নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মালয়েশিয়া রোহিঙ্গা আটক বন্দীদের পুনরায় সমুদ্রে ফেরত পাঠাতে পারে।

১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:১৯

এক ক্লান্ত রোহিঙ্গা শরণার্থী মহিলা বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে তীরে ছুঁয়েছে( ১১-০৯-২০১৭ রয়টার্স)


মালয়েশিয়া রোহিঙ্গা আটক বন্দীদের পুনরায় সমুদ্রে ফেরত পাঠাতে পারে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যম বলছে, মালয়েশিয়া রোহিঙ্গা আটক বন্দীদের সমুদ্রে ফেরত পাঠাতে পারে।

দু'টি সূত্র রয়টার্সকে আজ বলেছে, মালয়েশিয়া ক্ষতিগ্রস্থ নৌকায় সমুদ্রে আসার পরে আটক হওয়া প্রায় ৩০০ রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থীকে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনার কথা বিবেচনা করছে। এই ৩০০ জন শরণার্থী সম্প্রতি একটি ক্ষতিগ্রস্থ নৌকায় করে মালয়েশিয়ার তীরে এসে ভীড়ে। তাদের ফেরত পাঠানোর মতো উপযুক্ত নৌকোর ব্যবস্থা হওয়ার পরে তাদেরকে হয়তো ফেরত পাঠানো হবে।

বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ বার্মা থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী অপেক্ষাকৃত একটু ভালো জীবনের প্রত্যাশায় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ মালয়েশিয়াতে আসতে জন্য চেষ্টা করে।

মালয়েশিয়াতে বর্তমানে চলাচল নিয়ন্ত্রণ আদেশ বহাল আছে এবং সীমান্তগুলো কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। তবে মালয়েশিয়া জানিয়েছে যে এই সময় করোনভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ আরও কড়া করার পরে তারা আর রোহিঙ্গা শরণার্থীদের গ্রহণ করবে না। এর আগে মালয়েশিয়া বাংলাদেশকে ২৬৯ জনরোহিঙ্গা শরণার্থীকে ফিরিয়ে নিতে বলেছিল, যারা ৮ ই জুন তাদের আগমনকালে আটক করা হয়েছিল, কিন্তু বাংলাদেশি কর্মকর্তারা এই আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

মালয়েশিয়ার দুটি সুরক্ষা সূত্র জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষ এখন নৌকাটি স্থির করার পরে আটক বন্দীদের সমুদ্রের দিকে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা তৈরি করেছে। বিষয়টি সংবেদনশীলতার কারণে তারা সনাক্ত করতে অস্বীকৃতি জানায়।

একটি সূত্র জানিয়েছে, "এটি বর্তমান পরিকল্পনা তবে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।"। সূত্র জানিয়েছে, নৌকাকে সমুদ্রের দিকে ঠেলে দেওয়ার পরিকল্পনা অনুমোদন করা হলে তাতে খাদ্য ও পানীয় জল সরবরাহ করা হবে।

এই ধরনের ঠেলে ফেরত পাঠানো পুরোপুরি অমানবিক হয়ে উঠবে কারণ উদ্ধার হওয়ার আগেই এই নৌকায় যাত্রীরা কেউ কেউ ইতোমধ্যে মারা গিয়েছিলেন, ”গ্রুপের পরিচালক ক্রিস লেওয়া রয়টার্সকে এ কথা জানিয়েছেন।

এভাবে ফেরত পাঠানোর অর্থ শরণার্থীদের জোর করে এমন জায়গায় ফিরে আসা যেখানে তারা আন্তর্জাতিক মানবিক ও মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করে নিপীড়নের ঝুঁকি নিয়ে থাকে। "রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা দরকার এবং এক দেশ থেকে অন্য দেশে ঠেলে দেওয়া যায় না, একা ছেড়ে সমুদ্রে ঠেলে দেওয়ার কথা তো চিন্তাই করা যায় না ।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে, মালয়েশিয়া কমপক্ষে দুটি নৌকা ফিরিয়ে দিয়েছেয়েছে এবং ইতিমধ্যে দেশে থাকা শতাধিক রোহিঙ্গাকে আটক করেছে, পাশাপাশি অন্যান্য অনিবন্ধিত অভিবাসীদেরও। মালয়েশিয়ার বিদেশিদের প্রতি জনগণের ক্রোধের মধ্যে এই পদক্ষেপটি আসে, যাদের বিরুদ্ধে করোনভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়া এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের উপর বোঝা হিসাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

মানব অধিকার সংস্থাগুলি অনুসারে, কমপক্ষে একটি 300 জন ধারণক্ষমতার নৌকো সমুদ্রের তীরে 300 জন রোহিঙ্গা শরণার্থী সমুদ্রে রয়েছে। তাদের কেউ কেউ অসুস্থ বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এর অবস্থান জানা যায়নি।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৩৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মর্মান্তিক ।

১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৩৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ১। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব।
২। মানুষ সৃষ্টির সব চেয়ে খারাপ জীব।

২| ১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




রোহিঙ্গারা তামাশা শুরু করছে সারা বিশ্ববাসীর সাথে। সারা বিশ্ববাসীকে এই করোনার ভয়ঙ্কর সময়েও রোহিঙ্গারা অশান্তি দিচ্ছে।

১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৩৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: রোহিঙ্গারা অমানুষ। তাদের মাঝে মানবতা কম। সুযোগ পেলেই তারা ছোবল মারে।

৩| ১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: মালোশিয়া তাদের ফিরিয়ে দিলে আমরা বুকে টেনে নেব। আমাদের একটা নোবেল দরকার।

১৯ শে জুন, ২০২০ সকাল ৭:৫৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বাংলাদেশের সম্ভাবনা আছে এক মাত্র সাহিত্যে ( কবিতায়) নোবেল পাওয়ার। তাদের জন্য আর কোন রাস্তা খোলা নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.