নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মালয়েশিয়া যে ভাবে বাংলাদেশের শ্রমিকদের দ্বারা লাভবান হয়।

২৭ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৭

মালয়েশিয়াতে বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে প্রায় দশ লাখের উপরে বাংলাদেশী প্রবাসী শ্রমিক কাজ করে।

নিজ দেশে জীবন ও জীবিকার সহজ সুন্দরতম উপায় খুঁজে না পেয়ে পরিবার-পরিজন ফেলে জমিজমা বিক্রি করে তারা পাড়ি জমিয়েছে মালয়েশিয়াতে। এখানে তারা কঠোর পরিশ্রম করে। দুনিয়া মাতোয়ারা কৃষ্ণ মজুরি পায়। এই সব লাখ লাখ শ্রমিক নানানভাবে মালয়েশিয়ার অর্থনীতিকে সচল করে রেখেছে। কিভাবে? তার সামান্য কয়েকটি উদাহরণ দিচ্ছি।

১। প্রতি বছর ভিসা নবায়ন করার সময় তারা মালয়েশিয়ান সরকারকে প্রায় দুই থেকে তিন হাজার রিঙ্গীদ লেভি হিসেবে পরিশোধ করে। এই বিশাল অঙ্কের রাজস্ব মালয়েশিয়ার সরকারি কর্মকান্ডে অর্থ যোগান দেয়।

২। প্রবাসের শ্রমিকরা অন্তত একটি করে মোবাইলের সিম ব্যবহার করে। হলে বাংলাদেশের শ্রমিকরা ধরেই নেওয়া যায় প্রায় ১০ লাখ সিম ব্যবহার করছেন। মালয়েশিয়াতে একটি সিমে প্রতি মাসে ৩০ রিঙ্গিত রিলোড না করলে সিম ব্যবহার উপযোগী থাকে না। তাই ধরেই নেয়া যায় মোবাইল কোম্পানিগুলো প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ লক্ষ রিঙ্গিত পাচ্ছে বাংলাদেশি শ্রমিকদের কাছ থেকে।

এখন ইন্টারনেটের কল্যাণে নানান ধরনের কল করা যায়। কিন্তু এক সময় মোবাইল সিমের কল ছাড়া বিকল্প আর কিছু ছিল না । তারও আগে ছিল টিএনটির ল্যান্ড লাইন ফোন।

৩। ১০ লাখ প্রবাসী শ্রমিক প্রতি দিন যে পরিমাণে খাবার খায় সেই খাবারের জন্য এখানকার দোকানপাটে বেচাকেনা হয়। রেস্টুরেন্টগুলোতে ব্যবসা জমজমাট হয়।

৪। বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক আনা একটি লাভজনক ব্যবসা। এই ব্যবসায়ে বাংলাদেশের দালাল এবং মালয়েশিয়ার দালাল উভয়েই জড়িত থাকে। এবং তারা প্রচুর পরিমাণে লাভ করে।



পরিণামে শ্রমিকদের বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া তে আসার খরচ অনেক অনেক গুন বেড়ে যায়।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


মালয়েশিয়ায় কোন বাংগালীদেশী কোম্পানী শ্রমিক এনে, অন্য কোম্পানীর কাজে সেই শ্রমিক লাগাতে পারে?

২৭ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:২০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
তুন মাহাথির পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই এখানে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে যে এখন থেকে বিদেশী শ্রমিকদের উপর নির্ভরতা কমাতে হবে । কেননা মালয়েশিয়াতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার খুবই মারাত্মক । এখানে ধীরে ধীরে জনসংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে ।অথচ সেই অনুযায়ী কাজ নেই । তাই বিদেশি শ্রমিকদের কে কমিয়ে সেখানে স্থানীয়দেরকে কাজ দেওয়ার ব্যাপারে সরকার এখন তৎপর।

২| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


মালয়েশিয়ায় কোন বাংলাদেশী কোম্পানী শ্রমিক এনে, অন্য কোম্পানীর কাজে সেই শ্রমিক লাগাতে পারে?

২৭ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আগে পারতো । এখন নতুন সরকার এই নিয়মটা বন্ধ করে দিতে যাচ্ছে। জেল-জরিমানার ব্যবস্থাও থাকছে।

৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: মালোশিয়া তো এমন আহামরি কোনো দেশ না। যদিও বাংলাদেশ থেকে অনেক উন্নত।
কিছু টাকার আশায় নিজ দেশ, স্ত্রী পুত্র কন্যা রেখে মানুষ কেন যায়? আমার পক্ষে তো সম্ভব না।

২৭ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:০০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মালয়েশিয়াতে যারা কাজ করতে আসে তারা আপনার মত অবস্থা সম্পন্ন ঘরের কেউ না‌
তবে যারা ধান্দাবাজি করতে আসে তারা আপনার চেয়েও অবস্থাপন্ন ঘরের কেউ।

৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৪৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমাদের গ্রামের বেশ কয়েকজন বিয়েশাদী করে ফেলছে সেখানে আর আসলোই না দেশে। দুইজন তামিলের হাতে মারা গিয়েছে তাদের দোকান ছিল।

২৭ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:০১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বাংলাদেশে যাদের ভালোভাবে বেঁচে থাকার সুযোগ আছে তারা কি আর মালয়েশিয়াতে আসেন ?
এখানে মানুষ আসে প্রথমত পেটের দায়ে।
দ্বিতীয়তঃ যারা চালাক চতুর টাকা-পয়সা আছে তারা আসে ধান্দাবাজি করতে।

৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১:৪৯

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: কারখানা গুলোতে শ্রমিকের অভাব আছে ফলে অনেকে কাজ পাচ্ছে।

২৮ শে আগস্ট, ২০২০ ভোর ৫:৫৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: কাজ আছে। কিন্তু এখানে আসাটাই তো সব চেয়ে কঠিন। আলাল-দালাল অনেক কিছুর বাধা আছে । তাই শ্রমিকরা আসতে চাইলেও সেটা তাদের জন্য বিরাট কঠিন কাজ।

৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:১৩

অনল চৌধুরী বলেছেন: সারা পৃথিবীতে কাজের অভাব, শ্রমিকের না। আফ্রিকার দেশগুলিতে শ্রমিক ভর্তি।
বাংলাদেশে লুটপাট না হলে দেশে যে পরিমাণ কল-কারখানা হতো,তাতে কাউকে বিদেশে যেতে হতো না।
কিন্ত উন্নতি সব কাগজে কলমে আর শাহেদ-এনু-সম্রাট মার্কা লোকদের।সাধারণ মানুষের অবস্থা এখনো শোচনীয়।

৩১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৩১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি সঠিক বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.