা সংস্থা খাবার দিয়ে সাহায্য করছে।

প্রবাসী শ্রমিকদের একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে, তারা বেতন পাওয়ার সাথে সাথেই বলতে গেলে পুরো টাকাই দেশে পাঠিয়ে দেয় । এমনও হয় যে কখনো কখনো ধার করে হলেও টাকা পাঠিয়ে দেয়। নিজের চলার মত টাকা থাকে না বললেই চলে । এই কারণে কোন আকস্মিক বিপদের সময় টাকা লাগলে তাদের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যায়।

৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩০

পলাতক মুর্গ বলেছেন: বাংলাদেশ সরকার মালয়েশিয়ার অনুকরনে করতে পারে এমন কিছু আছে?

২১ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:০২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
অনেক কিছুই আছে।

বাংলাদেশ সরকারের এমপি মন্ত্রী মিনিস্টার থেকে শুরু করে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব চেয়ে বেশি যাতায়াত করে মালয়েশিয়াতে। তাই কি কি অনুসরণ-অনুকরণ করা দরকার এটা তাদের কারোরই অজানা নেই।

৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৩৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: Good news

২১ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:০৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অবশ্যই শুভ সংবাদ। এরকম আগামী বেশ কয়েক দিন চললে লকডাউন তুলে নেওয়া সম্ভব।

৯| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৪২

সামছুল মালয়েশিয়া প্রবাসী বলেছেন: করোনাকে পরাজিত করে ইতিহাসে নাম লেখাতে যাচ্ছে মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য বিভাগ।দেশটিতে আতঙ্কের বদলে ফিরতে শুরু করেছে স্বস্তি। যেখানে গড়ে ২০০'র বেশি আক্রান্ত হতো প্রতিদিন সেখানে বর্তমানে আক্রান্ত'র হার কমে গেছে অনেকটাই। আইসিইউতে চিকিৎসাধীনদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হারে সুস্থ হয়ে উঠছে প্রতিনিয়ত।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৩৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সঠিক বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.