নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

খাবার অপচয় করা অত্যন্ত গর্হিত একটি অন্যায় কাজ

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪২

খাবার অপচয় করা অত্যন্ত গর্হিত একটি অন্যায় কাজ। পৃথিবীতে প্রতিনিয়তই বাড়ছে মানুষ। পোকার মত যেন কিলবিল করছে মানুষ আর মানুষ।


এইসব মানুষের প্রতি দিনই দরকার হয় খাবার । প্রচুর পরিমাণে খাদ্যদ্রব্য।

পৃথিবীতে কেউ কেউ খাবার খায় না । আবার কেউ কেউ খাবার পায় না।

অথচ আমরা যারা মোটামুটি সামর্থ্যবান আছি আমাদের অনেকেরই একটা অভ্যাস আছে আমরা প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত খাবার অপচয় করি। বিয়ে-শাদী জন্মদিন ইত্যাদি অনুষ্ঠানে গেলে এই জিনিসটা ব্যাপকভাবে চোখে পড়ে। দেখা গেল একজন মানুষ যতটুকু খেতে পারবে ততটুকু না নিয়ে তার চেয়ে দ্বিগুণ পরিমাণ প্লেটে নিয়ে নেয়। আবার অনেক সময় অনুষ্ঠানের আয়োজক নিজ হাতে অনেকের প্লেটে খাবার তুলে দেন এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এটা জোরজবরদস্তি করে তুলে দেয়া হয়।

এইসব ক্ষেত্রে দেখা গেছে বেশির ভাগ সময়ই খাবার গুলো ফেলে দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকে না । কেননা যাকে জোরপূর্বক দেওয়া হয়েছে তার পক্ষে সম্ভব নয় এই খাবারগুলো খাওয়া।

এই জাতীয় কোন অনুষ্ঠানে আমি সচরাচর গেলে এই অপচয়ের মহোৎসব টা দেখে থাকি। আমি যা দেখেছি সেগুলো হচ্ছে কেউ হয় তো আধা প্লেট পোলাও খেতে পারবে অথচ তাকে দেয়া হয়েছে দেড় প্লেট। পেটে প্রচুর ক্ষুধা আছে মনে করে সে নিজেই ডাবল নিয়ে ফেলেছে। কারো হয়তো একটা মুরগির রোস্ট ই যথেষ্ট অথচ সে দুইটা নিয়ে ফেলেছে।
হাসিবুর গরুর রেজালা যতোটুকু হলেই চলে তার চেয়ে তিনগুণ নিয়ে ফেলেছে।

এর পর কী ঘটে? কিছুক্ষণ খাবার পর দেখা যায় পেটে খাবার আর ঢুকে না। তখন অগত্যা কি আর করা অনেক যত্ন করে রান্না করা আর প্রচুর টাকা খরচ করে আয়োজন করা সেই খাবারগুলো ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকে না।

প্রতি দিনই পৃথিবীতে অসংখ্য মানুষ কোন রকমে খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকে । ভাল-মন্দ খাবার কথা তারা চিন্তাও করতে পারে না । অথচ অনুষ্ঠানে পর্ব পার্বণের নামের প্রতি। দিন প্রচুর পরিমাণে খাবার চলে যাচ্ছে ডাস্টবিনে।

তাই আসুন, আমরা পরিমিত আহার গ্রহণ করি খাবার অপচয় যেন না করি।
মনে রাখতে হবে পৃথিবীর প্রতিটি মানুষেরই খাবার অধিকার রয়েছে।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



সব খাবার একবারেই টেবিলে না দিয়ে, পর্যায়ক্রমে খাবার দিলে, ইহার আংশিক সমাধান হবে।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: লম্বা একটি বড় টেবিলকে ফুড স্টেশন বানানো যেতে পারে । সেখানে সব ধরনের খাবার ডিশ ভর্তি থাকবে । যারা খেতে আসবে তারা খালি প্লেট হাতে নিয়ে এসে এই স্টেশন থেকে যার যার পরিমাণ মত অল্প অল্প করে নিয়ে খাওয়া শুরু করবে । এরপর আবার প্রয়োজন হলে উঠে এসে অল্প অল্প করে আবার নিয়ে নিবে।

তবে সমস্যা হচ্ছে বাংলাদেশের সবাই এই ব্যবস্থায় অভ্যস্ত না । তারা এক সাথে বড় টেবিলে বসবে এবং অন্য মানুষ খাবার তুলে দেবে এটাই তারা প্রত্যাশা করে। হাতের কাছে পোলাও মাংসের বড় বড় গামলা না থাকলে তাদের পরিতৃপ্তি আসে না।

২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) এক প্রতিবেদনঃ বিশ্বের উন্নত ও
উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রতিবছর যে পরিমাণ খাবার নষ্ট হয় তাতে অর্থনৈতিক
ক্ষতি হচ্ছে প্রায় এক লাখ কোটি ডলার। এরমধ্যে শিল্পোন্নত দেশগুলোর বছরে
৬৮ হাজার কোটি ডলার ক্ষতি হচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশের ক্ষতি ৩১ হাজার কোটি
ডলার। উন্নত দেশে ৬৭ কোটি টন ও উন্নয়নশীল দেশে প্রতি বছর ৬৩ কোটি টন
খাদ্য নষ্ট হচ্ছে।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন । এটা সকলেরই জানা উচিত । আমরা সকলেই যেন সাবধান হই। খাবার যেন অপচয় না করি ।
পৃথিবীতে উৎপাদিত খাবারে প্রতিটি প্রাণীরই হক রয়েছে।

৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৭

শাহ আজিজ বলেছেন: বাংলাদেশে বিয়ে বাড়িতে খাবার নিয়ে কোন উপদেশ চলে না । জেলা শহরের বিয়ে বাড়িতে মনে হয় অর্ধেক লোক জীবনে বিরিয়ানি খায় নাই এমন ভাবে নেয় , খায় এবং ফেলে দেয় । গরুর মাংস একটু করে কামড় দিয়ে বাকিটা প্লেটেই ফেলে রাখে । আর ঐযে বললেন না আদর করে পরিচিত দোস্তদের প্লেটে খাবার তুলে দেয় কিন্তু কোন টেবিলে অনেকে আছেন পোলাও পেয়েছেন কিন্তু খাদকদের উৎপাতে মাংস পান নাই । বুভুক্ষ মানুষ এই দেশে । অধিকাংশ ফেলে দেওয়া খাবার এখনকার দিনে পাশের বস্তিতে চলে যায় । চুক্তিতে কমিউনিটি সেন্টারে খাবার খেলেন এবং বেচে যাওয়া খাবার হোটেলে চলে যায় মুহূর্তে ।
পিকিং শহরে নব্য ধনিদের ফেলে দেয়া খাবার শহরের মানুষ ছয় মাস খেতে পারবে , চায়না ডেইলি লিখেছিল । বুফে হচ্ছে বেস্ট । যার যতটুকু ইচ্ছে নেবে । বুফেতে আপনি খাবার প্লেটে ফেলে চলে যাচ্ছেন? দরজায় দেখবেন প্যাকেট হাতে হোটেল কর্মী দাড়িয়ে আপনার খাবার হাতে । তবুও কিছু মানুষের খাবার না ফেললে রাতে ঘুম হয়না । মানুষকে দেখাতে হবেতো আমি কত্ত টাকার মালিক ।
বুফেতে অভ্যস্ত করাতে হবে , বিপদ হচ্ছে গ্রামে বুফে হলে মাতবরের ছেলে পুরো টেবিল ধরে বাড়িতে না নিয়ে যায় ।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি অসাধারণ বলেছেন । আমার মনের কথাটি বলেছেন । আমি মূলত এটাই বলতে চেয়েছিলাম ।্যআমি নিজেও এখানে মাঝেমাঝে পরিচিতদের দাওয়াত করলে বুফে ব্যবস্থাটাই অনুসরণ করি। এতে খাবারের অপচয় কম হয় । জনে-জনে গিয়ে প্লেটে খাবার তুলে দিতে হয় না । আবার অপচয় হয় একেবারেই কম।

অভিজ্ঞতার আলোকে আপনি অসাধারণ একটি তথ্য দিয়েছেন । এজন্য আপনার কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি । ভালো থাকবেন সব সময়।

৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: যথাযথ পারিবারিক শিক্ষার অভাব এক্ষেত্রে বড় একটা কারন।

একদম ছোট বেলায় যখন থেকে হাতে খাওয়া শুরু করেছি, তখন থেকেই প্লেটের সব খাবার শেষ না করলে আব্বা উঠতে দিতেন না। সময়ে সময়ে বিভিন্ন রকমের শাস্তিও দিতেন। ফলে, এখনও আমি যতোটুুকু খেতে পারবো বলে মনে করি, তার চাইতে একটু কম খাবার প্লেটে নেই। দরকার পড়লে আবার প্লেট টপ-আপ করি।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমার ব্যাপারটিও ঠিক আপনার মতোই। আমি কোন অপচয় করি না। অনেকেই এটাকে বাকা চোখে দেখে। আমি সোজা চোখে খেয়ে নিই। অপচয় করি না।

৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের জাতীয় চরিত্র এর দ্বারা কিছুটা বোঝা যায় মনে হয়।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি সঠিক বলেছেন।

৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ছবিটা কোন জায়গার বড় ভাই। প্রবাসীদের কাছে শুনেছি মধ্যপাচ্যে প্রচুর খাবার অপচয় করে

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অতদূর যাওয়ার দরকার কি?
আমাদের দেশে কি কম অপচয় হয়?
আরবদের অঢেল টাকা আছে।
আমরা মিসকিন জাতি।

৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: আমি খাবার অপচয় করি না।
আমার ঘরে কোনো কারনে খাবার বেশি হলে, তখন বুয়াকে দিয়ে দেই। বাসীটা না। আগেই দিয়ে দেই।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সবাই যদি আপনার মত হত তাহলে তো আর কথাই ছিল না।

৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫০

করুণাধারা বলেছেন: খাবার অপচয় করা অত্যন্ত গর্হিত একটি অন্যায় কাজ। এই অন্যায়ের বোনটা আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের নেই।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩২

জুন বলেছেন:
থাইল্যান্ডের এই জেনারেশন যারা কিং ভুমিবলের সাফিয়েন্সী ইকোনমির সুবিধা ভোগ করছে তারা প্রচুর খাবার অপচয় করে যা তাদের আগের জেনারেশন পায়নি । এসব দেখে আমার নিজেরই এত খারাপ লাগে বলার নয় । একজনকে আমি সোমালিয়ার বাচ্চার এই ছবিটা দেখিয়েছিলাম যার মৃত্যুর তাকে খাবে বলে শকুনটি অনুসরন করেছে। এবং তাই ঘটেছিল সেই ক্যামেরাম্যানের সামনে যে পরে আত্মহত্যা করেছিল । ঘটনাটি শুনে আর ছবিটি দেখে সে শিউরে উঠেছিল ।
আমি বা আমার পরিবারের কেউ খাবার অপচয় করি না ।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: খুবই করুণ দৃশ্য। এই দৃশ্য পৃথিবী থেকে চিরতরে বিদায় নিক।
সকল মানুষ খাবার পাক।
অপচয় বন্ধ হোক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.